alt

সারাদেশ

পার্বত্য চুক্তির বিরোধী শক্তি সরকারের মধ্যে রয়েছে: মেনন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পার্বত্য চুক্তি দেশের বড় অর্জন ছিল। এত দিনেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় সেই চুক্তির মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল, তা ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, এখন পার্বত্য চট্টগ্রাম অনেক জটিল ও কঠিন হয়ে গেছে। যারা চুক্তিবিরোধী শক্তি, সেই শক্তি সরকারের মধ্যে যারা রয়েছে, সরকারের বাইরে যারা রয়েছে, তারা জনসংহতি সমিতির মধ্য দিয়ে যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল, তা ভেঙে দিয়েছে। এখন একটা–দুইটা নয়, বহু গোষ্ঠী সেখানে সক্রিয়।

‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকার ও করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন রাশেদ খান মেনন। আজ বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সভার আয়োজন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের একদিকে মিয়ানমার, একদিকে মিজোরাম, একদিকে মণিপুর—এসব অঞ্চল অশান্ত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশকে নিজের নিরাপত্তার জন্য, নিজের ভূখণ্ডের অখণ্ডতার জন্য এবং দেশের জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষার জন্য পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন অতীব জরুরি।

রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘পার্বত্য চুক্তি রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। না হলে আশঙ্কা করছি, অঘটনই ঘটবে।’

পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার উৎপত্তি সংবিধান থেকে বলে মনে করেন ঐক্য ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এম এ সবুর। তিনি বলেন, ব্রিটিশ সরকারের আইন অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম বিশেষ অঞ্চল। সেখানে অন্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষ স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবে না। বাইরের কোনো লোক সেখানকার সম্পত্তি অর্জন করতে পারবে না। ঔপনিবেশিক সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে যে অধিকার দিয়ে গেছে, সেই অধিকারও রক্ষা করেনি স্বাধীনতার পর আসা সরকারগুলো। তারপরও যে পার্বত্য চুক্তি হলো, সেটা বাস্তবায়ন না করার কারণে তারা যে আবার হাতে অস্ত্র তুলে নেবে না, তার নিশ্চয়তা নেই বলেও মনে করেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল বলেন, দেশে যদি পার্বত্য চুক্তিকে ভুলে যাওয়া একটি চুক্তিতে পরিণত করতে চায় রাষ্ট্র, তাহলে তার ফল মারাত্মক হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ধীরে ধীরে ১৯৯৭ সাল পূর্ববর্তী অবস্থার দিকে এগোচ্ছে।

মেজবাহ কামাল আরও বলেন, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন না করে রাষ্ট্র, সরকার ও আওয়ামী যে পিছু হটছে, এটা দেশের জন্য ভয়াবহ অশনিসংকেত। এ চুক্তি বাস্তবায়নে সব দলকে এগিয়ে আসতে হবে।

দেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের ‘আদিবাসী’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়ক অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম চৌধুরী।

আজকের অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক সব দলের প্রতি পাঁচটি দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন। সেগুলো হলো, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী–সম্পর্কিত নীতি ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে ২০২৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সমতলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর দাবি গুরুত্বসহকারে অন্তর্ভুক্ত করা; পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি আন্দোলনের পক্ষে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি ঘোষণা করা; রাজনৈতিক দল ও সহযোগী সংগঠনে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বিষয়ে মুখপাত্র ও সম্পাদকীয় পদ তৈরি করা এবং জাতীয় সংসদসহ স্থানীয় সরকার পরিষদের সব স্তরে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর দলীয় মনোনয়ন দেওয়া।

মোরেলগঞ্জে শাফায়েত হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে গ্রামবাসী

শেরপুরে কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার তিনজন গ্রেপ্তার

মহালছড়িতে নারী সমাবেশ

ছবি

তাহলে সততার কীসের মূল্যায়ন: গ্রেপ্তারের আগে আইভী

মানিকছড়ি হাসপাতালে জনবল সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

যাদুকাটা নদী খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন

খোকসা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালসহ দুজনকে জরিমানা

পাবনার হাট-বাজারে অপরিপক্ব টক লিচু বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে

ছবি

ডিমলার নদ-নদীগুলো অবৈধ দখলে মরা খাল, আবাদি জমি

ঝালকাঠিতে ডাকাতি মামলায় ৯ জনের সশ্রম কারাদণ্ড

ছবি

মোরেলগঞ্জে সন্তানহারা মায়ের কান্না, গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া

রাজশাহীতে মাদক ব্যবসায়ী আটক

মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নারী নিহত

চাঁদপুরে পুকুর ভরাটের দায়ে জরিমানা

গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

ছবি

সিরাজগঞ্জে যমুনার ভাঙন আতঙ্কে তীরবর্তী মানুষ

করিমগঞ্জে বজ্রপাতে ৩ গরুর মৃত্যু

ফরিদগঞ্জে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

৬ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯

ধর্মপাশায় গাছ থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু

সেনবাগে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা

দুই জেলায় বৃদ্ধ ও কিশোরীর আত্মহত্যা

রামুর বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে চুরি-ডাকাতি : জনমনে আতঙ্ক

কালিহাতীতে ভেটেরিনারি দোকানে জরিমানা

ছবি

যশোরে আইন উপেক্ষা করে চলছে পুকুর ভরাট

ভুয়া পশু চিকিৎসকের কারাদণ্ড

ছবি

রাস্তা খুঁড়ে লাপাত্তা ঠিকাদার দ্রুত পাকাকরণের দাবি

ছবি

রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম, ইউএনওর কাছে অভিযোগ

রায়গঞ্জে একই দিনে দুজনের আত্মহত্যা

প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি, ২০ লাখ টাকা লুট

ডিবি থেকে সরানো মল্লিক ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি

সীমান্তবর্তী ৩৩ জেলায় পুলিশের বাড়তি সতর্কতা

ফরিদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে রামগড় ও লক্ষীছড়িতে বিক্ষোভ

ছবি

নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি

tab

সারাদেশ

পার্বত্য চুক্তির বিরোধী শক্তি সরকারের মধ্যে রয়েছে: মেনন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পার্বত্য চুক্তি দেশের বড় অর্জন ছিল। এত দিনেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় সেই চুক্তির মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল, তা ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, এখন পার্বত্য চট্টগ্রাম অনেক জটিল ও কঠিন হয়ে গেছে। যারা চুক্তিবিরোধী শক্তি, সেই শক্তি সরকারের মধ্যে যারা রয়েছে, সরকারের বাইরে যারা রয়েছে, তারা জনসংহতি সমিতির মধ্য দিয়ে যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল, তা ভেঙে দিয়েছে। এখন একটা–দুইটা নয়, বহু গোষ্ঠী সেখানে সক্রিয়।

‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকার ও করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন রাশেদ খান মেনন। আজ বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সভার আয়োজন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের একদিকে মিয়ানমার, একদিকে মিজোরাম, একদিকে মণিপুর—এসব অঞ্চল অশান্ত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশকে নিজের নিরাপত্তার জন্য, নিজের ভূখণ্ডের অখণ্ডতার জন্য এবং দেশের জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষার জন্য পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন অতীব জরুরি।

রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘পার্বত্য চুক্তি রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। না হলে আশঙ্কা করছি, অঘটনই ঘটবে।’

পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার উৎপত্তি সংবিধান থেকে বলে মনে করেন ঐক্য ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এম এ সবুর। তিনি বলেন, ব্রিটিশ সরকারের আইন অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম বিশেষ অঞ্চল। সেখানে অন্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষ স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবে না। বাইরের কোনো লোক সেখানকার সম্পত্তি অর্জন করতে পারবে না। ঔপনিবেশিক সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে যে অধিকার দিয়ে গেছে, সেই অধিকারও রক্ষা করেনি স্বাধীনতার পর আসা সরকারগুলো। তারপরও যে পার্বত্য চুক্তি হলো, সেটা বাস্তবায়ন না করার কারণে তারা যে আবার হাতে অস্ত্র তুলে নেবে না, তার নিশ্চয়তা নেই বলেও মনে করেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল বলেন, দেশে যদি পার্বত্য চুক্তিকে ভুলে যাওয়া একটি চুক্তিতে পরিণত করতে চায় রাষ্ট্র, তাহলে তার ফল মারাত্মক হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ধীরে ধীরে ১৯৯৭ সাল পূর্ববর্তী অবস্থার দিকে এগোচ্ছে।

মেজবাহ কামাল আরও বলেন, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন না করে রাষ্ট্র, সরকার ও আওয়ামী যে পিছু হটছে, এটা দেশের জন্য ভয়াবহ অশনিসংকেত। এ চুক্তি বাস্তবায়নে সব দলকে এগিয়ে আসতে হবে।

দেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের ‘আদিবাসী’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়ক অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম চৌধুরী।

আজকের অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক সব দলের প্রতি পাঁচটি দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন। সেগুলো হলো, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী–সম্পর্কিত নীতি ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে ২০২৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সমতলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর দাবি গুরুত্বসহকারে অন্তর্ভুক্ত করা; পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি আন্দোলনের পক্ষে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি ঘোষণা করা; রাজনৈতিক দল ও সহযোগী সংগঠনে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বিষয়ে মুখপাত্র ও সম্পাদকীয় পদ তৈরি করা এবং জাতীয় সংসদসহ স্থানীয় সরকার পরিষদের সব স্তরে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর দলীয় মনোনয়ন দেওয়া।

back to top