ফরিদপুরে বোরকা পড়ে নারী সেজে হাসপাতালে চুরি করতে গিয়ে রোগীর স্বজন ও হাসপাতালের গার্ডদের হাতে ধরা পড়েছে এক যুবক। আটককৃত যুবককে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। অভিনব কায়দায় চুরির ঘটনা শহরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ফরিদপুর শহরের ডায়াবেটিক এ্যাসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বোরকা পড়ে নারী সেজে রোগী ও স্বজনদের অর্থ ও মালামাল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে সালমান (৩০) নামের এক যুবক। মো: সালমান শহরের আলীপুর খাঁ পাড়ার বাসিন্দা। শহরের নিউ মার্কেটে তার একটি বোরকার দোকান রয়েছে। পরে তাকে কোতয়ালী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
জানা যায়, লিফটের মধ্যে বোরকা পরিহিত ওই যুবক এক ব্যক্তির পকেট থেকে ৭হাজার এবং আরেক ব্যক্তির পকেট থেকে ১৪ হাজার টাকা নেয়। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ওই বোরকা পড়া যুবককে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে হাসপাতালের কাউন্টারে মহিলাদের লাইনে দাড়ালে ওই যুবকের শরীরের সাথে স্পর্শ লাগে এক
নারীর। তখন ওই নারী বিষয়টি টের পেয়ে তাকে বোরকা খুলতে বললে ওই যুবক পালানোর চেষ্টা করলে রোগীর স্বজন ও হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
ফরিদপুর ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটো জানান, বোরকা পরে ওই যুবক অভিনব কায়দায় নারী সেজে রোগী ও স্বজনদের অর্থ, মোবাইলসহ মালামাল চুরি করার উদ্দ্যেশে হাসপাতালে আসে। বিষয়টি রোগীর স্বজন ও হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরা টের পেয়ে তাকে ধরে
ফেলে। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, হাসপাতালে মাঝে মধ্যেই চুরির ঘটনা ঘটছে। আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদারের ব্যবস্থা করছি। এদিকে ওই যুবকের পরিবারের সদস্যদের দাবী সে একজন হাফেজ ও মাওলানা। ওই যুবকের শহরের নিউমার্কেটে বোরকার দোকান রয়েছে। হাফেজ হওয়ায় তার জিনের সমস্যা আছে। মাঝে মধ্যেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। এটি একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা।
আটককৃত যুবকের ছোট ভাই সাঈদ বলেন, আমার ভাই এধরনের মানুষ না। তিনি একজন হাফেজ ও মাওলানা। তার জিনের আছর আছে। এর আগেও চট্টগ্রামে বেরাতে গিয়ে এধরনের সমস্যা হয়েছিল। আজকে যা ঘটেছে এটা অনাকাঙ্খিত ঘটনা।
তিনি আরো বলেন, আমার ভাইয়ের বোরকার ব্যবসা রয়েছে। জিনের আছরের কারনে মাঝে মধ্যে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। একারনেই এধরনের ঘটনা ঘটেছে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল বলেন, ওই যুবককে হাসপাতালের রোগীর স্বজন ও নিরাপত্তারক্ষীরা ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ফরিদপুরে বোরকা পড়ে নারী সেজে হাসপাতালে চুরি করতে গিয়ে রোগীর স্বজন ও হাসপাতালের গার্ডদের হাতে ধরা পড়েছে এক যুবক। আটককৃত যুবককে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। অভিনব কায়দায় চুরির ঘটনা শহরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ফরিদপুর শহরের ডায়াবেটিক এ্যাসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বোরকা পড়ে নারী সেজে রোগী ও স্বজনদের অর্থ ও মালামাল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে সালমান (৩০) নামের এক যুবক। মো: সালমান শহরের আলীপুর খাঁ পাড়ার বাসিন্দা। শহরের নিউ মার্কেটে তার একটি বোরকার দোকান রয়েছে। পরে তাকে কোতয়ালী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
জানা যায়, লিফটের মধ্যে বোরকা পরিহিত ওই যুবক এক ব্যক্তির পকেট থেকে ৭হাজার এবং আরেক ব্যক্তির পকেট থেকে ১৪ হাজার টাকা নেয়। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ওই বোরকা পড়া যুবককে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে হাসপাতালের কাউন্টারে মহিলাদের লাইনে দাড়ালে ওই যুবকের শরীরের সাথে স্পর্শ লাগে এক
নারীর। তখন ওই নারী বিষয়টি টের পেয়ে তাকে বোরকা খুলতে বললে ওই যুবক পালানোর চেষ্টা করলে রোগীর স্বজন ও হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
ফরিদপুর ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটো জানান, বোরকা পরে ওই যুবক অভিনব কায়দায় নারী সেজে রোগী ও স্বজনদের অর্থ, মোবাইলসহ মালামাল চুরি করার উদ্দ্যেশে হাসপাতালে আসে। বিষয়টি রোগীর স্বজন ও হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরা টের পেয়ে তাকে ধরে
ফেলে। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, হাসপাতালে মাঝে মধ্যেই চুরির ঘটনা ঘটছে। আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদারের ব্যবস্থা করছি। এদিকে ওই যুবকের পরিবারের সদস্যদের দাবী সে একজন হাফেজ ও মাওলানা। ওই যুবকের শহরের নিউমার্কেটে বোরকার দোকান রয়েছে। হাফেজ হওয়ায় তার জিনের সমস্যা আছে। মাঝে মধ্যেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। এটি একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা।
আটককৃত যুবকের ছোট ভাই সাঈদ বলেন, আমার ভাই এধরনের মানুষ না। তিনি একজন হাফেজ ও মাওলানা। তার জিনের আছর আছে। এর আগেও চট্টগ্রামে বেরাতে গিয়ে এধরনের সমস্যা হয়েছিল। আজকে যা ঘটেছে এটা অনাকাঙ্খিত ঘটনা।
তিনি আরো বলেন, আমার ভাইয়ের বোরকার ব্যবসা রয়েছে। জিনের আছরের কারনে মাঝে মধ্যে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। একারনেই এধরনের ঘটনা ঘটেছে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল বলেন, ওই যুবককে হাসপাতালের রোগীর স্বজন ও নিরাপত্তারক্ষীরা ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।