বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) : বালিয়াকান্দি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গুরোগী -সংবাদ
রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গুরোগীদের জন্য স্যালাইন নেই। স্বাস্থ্য কতৃপক্ষ বলছে ২/৩ দিনের মধ্যে এসে যাবে, স্যালাইনের সমস্যা হবে না। ফার্মেসী থেকে ৪ গুন বেশি মূল্যে স্যালাইন কিনে নিতে হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা। অধিকমূল্যে স্যালাইন বিক্রির দায়ে ঔষধ ফার্মেসী মালিককে জড়িমানা করছে ভ্রাম্যমান আদালত।
জানা গেছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগেীর রক্তের ঘনত্ব বেড়ে যায় ফলে রক্তের চাপ কমে যায়। প্রতিকারের একমাত্র উপায় হলো তরল খাবার। দ্রুত সমাধানে রোগীর দেহে স্বাভাবিক স্যালাইন পুসিং করার প্রয়োজন পড়ে। বালিয়াকান্দি উপজেলায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশী। আক্রান্তের অবস্থা অনুসারে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি, উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর/ ঢাকায় রিফার্ট করা হয়। আবার অনেকের বাড়ীতে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ১৮ জন।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসারত রাশিদা (৩৫) জানায়, হাসপাতালে স্যালাইন না থাকায় তার ছেলেকে দিয়ে ওষুধের দোকান হতে ৩শ টাকা করে ২টি স্যালাইন ৬শ টাকা দিয়ে কিনেছে।
বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের জাবরকোল গ্রামের আমিরুল মিয়া (৩০) জানায়, বাজারে ভ্রাম্য আদালত নেমেছে দেখতে পেয়ে ৯০ টাকার স্যালাইন ৩৩০ টাকা নেয়ায় এসিল্যান্ড (ম্যাজিষ্ট্রেট) স্যারকে বললে তাৎক্ষনিক ভাবে ওষুধ ব্যবসায়ি জিন্না মিয়াকে ৩ হাজার টাকা জড়িমানা করেছে।
প্রীতি ফার্মেসির মালিক প্রনয় কুমার লাহিড়ী জানায়, স্যালাইন কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধিরা বাজারের কতিপয় ঔষধ ব্যবসায়িদের সঙ্গে সিন্ডিকেট করে কয়েকগুন বেশীদামে বিক্রি করছে। তিনি এ ব্যবস্থার প্রতিকার চান।
বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ মুক্তাদির আরেফীন জানায়, এ উপজেলায় ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা বেশী। আমাদের স্যালাইন নেই ,তথ্য পাঠানো হয়েছে ২/৩ দিনের মধ্যে সমাধান হবে। কোন ঔষধ ফার্মেসি অথবা কোম্পানীর প্রতিনিধি স্যালাইন মজুদ রেখে বেশী দামে বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভ’মি) মো. হাসিবুল হাসান জানায়, বুধবার বিকেলে বাজার মনিটরিংয়ের সময় এক ঔষধ ক্রেতার অভিযোগে ফার্মেসি মালিক জিন্নাকে ৩ হাজার টাকা জড়িমানা করা হয়েছে। ৯০ টাকার স্যালাইন ৩৩০ টাকা নেয়ার অপরাধে এ জড়িমানা করা হয়েছে। অভিযোগ পেলেই জড়িমানা অব্যহত থাকবে।
বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) : বালিয়াকান্দি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গুরোগী -সংবাদ
শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গুরোগীদের জন্য স্যালাইন নেই। স্বাস্থ্য কতৃপক্ষ বলছে ২/৩ দিনের মধ্যে এসে যাবে, স্যালাইনের সমস্যা হবে না। ফার্মেসী থেকে ৪ গুন বেশি মূল্যে স্যালাইন কিনে নিতে হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা। অধিকমূল্যে স্যালাইন বিক্রির দায়ে ঔষধ ফার্মেসী মালিককে জড়িমানা করছে ভ্রাম্যমান আদালত।
জানা গেছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগেীর রক্তের ঘনত্ব বেড়ে যায় ফলে রক্তের চাপ কমে যায়। প্রতিকারের একমাত্র উপায় হলো তরল খাবার। দ্রুত সমাধানে রোগীর দেহে স্বাভাবিক স্যালাইন পুসিং করার প্রয়োজন পড়ে। বালিয়াকান্দি উপজেলায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশী। আক্রান্তের অবস্থা অনুসারে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি, উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর/ ঢাকায় রিফার্ট করা হয়। আবার অনেকের বাড়ীতে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ১৮ জন।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসারত রাশিদা (৩৫) জানায়, হাসপাতালে স্যালাইন না থাকায় তার ছেলেকে দিয়ে ওষুধের দোকান হতে ৩শ টাকা করে ২টি স্যালাইন ৬শ টাকা দিয়ে কিনেছে।
বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের জাবরকোল গ্রামের আমিরুল মিয়া (৩০) জানায়, বাজারে ভ্রাম্য আদালত নেমেছে দেখতে পেয়ে ৯০ টাকার স্যালাইন ৩৩০ টাকা নেয়ায় এসিল্যান্ড (ম্যাজিষ্ট্রেট) স্যারকে বললে তাৎক্ষনিক ভাবে ওষুধ ব্যবসায়ি জিন্না মিয়াকে ৩ হাজার টাকা জড়িমানা করেছে।
প্রীতি ফার্মেসির মালিক প্রনয় কুমার লাহিড়ী জানায়, স্যালাইন কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধিরা বাজারের কতিপয় ঔষধ ব্যবসায়িদের সঙ্গে সিন্ডিকেট করে কয়েকগুন বেশীদামে বিক্রি করছে। তিনি এ ব্যবস্থার প্রতিকার চান।
বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ মুক্তাদির আরেফীন জানায়, এ উপজেলায় ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা বেশী। আমাদের স্যালাইন নেই ,তথ্য পাঠানো হয়েছে ২/৩ দিনের মধ্যে সমাধান হবে। কোন ঔষধ ফার্মেসি অথবা কোম্পানীর প্রতিনিধি স্যালাইন মজুদ রেখে বেশী দামে বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভ’মি) মো. হাসিবুল হাসান জানায়, বুধবার বিকেলে বাজার মনিটরিংয়ের সময় এক ঔষধ ক্রেতার অভিযোগে ফার্মেসি মালিক জিন্নাকে ৩ হাজার টাকা জড়িমানা করা হয়েছে। ৯০ টাকার স্যালাইন ৩৩০ টাকা নেয়ার অপরাধে এ জড়িমানা করা হয়েছে। অভিযোগ পেলেই জড়িমানা অব্যহত থাকবে।