alt

সালথায় মৎস্য অফিসের বরাদ্দের টাকা লোপাটের অভিযোগ

প্রতিনধি, সালথা (ফরিদপুর) : শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফরিদপুরের সালথা উপজেলা মৎস্য অফিসের বরাদ্দের টাকা নামে মাত্র প্রকল্প দেখিয়ে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত দেশীয় প্রজাতির মাছ ও শামুক সংরক্ষণ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪ লক্ষ ৪ হাজার ৯শত টাকা বরাদ্দ হয়, উপজেলার ২০জন মৎস্যজীবীদের নামে। তাতে করে প্রতি মৎস্যজীবীর জন্য ২০ হাজার টাকারও বেশি বরাদ্দ হয়, সেখানে এক একজন মৎস্যজীবীকে ছাগলের দুটি করে বাচ্চা ও একটি করে ছাগলের খোয়াড় দেয়া হয়। সঙ্গে ১০ কেজি ছাগলের খাবারও দেয়া হয়। সব মিলিয়ে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা মূল্যের সামগ্রী গত ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিতরণ করা হয় মৎস্যজীবীদের মাঝে, বাকী টাকা সংশ্লিষ্টদের পকেটে ভরার অভিযোগ উপকারভোগিদের। অপর দিকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর একই প্রকল্পে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের ২ লাঘ টাকা বরাদ্দে ৬ টি জলাশয়ে ৬৬৭ কেজি মাছের পোনা অবমুক্ত করেন মৎস্য অফিস। সেখানে দেখা যায়, যে পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে তার প্রতি কেজির দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকার বেশি হবে না। কিন্ত প্রতি কেজি মাছের দাম ধরেছে প্রায় ৩০০ টাকা করে। তাতে পর্যালোচনা দেখা যায় প্রকল্পের সিংহভাগ টাকাই সংশ্লিষ্টদের পকেটে পুড়েছে। ভাওয়াল গ্রামের জেলে উপকারভোগি সুজন মালো বলেন, আমাকে যে দুটি ছাগল দিয়েছে তার দাম সর্বোচ্চ ৫ হাজার হতে পারে। যে খোয়াড়টি পেয়েছি তার দামও ১৫০০ টাকা হবে, আর ১০ কেজি গমের ভূষি দিয়েছে তার দাম ৫ শত টাকা । সব মিলিয়ে ৭ হাজার টাকা মূল্যে জিনিস দিয়েছে। অপরদিকে সুবাস মালো বলেন, ছাগল দুটির দাম ৪ হাজার টাকা হতে পারে। আর খাবার দিয়েছে ১০ কেজি, খুপড়ী ঘরটি ২ হাজার টাকা হতে পারে। আরেক সুবিদেভোগি পলাশ মালো বলেন, আমাদের প্রতিটি জেলের নামে কত বরাদ্দ জানি না, তবে যে সব জিনিস দিয়েছে সব মিলিয়ে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা মূল্যের হবে হয়তো। তিনি বলেন, আমাদের ভাওয়াল জেলে পল্লীতে ৫ জন জেলেকে এই প্রকল্পের আওতায় এনেছে। যাদেরকে ছাগল দিয়েছে সব ছাগলই অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। কয়টা বাঁচে কয়টা মরে বলা যায় না। ছাগলগুলো আরো বড় দিলে সরকার যে উদ্দেশ্য নিয়ে দিয়েছে তা হয়তো সফল হত। সুরেশ মালো বলেন, গত বছরও আমাদের এই জেলে পল্লীতে ছাগল দিয়েছিলো সব ছাগলই প্রায় মারা গিয়েছিলো একটা বা দুইটা বেঁচে ছিলো, এ বছরও সেরকই দেখছি। জেলেদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ পূরণ হবে কি করে। সরকার ঠিকই দেয় আমাদের, মাঝ খানে সব খেয়ে ফেলে। আমাদের এই ন্যায্য হিসাব কে দেবে, আমরা তো অসহায়। এদিকে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: শাহরিয়ার জামান সাবু বলছেন, শতভাগ কাজ করা যায় না, কাজ করতে গেলে কমবেশি হতে পারে। তবে, যেসব সামগ্রী দিয়েছি যা বরাদ্দ তাই কভার করেছে। এই দুটি প্রকল্পে অনিয়ম হয়েছে কিনা এমন জবাবে তিনি বলেন অনিয়ম হয়নি আমরা শতভাগ কাজ করার চেষ্টা করি। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা ছোট খাট বিষয় নিয়ে ঘাটাঘাটি না করলেও পারেন। আপনারা বড় বড় জায়গার অনিয়ম ধরবেন।

ছবি

আড়াইহাজারে ছাত্রলীগ নেতা রবিন গ্রেপ্তার

ছবি

রায়পুরায় ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা

ছবি

সামাজিক বনায়নের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ছবি

গৌরনদীর হাট-বাজার সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

ছবি

বাগেরহাটে অটো চালকের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

নুরাল পাগলের মরদেহের ওপর তেল ছিটানো ব্যক্তি গ্রেপ্তার

ছবি

ভোলাহাটে ক্যানসার সচেতনতা সভা

ছবি

মাধবপুরে পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত ৬, আতঙ্কে এলাকাবাসী

ছবি

সিরাজগঞ্জে বাবাকে হত্যার অভিযোগে ছেলের মৃত্যুদন্ড

ছবি

তারাগঞ্জে নিজের শিশুকে গলা কেটে হত্যা করল মা!

ছবি

মাদারীপুরে বাড়ি নির্মাণের সময় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় প্রবাসী আহত

ছবি

চান্দিনায় যুবদল নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে কমিশন আদায়

ছবি

চুনারুঘাটের হিমালিয়া-চামলতি সড়কে জনদুর্ভোগ চরমে

ছবি

সুন্দরগঞ্জে মওলানা ভাসানী সেতুতে বাড়ছে দুর্ঘটনা

ছবি

এবার রেকর্ড রাজস্ব আয় চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে

ছবি

রাধাবতী দেবীর হাত ধরে তাঁতশিল্পে নতুন দিগন্ত

ছবি

সোনাপুরে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

ছবি

আলীকদমের শিশুরা শিক্ষাবঞ্চিত

ছবি

শিবচরে হত্যা মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

দৌলতপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতির মহোৎসব

ছবি

নগরীর শ্রান্তি বিনোদন কেন্দ্র অবৈধ দখলমুক্ত

ছবি

ভাঙ্গায় অবরোধের ঘটনায় মামলা

ছবি

জয়পুরহাটে বেশির ভাগ পৌর সড়কই বেহাল, কাজ শুরুর প্রতিশ্রুতি শিঘ্রই

ছবি

সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি, সিলেটসহ কয়েক জেলায় স্বল্পমেয়াদী বন্যার আশঙ্কা

ছবি

চাঁদপুর মতলবে একরাতে ১০ ঘরে সিঁধ কেটে চুরি

ছবি

ফরিদপুরে আসন পুনর্বিন্যাস: ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদে আগুন, থানার গাড়ি ভাঙচুর

ছবি

আখাউড়ায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার যাত্রী ও চালক নিহত

ছবি

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, পানিবন্দি শত শত পরিবার

ছবি

জুলাই আন্দোলনে চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ হই, ঢাকায় মামলার কিছু জানি না: সংবাদ সম্মেলনে সাইফুদ্দীন

ছবি

খুলনার ছয় আসনে ভোটার ও কেন্দ্র বেড়েছে, কমেছে বুথের সংখ্যা

ছবি

শুধু আইন দিয়ে শিশু সহিংসতা ও শোষণ রোধ করা সম্ভব নয়: আলোচনা সভায় বক্তারা

ছবি

অবৈধ বালু ভাগাভাগি, জামায়াত ও বিএনপি নেতাদের লিখিত সমঝোতা চুক্তি

ছবি

পাখিপ্রেমীদের মমতায় ইট-পাথরের নগরই এখন চড়ুইয়ের গ্রাম

ছবি

কবরে নামানোর আগমুহূর্তে জেগে উঠলো শিশু!

ছবি

ডেঙ্গু: একদিনে সর্বোচ্চ ৬৮৫ জন হাসপাতালে ভর্তি, মৃত্যু ৩

ছবি

ঐকমত্য কমিশনে ‘নারী’ সিদ্ধান্তে পরিবর্তন দাবি অধিকারকর্মীদের

tab

news » bangladesh

সালথায় মৎস্য অফিসের বরাদ্দের টাকা লোপাটের অভিযোগ

প্রতিনধি, সালথা (ফরিদপুর)

শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফরিদপুরের সালথা উপজেলা মৎস্য অফিসের বরাদ্দের টাকা নামে মাত্র প্রকল্প দেখিয়ে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত দেশীয় প্রজাতির মাছ ও শামুক সংরক্ষণ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪ লক্ষ ৪ হাজার ৯শত টাকা বরাদ্দ হয়, উপজেলার ২০জন মৎস্যজীবীদের নামে। তাতে করে প্রতি মৎস্যজীবীর জন্য ২০ হাজার টাকারও বেশি বরাদ্দ হয়, সেখানে এক একজন মৎস্যজীবীকে ছাগলের দুটি করে বাচ্চা ও একটি করে ছাগলের খোয়াড় দেয়া হয়। সঙ্গে ১০ কেজি ছাগলের খাবারও দেয়া হয়। সব মিলিয়ে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা মূল্যের সামগ্রী গত ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিতরণ করা হয় মৎস্যজীবীদের মাঝে, বাকী টাকা সংশ্লিষ্টদের পকেটে ভরার অভিযোগ উপকারভোগিদের। অপর দিকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর একই প্রকল্পে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের ২ লাঘ টাকা বরাদ্দে ৬ টি জলাশয়ে ৬৬৭ কেজি মাছের পোনা অবমুক্ত করেন মৎস্য অফিস। সেখানে দেখা যায়, যে পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে তার প্রতি কেজির দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকার বেশি হবে না। কিন্ত প্রতি কেজি মাছের দাম ধরেছে প্রায় ৩০০ টাকা করে। তাতে পর্যালোচনা দেখা যায় প্রকল্পের সিংহভাগ টাকাই সংশ্লিষ্টদের পকেটে পুড়েছে। ভাওয়াল গ্রামের জেলে উপকারভোগি সুজন মালো বলেন, আমাকে যে দুটি ছাগল দিয়েছে তার দাম সর্বোচ্চ ৫ হাজার হতে পারে। যে খোয়াড়টি পেয়েছি তার দামও ১৫০০ টাকা হবে, আর ১০ কেজি গমের ভূষি দিয়েছে তার দাম ৫ শত টাকা । সব মিলিয়ে ৭ হাজার টাকা মূল্যে জিনিস দিয়েছে। অপরদিকে সুবাস মালো বলেন, ছাগল দুটির দাম ৪ হাজার টাকা হতে পারে। আর খাবার দিয়েছে ১০ কেজি, খুপড়ী ঘরটি ২ হাজার টাকা হতে পারে। আরেক সুবিদেভোগি পলাশ মালো বলেন, আমাদের প্রতিটি জেলের নামে কত বরাদ্দ জানি না, তবে যে সব জিনিস দিয়েছে সব মিলিয়ে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা মূল্যের হবে হয়তো। তিনি বলেন, আমাদের ভাওয়াল জেলে পল্লীতে ৫ জন জেলেকে এই প্রকল্পের আওতায় এনেছে। যাদেরকে ছাগল দিয়েছে সব ছাগলই অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। কয়টা বাঁচে কয়টা মরে বলা যায় না। ছাগলগুলো আরো বড় দিলে সরকার যে উদ্দেশ্য নিয়ে দিয়েছে তা হয়তো সফল হত। সুরেশ মালো বলেন, গত বছরও আমাদের এই জেলে পল্লীতে ছাগল দিয়েছিলো সব ছাগলই প্রায় মারা গিয়েছিলো একটা বা দুইটা বেঁচে ছিলো, এ বছরও সেরকই দেখছি। জেলেদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ পূরণ হবে কি করে। সরকার ঠিকই দেয় আমাদের, মাঝ খানে সব খেয়ে ফেলে। আমাদের এই ন্যায্য হিসাব কে দেবে, আমরা তো অসহায়। এদিকে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: শাহরিয়ার জামান সাবু বলছেন, শতভাগ কাজ করা যায় না, কাজ করতে গেলে কমবেশি হতে পারে। তবে, যেসব সামগ্রী দিয়েছি যা বরাদ্দ তাই কভার করেছে। এই দুটি প্রকল্পে অনিয়ম হয়েছে কিনা এমন জবাবে তিনি বলেন অনিয়ম হয়নি আমরা শতভাগ কাজ করার চেষ্টা করি। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা ছোট খাট বিষয় নিয়ে ঘাটাঘাটি না করলেও পারেন। আপনারা বড় বড় জায়গার অনিয়ম ধরবেন।

back to top