প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে পাল্টা পাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে সংঘর্ষে দুই পুলিশ ও এক সাংবাদিকসহ প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ২০জনকে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল ৪ টা থেকে সন্ধা সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত আড়াই ঘন্টা ব্যাপি সংঘর্ষে দুই পক্ষ রাম দা, ছোড়াসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পুলিশ টিয়ার সেল, রাবার বুলেট ও লাঠি চার্জ করে দুপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় রংপুর ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং উপজেলা সদরের সব দোকান বন্ধ ছিলো।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেনের নেতৃত্বে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের ওভার পাসের নিচে সমাবেশ করার ঘোষনা দেয়। অন্যদিকে রংপুর-৫ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আশিকুর রহমানের সমর্থকরা মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমাবেশের কর্মসূুচি ঘোষনা দেয়। আজ শুক্রবার বিকেল ৩ টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেনের নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ হাজার নেতা কর্মীর বিশাল মিঠাপুকুর উপজেলা সদরের ঈদগাহ চত্বরে জড়ো সমবেত হতে থাকে। অন্যদিকে উপজেলা পরিষদের সামনে আশিকুর রহমান এমপির সমর্থকরা সমাবেশের ঘোষনা দিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমবেত হয়। বিকেল ৪ টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেনের নেতৃত্বে ৮/১০ হাজার নেতা কর্মীর বিশাল মিছিল ঈদগাহ মাঠ থেকে বের হয়ে উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে মিঠাপুকুর থানার সামনে দিয়ে ঘুরে আবারো মিছিলটি রংপুর ঢাকা মহাসড়কের ওভারপাসের কাছে আসার সময় উপজেলা পরিষদ চত্বরের কাছে আসলে দুগ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় হেলমেট পরিধান করে রাম দা ছোড়া লাঠি নিয়ে এক পক্ষ অন্যদিকে অপর পক্ষ লাঠি আর ইট দিয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় পুরো উপজেলা সদর রনক্ষেত্রে পরিনত হয়।
বিকেল ৪ টা থেকে সন্ধা ৬ টা পর্যন্ত আড়াই ঘন্টা ব্যাপি সংঘর্ষে দুই পুলিশ এক সাংবাদিক সহ শতাদিক নেতা কর্মী আহত হয়। মিঠাপুকুর থানা পুলিশ প্রথমে দুপক্ষকে নিবৃত করতে ব্যর্থ হয়। পরে শতাধিক রাউন্ড টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পরে রংপুর থেকে বিপুল সংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
এ ব্যাপারে মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে অনেক আগেই উপজেলা সদরে বনাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষনা করা হয়। সেই কর্মসূচি অনুযায়ী ৮/১০ হাজার নেতা কর্মীর বিশাল মিছিল উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে মহাসড়ক সংলগ্ন আন্ডার পাসের নিচে আসার সময় শান্তিপুর্ণ মিছিলের উপর আশিকুর রহমান ও তার ছেলে রাশেক রহমানের সমর্থকরা তাদের মিছিলে পেছন থেকে হামলা চালিয়ে শতাদিক নেতা কর্মীকে আহত করেছে।তিনি বলেন, পুলিশ আশিকুর রহমান এমপির লোকজনকে নিবৃত না করে তাদের নেতা কর্মীদের উপর নিষ্ঠুর ভাবে লাঠি চার্জ করেছে। ওসি তাকে আন্ডার পাসের নীচে সমাবেশ করতে বলেন, তিনি তাই করেন। কিন্তু তারা তাদের উপর হামলা চালিয়ে তান্ডব চালিয়েছে। তিনি দায়ি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করার দাবি জানান।
অন্যদিকেত আশিকুর রহমান এমপির সমর্থক ইউপি চেয়ারম্যান টুটুল অভিযোগ করেন জাকির হোসেনের নেতৃত্ব তাদেরন শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা চালিয়ে নেতা কর্মীদের আহত করা হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষে আহতদের মদ্যে ২০জনকে গুরতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদেতর মধ্যে ১০ জনের নাম জানা গেছে এরা হলেন মোতালেব, আক্কাছ , মমিন, মেরাজুল, সৌমিক , শাহানাজ বেগম, নাজিলা বেগম , মমিনুল এবং সাংবাদিক রবি খন্দকার।
এ ব্যাপারে মিঠাপুকুর থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমানের সাথে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে রংপুরের পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছে।
শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে পাল্টা পাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে সংঘর্ষে দুই পুলিশ ও এক সাংবাদিকসহ প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ২০জনকে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল ৪ টা থেকে সন্ধা সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত আড়াই ঘন্টা ব্যাপি সংঘর্ষে দুই পক্ষ রাম দা, ছোড়াসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পুলিশ টিয়ার সেল, রাবার বুলেট ও লাঠি চার্জ করে দুপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় রংপুর ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং উপজেলা সদরের সব দোকান বন্ধ ছিলো।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেনের নেতৃত্বে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের ওভার পাসের নিচে সমাবেশ করার ঘোষনা দেয়। অন্যদিকে রংপুর-৫ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আশিকুর রহমানের সমর্থকরা মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমাবেশের কর্মসূুচি ঘোষনা দেয়। আজ শুক্রবার বিকেল ৩ টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেনের নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ হাজার নেতা কর্মীর বিশাল মিঠাপুকুর উপজেলা সদরের ঈদগাহ চত্বরে জড়ো সমবেত হতে থাকে। অন্যদিকে উপজেলা পরিষদের সামনে আশিকুর রহমান এমপির সমর্থকরা সমাবেশের ঘোষনা দিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমবেত হয়। বিকেল ৪ টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেনের নেতৃত্বে ৮/১০ হাজার নেতা কর্মীর বিশাল মিছিল ঈদগাহ মাঠ থেকে বের হয়ে উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে মিঠাপুকুর থানার সামনে দিয়ে ঘুরে আবারো মিছিলটি রংপুর ঢাকা মহাসড়কের ওভারপাসের কাছে আসার সময় উপজেলা পরিষদ চত্বরের কাছে আসলে দুগ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় হেলমেট পরিধান করে রাম দা ছোড়া লাঠি নিয়ে এক পক্ষ অন্যদিকে অপর পক্ষ লাঠি আর ইট দিয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় পুরো উপজেলা সদর রনক্ষেত্রে পরিনত হয়।
বিকেল ৪ টা থেকে সন্ধা ৬ টা পর্যন্ত আড়াই ঘন্টা ব্যাপি সংঘর্ষে দুই পুলিশ এক সাংবাদিক সহ শতাদিক নেতা কর্মী আহত হয়। মিঠাপুকুর থানা পুলিশ প্রথমে দুপক্ষকে নিবৃত করতে ব্যর্থ হয়। পরে শতাধিক রাউন্ড টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পরে রংপুর থেকে বিপুল সংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
এ ব্যাপারে মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে অনেক আগেই উপজেলা সদরে বনাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষনা করা হয়। সেই কর্মসূচি অনুযায়ী ৮/১০ হাজার নেতা কর্মীর বিশাল মিছিল উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে মহাসড়ক সংলগ্ন আন্ডার পাসের নিচে আসার সময় শান্তিপুর্ণ মিছিলের উপর আশিকুর রহমান ও তার ছেলে রাশেক রহমানের সমর্থকরা তাদের মিছিলে পেছন থেকে হামলা চালিয়ে শতাদিক নেতা কর্মীকে আহত করেছে।তিনি বলেন, পুলিশ আশিকুর রহমান এমপির লোকজনকে নিবৃত না করে তাদের নেতা কর্মীদের উপর নিষ্ঠুর ভাবে লাঠি চার্জ করেছে। ওসি তাকে আন্ডার পাসের নীচে সমাবেশ করতে বলেন, তিনি তাই করেন। কিন্তু তারা তাদের উপর হামলা চালিয়ে তান্ডব চালিয়েছে। তিনি দায়ি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করার দাবি জানান।
অন্যদিকেত আশিকুর রহমান এমপির সমর্থক ইউপি চেয়ারম্যান টুটুল অভিযোগ করেন জাকির হোসেনের নেতৃত্ব তাদেরন শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা চালিয়ে নেতা কর্মীদের আহত করা হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষে আহতদের মদ্যে ২০জনকে গুরতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদেতর মধ্যে ১০ জনের নাম জানা গেছে এরা হলেন মোতালেব, আক্কাছ , মমিন, মেরাজুল, সৌমিক , শাহানাজ বেগম, নাজিলা বেগম , মমিনুল এবং সাংবাদিক রবি খন্দকার।
এ ব্যাপারে মিঠাপুকুর থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমানের সাথে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে রংপুরের পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছে।