কিশোরগঞ্জের ভৈরবে স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে মগজ বের করে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন স্বামী। পিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তারের পর গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রিয়াজুল কাউছারের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন ঘাতক স্বামী ফয়েজ উদ্দিন। এ সময় হত্যার কারণ সম্পর্কে ফয়েজ উদ্দিন জানান, পরকীয়ার সন্দেহে মনোমালিন্য ও চার ডজন জুতার প্যাকেট না করায় অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী সেলিনাকে তিনি হত্যা করেছেন। আদালতের নির্দেশে ফয়েজ উদ্দিনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ফয়েজ উদ্দিন ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের ঝগড়ারচর গ্রামের মৃত মুসলিম উদ্দিনের ছেলে।
কিশোরগঞ্জ পিবিআইয়ের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের ঝগড়ারচর এলাকায় ফয়েজ উদ্দিন ও তার স্ত্রী সেলিনা বেগম বসবাস করে আসছিলেন। নিজ বাড়িতেই ফয়েজ ও সেলিনা দম্পতি জুতা তৈরি ও বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের সংসারে এক ছেলে ও দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। সংসার সুখের হলেও ফয়েজ উদ্দিন অন্য নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে আছেন, এমন সন্দেহের কারণে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে অনেকদিন ধরেই মনোমালিন্য চলছিল। এ অবস্থায় গত ৩১ জুলাই রাত সোয়া বারোটার দিকে ফয়েজ উদ্দিন তার স্ত্রী সেলিনাকে চার ডজন জুতা কাগজে প্যাকেট করতে বলে। কিন্তু সেলিনা সে জুতার প্যাকেট না করায় ফয়েজ উদ্দিন হাতুড়ি দিয়ে সেলিনার মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই নাহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে ভৈরব থানায় হত্যা মামলা রুজু করেন। মামলাটি প্রথমে ভৈরব থানার এস আই মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ তদন্ত করেন। পরে পিবিআইয়ের এস আই আবু কালামকে মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয়। তদন্তে নেমে আবু কালাম লালবাগ থানার ক্লাবপাড়া এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামী ফয়েজ উদ্দিনকে শুক্রবার ভোররাতে গ্রেপ্তার করেন।
পরে স্বামী ফয়েজ উদ্দিন আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে মগজ বের করে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন স্বামী। পিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তারের পর গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রিয়াজুল কাউছারের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন ঘাতক স্বামী ফয়েজ উদ্দিন। এ সময় হত্যার কারণ সম্পর্কে ফয়েজ উদ্দিন জানান, পরকীয়ার সন্দেহে মনোমালিন্য ও চার ডজন জুতার প্যাকেট না করায় অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী সেলিনাকে তিনি হত্যা করেছেন। আদালতের নির্দেশে ফয়েজ উদ্দিনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ফয়েজ উদ্দিন ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের ঝগড়ারচর গ্রামের মৃত মুসলিম উদ্দিনের ছেলে।
কিশোরগঞ্জ পিবিআইয়ের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের ঝগড়ারচর এলাকায় ফয়েজ উদ্দিন ও তার স্ত্রী সেলিনা বেগম বসবাস করে আসছিলেন। নিজ বাড়িতেই ফয়েজ ও সেলিনা দম্পতি জুতা তৈরি ও বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের সংসারে এক ছেলে ও দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। সংসার সুখের হলেও ফয়েজ উদ্দিন অন্য নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে আছেন, এমন সন্দেহের কারণে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে অনেকদিন ধরেই মনোমালিন্য চলছিল। এ অবস্থায় গত ৩১ জুলাই রাত সোয়া বারোটার দিকে ফয়েজ উদ্দিন তার স্ত্রী সেলিনাকে চার ডজন জুতা কাগজে প্যাকেট করতে বলে। কিন্তু সেলিনা সে জুতার প্যাকেট না করায় ফয়েজ উদ্দিন হাতুড়ি দিয়ে সেলিনার মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই নাহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে ভৈরব থানায় হত্যা মামলা রুজু করেন। মামলাটি প্রথমে ভৈরব থানার এস আই মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ তদন্ত করেন। পরে পিবিআইয়ের এস আই আবু কালামকে মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয়। তদন্তে নেমে আবু কালাম লালবাগ থানার ক্লাবপাড়া এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামী ফয়েজ উদ্দিনকে শুক্রবার ভোররাতে গ্রেপ্তার করেন।
পরে স্বামী ফয়েজ উদ্দিন আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।