নীলফামারীর সৈয়দপুরে খড়খড়িয়া নদীর শহর রক্ষা বাঁধটি পুরোপুরি হুমকির মুখে পড়েছে। শুষ্ক মওসুমে দুর্বৃত্তরা বাঁধ ঘেঁষে রাতের বেলা মাটি চুরি করে নিয়ে যাওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হযেছে বলে একাধিক এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান। বিশেষ করে শহরের পশ্চিম পাটোয়ারী পাড়া থেকে শুরু করে কুন্দলের নর্দান কোল্ড স্টোর পর্যন্ত এ বাঁধটির তথৈবচ অবস্থা। সমাজ বিরোধী মানুষরা দুই কিলোমিটার লম্বা এই বাঁধটির পাশের কমপক্ষে ১৫টি স্থান থেকে মাটি নিয়ে গেছে। ফলে বাঁধের সঙ্গে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। অপরদিকে বর্ষা মওসুমে শস্য ডাকাত ইঁদুর ওই বাঁধটির শত শত স্থানে গর্ত করেছে।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে গেলে এমন চিত্র চোখে পড়ে। বর্তমানে বাংলা আশ্বিন মাসের মাঝামাঝি সময় চলছে। সামনে আসছে শারদীয় দুর্গাপূজা। সনাতন ধর্মীয়দের এমন উৎসবের প্রাক্কালে বাংলাদেশের ঋতুতে বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রচুর বৃষ্টিপাতও হয়। ফলে উজানের ঢল আর বৃষ্টির পানি মিলে খড়খড়িয়া নদীটিকে কাণায় কাণায় পূর্ণ করে ফেলে। প্রস্থে নদীটি আটোশাটো হওয়ায় পানি বৃদ্ধি পেলে প্রবল ¯্রােতের সৃষ্টি হয়।
তাছাড়াও নদীটি আঁকাবাকা থাকায় পানির ঘূর্ণনগতির ঢেউ আছড়ে পড়ে বাঁধের গায়ে। এতে করে বাঁধের মাটি আলগা হয়। ইঁদুরের গর্ত দিয়ে বাঁধে প্রবেশ করে পানি। এই দুই মিলে বাঁধের কোথায় কোন সময়ে কোন স্থানে ভাঙ্গবে তা ঠাওর করা মুশকিল হয়ে পড়ে।
মধ্য রাতে নদীর বাঁধে এমন অবস্থার সৃষ্টি হলে বেকায়দায় পড়ে যান পাউবো কর্তৃপক্ষ। নদী ও বাঁধ রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্বে থাকা এ দপ্তরের কর্তা ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে পৌছতে খানিক বিলম্ব হলেই ঘটে যায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা। প্রায় এক দশক আগে এমন অবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় সৈয়দপুর শহরের কমপক্ষে পাঁচ শতাধিক স্থাপনা হুমকির সম্মুখীন হয়েছিল। কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানিতে গিয়েছিল তলিয়ে।
এই শহর রক্ষা বাঁধটির কারণে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়ে, সৈয়দপুর সেনানিবাস, সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজ, বিসিক শিল্প নগরী, সৈয়দপুর আর্মি ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ, ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজসহ পাঁচ শতাধিক স্থাপনা বন্যার পানি থেকে নিরাপদে থাকে। শুধু তাই নয় রক্ষা পায় ফসলী জমিও। কিন্তু বর্ষা মওসুমে বাঁধটি সবসময় নজরে রাখে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তৃপক্ষ।
তবে নড়বড়ে অবস্থা থেকে দীর্ঘ সময় পরিত্রাণ পেতে কথা হয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সৈয়দপুর পওর বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ আমিনুর রশিদের সঙ্গে। তিনি বলেন, এই বাঁধটি সিসি ব্লক দিয়ে বাঁধতে পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। ৭৫ ফুট প্রস্থের এই বাঁধটির উভয় পাশে সিসি ব্লক দিয়ে বাধা হবে। বাঁধের টপ হবে কমপক্ষে ২০ ফুট। সাধারণের চলাচলের জন্য পাকা করা হবে বাঁধের টপ অংশটি। শহরবাসীর কাছে বাঁধটি দৃষ্টিনন্দন করতে বাঁধের উভয় পাশে ফলদ ও বনজ বৃক্ষ লাগানো হবে। এককথায় প্যারিস রোডের আদলে বাঁধটি গড়ে তোলা হলে এটি বিনোদন স্পট হিসাবেও শহরবাসী ব্যবহার করতে পারবে।
কথা হয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সৈয়দপুর পওর বিভাগের র্নিাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ওই শহর রক্ষা বাঁধটি টেকসই ও দৃষ্টিনন্দন করতে প্রজেক্ট প্রফাইল তৈরী করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। একনেকের বৈঠকে পাশ হলেই আগামী বছরের জানুয়ারী থেকেই কাজ শুরু হতে পারে বলে জানান তিনি।
রোববার, ০১ অক্টোবর ২০২৩
নীলফামারীর সৈয়দপুরে খড়খড়িয়া নদীর শহর রক্ষা বাঁধটি পুরোপুরি হুমকির মুখে পড়েছে। শুষ্ক মওসুমে দুর্বৃত্তরা বাঁধ ঘেঁষে রাতের বেলা মাটি চুরি করে নিয়ে যাওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হযেছে বলে একাধিক এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান। বিশেষ করে শহরের পশ্চিম পাটোয়ারী পাড়া থেকে শুরু করে কুন্দলের নর্দান কোল্ড স্টোর পর্যন্ত এ বাঁধটির তথৈবচ অবস্থা। সমাজ বিরোধী মানুষরা দুই কিলোমিটার লম্বা এই বাঁধটির পাশের কমপক্ষে ১৫টি স্থান থেকে মাটি নিয়ে গেছে। ফলে বাঁধের সঙ্গে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। অপরদিকে বর্ষা মওসুমে শস্য ডাকাত ইঁদুর ওই বাঁধটির শত শত স্থানে গর্ত করেছে।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে গেলে এমন চিত্র চোখে পড়ে। বর্তমানে বাংলা আশ্বিন মাসের মাঝামাঝি সময় চলছে। সামনে আসছে শারদীয় দুর্গাপূজা। সনাতন ধর্মীয়দের এমন উৎসবের প্রাক্কালে বাংলাদেশের ঋতুতে বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রচুর বৃষ্টিপাতও হয়। ফলে উজানের ঢল আর বৃষ্টির পানি মিলে খড়খড়িয়া নদীটিকে কাণায় কাণায় পূর্ণ করে ফেলে। প্রস্থে নদীটি আটোশাটো হওয়ায় পানি বৃদ্ধি পেলে প্রবল ¯্রােতের সৃষ্টি হয়।
তাছাড়াও নদীটি আঁকাবাকা থাকায় পানির ঘূর্ণনগতির ঢেউ আছড়ে পড়ে বাঁধের গায়ে। এতে করে বাঁধের মাটি আলগা হয়। ইঁদুরের গর্ত দিয়ে বাঁধে প্রবেশ করে পানি। এই দুই মিলে বাঁধের কোথায় কোন সময়ে কোন স্থানে ভাঙ্গবে তা ঠাওর করা মুশকিল হয়ে পড়ে।
মধ্য রাতে নদীর বাঁধে এমন অবস্থার সৃষ্টি হলে বেকায়দায় পড়ে যান পাউবো কর্তৃপক্ষ। নদী ও বাঁধ রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্বে থাকা এ দপ্তরের কর্তা ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে পৌছতে খানিক বিলম্ব হলেই ঘটে যায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা। প্রায় এক দশক আগে এমন অবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় সৈয়দপুর শহরের কমপক্ষে পাঁচ শতাধিক স্থাপনা হুমকির সম্মুখীন হয়েছিল। কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানিতে গিয়েছিল তলিয়ে।
এই শহর রক্ষা বাঁধটির কারণে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়ে, সৈয়দপুর সেনানিবাস, সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজ, বিসিক শিল্প নগরী, সৈয়দপুর আর্মি ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ, ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজসহ পাঁচ শতাধিক স্থাপনা বন্যার পানি থেকে নিরাপদে থাকে। শুধু তাই নয় রক্ষা পায় ফসলী জমিও। কিন্তু বর্ষা মওসুমে বাঁধটি সবসময় নজরে রাখে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তৃপক্ষ।
তবে নড়বড়ে অবস্থা থেকে দীর্ঘ সময় পরিত্রাণ পেতে কথা হয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সৈয়দপুর পওর বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ আমিনুর রশিদের সঙ্গে। তিনি বলেন, এই বাঁধটি সিসি ব্লক দিয়ে বাঁধতে পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। ৭৫ ফুট প্রস্থের এই বাঁধটির উভয় পাশে সিসি ব্লক দিয়ে বাধা হবে। বাঁধের টপ হবে কমপক্ষে ২০ ফুট। সাধারণের চলাচলের জন্য পাকা করা হবে বাঁধের টপ অংশটি। শহরবাসীর কাছে বাঁধটি দৃষ্টিনন্দন করতে বাঁধের উভয় পাশে ফলদ ও বনজ বৃক্ষ লাগানো হবে। এককথায় প্যারিস রোডের আদলে বাঁধটি গড়ে তোলা হলে এটি বিনোদন স্পট হিসাবেও শহরবাসী ব্যবহার করতে পারবে।
কথা হয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সৈয়দপুর পওর বিভাগের র্নিাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ওই শহর রক্ষা বাঁধটি টেকসই ও দৃষ্টিনন্দন করতে প্রজেক্ট প্রফাইল তৈরী করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। একনেকের বৈঠকে পাশ হলেই আগামী বছরের জানুয়ারী থেকেই কাজ শুরু হতে পারে বলে জানান তিনি।