নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পী -সংবাদ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা, তাই ঘরে ঘরে দেবী দুর্গার আগমনীর বার্তা। এবার নবীনগরে ১৩৪ টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে । এ জন্য মূর্তি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নবীনগরের মৃৎশিল্পীরা। আগামী ষষ্ঠী তিথিতে শুরু হবে এ পূজা এবং দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে অনুষ্ঠান। প্রতি বছরের মতো এবার পূজার সেই পুরনো সংস্কৃতি অনেকটা থাকবে না। মহালয়া থেকে শুরু করে শারদীয় উৎসবের সব ক্ষেত্রেই থাকছে স্বাস্থ্য বিধির কড়া নির্দেশ। এবার আশ্বিন মাস ‘মল মাস’ মানে অশুভ মাস। সেই কারণে এবার আশ্বিনে দেবীর পূজা হবে না। পূজা হবে কার্তিক মাসে। সেই হিসাবে এবার দেবীদুর্গা মর্ত্যে আসবেন মহালয়ার ৩৫ দিন পরে। মহাষষ্ঠী তিথিতে হবে বোধন ও ষষ্ঠী বিহিত পূজা। পরদিন মহাসপ্তমী পূজার মাধ্যমে শুরু হবে দুর্গাপূজার মূল অনুষ্ঠান। মহাঅষ্টমী এবং মহানবমী পূজা। মহাদশমী বা বিজয়া দশমী হবে। এ দিন প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। উপজেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপে ঘুরে দেখা যায়, কাদা-মাটি, বাঁশ, খড় দিয়ে শৈল্পিক ছোঁয়ায় গড়ে তোলা দেবীদুর্গার প্রতিমা তৈরিতে দিনরাত ব্যস্থ সময় পার করছেন প্রতিমা কারিগররা। প্রতিমা তৈরির কারিগর মনেন্দ্র পাল (৫৫) বলেন- প্রতি বছর এ সময় ৫০-৫৫টি পূজা মন্ডপের কাজ করে থাকি, এ বছর মাত্র ৩০টি পূজা মন্ডপের কাজ করছি। প্রতিটি প্রতিমার দাম ৪০-৫০ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে কিন্তু অতীতের মত ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না, একই কথা বলেন বিজয় পাল ও বিভিন্ন পূজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ করতে আসা শিল্পীরা। নবীনগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু বিনয় চক্রবতী বলেন- ডেঙ্গুও কারণে এবার স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে পূজা সম্পর্কিত বিভিন্ন নির্দেশনা রয়েছে। আমাদের এ নির্দেশনা মানতে হবে।
নবীনগর থানার ওসি মো. মাহাবুব আলম বলেন- পূজা মন্ডপগুলোতে তিন স্তরের কঠোর নিরাপত্তা থাকবে। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটতে দেওয়া হবে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম জানান-আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশনা আসবে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পী -সংবাদ
রোববার, ০১ অক্টোবর ২০২৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা, তাই ঘরে ঘরে দেবী দুর্গার আগমনীর বার্তা। এবার নবীনগরে ১৩৪ টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে । এ জন্য মূর্তি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নবীনগরের মৃৎশিল্পীরা। আগামী ষষ্ঠী তিথিতে শুরু হবে এ পূজা এবং দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে অনুষ্ঠান। প্রতি বছরের মতো এবার পূজার সেই পুরনো সংস্কৃতি অনেকটা থাকবে না। মহালয়া থেকে শুরু করে শারদীয় উৎসবের সব ক্ষেত্রেই থাকছে স্বাস্থ্য বিধির কড়া নির্দেশ। এবার আশ্বিন মাস ‘মল মাস’ মানে অশুভ মাস। সেই কারণে এবার আশ্বিনে দেবীর পূজা হবে না। পূজা হবে কার্তিক মাসে। সেই হিসাবে এবার দেবীদুর্গা মর্ত্যে আসবেন মহালয়ার ৩৫ দিন পরে। মহাষষ্ঠী তিথিতে হবে বোধন ও ষষ্ঠী বিহিত পূজা। পরদিন মহাসপ্তমী পূজার মাধ্যমে শুরু হবে দুর্গাপূজার মূল অনুষ্ঠান। মহাঅষ্টমী এবং মহানবমী পূজা। মহাদশমী বা বিজয়া দশমী হবে। এ দিন প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। উপজেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপে ঘুরে দেখা যায়, কাদা-মাটি, বাঁশ, খড় দিয়ে শৈল্পিক ছোঁয়ায় গড়ে তোলা দেবীদুর্গার প্রতিমা তৈরিতে দিনরাত ব্যস্থ সময় পার করছেন প্রতিমা কারিগররা। প্রতিমা তৈরির কারিগর মনেন্দ্র পাল (৫৫) বলেন- প্রতি বছর এ সময় ৫০-৫৫টি পূজা মন্ডপের কাজ করে থাকি, এ বছর মাত্র ৩০টি পূজা মন্ডপের কাজ করছি। প্রতিটি প্রতিমার দাম ৪০-৫০ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে কিন্তু অতীতের মত ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না, একই কথা বলেন বিজয় পাল ও বিভিন্ন পূজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ করতে আসা শিল্পীরা। নবীনগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু বিনয় চক্রবতী বলেন- ডেঙ্গুও কারণে এবার স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে পূজা সম্পর্কিত বিভিন্ন নির্দেশনা রয়েছে। আমাদের এ নির্দেশনা মানতে হবে।
নবীনগর থানার ওসি মো. মাহাবুব আলম বলেন- পূজা মন্ডপগুলোতে তিন স্তরের কঠোর নিরাপত্তা থাকবে। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটতে দেওয়া হবে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম জানান-আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশনা আসবে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।