রংপুরে ভূমিহীনদের খাস জমিতে পুর্নবাসন সহ ৫দফা দাবিতে শত শত ভমিহীন রংপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে। এতে প্রায় কয়েকহাজার ভূমিহীন নারী পুরুষ বিক্ষোভে অংশ নেয়। ভূমিহীন ও গৃহহীন সংগঠন রংপুরের উদ্যেগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে রংপুর নগরী সহ আশে পাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার ভূমিহীন এবং সহায় সম্বলহীন নারী পুরুষ রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে সমবেত হতে থাকে। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে নগরীর কাছারী বাজার এলাকায় অবস্থিত জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন
ভূমিহীন সংগঠনের প্রধান সংগঠক আনোয়ার হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠক আহসানুল আরেফিন তিতু, বিউটি আক্তার,আনোয়ারা বেগম,শাহীনুর বেগম,সাজু মিয়াসহ আরও ভূমিহীন নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশন এবং এর আশেপাশের উপজেলার কয়েক হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন ছিন্নমূল, ঠিকানাবিহীন পরিবার খাস জমিতে তাদের পুনর্বাসনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। উল্লেখিত পরিবারগুলো নদী ভাঙ্গনে সর্বস্ব হারিয়ে অভাবের তাড়নায় ভিটামাটি হারিয়ে নিঃস্ব, অনেকে আবার জন্মগতভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীন। এসব পরিবারের বিরাট অংশ সড়ক মহাসড়কের ধারে,রেললাইনের ধারে মাটি ভাড়া নিয়ে চালাঘর করে বা ঘর ভাড়া নিয়ে একই ঘরে ১০/১২ জন মিলে থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০২২ সালের মধ্যে মুজিববর্ষে দেশের সকল ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের আশ্বাসে রংপুরের ভূমিহীন গৃহহীনরাও আশায় বুক বেঁধেছিলো। কিন্তু তাদের পুর্নবাসনের কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি। ইতিমধ্যে অন্যের জমিতে ভাড়ায় ঝুপড়ি ঘরে বসবাসকারী ভূমিহীনদের জমির মালিক ও দখলদাররা ভূমিহীনদের উচ্ছেদ শুরু করেছে।
বক্তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, জমির মালিকের বেধে দেওয়া সময় অতিক্রম হলেই ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে অথবা কোন কোন ভূমিহীনদের চলে যেতে বাধ্য করার জন্য রাতের অন্ধকারে ঘরের বারান্দায়, আঙ্গিনায় মল ঢেলে দেওয়া হচ্ছে। তারা বলেন ইতিপূর্বে ভূমিহীনদের সংগঠন ভূমিহীন ও গৃহহীন সংগঠন, রংপুরের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কাছে রংপুর সিটি কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন উপজেলার ৫ হাজার ভূমিহীন পরিবারের তালিকা ভোটার আইডি কার্ডসহ জমা দেওয়া হয়।কিন্তু জেলা প্রশাসক জানান সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ভূমিহীনদের পুনর্বাসনে আইনগত সমস্যা আছে। কারণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সকল খাস জমি অকৃষি। এসব ভূমিহীনদের উপজেলায় পুনর্বাসনের কথা জেলা প্রশাসক বলেন। কিন্তু ভূমিহীনরা অভিযোগ করেছে তারা সিটি এলাকার সীমানার বাইরে দমদমা,নব্দীগঞ্জ,মমিনপুর সহ অন্যান্য এলাকায় যতে আগ্রহ প্রকাশ করে জেলা প্রশাসকের কাছে আহবান জানান। আগ্রহীদের তালিকা করে জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দিলাম। এর বাইরে যে ভূমিহীনরা আছে যাদের উপজেলায় যাওয়ার উপায় নাই(কারণ উপজেলায় এদের কাজ নেই। যেমন গৃহ পরিচারিকা, ভাংড়ি শ্রমিক, পরিচ্ছন্নতা কর্মী,রিক্সাচালক, দোকানকর্মী সহ বিভিন্ন পর্যায়ের শ্রমিকরা তাদেরকে পুনর্বাসনের জন্য সিটি কর্পোরেশনের অভ্যন্তরে স্বনামে, বেনামে বিত্তবানদের নামে থাকা খাস জমির বরাদ্দ বাতিল করে সেখানে বহুতল ভবন নির্মান করে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবি জানান।
সেই সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের। সে কারনে ভূমিহীন ওগৃহহিনদের জন্য নাম মাত্র মুল্যে রেশন কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহের দাবি জানান তারা। সমাবেশ শেষে ভূমিহীনদের নাম ঠিকানা সহ আবেদনের তালিক সহ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
রোববার, ০১ অক্টোবর ২০২৩
রংপুরে ভূমিহীনদের খাস জমিতে পুর্নবাসন সহ ৫দফা দাবিতে শত শত ভমিহীন রংপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে। এতে প্রায় কয়েকহাজার ভূমিহীন নারী পুরুষ বিক্ষোভে অংশ নেয়। ভূমিহীন ও গৃহহীন সংগঠন রংপুরের উদ্যেগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে রংপুর নগরী সহ আশে পাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার ভূমিহীন এবং সহায় সম্বলহীন নারী পুরুষ রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে সমবেত হতে থাকে। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে নগরীর কাছারী বাজার এলাকায় অবস্থিত জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন
ভূমিহীন সংগঠনের প্রধান সংগঠক আনোয়ার হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠক আহসানুল আরেফিন তিতু, বিউটি আক্তার,আনোয়ারা বেগম,শাহীনুর বেগম,সাজু মিয়াসহ আরও ভূমিহীন নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশন এবং এর আশেপাশের উপজেলার কয়েক হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন ছিন্নমূল, ঠিকানাবিহীন পরিবার খাস জমিতে তাদের পুনর্বাসনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। উল্লেখিত পরিবারগুলো নদী ভাঙ্গনে সর্বস্ব হারিয়ে অভাবের তাড়নায় ভিটামাটি হারিয়ে নিঃস্ব, অনেকে আবার জন্মগতভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীন। এসব পরিবারের বিরাট অংশ সড়ক মহাসড়কের ধারে,রেললাইনের ধারে মাটি ভাড়া নিয়ে চালাঘর করে বা ঘর ভাড়া নিয়ে একই ঘরে ১০/১২ জন মিলে থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০২২ সালের মধ্যে মুজিববর্ষে দেশের সকল ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের আশ্বাসে রংপুরের ভূমিহীন গৃহহীনরাও আশায় বুক বেঁধেছিলো। কিন্তু তাদের পুর্নবাসনের কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি। ইতিমধ্যে অন্যের জমিতে ভাড়ায় ঝুপড়ি ঘরে বসবাসকারী ভূমিহীনদের জমির মালিক ও দখলদাররা ভূমিহীনদের উচ্ছেদ শুরু করেছে।
বক্তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, জমির মালিকের বেধে দেওয়া সময় অতিক্রম হলেই ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে অথবা কোন কোন ভূমিহীনদের চলে যেতে বাধ্য করার জন্য রাতের অন্ধকারে ঘরের বারান্দায়, আঙ্গিনায় মল ঢেলে দেওয়া হচ্ছে। তারা বলেন ইতিপূর্বে ভূমিহীনদের সংগঠন ভূমিহীন ও গৃহহীন সংগঠন, রংপুরের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কাছে রংপুর সিটি কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন উপজেলার ৫ হাজার ভূমিহীন পরিবারের তালিকা ভোটার আইডি কার্ডসহ জমা দেওয়া হয়।কিন্তু জেলা প্রশাসক জানান সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ভূমিহীনদের পুনর্বাসনে আইনগত সমস্যা আছে। কারণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সকল খাস জমি অকৃষি। এসব ভূমিহীনদের উপজেলায় পুনর্বাসনের কথা জেলা প্রশাসক বলেন। কিন্তু ভূমিহীনরা অভিযোগ করেছে তারা সিটি এলাকার সীমানার বাইরে দমদমা,নব্দীগঞ্জ,মমিনপুর সহ অন্যান্য এলাকায় যতে আগ্রহ প্রকাশ করে জেলা প্রশাসকের কাছে আহবান জানান। আগ্রহীদের তালিকা করে জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দিলাম। এর বাইরে যে ভূমিহীনরা আছে যাদের উপজেলায় যাওয়ার উপায় নাই(কারণ উপজেলায় এদের কাজ নেই। যেমন গৃহ পরিচারিকা, ভাংড়ি শ্রমিক, পরিচ্ছন্নতা কর্মী,রিক্সাচালক, দোকানকর্মী সহ বিভিন্ন পর্যায়ের শ্রমিকরা তাদেরকে পুনর্বাসনের জন্য সিটি কর্পোরেশনের অভ্যন্তরে স্বনামে, বেনামে বিত্তবানদের নামে থাকা খাস জমির বরাদ্দ বাতিল করে সেখানে বহুতল ভবন নির্মান করে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবি জানান।
সেই সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের। সে কারনে ভূমিহীন ওগৃহহিনদের জন্য নাম মাত্র মুল্যে রেশন কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহের দাবি জানান তারা। সমাবেশ শেষে ভূমিহীনদের নাম ঠিকানা সহ আবেদনের তালিক সহ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।