ভালুকা (ময়মনসিংহ) : জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ী মহাসড়কে এভাবেই জমে উঠেছে অবৈধ দোকানপাট -সংবাদ
ভালুকার মাষ্টারবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ ফোরলেন সড়কের জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা উঠিয়ে মার্কেট তৈরি করে দোকান ভাড়া খাটিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ওই এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী । সড়ক ও জনপথ বিভাগ অজ্ঞাত কারণে এদের বিরুদ্ধে আইনগত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেননা । ভালুকার জামিরদিয়া মাষ্টারবাড়ী এলাকায় মহাসড়ক ঘেষে স্কয়ার ফ্যাশন, বাদশা টেক্সটাইল, এনবয় টেক্সটাইল, ক্রাউন টেক্সটাইল, আরিফ টেক্সটাইলসহ অসংখ্য ফ্যাক্টরী রয়েছে যেখানে হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করে। আর এসব শ্রমিকরা মাষ্টারবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকা হতে বাসে উঠে বিভিন্ন স্থানে আসা যাওয়া করে। বাসস্ট্যান্ড এলাকার সড়ক ও জনপথের জমিতে প্রায় এক হাজারের উপরে ছোট বড় অবৈধ স্থাপনা উঠিয়ে দোকান পাট করায় মহাসড়কে প্রায় সময় যানজট লেগে থাকে। এছাড়াও প্রায় সময় দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটছে। মহা সড়কের সীমানা হতে ৩৩ মিটারের মধ্যে স্থাপনা নির্মাণ করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ সওজ এর টানানো সাইনবোর্ড এসব স্থানে থাকলেও কেউ পরোয়া করছেননা।
গত শনিবার দুপুরে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকার মাষ্টারবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কের উভয় পাশের্^ সড়ক ঘেঁষে কয়েকটি মার্কেটে বিভক্ত বিভিন্ন পন্যের স্থায়ী দোকান-পাট। এর মধ্যে রয়েছে কাঁচা বাজার, মাছ বাজার, মনোহারী দোকান, কসমেটিকস, খাবার হোটেল, চায়ের ষ্টল, পান দোকান, ইলেকট্রনিক্স ষ্টোর, কাপড়ের দোকান, মোবাইল দোকান সহ নানা ধরনের বিপনী বিতান। দোকানীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দোকানের আয়তন অনুসারে তারা সিকিউরিটি মানি (জামানত) ও মাসিক ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চা দোকানী জানান, তিনি স্থানীয় বাসিন্দা সোহাগ নামে এক ব্যক্তিকে আড়াই লাখ টাকা জামানত ও ৬ হাজার টাকা মাসিক ভাড়ায় দোকানটি নিয়েছেন। তার নিয়ন্ত্রণে সড়ক ও জনপথের জমিতে অনেক দোকানপাট রয়েছে। অন্যান্য দোকানীদের সাথে কথা বললে সবাই নাম প্রকাশে অসম্মতি জানান দোকান হতে উঠিয়ে দেয়ার ভয়ে। তবে এক লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত জামানত ও মাসিক ভাড়া সর্বনিম্ন ৫ হাজার টাকা হতে দোকান ভেদে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া দিয়ে তারা ব্যবসা করছেন। অপর এক দোকানী জানান, তিনি আলী নামে এক ব্যাক্তিকে এক লাখ টাকা জামানত দিয়ে মাসিক ৫ হাজার টাকা ভাড়ার চুক্তিতে ব্যবসা করছেন। তবে চুক্তি রয়েছে সরকারিভাবে দোকানপাট উচ্ছেদ বা ভেঙ্গে দিলে জামানতের টাকা ফেরৎ দেয়া হবে। এ ব্যাপারে অবৈধ স্থাপনা ও দোকান মালিকদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি। সড়ক ও জনপথ বিভাগের এসও আবু বক্কর সিদ্দিক জানান কিছুদিন পূর্বে অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হয়েছিল। তারা আবার আস্তে আস্তে স্থাপনা করে ফেলেছে। উচ্ছেদ অভিযান করতে গেলে ম্যাজিষ্ট্র্যাট, পুলিশ ও আনুষাঙ্গিক অনেক খরচ প্রয়োজন হয়।
সড়ক জনপথের সরকারী জায়গায় ঘর উঠিয়ে যারা ভাড়া দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তাদেরকে খোঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হলে মহা সড়ক যানজট মুক্ত হবে বলে সাধারণ জনগনের দাবী।
ভালুকা (ময়মনসিংহ) : জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ী মহাসড়কে এভাবেই জমে উঠেছে অবৈধ দোকানপাট -সংবাদ
রোববার, ০১ অক্টোবর ২০২৩
ভালুকার মাষ্টারবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ ফোরলেন সড়কের জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা উঠিয়ে মার্কেট তৈরি করে দোকান ভাড়া খাটিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ওই এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী । সড়ক ও জনপথ বিভাগ অজ্ঞাত কারণে এদের বিরুদ্ধে আইনগত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেননা । ভালুকার জামিরদিয়া মাষ্টারবাড়ী এলাকায় মহাসড়ক ঘেষে স্কয়ার ফ্যাশন, বাদশা টেক্সটাইল, এনবয় টেক্সটাইল, ক্রাউন টেক্সটাইল, আরিফ টেক্সটাইলসহ অসংখ্য ফ্যাক্টরী রয়েছে যেখানে হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করে। আর এসব শ্রমিকরা মাষ্টারবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকা হতে বাসে উঠে বিভিন্ন স্থানে আসা যাওয়া করে। বাসস্ট্যান্ড এলাকার সড়ক ও জনপথের জমিতে প্রায় এক হাজারের উপরে ছোট বড় অবৈধ স্থাপনা উঠিয়ে দোকান পাট করায় মহাসড়কে প্রায় সময় যানজট লেগে থাকে। এছাড়াও প্রায় সময় দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটছে। মহা সড়কের সীমানা হতে ৩৩ মিটারের মধ্যে স্থাপনা নির্মাণ করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ সওজ এর টানানো সাইনবোর্ড এসব স্থানে থাকলেও কেউ পরোয়া করছেননা।
গত শনিবার দুপুরে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকার মাষ্টারবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কের উভয় পাশের্^ সড়ক ঘেঁষে কয়েকটি মার্কেটে বিভক্ত বিভিন্ন পন্যের স্থায়ী দোকান-পাট। এর মধ্যে রয়েছে কাঁচা বাজার, মাছ বাজার, মনোহারী দোকান, কসমেটিকস, খাবার হোটেল, চায়ের ষ্টল, পান দোকান, ইলেকট্রনিক্স ষ্টোর, কাপড়ের দোকান, মোবাইল দোকান সহ নানা ধরনের বিপনী বিতান। দোকানীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দোকানের আয়তন অনুসারে তারা সিকিউরিটি মানি (জামানত) ও মাসিক ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চা দোকানী জানান, তিনি স্থানীয় বাসিন্দা সোহাগ নামে এক ব্যক্তিকে আড়াই লাখ টাকা জামানত ও ৬ হাজার টাকা মাসিক ভাড়ায় দোকানটি নিয়েছেন। তার নিয়ন্ত্রণে সড়ক ও জনপথের জমিতে অনেক দোকানপাট রয়েছে। অন্যান্য দোকানীদের সাথে কথা বললে সবাই নাম প্রকাশে অসম্মতি জানান দোকান হতে উঠিয়ে দেয়ার ভয়ে। তবে এক লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত জামানত ও মাসিক ভাড়া সর্বনিম্ন ৫ হাজার টাকা হতে দোকান ভেদে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া দিয়ে তারা ব্যবসা করছেন। অপর এক দোকানী জানান, তিনি আলী নামে এক ব্যাক্তিকে এক লাখ টাকা জামানত দিয়ে মাসিক ৫ হাজার টাকা ভাড়ার চুক্তিতে ব্যবসা করছেন। তবে চুক্তি রয়েছে সরকারিভাবে দোকানপাট উচ্ছেদ বা ভেঙ্গে দিলে জামানতের টাকা ফেরৎ দেয়া হবে। এ ব্যাপারে অবৈধ স্থাপনা ও দোকান মালিকদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি। সড়ক ও জনপথ বিভাগের এসও আবু বক্কর সিদ্দিক জানান কিছুদিন পূর্বে অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হয়েছিল। তারা আবার আস্তে আস্তে স্থাপনা করে ফেলেছে। উচ্ছেদ অভিযান করতে গেলে ম্যাজিষ্ট্র্যাট, পুলিশ ও আনুষাঙ্গিক অনেক খরচ প্রয়োজন হয়।
সড়ক জনপথের সরকারী জায়গায় ঘর উঠিয়ে যারা ভাড়া দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তাদেরকে খোঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হলে মহা সড়ক যানজট মুক্ত হবে বলে সাধারণ জনগনের দাবী।