alt

সারাদেশ

কক্সবাজারে পর্যটন মেলার নামে প্রতারণা

জেলা বার্তা পরিবেশক, কক্সবাজার : রোববার, ০১ অক্টোবর ২০২৩

পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। ৬০ শতাংশ ছাড়ের আশায় তিন দিনের ছুটি ও সাত দিনের পর্যটন মেলা ও বীচ কার্নিভাল উপভোগ করতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন তিন লাখের বেশি পর্যটক। কিন্তু হোটেলগুলোর বাস্তব চিত্র উল্টো। ছাড়ের বালাই নেই কোথাও। আর যারা ছাড় দিচ্ছেন, তারা আগের দাম থেকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন অনেক পর্যটক। পর্যটন মেলা, বীচ কার্নিভল ও সৈকতে নেমে গোসলে মেতেছেন অনেকেই। কেউবা ঘুরে ঘুরে সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। কেউ এসেছেন পরিবারসহ, কেউ বন্ধুদের সঙ্গে। আনন্দে মেতেছেন পর্যটকরা।

এদিকে পর্যটন দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারে সপ্তাহব্যাপী চলছে পর্যটন মেলা ও কার্নিভাল। মেলা উপলক্ষে হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস, কটেজ ও রেস্তোরাঁয় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ছাড়ের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এসব ছাড়ের প্রলোভনে কক্সবাজারে এসে হতাশ হয়েছেন অনেক পর্যটক।

তাদের অভিযোগ, বিশাল ছাড়ের খবর পেয়ে তারা কক্সবাজার এসেছেন। কিন্তু কোথাও ছাড় দিচ্ছে না। ছাড়ের কথা বললে রুম ভাড়া দিতেই রাজি হচ্ছে না। একই অবস্থা খাবার হোটেলেও। বাড়িয়ে দিয়েছে মাছ-মাংস তরিতরকারিসহ ভাতের দাম। এক কথায় প্রতারণার শিকার হয়ে বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা।

বরিশাল থেকে আসা পর্যটক প্রমিত ও সিয়াম বলেন, পর্যটন দিবস উপলক্ষে কক্সবাজার থাকার হোটেল ও খাবারসহ সবকিছুতে ছাড় দেওয়া হচ্ছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সেটি দেখে আমরা ছুটি উপভোগ করতে বন্ধুরা মিলে এসেছি। তবে যে হোটেলে উঠেছি, সেখানে অতিরিক্ত ভাড়া। কোনো ছাড় দেয়া হয়নি। এমনকি কোনো কোনো হোটেল অতিরিক্ত ভাড়াও নিচ্ছে। তারপরও কোনো হোটেল খালি নেই। রুম না পেয়ে অনেকে বাসা-বাড়িতে উঠছে।

কক্সবাজার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সৈয়দ আতিকুল হক বলেন, চাকরির সুবাদে কক্সবাজার আসতে হয়েছে। এখানে এসে দেখি প্রটোকল দিতে গিয়ে আসল কাজ নানাভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অনেকে রাত ১২টার পরেও রেস্টহাউসে রুম পাওয়া যাবে কি না, নানা বিষয়ে মোবাইলে কল করেন।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক শাহাদাত হোসেন বলেন, সকালে কক্সবাজার এসেছি। বীচ ভিউ নামক একটি হোটেলে রুমের জন্য যাই। প্রথমে বলে রুম নেই। পরে একজন লোক এসে বলে রুম আছে তবে তিন হাজার টাকা দিতে হবে। পরে খাবার হোটেলে গিয়ে দেখলাম সেখানেও কোনো প্রকার ছাড় নেই।

হোটেল মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, টানা ছুটিকে উপভোগ করতে কক্সবাজারে বিপুলসংখ্যক পর্যটক এসেছে। ইতোমধ্যে শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে। ছাড়ের বিষয়টি কেউ মানছেন, আবার কেউ মানছেন না। শতভাগ মানাতে তারা প্রশাসনের আরও নজরদারি প্রত্যাশা করেন।

হোটেল ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান বলেন, আমার হোটেলে ৬০ শতাংশ ছাড় দিয়েছি। আপনারা চাইলে আমার হোটেলে যারা আছেন তাদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই নিয়ম মানছেন না।

হোটেল ব্যবসায়ী বজল আহমদ বলেন, বেশ কয়েক মাস মন্দা কেটেছে। তার মধ্যে মেলা উপলক্ষে জেলা প্রশাসনকে চাঁদা দিতে হয়েছে। তাই এই টাকা তুলে নিতে ছাড় দিতে পারছি না।

তবে জেলা প্রশাসনের দাবি, হোটেল রেস্তোরাঁসহ যেসব খাতে ছাড় দেয়া হয়েছে, সেটি যথাযথভাবে মানা হচ্ছে কি না, তা তদারকি করতে আলাদা টিম কাজ করছে। কোনো অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাঁচ শতাধিক হোটেলে প্রায় দুই লাখ পর্যটক রাখা যেতে পারে। কিন্তু পর্যটক এসেছে তিন লক্ষাধিক। তাই সুযোগ বুঝে প্রায় হোটেল অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে।

মতিঝিল থেকে আসা রহমত আলী পেশায় একজন শিক্ষক। তিনি স্বপরিবারে এসেছেন কক্সবাজারে। উঠেছেন সি ওয়ার্ল্ড হোটেলে। তিনটি রুম তিনি এক সপ্তাহ আগে ৬০ শতাংশ ছাড়ে ভাড়া নিয়েছেন। আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বুকিং। অনেকে ছাড়ের সুবিধা ভোগ করলেও ৮০ শতাংশ পর্যটককে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। অনেক হোটেল মালিক বাড়তি ভাড়া আদায় করলেও কাগজে কলমে ছাড় লিখে রাখছেন। যাতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জবাবদিহি করতে পারেন।

কক্সবাজার পর্যটক সেলের ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দজাদী মাহবুবা মঞ্জুর মৌনা বলেন, আমরা যে ছাড়ের কথা বলেছি, সেটা কার্যকর করার জন্য আমাদের আলাদা টিম কাজ করছে। আপনাদের কাছে কোন হোটেল ছাড় দিচ্ছে না এই রকম কোনো তথ্য থাকলে আমাদের সহযোগিতা করুন। আমরা ওই হোটেলগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। তবে রুমের যেহেতু সংকট চলছে এ মূহুর্তে অভিযোগ করে বাড়তি ঝামেলা যেতে চান না পর্যটকরা।

এদিকে টানা ৩ দিনের ছুটিতে কক্সবাজারের পর্যটন খাতে কমপক্ষে ৩৬০ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ করে ৩ লাখ পর্যটক ভ্রমণে আসলে পর্যটন সংশ্লিষ্ট খাতে এসব বাণিজ্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন, কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা।

তিনি জানান, কক্সবাজারে পর্যটক আগমণের সঠিক পরিসংখ্যান, আগত পর্যটকের ব্যয় নির্ধারণ না। প্রকৃত অর্থে সঠিক তথ্য কোথাও পাওয়া যায় না। বিভিন্ন সময় কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পক্ষে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, আগত পর্যটকের নিয়ে পরিসংখ্যান চালানো হয়েছিল। এতে দেখা গেছে কক্সবাজারে আগত পর্যটক গড়ে কম হলেও ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা প্রতিদিন ব্যয় করে থাকেন।

মোরেলগঞ্জে শাফায়েত হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে গ্রামবাসী

শেরপুরে কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার তিনজন গ্রেপ্তার

মহালছড়িতে নারী সমাবেশ

ছবি

তাহলে সততার কীসের মূল্যায়ন: গ্রেপ্তারের আগে আইভী

মানিকছড়ি হাসপাতালে জনবল সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

যাদুকাটা নদী খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন

খোকসা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালসহ দুজনকে জরিমানা

পাবনার হাট-বাজারে অপরিপক্ব টক লিচু বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে

ছবি

ডিমলার নদ-নদীগুলো অবৈধ দখলে মরা খাল, আবাদি জমি

ঝালকাঠিতে ডাকাতি মামলায় ৯ জনের সশ্রম কারাদণ্ড

ছবি

মোরেলগঞ্জে সন্তানহারা মায়ের কান্না, গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া

রাজশাহীতে মাদক ব্যবসায়ী আটক

মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নারী নিহত

চাঁদপুরে পুকুর ভরাটের দায়ে জরিমানা

গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

ছবি

সিরাজগঞ্জে যমুনার ভাঙন আতঙ্কে তীরবর্তী মানুষ

করিমগঞ্জে বজ্রপাতে ৩ গরুর মৃত্যু

ফরিদগঞ্জে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

৬ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯

ধর্মপাশায় গাছ থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু

সেনবাগে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা

দুই জেলায় বৃদ্ধ ও কিশোরীর আত্মহত্যা

রামুর বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে চুরি-ডাকাতি : জনমনে আতঙ্ক

কালিহাতীতে ভেটেরিনারি দোকানে জরিমানা

ছবি

যশোরে আইন উপেক্ষা করে চলছে পুকুর ভরাট

ভুয়া পশু চিকিৎসকের কারাদণ্ড

ছবি

রাস্তা খুঁড়ে লাপাত্তা ঠিকাদার দ্রুত পাকাকরণের দাবি

ছবি

রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম, ইউএনওর কাছে অভিযোগ

রায়গঞ্জে একই দিনে দুজনের আত্মহত্যা

প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি, ২০ লাখ টাকা লুট

ডিবি থেকে সরানো মল্লিক ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি

সীমান্তবর্তী ৩৩ জেলায় পুলিশের বাড়তি সতর্কতা

ফরিদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে রামগড় ও লক্ষীছড়িতে বিক্ষোভ

ছবি

নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি

tab

সারাদেশ

কক্সবাজারে পর্যটন মেলার নামে প্রতারণা

জেলা বার্তা পরিবেশক, কক্সবাজার

রোববার, ০১ অক্টোবর ২০২৩

পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। ৬০ শতাংশ ছাড়ের আশায় তিন দিনের ছুটি ও সাত দিনের পর্যটন মেলা ও বীচ কার্নিভাল উপভোগ করতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন তিন লাখের বেশি পর্যটক। কিন্তু হোটেলগুলোর বাস্তব চিত্র উল্টো। ছাড়ের বালাই নেই কোথাও। আর যারা ছাড় দিচ্ছেন, তারা আগের দাম থেকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন অনেক পর্যটক। পর্যটন মেলা, বীচ কার্নিভল ও সৈকতে নেমে গোসলে মেতেছেন অনেকেই। কেউবা ঘুরে ঘুরে সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। কেউ এসেছেন পরিবারসহ, কেউ বন্ধুদের সঙ্গে। আনন্দে মেতেছেন পর্যটকরা।

এদিকে পর্যটন দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারে সপ্তাহব্যাপী চলছে পর্যটন মেলা ও কার্নিভাল। মেলা উপলক্ষে হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস, কটেজ ও রেস্তোরাঁয় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ছাড়ের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এসব ছাড়ের প্রলোভনে কক্সবাজারে এসে হতাশ হয়েছেন অনেক পর্যটক।

তাদের অভিযোগ, বিশাল ছাড়ের খবর পেয়ে তারা কক্সবাজার এসেছেন। কিন্তু কোথাও ছাড় দিচ্ছে না। ছাড়ের কথা বললে রুম ভাড়া দিতেই রাজি হচ্ছে না। একই অবস্থা খাবার হোটেলেও। বাড়িয়ে দিয়েছে মাছ-মাংস তরিতরকারিসহ ভাতের দাম। এক কথায় প্রতারণার শিকার হয়ে বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা।

বরিশাল থেকে আসা পর্যটক প্রমিত ও সিয়াম বলেন, পর্যটন দিবস উপলক্ষে কক্সবাজার থাকার হোটেল ও খাবারসহ সবকিছুতে ছাড় দেওয়া হচ্ছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সেটি দেখে আমরা ছুটি উপভোগ করতে বন্ধুরা মিলে এসেছি। তবে যে হোটেলে উঠেছি, সেখানে অতিরিক্ত ভাড়া। কোনো ছাড় দেয়া হয়নি। এমনকি কোনো কোনো হোটেল অতিরিক্ত ভাড়াও নিচ্ছে। তারপরও কোনো হোটেল খালি নেই। রুম না পেয়ে অনেকে বাসা-বাড়িতে উঠছে।

কক্সবাজার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সৈয়দ আতিকুল হক বলেন, চাকরির সুবাদে কক্সবাজার আসতে হয়েছে। এখানে এসে দেখি প্রটোকল দিতে গিয়ে আসল কাজ নানাভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অনেকে রাত ১২টার পরেও রেস্টহাউসে রুম পাওয়া যাবে কি না, নানা বিষয়ে মোবাইলে কল করেন।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক শাহাদাত হোসেন বলেন, সকালে কক্সবাজার এসেছি। বীচ ভিউ নামক একটি হোটেলে রুমের জন্য যাই। প্রথমে বলে রুম নেই। পরে একজন লোক এসে বলে রুম আছে তবে তিন হাজার টাকা দিতে হবে। পরে খাবার হোটেলে গিয়ে দেখলাম সেখানেও কোনো প্রকার ছাড় নেই।

হোটেল মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, টানা ছুটিকে উপভোগ করতে কক্সবাজারে বিপুলসংখ্যক পর্যটক এসেছে। ইতোমধ্যে শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে। ছাড়ের বিষয়টি কেউ মানছেন, আবার কেউ মানছেন না। শতভাগ মানাতে তারা প্রশাসনের আরও নজরদারি প্রত্যাশা করেন।

হোটেল ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান বলেন, আমার হোটেলে ৬০ শতাংশ ছাড় দিয়েছি। আপনারা চাইলে আমার হোটেলে যারা আছেন তাদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই নিয়ম মানছেন না।

হোটেল ব্যবসায়ী বজল আহমদ বলেন, বেশ কয়েক মাস মন্দা কেটেছে। তার মধ্যে মেলা উপলক্ষে জেলা প্রশাসনকে চাঁদা দিতে হয়েছে। তাই এই টাকা তুলে নিতে ছাড় দিতে পারছি না।

তবে জেলা প্রশাসনের দাবি, হোটেল রেস্তোরাঁসহ যেসব খাতে ছাড় দেয়া হয়েছে, সেটি যথাযথভাবে মানা হচ্ছে কি না, তা তদারকি করতে আলাদা টিম কাজ করছে। কোনো অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাঁচ শতাধিক হোটেলে প্রায় দুই লাখ পর্যটক রাখা যেতে পারে। কিন্তু পর্যটক এসেছে তিন লক্ষাধিক। তাই সুযোগ বুঝে প্রায় হোটেল অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে।

মতিঝিল থেকে আসা রহমত আলী পেশায় একজন শিক্ষক। তিনি স্বপরিবারে এসেছেন কক্সবাজারে। উঠেছেন সি ওয়ার্ল্ড হোটেলে। তিনটি রুম তিনি এক সপ্তাহ আগে ৬০ শতাংশ ছাড়ে ভাড়া নিয়েছেন। আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বুকিং। অনেকে ছাড়ের সুবিধা ভোগ করলেও ৮০ শতাংশ পর্যটককে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। অনেক হোটেল মালিক বাড়তি ভাড়া আদায় করলেও কাগজে কলমে ছাড় লিখে রাখছেন। যাতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জবাবদিহি করতে পারেন।

কক্সবাজার পর্যটক সেলের ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দজাদী মাহবুবা মঞ্জুর মৌনা বলেন, আমরা যে ছাড়ের কথা বলেছি, সেটা কার্যকর করার জন্য আমাদের আলাদা টিম কাজ করছে। আপনাদের কাছে কোন হোটেল ছাড় দিচ্ছে না এই রকম কোনো তথ্য থাকলে আমাদের সহযোগিতা করুন। আমরা ওই হোটেলগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। তবে রুমের যেহেতু সংকট চলছে এ মূহুর্তে অভিযোগ করে বাড়তি ঝামেলা যেতে চান না পর্যটকরা।

এদিকে টানা ৩ দিনের ছুটিতে কক্সবাজারের পর্যটন খাতে কমপক্ষে ৩৬০ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ করে ৩ লাখ পর্যটক ভ্রমণে আসলে পর্যটন সংশ্লিষ্ট খাতে এসব বাণিজ্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন, কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা।

তিনি জানান, কক্সবাজারে পর্যটক আগমণের সঠিক পরিসংখ্যান, আগত পর্যটকের ব্যয় নির্ধারণ না। প্রকৃত অর্থে সঠিক তথ্য কোথাও পাওয়া যায় না। বিভিন্ন সময় কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পক্ষে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, আগত পর্যটকের নিয়ে পরিসংখ্যান চালানো হয়েছিল। এতে দেখা গেছে কক্সবাজারে আগত পর্যটক গড়ে কম হলেও ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা প্রতিদিন ব্যয় করে থাকেন।

back to top