খুলনা পল্লীশ্রী হাইস্কুল
প্রায় তিন কোটি টাকায় নির্মিত চারতলা স্কুল ভবনে চার বছরেও শিক্ষার্থীরা বসতে পারেনি। শিক্ষকরাও আতঙ্কে ভবনে প্রবেশ করছেন না। কারণ নির্মাণের পরপরই ভবনটি হেলে পড়েছে। আবার হেলে পড়া ঠিক করতে ‘অভিনব’ উদ্যোগ নেয়ায় ভবনটির ফাটলও দেখা দেয়। শিক্ষা ভবন নির্মাণে এ ঘটনা ঘটেছে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার পল্লীশ্রী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।
তবে এ দুর্নীতি ও গাফিলতির জন্য কারো শাস্তিও হয়নি। এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন হলেও প্রভাবশালী মহলের চাপে সেটিও ধামাচাপা পড়ে রয়েছে। নকশা বহিভূর্তভাবে ‘বালি ফিলিং’ করে ভবন নির্মাণের কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণও বলা হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পল্লীশ্রী বিদ্যালয়ে চারতলা অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় দুই কোটি ৯০ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ওই সময় ইইডির খুলনা জোন অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন শেখ নাসিম রেজা। তার বিরুদ্ধে দায়িত্বপালনে ‘গাফিলতি’ ও ঘটনা ‘ধামাচাপা’ দেয়ার অভিযোগ উঠে। এরপর তাকে রাজশাহী জোন অফিসে বদলি করা হয়।
এ ঘটনায় কারো শাস্তি হয়েছে কীনা জানতে চাইলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) প্রধান প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার সংবাদকে বলেন, ‘শাস্তি হয়নি। তবে আমি মনে করি, যারাই দায়ী হোক তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।’
তদন্ত প্রতিবেদনে কাদের দায়ী করা হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি আমার কাছে আসেনি। তবে এ অনিয়মের জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী দায় এড়াতে পারেন না।’
সম্প্রতি নিজে ভবনটি পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘এটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ ভবন ব্যবহার করাও বিপদজনক।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য গত দুদিন ধরে নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাসিম রেজার সঙ্গে সেলফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ধরেননি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) বাস্তবায়নাধীন ‘নির্বাচিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহে উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় পল্লীশ্রী বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ কাজ পুরোপুরি শেষ না হতেই ভবনটি ৪-৫ ইঞ্চি হেলে পড়ে। এতে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হয়।
ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলীরা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে তারা ইইডির প্রধান কার্যালয়কে অবহিত করে। পরে মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদেরও বিষয়টি জানানো হয়।
পরবর্তীতে ইইডির একটি বিশেষজ্ঞ দল গত বছরের জুলাই মাসে ওই ভবনটি পরিদর্শনে যান। তাদের পরামর্শে ভবনটি সোজা করতে যে পাশে হেলে গেছে তার বিপরীত পাশে ১৪ ফুট গভীর খাল খনন করা হয়। অন্য পাশে বাঁশের পাইলিং দিয়ে ১২ ফুট চওড়া ও ১৪ ফুট উচ্চতায় বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এটি সম্পূর্ণ প্রকৌশল বিদ্যাবহিভূর্ত বলে সংস্থার একজন জেষ্ঠ্য প্রকৌশলী সংবাদকে জানিয়েছেন।
ওই প্রকৌশলী আরও জানান, গভীর খাল খননের সময় তাদের ধারণা ছিল ভবনটি এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে ‘ঠিক’ হয়ে যাবে। অথচ প্রায় দেড় বছরেও তা হয়নি। উল্টো ভবনটির কোথাও কোথাও ফাটল দেখা দিয়েছে।
ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও গাফিলতির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ওই সময়কার সচিব আবু বক্কর ছিদ্দীকের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল ইইডি কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের ২৮ জুন স্কুল ভবন হেলে পড়ার ঘটনায় ইইডির খুলনা সার্কেলের ওই সময়কার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মারুফ আল ফারুকীর নেতৃত্বে তদন্ত দল গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী (প্রধান কার্যালয়) মীর মুয়াজ্জেম হুসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী (খুলনা) মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) এসএম সাফিন হাসান ও সহকারী প্রকৌশলী রতিশ চন্দ্র সেন।
এ কমিটির প্রতিবেদনে কয়েকটি পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে। এগুলো হলো, নির্মাণাধীন চারতলা হেলে যাওয়া ভবনটি প্রায় ৪-৫ ইঞ্চি পরিমাণ হেলে গেছে। সম্পূর্ণ ভবনটি পর্যবেক্ষণ করে স্ট্রাকচারাল মেম্বার (ভিম, কলাম) সমূহের কোথাও কোনো ফাটল পরিলক্ষিত হয়। এত বড় অপরাধকে ধামাচাপা দেয়ার লক্ষ্যে ভবনটির দুই পাশে এবং বারান্দায় বস্তায় মাটি ভরাট করে লোড চাপানো আছে ও সম্মুখে ৪.০০ মিটার গভীর ও ৩.০০ মিটার চওড়া পরিখা খনন করা আছে, লোক দেখানো কাজ চলমান আছে। ভিতের কাজের জন্য সরবরাহকৃত ড্রইং ও ডিজাইনের নির্দেশনার সঙ্গে স্যান্ড কুশন ফাউন্ডেশন লেভেল, ফুটিং থিকনেস এবং পিডেস্টাল কলাম হেইটের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। সম্পূর্ণ নকশা বহিভূর্তভাবে অনিয়ম করে বালি ফিলিং, বেইজের থিকনেস এবং পিডেস্টাল কলাম হেইট কম করে অনিয়ম করেছেন।
পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়েছে, অভিজ্ঞ ও দক্ষ প্রকৌশলীরা মনে করেন হেলে পড়ায় ভবনটি কোনোভাবেই সোজা করা সম্ভব নয় বা এটাকে দুই পাশে গর্ত করে বা ধামাচাপা দিয়ে কোনোরকম সোজা করা হলেও তা পুরো সোজা হবে না। কোনোরকম সোজা হলেও এটা ভবিষ্যতে আবার বাঁকা হবে বা হেলে পড়ে যাবে। আর এটিকে কখনোই আগের অবস্থায় আনা সম্ভব নয়। ভবন হেলে গেছে, এখানে ছাত্রছাত্রীরা কোনোভাবেই স্বাচ্ছন্দে ক্লাস করতে পারবেন না। এ ছাড়া ভবনটি যেহেতু ঝুঁকিপূর্ণভাবে হেলে আছে, যে কোনো সময় এটা ভেঙে পড়ে যেতে পারে। ভবনটি ভেঙে পড়ে গেলে ৬শ’ ছাত্রছাত্রীর প্রাণহানীর আশঙ্কা আছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কমিটির একজন সদস্য সংবাদকে বলেন, বিষয়টি ‘টেকনিক্যাল’ সমস্যা। এটির সঙ্গে ইইডির ‘ভাবমূর্তি’র বিষয়ও জড়িত। এজন্য সহকর্মী প্রকৌশলীদের ‘কৌশলে সেইভ’ করে দেয়া হয়েছে। তবে ঘটনার ‘যথাযথ তদন্ত’ এবং ‘দায়ীদের’ শনাক্ত করতে হলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে প্রশাসনিক তদন্ত কমিটি করতে হবে।
খুলনা পল্লীশ্রী হাইস্কুল
রোববার, ০১ অক্টোবর ২০২৩
প্রায় তিন কোটি টাকায় নির্মিত চারতলা স্কুল ভবনে চার বছরেও শিক্ষার্থীরা বসতে পারেনি। শিক্ষকরাও আতঙ্কে ভবনে প্রবেশ করছেন না। কারণ নির্মাণের পরপরই ভবনটি হেলে পড়েছে। আবার হেলে পড়া ঠিক করতে ‘অভিনব’ উদ্যোগ নেয়ায় ভবনটির ফাটলও দেখা দেয়। শিক্ষা ভবন নির্মাণে এ ঘটনা ঘটেছে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার পল্লীশ্রী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।
তবে এ দুর্নীতি ও গাফিলতির জন্য কারো শাস্তিও হয়নি। এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন হলেও প্রভাবশালী মহলের চাপে সেটিও ধামাচাপা পড়ে রয়েছে। নকশা বহিভূর্তভাবে ‘বালি ফিলিং’ করে ভবন নির্মাণের কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণও বলা হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পল্লীশ্রী বিদ্যালয়ে চারতলা অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় দুই কোটি ৯০ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ওই সময় ইইডির খুলনা জোন অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন শেখ নাসিম রেজা। তার বিরুদ্ধে দায়িত্বপালনে ‘গাফিলতি’ ও ঘটনা ‘ধামাচাপা’ দেয়ার অভিযোগ উঠে। এরপর তাকে রাজশাহী জোন অফিসে বদলি করা হয়।
এ ঘটনায় কারো শাস্তি হয়েছে কীনা জানতে চাইলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) প্রধান প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার সংবাদকে বলেন, ‘শাস্তি হয়নি। তবে আমি মনে করি, যারাই দায়ী হোক তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।’
তদন্ত প্রতিবেদনে কাদের দায়ী করা হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি আমার কাছে আসেনি। তবে এ অনিয়মের জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী দায় এড়াতে পারেন না।’
সম্প্রতি নিজে ভবনটি পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘এটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ ভবন ব্যবহার করাও বিপদজনক।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য গত দুদিন ধরে নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাসিম রেজার সঙ্গে সেলফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ধরেননি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) বাস্তবায়নাধীন ‘নির্বাচিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহে উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় পল্লীশ্রী বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ কাজ পুরোপুরি শেষ না হতেই ভবনটি ৪-৫ ইঞ্চি হেলে পড়ে। এতে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হয়।
ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলীরা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে তারা ইইডির প্রধান কার্যালয়কে অবহিত করে। পরে মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদেরও বিষয়টি জানানো হয়।
পরবর্তীতে ইইডির একটি বিশেষজ্ঞ দল গত বছরের জুলাই মাসে ওই ভবনটি পরিদর্শনে যান। তাদের পরামর্শে ভবনটি সোজা করতে যে পাশে হেলে গেছে তার বিপরীত পাশে ১৪ ফুট গভীর খাল খনন করা হয়। অন্য পাশে বাঁশের পাইলিং দিয়ে ১২ ফুট চওড়া ও ১৪ ফুট উচ্চতায় বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এটি সম্পূর্ণ প্রকৌশল বিদ্যাবহিভূর্ত বলে সংস্থার একজন জেষ্ঠ্য প্রকৌশলী সংবাদকে জানিয়েছেন।
ওই প্রকৌশলী আরও জানান, গভীর খাল খননের সময় তাদের ধারণা ছিল ভবনটি এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে ‘ঠিক’ হয়ে যাবে। অথচ প্রায় দেড় বছরেও তা হয়নি। উল্টো ভবনটির কোথাও কোথাও ফাটল দেখা দিয়েছে।
ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও গাফিলতির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ওই সময়কার সচিব আবু বক্কর ছিদ্দীকের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল ইইডি কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের ২৮ জুন স্কুল ভবন হেলে পড়ার ঘটনায় ইইডির খুলনা সার্কেলের ওই সময়কার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মারুফ আল ফারুকীর নেতৃত্বে তদন্ত দল গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী (প্রধান কার্যালয়) মীর মুয়াজ্জেম হুসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী (খুলনা) মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) এসএম সাফিন হাসান ও সহকারী প্রকৌশলী রতিশ চন্দ্র সেন।
এ কমিটির প্রতিবেদনে কয়েকটি পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে। এগুলো হলো, নির্মাণাধীন চারতলা হেলে যাওয়া ভবনটি প্রায় ৪-৫ ইঞ্চি পরিমাণ হেলে গেছে। সম্পূর্ণ ভবনটি পর্যবেক্ষণ করে স্ট্রাকচারাল মেম্বার (ভিম, কলাম) সমূহের কোথাও কোনো ফাটল পরিলক্ষিত হয়। এত বড় অপরাধকে ধামাচাপা দেয়ার লক্ষ্যে ভবনটির দুই পাশে এবং বারান্দায় বস্তায় মাটি ভরাট করে লোড চাপানো আছে ও সম্মুখে ৪.০০ মিটার গভীর ও ৩.০০ মিটার চওড়া পরিখা খনন করা আছে, লোক দেখানো কাজ চলমান আছে। ভিতের কাজের জন্য সরবরাহকৃত ড্রইং ও ডিজাইনের নির্দেশনার সঙ্গে স্যান্ড কুশন ফাউন্ডেশন লেভেল, ফুটিং থিকনেস এবং পিডেস্টাল কলাম হেইটের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। সম্পূর্ণ নকশা বহিভূর্তভাবে অনিয়ম করে বালি ফিলিং, বেইজের থিকনেস এবং পিডেস্টাল কলাম হেইট কম করে অনিয়ম করেছেন।
পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়েছে, অভিজ্ঞ ও দক্ষ প্রকৌশলীরা মনে করেন হেলে পড়ায় ভবনটি কোনোভাবেই সোজা করা সম্ভব নয় বা এটাকে দুই পাশে গর্ত করে বা ধামাচাপা দিয়ে কোনোরকম সোজা করা হলেও তা পুরো সোজা হবে না। কোনোরকম সোজা হলেও এটা ভবিষ্যতে আবার বাঁকা হবে বা হেলে পড়ে যাবে। আর এটিকে কখনোই আগের অবস্থায় আনা সম্ভব নয়। ভবন হেলে গেছে, এখানে ছাত্রছাত্রীরা কোনোভাবেই স্বাচ্ছন্দে ক্লাস করতে পারবেন না। এ ছাড়া ভবনটি যেহেতু ঝুঁকিপূর্ণভাবে হেলে আছে, যে কোনো সময় এটা ভেঙে পড়ে যেতে পারে। ভবনটি ভেঙে পড়ে গেলে ৬শ’ ছাত্রছাত্রীর প্রাণহানীর আশঙ্কা আছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কমিটির একজন সদস্য সংবাদকে বলেন, বিষয়টি ‘টেকনিক্যাল’ সমস্যা। এটির সঙ্গে ইইডির ‘ভাবমূর্তি’র বিষয়ও জড়িত। এজন্য সহকর্মী প্রকৌশলীদের ‘কৌশলে সেইভ’ করে দেয়া হয়েছে। তবে ঘটনার ‘যথাযথ তদন্ত’ এবং ‘দায়ীদের’ শনাক্ত করতে হলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে প্রশাসনিক তদন্ত কমিটি করতে হবে।