alt

সারাদেশ

ভাঙনে দুই দশকে ৫০ চরের অস্তিত্ব বিলীন, বাস্তুহারা দুই লক্ষাধিক মানুষ

আফতাব হোসেন, গাইবান্ধা : মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩

গাইবান্ধা : সদর উপজেলার নদী ভাঙনের কবলে কুন্দেরপাড়া চড় -সংবাদ

উত্তরের জেলা গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও রংপুরের ১৪ টি উপজেলার ৭২টি টি ইউনিয়নে ছোটবড় মিলে চর রয়েছে ৪৪০টি। কোন কোন চরের স্থায়ীত্বকাল শত বছরের উপরে। কিন্তু গত দুই দশকে প্রায় অর্ধশত চর-গ্রাম ভাঙনের কবলে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। সেইসঙ্গে মাইগ্রেশন করে বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে অন্ততপক্ষে দুই লক্ষাধিক মানুষ। নদীভ্ঙানের সঙ্গে বেড়ে নদীর পরিধি। প্রতিবছর নদীভ্ঙানে নদী চরের হাজারো মানুষের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অবকাঠামো ও জমিজমা বিলীন হলেও ভ্ঙান প্রতিরোধে সরকারের কোন পরিকল্পনা নেই। একারণে নদীর পরিধিও বাড়ছে বহুগুনে।

রংপুরের নদীবৌধিত ৪ জেলার উপর দিয়ে তিস্তা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্রসহ ছোটবড় ২৬টি নদী প্রবাহিত হচ্ছে। জেলারগুলোর ভৌগোলিক আয়তনের প্রায় ৩০ শতাংশ এলাকাই চরাঞ্চল। মোট জনসংখ্যার প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ মানুষ বসবাস করে চরাঞ্চলে। তবে, গত দ’ুদশক ধরে চরগুলো নদীভ্ঙানের কবলে পড়ায় মানুষজন একাধিক বার বসতভিটা, জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।

তবে, নদীর দু’পাড়ে ভ্ঙান প্রতিরোধে সরকার পদক্ষেপ নিলেও চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের কথা নিয়ে ভাবছেন বলে জানান ১০বার ভ্ঙানের শিকার ইউনুস আলী। তিনি বলেন জমিজমা হারিয়ে ভ্ঙানের যন্ত্রনা আর দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে অবশেষ আত্মীয় স্বজন রেখে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।

প্রায় ৩০ বছরের পুরাতন চর কুন্দেরপাড়া মানুষজন ভ্ঙান প্রতিরোধে নিজেরাই অর্থ সংগ্রহ করে বাঁশ কিনে স্বেচ্ছাশ্রমে বান্ডাল স্থাপন করছেন কুন্দেরপাড়ার ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন। তিনি জানান কেউ তো আর এগিয়ে আসছেন না, একারণে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণে বান্ডাল দিয়ে প্রতিরোধ করা হচ্ছে।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান জানান, টিকে থাকার তাগিদে স্থানীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে বান্ডাল করে ভ্ঙান ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই এলাকাটি ভ্ঙান প্রতিরোধ করা না গেলে শত শত পরিবার গৃহহীন হবে।

কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার ফলুয়ার চর গ্রামের সুরুজ্জামান জানান ত্রিশ বছর আগে ব্রহ্মপুত্র নদী ছিল ৬ থেকে ৭ কিলোমিটার প্রস্ত, কিন্তু সেই নদীর পরিধি এখন ১৭ কিলোমিটারের উপরে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, হাফিজুল হক জানান, চরাঞ্চলে ভ্ঙান প্রতিরোধ আপাতত কোন পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানান পানি, তবে ভ্ঙান ঝুঁকিতে থাকা এলাকাগুলো জরিপ করে ঠেকানো পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

এদিকে, পানি ও জলবায়ু বিজ্ঞানী ড, আইনুন নিশাত জানান, তিস্তা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র নদী অনেকটাই ভিন্ন প্রকৃতির। এই নদীগুলোতে বর্ষা মৌসুমে প্রচার পরিমানে বালি ও পলি পড়ে নাব্য হারিয়ে ফেলে। একারনে সারাবছরই নদীভ্ঙান থাকে। এজন্য নদীভ্ঙান প্রতিরোধ প্রয়োজন নদীর গতিপ্রকৃতি বুঝে বিজ্ঞানভিত্তিক টেকসই পরিকল্পনা করে নদীশাসনের মাধ্যমে সহনশীল প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথা জানান তিনি। নদীর চর রক্ষায় সরকার ভ্ঙান প্রতিরোধের পাশাপাশি চর উন্নয়ন বোর্ড গঠন করে জীবনমানের উন্নয়নে টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এমনটাই দাবী চরমানুষ জনের।

মোরেলগঞ্জে শাফায়েত হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে গ্রামবাসী

শেরপুরে কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার তিনজন গ্রেপ্তার

মহালছড়িতে নারী সমাবেশ

ছবি

তাহলে সততার কীসের মূল্যায়ন: গ্রেপ্তারের আগে আইভী

মানিকছড়ি হাসপাতালে জনবল সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

যাদুকাটা নদী খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন

খোকসা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালসহ দুজনকে জরিমানা

পাবনার হাট-বাজারে অপরিপক্ব টক লিচু বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে

ছবি

ডিমলার নদ-নদীগুলো অবৈধ দখলে মরা খাল, আবাদি জমি

ঝালকাঠিতে ডাকাতি মামলায় ৯ জনের সশ্রম কারাদণ্ড

ছবি

মোরেলগঞ্জে সন্তানহারা মায়ের কান্না, গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া

রাজশাহীতে মাদক ব্যবসায়ী আটক

মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নারী নিহত

চাঁদপুরে পুকুর ভরাটের দায়ে জরিমানা

গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

ছবি

সিরাজগঞ্জে যমুনার ভাঙন আতঙ্কে তীরবর্তী মানুষ

করিমগঞ্জে বজ্রপাতে ৩ গরুর মৃত্যু

ফরিদগঞ্জে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

৬ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯

ধর্মপাশায় গাছ থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু

সেনবাগে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা

দুই জেলায় বৃদ্ধ ও কিশোরীর আত্মহত্যা

রামুর বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে চুরি-ডাকাতি : জনমনে আতঙ্ক

কালিহাতীতে ভেটেরিনারি দোকানে জরিমানা

ছবি

যশোরে আইন উপেক্ষা করে চলছে পুকুর ভরাট

ভুয়া পশু চিকিৎসকের কারাদণ্ড

ছবি

রাস্তা খুঁড়ে লাপাত্তা ঠিকাদার দ্রুত পাকাকরণের দাবি

ছবি

রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম, ইউএনওর কাছে অভিযোগ

রায়গঞ্জে একই দিনে দুজনের আত্মহত্যা

প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি, ২০ লাখ টাকা লুট

ডিবি থেকে সরানো মল্লিক ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি

সীমান্তবর্তী ৩৩ জেলায় পুলিশের বাড়তি সতর্কতা

ফরিদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে রামগড় ও লক্ষীছড়িতে বিক্ষোভ

ছবি

নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি

tab

সারাদেশ

ভাঙনে দুই দশকে ৫০ চরের অস্তিত্ব বিলীন, বাস্তুহারা দুই লক্ষাধিক মানুষ

আফতাব হোসেন, গাইবান্ধা

গাইবান্ধা : সদর উপজেলার নদী ভাঙনের কবলে কুন্দেরপাড়া চড় -সংবাদ

মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩

উত্তরের জেলা গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও রংপুরের ১৪ টি উপজেলার ৭২টি টি ইউনিয়নে ছোটবড় মিলে চর রয়েছে ৪৪০টি। কোন কোন চরের স্থায়ীত্বকাল শত বছরের উপরে। কিন্তু গত দুই দশকে প্রায় অর্ধশত চর-গ্রাম ভাঙনের কবলে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। সেইসঙ্গে মাইগ্রেশন করে বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে অন্ততপক্ষে দুই লক্ষাধিক মানুষ। নদীভ্ঙানের সঙ্গে বেড়ে নদীর পরিধি। প্রতিবছর নদীভ্ঙানে নদী চরের হাজারো মানুষের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অবকাঠামো ও জমিজমা বিলীন হলেও ভ্ঙান প্রতিরোধে সরকারের কোন পরিকল্পনা নেই। একারণে নদীর পরিধিও বাড়ছে বহুগুনে।

রংপুরের নদীবৌধিত ৪ জেলার উপর দিয়ে তিস্তা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্রসহ ছোটবড় ২৬টি নদী প্রবাহিত হচ্ছে। জেলারগুলোর ভৌগোলিক আয়তনের প্রায় ৩০ শতাংশ এলাকাই চরাঞ্চল। মোট জনসংখ্যার প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ মানুষ বসবাস করে চরাঞ্চলে। তবে, গত দ’ুদশক ধরে চরগুলো নদীভ্ঙানের কবলে পড়ায় মানুষজন একাধিক বার বসতভিটা, জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।

তবে, নদীর দু’পাড়ে ভ্ঙান প্রতিরোধে সরকার পদক্ষেপ নিলেও চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের কথা নিয়ে ভাবছেন বলে জানান ১০বার ভ্ঙানের শিকার ইউনুস আলী। তিনি বলেন জমিজমা হারিয়ে ভ্ঙানের যন্ত্রনা আর দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে অবশেষ আত্মীয় স্বজন রেখে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।

প্রায় ৩০ বছরের পুরাতন চর কুন্দেরপাড়া মানুষজন ভ্ঙান প্রতিরোধে নিজেরাই অর্থ সংগ্রহ করে বাঁশ কিনে স্বেচ্ছাশ্রমে বান্ডাল স্থাপন করছেন কুন্দেরপাড়ার ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন। তিনি জানান কেউ তো আর এগিয়ে আসছেন না, একারণে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণে বান্ডাল দিয়ে প্রতিরোধ করা হচ্ছে।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান জানান, টিকে থাকার তাগিদে স্থানীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে বান্ডাল করে ভ্ঙান ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই এলাকাটি ভ্ঙান প্রতিরোধ করা না গেলে শত শত পরিবার গৃহহীন হবে।

কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার ফলুয়ার চর গ্রামের সুরুজ্জামান জানান ত্রিশ বছর আগে ব্রহ্মপুত্র নদী ছিল ৬ থেকে ৭ কিলোমিটার প্রস্ত, কিন্তু সেই নদীর পরিধি এখন ১৭ কিলোমিটারের উপরে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, হাফিজুল হক জানান, চরাঞ্চলে ভ্ঙান প্রতিরোধ আপাতত কোন পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানান পানি, তবে ভ্ঙান ঝুঁকিতে থাকা এলাকাগুলো জরিপ করে ঠেকানো পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

এদিকে, পানি ও জলবায়ু বিজ্ঞানী ড, আইনুন নিশাত জানান, তিস্তা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র নদী অনেকটাই ভিন্ন প্রকৃতির। এই নদীগুলোতে বর্ষা মৌসুমে প্রচার পরিমানে বালি ও পলি পড়ে নাব্য হারিয়ে ফেলে। একারনে সারাবছরই নদীভ্ঙান থাকে। এজন্য নদীভ্ঙান প্রতিরোধ প্রয়োজন নদীর গতিপ্রকৃতি বুঝে বিজ্ঞানভিত্তিক টেকসই পরিকল্পনা করে নদীশাসনের মাধ্যমে সহনশীল প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথা জানান তিনি। নদীর চর রক্ষায় সরকার ভ্ঙান প্রতিরোধের পাশাপাশি চর উন্নয়ন বোর্ড গঠন করে জীবনমানের উন্নয়নে টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এমনটাই দাবী চরমানুষ জনের।

back to top