alt

সারাদেশ

দশমিনায় সেতুর অভাবে দুর্ভোগ দুই উপজেলার বাসিন্দাদের

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী) : মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩

দশমিনা (পটুয়াখালী) : জড়াজীর্ণ সাঁকো দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার -সংবাদ

পটুয়াখালীর দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলার মধ্যে একটি সেতুর অভাবে ২ উপজেলার হাজার হাজার মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একটি সেতুর জন্য অপেক্ষায় কেটেছে প্রায় ৫২ বছর। অথচ কেউ কথা রাখেনি। চাঁদপুরা-গুয়াবাঁশবাড়িয়া খালে সেতু আজও নির্মান হয়নি। আর সেতু না হওয়ার কষ্টে রয়েছেন পটুয়াখালীর দশমিনা-গলাচিপা উপজেলার পাঁচ গ্রামের প্রায় ২৮ হাজার মানুষ। দুর্ভোগ নিয়েই এলাকাবাসী বর্ষাকালে নৌকায় আর শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে এই খাল পারাপার হচ্ছে মানুষ। সেতু না হওয়ার কারণে বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়া-বাঁশবাড়িয়া এলাকার রাস্তাসহ অন্য কোন উন্নয়নও তেমন হয়নি। এভাবেই আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন ৭৫ বছরের বৃদ্ধ সাঈদুল ইসলাম মোহন খাঁন। উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের খালের দক্ষিণ পাশের চাঁদপুরা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। তার মতো হাজারো মানুষের দাবি এই খালের ওপরে একটি সেতু নির্মাণের।

সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের চাঁদপুরা-গুয়াবাঁশবাড়িয়া গ্রামের খালে বাঁশের সাঁকো উঁচু-নিচু হওয়ায় বয়স্ক মানুষ ও রোগীদের পারাপারে দুর্ভোগের শেষ নেই। নিরুপায় হয়ে জীবনের ঝুঁঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছেন শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষ। খালের উত্তর পাশের জাফর হোসেন, জামাল মিয়া ও শাহ আলম গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়া-বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা তারা। তারা জানান, চাঁদপুরা-গুয়া বাঁশবাড়িয়া খালে দীর্ঘদিন যাবৎ সেতু না থাকায় তাদের গ্রামে পাকা সড়ক হয়নি। ছেলে মেয়েদের স্কতুল-কলেজে যাতায়াত, ফসল পরিবহনসহ উপজেলা সদরে যেতে হয় দূর্ভোগ করে। ভরা বর্ষায় খেয়ার নৌকায় ও শুকনোয় মৌসুমে বাঁশের সাঁকো পার হতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, দশমিনা- গলাচিপা দুটি উপজেলা নিয়ে একটি আসন আমরা বর্তমান সংসদ সদস্য এস.এম.শাহজাদা এমপি স্যারে কাছে বলবো যাহাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ব্রিজটি নির্মানের জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করেন। আলীপুরার স্লুইজ বাজারের বাসিন্দা হাবিব বলেন,এই এলাকা কৃষি প্রধান এলাকা। গ্রামের মানুষ, তাদের খেতের ফসল পারাপার এবং জেলা-উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ সেতুটির অভাবে। তা ছাড়া দুই উপজেলার পাঁচ গ্রামের মানুষ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিতে আনতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সেতু না থাকায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রায় সময় বিপাকে পরে এবং শিক্ষার্থীর বাবা-মা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তার প্রহর গুণে থাকে। ওই এলাকার বাসিন্দা জামাল হোসেন বলেন, সবাই পিতা-মাতা স্বপ্ন দেখেন সন্তান লেখাপড়া করে শিক্ষিত হয়ে অনেক বড় চাকরি করবে কিন্তু পাঁচ গ্রামের বাবা-মা সন্তানকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন তাই অনেক সন্তান শিক্ষা থেকে হয় বঞ্চিত। তাই অনেক বাবা- মা তাদের সন্তানদের স্কুলে না পাঠিয়ে নিরক্ষর রাখছেন। সেতুর অভাবে সিংহভাগ শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ছে উচ্চতর শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে। সেতু না থাকায় মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই। স্থানীয় সংসদ সদস্য এস.এম.শাহজাদা বলেন, ওই স্থানে ব্রিজ নির্মাণের জন্য ডিও লেটার পাঠানো হয়েছে। দশমিনা-গলাচিপা দুটি উপজেলা আমার নির্বাচনী এলাকা। দুই ইউনিয়নের জনসাধারনের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য ব্রিজটি নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা করব। এই বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. মকবুল আহমেদ জানান, সেতুর প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি আগামী উন্নয়ন সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা হবে।

মোরেলগঞ্জে শাফায়েত হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে গ্রামবাসী

শেরপুরে কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার তিনজন গ্রেপ্তার

মহালছড়িতে নারী সমাবেশ

ছবি

তাহলে সততার কীসের মূল্যায়ন: গ্রেপ্তারের আগে আইভী

মানিকছড়ি হাসপাতালে জনবল সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

যাদুকাটা নদী খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন

খোকসা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালসহ দুজনকে জরিমানা

পাবনার হাট-বাজারে অপরিপক্ব টক লিচু বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে

ছবি

ডিমলার নদ-নদীগুলো অবৈধ দখলে মরা খাল, আবাদি জমি

ঝালকাঠিতে ডাকাতি মামলায় ৯ জনের সশ্রম কারাদণ্ড

ছবি

মোরেলগঞ্জে সন্তানহারা মায়ের কান্না, গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া

রাজশাহীতে মাদক ব্যবসায়ী আটক

মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নারী নিহত

চাঁদপুরে পুকুর ভরাটের দায়ে জরিমানা

গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

ছবি

সিরাজগঞ্জে যমুনার ভাঙন আতঙ্কে তীরবর্তী মানুষ

করিমগঞ্জে বজ্রপাতে ৩ গরুর মৃত্যু

ফরিদগঞ্জে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

৬ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯

ধর্মপাশায় গাছ থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু

সেনবাগে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা

দুই জেলায় বৃদ্ধ ও কিশোরীর আত্মহত্যা

রামুর বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে চুরি-ডাকাতি : জনমনে আতঙ্ক

কালিহাতীতে ভেটেরিনারি দোকানে জরিমানা

ছবি

যশোরে আইন উপেক্ষা করে চলছে পুকুর ভরাট

ভুয়া পশু চিকিৎসকের কারাদণ্ড

ছবি

রাস্তা খুঁড়ে লাপাত্তা ঠিকাদার দ্রুত পাকাকরণের দাবি

ছবি

রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম, ইউএনওর কাছে অভিযোগ

রায়গঞ্জে একই দিনে দুজনের আত্মহত্যা

প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি, ২০ লাখ টাকা লুট

ডিবি থেকে সরানো মল্লিক ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি

সীমান্তবর্তী ৩৩ জেলায় পুলিশের বাড়তি সতর্কতা

ফরিদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে রামগড় ও লক্ষীছড়িতে বিক্ষোভ

ছবি

নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি

tab

সারাদেশ

দশমিনায় সেতুর অভাবে দুর্ভোগ দুই উপজেলার বাসিন্দাদের

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী)

দশমিনা (পটুয়াখালী) : জড়াজীর্ণ সাঁকো দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার -সংবাদ

মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩

পটুয়াখালীর দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলার মধ্যে একটি সেতুর অভাবে ২ উপজেলার হাজার হাজার মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একটি সেতুর জন্য অপেক্ষায় কেটেছে প্রায় ৫২ বছর। অথচ কেউ কথা রাখেনি। চাঁদপুরা-গুয়াবাঁশবাড়িয়া খালে সেতু আজও নির্মান হয়নি। আর সেতু না হওয়ার কষ্টে রয়েছেন পটুয়াখালীর দশমিনা-গলাচিপা উপজেলার পাঁচ গ্রামের প্রায় ২৮ হাজার মানুষ। দুর্ভোগ নিয়েই এলাকাবাসী বর্ষাকালে নৌকায় আর শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে এই খাল পারাপার হচ্ছে মানুষ। সেতু না হওয়ার কারণে বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়া-বাঁশবাড়িয়া এলাকার রাস্তাসহ অন্য কোন উন্নয়নও তেমন হয়নি। এভাবেই আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন ৭৫ বছরের বৃদ্ধ সাঈদুল ইসলাম মোহন খাঁন। উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের খালের দক্ষিণ পাশের চাঁদপুরা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। তার মতো হাজারো মানুষের দাবি এই খালের ওপরে একটি সেতু নির্মাণের।

সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের চাঁদপুরা-গুয়াবাঁশবাড়িয়া গ্রামের খালে বাঁশের সাঁকো উঁচু-নিচু হওয়ায় বয়স্ক মানুষ ও রোগীদের পারাপারে দুর্ভোগের শেষ নেই। নিরুপায় হয়ে জীবনের ঝুঁঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছেন শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষ। খালের উত্তর পাশের জাফর হোসেন, জামাল মিয়া ও শাহ আলম গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়া-বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা তারা। তারা জানান, চাঁদপুরা-গুয়া বাঁশবাড়িয়া খালে দীর্ঘদিন যাবৎ সেতু না থাকায় তাদের গ্রামে পাকা সড়ক হয়নি। ছেলে মেয়েদের স্কতুল-কলেজে যাতায়াত, ফসল পরিবহনসহ উপজেলা সদরে যেতে হয় দূর্ভোগ করে। ভরা বর্ষায় খেয়ার নৌকায় ও শুকনোয় মৌসুমে বাঁশের সাঁকো পার হতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, দশমিনা- গলাচিপা দুটি উপজেলা নিয়ে একটি আসন আমরা বর্তমান সংসদ সদস্য এস.এম.শাহজাদা এমপি স্যারে কাছে বলবো যাহাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ব্রিজটি নির্মানের জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করেন। আলীপুরার স্লুইজ বাজারের বাসিন্দা হাবিব বলেন,এই এলাকা কৃষি প্রধান এলাকা। গ্রামের মানুষ, তাদের খেতের ফসল পারাপার এবং জেলা-উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ সেতুটির অভাবে। তা ছাড়া দুই উপজেলার পাঁচ গ্রামের মানুষ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিতে আনতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সেতু না থাকায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রায় সময় বিপাকে পরে এবং শিক্ষার্থীর বাবা-মা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তার প্রহর গুণে থাকে। ওই এলাকার বাসিন্দা জামাল হোসেন বলেন, সবাই পিতা-মাতা স্বপ্ন দেখেন সন্তান লেখাপড়া করে শিক্ষিত হয়ে অনেক বড় চাকরি করবে কিন্তু পাঁচ গ্রামের বাবা-মা সন্তানকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন তাই অনেক সন্তান শিক্ষা থেকে হয় বঞ্চিত। তাই অনেক বাবা- মা তাদের সন্তানদের স্কুলে না পাঠিয়ে নিরক্ষর রাখছেন। সেতুর অভাবে সিংহভাগ শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ছে উচ্চতর শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে। সেতু না থাকায় মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই। স্থানীয় সংসদ সদস্য এস.এম.শাহজাদা বলেন, ওই স্থানে ব্রিজ নির্মাণের জন্য ডিও লেটার পাঠানো হয়েছে। দশমিনা-গলাচিপা দুটি উপজেলা আমার নির্বাচনী এলাকা। দুই ইউনিয়নের জনসাধারনের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য ব্রিজটি নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা করব। এই বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. মকবুল আহমেদ জানান, সেতুর প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি আগামী উন্নয়ন সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা হবে।

back to top