সিরাজগঞ্জ : তাড়াশে চলনবিলে খননকৃত ভদ্রাবতী খাল -সংবাদ
সিরাজগঞ্জ এলজিইডির টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তাড়াশ উপজেলার চলনবিলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ভদ্রাবতিখালটি খনন করেছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের দক্ষিণ ভদ্রাবতী ও তালম ইউনিয়নের উত্তর ভদ্রাবতী এলাকায় ২৭ কিলোমিটার খালটি খনন করা হয়েছে। খালটি খননের উদ্দেশ্য হলো সিরাজগঞ্জের চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশের ভদ্রাবতী খালের দুই পাশে কৃষি জমির ফসল উৎপাদনের জন্য ভূর্গভস্থ পানির ওপর চাপ হ্রাস ও ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার করে চাষকৃত জমি সেচের আওতায় নিয়ে আসা। এছাড়া সমাজের সুবিধাবঞ্চিতদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে লেবার কনটাক্টিং সোসাইটির (এলসিএস) মাধ্যমে স্থানীয় সুবিধাভোগী ৪৪টি এলসিএস সমিতির ১ হাজার ১১৫ সদস্যের অংশ গ্রহণে কাজটি করা হয়েছে। এতে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমি সেচের আওতায় এসেছে। পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমে বিলে জমাকৃত পানি এই খালের মাধ্যমে দ্রুত নিষ্কাশন হবে ফলে জলাবদ্ধতার থেকে রক্ষা পাবে এই এলাকার শত শত হেক্টর জমি। কলামুলা গ্রামের আব্দুর রহমান বলেন, ভদ্রাবতী খালটি খনন করা করায় বর্ষা মৌসুমে বিলে জমাকৃত পানি এই খালের মাধ্যমে দ্রুত নেমে যাবে। ফলে জলাবদ্ধতার থেকে রক্ষা পাবে এই এলাকার শত শত হেক্টর জমি। আবার শুষ্ক মৌসুমে খালের পানি দিয়ে জমি আবাদ করার সুবিধা পাবে এই এলাকার হাজার হাজার কৃষক।
এলসিএস সমিতির সভাপতি লিজা খাতুন ও তৌহিদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় গরীব অস্বচ্ছল মানুষদের দিয়ে কাজ করানো ফলে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে। তারা আরও বলেন, চলনবিলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ভদ্রাবতী খালটি প্রায় ভরাট হয়ে গিয়ে ছিলো। খনন করায় বন্যার পানি যেমন দ্রুত নেমে যাবে সেই সাথে এর দুই পাশের জমি আবাদের জন্য সেচের সুবিধা পাবে কৃষক।
তালম ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম ও বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মজনু মিয়া বলেন, খাল খননে বিলের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে। তেমনি শুষ্ক মৌসুমে খালের পানি ব্যবহার করে জমি আবাদ করার সুবিধা পাবে, অনেকটা উৎপাদন খরচ বাঁচবে এই অঞ্চলের হাজার হাজার কৃষকের। তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. ফজলুল হক বলেন, প্রায় ২৭ মিলোমিটার দৈর্ঘ্য এই খালটি খননের ফলে এলাকার কৃষকদের সেচ সুবিধার পাশাপাশি মৎস্য চাষেরও সুয়োগ সৃষ্টি হবে। ফলে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হবে। সিরাজগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, চলনবিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত অনেক নদী ও খাল প্রায় ভরাট হয়ে গেছে। এর কারণে বন্যার সময় বিল এলাকায় পানি উপচে পড়ছে। কোথাও পানি আটকা পড়ে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। আবার শুষ্ক মৌসুমে সেচের ব্যবস্থা করে বোরোধানসহ নানা ফসল আবাদ করতে হচ্ছে। এই কারণে কৃষক উভয় দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। খালটি খননে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমি সেচের আওতায় এসেছে । শুষ্ক মৌসুমে খালের পানি ব্যবহার করে আবাদ করায় কৃষকের সেচ খরচ বাঁচবে এতে কৃষক লাভবান হবে।
সিরাজগঞ্জ : তাড়াশে চলনবিলে খননকৃত ভদ্রাবতী খাল -সংবাদ
বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩
সিরাজগঞ্জ এলজিইডির টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তাড়াশ উপজেলার চলনবিলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ভদ্রাবতিখালটি খনন করেছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের দক্ষিণ ভদ্রাবতী ও তালম ইউনিয়নের উত্তর ভদ্রাবতী এলাকায় ২৭ কিলোমিটার খালটি খনন করা হয়েছে। খালটি খননের উদ্দেশ্য হলো সিরাজগঞ্জের চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশের ভদ্রাবতী খালের দুই পাশে কৃষি জমির ফসল উৎপাদনের জন্য ভূর্গভস্থ পানির ওপর চাপ হ্রাস ও ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার করে চাষকৃত জমি সেচের আওতায় নিয়ে আসা। এছাড়া সমাজের সুবিধাবঞ্চিতদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে লেবার কনটাক্টিং সোসাইটির (এলসিএস) মাধ্যমে স্থানীয় সুবিধাভোগী ৪৪টি এলসিএস সমিতির ১ হাজার ১১৫ সদস্যের অংশ গ্রহণে কাজটি করা হয়েছে। এতে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমি সেচের আওতায় এসেছে। পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমে বিলে জমাকৃত পানি এই খালের মাধ্যমে দ্রুত নিষ্কাশন হবে ফলে জলাবদ্ধতার থেকে রক্ষা পাবে এই এলাকার শত শত হেক্টর জমি। কলামুলা গ্রামের আব্দুর রহমান বলেন, ভদ্রাবতী খালটি খনন করা করায় বর্ষা মৌসুমে বিলে জমাকৃত পানি এই খালের মাধ্যমে দ্রুত নেমে যাবে। ফলে জলাবদ্ধতার থেকে রক্ষা পাবে এই এলাকার শত শত হেক্টর জমি। আবার শুষ্ক মৌসুমে খালের পানি দিয়ে জমি আবাদ করার সুবিধা পাবে এই এলাকার হাজার হাজার কৃষক।
এলসিএস সমিতির সভাপতি লিজা খাতুন ও তৌহিদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় গরীব অস্বচ্ছল মানুষদের দিয়ে কাজ করানো ফলে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে। তারা আরও বলেন, চলনবিলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ভদ্রাবতী খালটি প্রায় ভরাট হয়ে গিয়ে ছিলো। খনন করায় বন্যার পানি যেমন দ্রুত নেমে যাবে সেই সাথে এর দুই পাশের জমি আবাদের জন্য সেচের সুবিধা পাবে কৃষক।
তালম ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম ও বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মজনু মিয়া বলেন, খাল খননে বিলের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে। তেমনি শুষ্ক মৌসুমে খালের পানি ব্যবহার করে জমি আবাদ করার সুবিধা পাবে, অনেকটা উৎপাদন খরচ বাঁচবে এই অঞ্চলের হাজার হাজার কৃষকের। তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. ফজলুল হক বলেন, প্রায় ২৭ মিলোমিটার দৈর্ঘ্য এই খালটি খননের ফলে এলাকার কৃষকদের সেচ সুবিধার পাশাপাশি মৎস্য চাষেরও সুয়োগ সৃষ্টি হবে। ফলে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হবে। সিরাজগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, চলনবিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত অনেক নদী ও খাল প্রায় ভরাট হয়ে গেছে। এর কারণে বন্যার সময় বিল এলাকায় পানি উপচে পড়ছে। কোথাও পানি আটকা পড়ে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। আবার শুষ্ক মৌসুমে সেচের ব্যবস্থা করে বোরোধানসহ নানা ফসল আবাদ করতে হচ্ছে। এই কারণে কৃষক উভয় দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। খালটি খননে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমি সেচের আওতায় এসেছে । শুষ্ক মৌসুমে খালের পানি ব্যবহার করে আবাদ করায় কৃষকের সেচ খরচ বাঁচবে এতে কৃষক লাভবান হবে।