দশমিনা (পটুয়াখালী) : উপজেলার তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে জেলেদের জালে আটকা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ -সংবাদ
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে ইলিশ ধরার ধুম পড়েছে। ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশের দল আটকা পড়ছে জেলেদের জালে। তবে ধরা পড়া এসব ইলিশ আকারে ছোট। তাতেও অখুশি নন জেলেরা। সাধারণত শীতের এই মৌসুমে অলস সময় কাটাতেন জেলেরা। নদীতে তেমন ইলিশ ধরা পড়তো না। তবে চলতি বছর এই মৌসুমে ইলিশ ধরা পড়ায় বেজায় খুশি উপজেলার জেলেরা। এর প্রভাবে দাম কমেছে ইলিশের। এতে খুশি ক্রেতারাও। একাধিক জেলের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, গত কয়েকদিন আগে থেকে তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে ইলিশ ধরা পড়ছে। এই কারণে স্থানীয় বাজারগুলোতে ইলিশের সরবরাহ বেড়ে গেছে। আবার দামও কমেছে। একাধিক জেলেরা জানিয়েছেন, সাধারণত এ সময় বাজারে শীতকালীন মাছের চাহিদা বেশি থাকে, ইলিশের চাহিদা কম থাকে। তারপরও এবছর ইলিশের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম অনেকটাই কমে গেছে। ইলিশের দামের প্রভাব পড়েছে অন্য প্রজাতির মাছেও। এর সুফল পাচ্ছেন ক্রেতারা। বাঁশবাড়িয়ার জেলে শাহ আলম খাঁ বলেন, শীতের সময়ে সাধারণত আমরা নদীতে ইলিশের জাল ফেলিনা।। কারণ এই মৌসুমে ইলিশ ধরা পড়ে না। তবে এ বছর ব্যতিক্রম। এই শীতের মৌসুমে ইলিশের ঝাঁক জালে আটকা পড়ছে। তবে আকারে ছোট। একেকটি ইলিশে এককেজি ওজন। সরবরাহ বেশি থাকায় দামও কিছুটা কম বলে জানান। কাউনিয়ার ইলিশ জেলে সেলিম জানিয়েছেন, এই সময় আমরা অনেকটাই অলস সময় কাটাই। তবে এবার ইলিশ মাছ বেশি ধরা পড়ছে বলে আমরা ব্যস্ত সময় পার করছি। এ কারণে এলাকার ইলিশের মোকামগুলোও এখন জমজমাট। জানা গেছে, উপজেলার বাঁশবাড়িয়ায়, হাজির হাটে, গোলখালী, কাউনিয়ায়, আউলিয়াপুসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ইলিশ সরবারহ বেড়েছে। বর্তমানে সেখানে জেলেদের নৌকা থেকে প্রতিদিন প্রচুর ইলিশ আসছে। এদিকে স্থানীয় হাট বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শীতকালীন অন্য মাছের ভিড়েও ইলিশের দাপট ব্যাপক। শীতকালীন শোল, বোয়াল, কৈ মাছের পাশাপাশি ইলিশের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশ। দামের ক্ষেত্রে কিছুটা নমনীয় বলে ক্রেতাদের ইলিশের প্রতি নজর বেশি। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুব আলম তালুকদার জানান, মৎস্য দপ্তরের তদারকি ও জেলেদের সচেতনসহ সার্বিক সহোযোগিতার ফসল। তবে এই বছর সাগরে বেশি মাছ ধরা পড়ছে। এই সুযোগে যাতে কেউ জাটকা শিকার না করে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। আর হাজিরহাট নৌ পুলিশ পাহারায় রয়েছেন সব সময়। ফলে অসময়েও জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে।
দশমিনা (পটুয়াখালী) : উপজেলার তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে জেলেদের জালে আটকা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ -সংবাদ
বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে ইলিশ ধরার ধুম পড়েছে। ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশের দল আটকা পড়ছে জেলেদের জালে। তবে ধরা পড়া এসব ইলিশ আকারে ছোট। তাতেও অখুশি নন জেলেরা। সাধারণত শীতের এই মৌসুমে অলস সময় কাটাতেন জেলেরা। নদীতে তেমন ইলিশ ধরা পড়তো না। তবে চলতি বছর এই মৌসুমে ইলিশ ধরা পড়ায় বেজায় খুশি উপজেলার জেলেরা। এর প্রভাবে দাম কমেছে ইলিশের। এতে খুশি ক্রেতারাও। একাধিক জেলের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, গত কয়েকদিন আগে থেকে তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে ইলিশ ধরা পড়ছে। এই কারণে স্থানীয় বাজারগুলোতে ইলিশের সরবরাহ বেড়ে গেছে। আবার দামও কমেছে। একাধিক জেলেরা জানিয়েছেন, সাধারণত এ সময় বাজারে শীতকালীন মাছের চাহিদা বেশি থাকে, ইলিশের চাহিদা কম থাকে। তারপরও এবছর ইলিশের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম অনেকটাই কমে গেছে। ইলিশের দামের প্রভাব পড়েছে অন্য প্রজাতির মাছেও। এর সুফল পাচ্ছেন ক্রেতারা। বাঁশবাড়িয়ার জেলে শাহ আলম খাঁ বলেন, শীতের সময়ে সাধারণত আমরা নদীতে ইলিশের জাল ফেলিনা।। কারণ এই মৌসুমে ইলিশ ধরা পড়ে না। তবে এ বছর ব্যতিক্রম। এই শীতের মৌসুমে ইলিশের ঝাঁক জালে আটকা পড়ছে। তবে আকারে ছোট। একেকটি ইলিশে এককেজি ওজন। সরবরাহ বেশি থাকায় দামও কিছুটা কম বলে জানান। কাউনিয়ার ইলিশ জেলে সেলিম জানিয়েছেন, এই সময় আমরা অনেকটাই অলস সময় কাটাই। তবে এবার ইলিশ মাছ বেশি ধরা পড়ছে বলে আমরা ব্যস্ত সময় পার করছি। এ কারণে এলাকার ইলিশের মোকামগুলোও এখন জমজমাট। জানা গেছে, উপজেলার বাঁশবাড়িয়ায়, হাজির হাটে, গোলখালী, কাউনিয়ায়, আউলিয়াপুসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ইলিশ সরবারহ বেড়েছে। বর্তমানে সেখানে জেলেদের নৌকা থেকে প্রতিদিন প্রচুর ইলিশ আসছে। এদিকে স্থানীয় হাট বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শীতকালীন অন্য মাছের ভিড়েও ইলিশের দাপট ব্যাপক। শীতকালীন শোল, বোয়াল, কৈ মাছের পাশাপাশি ইলিশের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশ। দামের ক্ষেত্রে কিছুটা নমনীয় বলে ক্রেতাদের ইলিশের প্রতি নজর বেশি। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুব আলম তালুকদার জানান, মৎস্য দপ্তরের তদারকি ও জেলেদের সচেতনসহ সার্বিক সহোযোগিতার ফসল। তবে এই বছর সাগরে বেশি মাছ ধরা পড়ছে। এই সুযোগে যাতে কেউ জাটকা শিকার না করে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। আর হাজিরহাট নৌ পুলিশ পাহারায় রয়েছেন সব সময়। ফলে অসময়েও জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে।