নৌকার মনোনয়নের নামে টাকা আত্মসাৎ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশিদের জনমত জরীপে এগিয়ে রাখা ও মনোনয়ন পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে অভিনব কৌশলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ৩ সদস্যের এক প্রতারক চক্রকে গ্রেপ্তার করেছে শাহজাদপুর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার বিনোদপুর গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন, তার কথিত স্ত্রী একই থানার নুয়ারনি গ্রামের বাহার মিয়ার মেয়ে তাছলিমা খাতুন ও বেগমগঞ্জ থানার মনপুরা গ্রামের আছান উল্লাহ ছেলে ফয়জুল্লাহ । গ্রেপ্তারকৃতরা নিজেদের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ প্রতিনিধি এবং মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এদিকে, গত মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত প্রতারক চক্রের মূল হোতা জাহাঙ্গীর হোসেন ও তাছলিমা খাতুনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং অপর আসামি গাড়ির চালক ফয়জুল্লাহকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। থানা পুলিশ ও মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার ওই প্রতারক চক্র স্থানীয় এমপি প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতাকে মোবাইল ফোনে জানায়, তারা নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীদের জনমত জরিপের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এসেছেন। কিন্তু এমপি একটি প্রোগ্রামে ব্যস্ত থাকায় তিনি বিষয়টি দেখার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও গাড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামকে দায়িত্ব দেন। একপর্যায়ে প্রতারক চক্র ইউপি চেয়ারম্যানের সাইফুলের সঙ্গে সাক্ষাত করে জরিপে তার প্রার্থীকে এগিয়ে রাখার আশ্বাস দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে নগদ ৯০ হাজার টাকা এবং বিকাশের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। একই দিন বিকেলে প্রতারক চক্র চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামসহ উপজেলার ৯ জন ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে পৌরএলাকার গ্রান্ড চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে বসেন। এসময় ওই চক্রের সদস্যরা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিশ্চিত করার শর্তে চেয়ারম্যানদের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। একপর্যায়ে তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে চেয়ারম্যান সাইফুল কৌশলে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রতারক চক্রের মূল হোতা জাহাঙ্গীরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এসময় ওই চক্রের অপর দুই সদস্য তাসলিমা খাতুন ও ফয়জুল্লাহ কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে চেয়ারম্যান সাইফুল বাদি হয়ে ওই ৩ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার দিবাগত ভোর ৪ টায় পাবনা জেলার ঈশ্বরদী লালন সেতুর টোল প্লাজা সংলগ্ন রূপপুর মোড় থকে তাসলিমা ও ফয়জুল্লাহকে আটক করে।
নৌকার মনোনয়নের নামে টাকা আত্মসাৎ
বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশিদের জনমত জরীপে এগিয়ে রাখা ও মনোনয়ন পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে অভিনব কৌশলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ৩ সদস্যের এক প্রতারক চক্রকে গ্রেপ্তার করেছে শাহজাদপুর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার বিনোদপুর গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন, তার কথিত স্ত্রী একই থানার নুয়ারনি গ্রামের বাহার মিয়ার মেয়ে তাছলিমা খাতুন ও বেগমগঞ্জ থানার মনপুরা গ্রামের আছান উল্লাহ ছেলে ফয়জুল্লাহ । গ্রেপ্তারকৃতরা নিজেদের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ প্রতিনিধি এবং মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এদিকে, গত মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত প্রতারক চক্রের মূল হোতা জাহাঙ্গীর হোসেন ও তাছলিমা খাতুনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং অপর আসামি গাড়ির চালক ফয়জুল্লাহকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। থানা পুলিশ ও মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার ওই প্রতারক চক্র স্থানীয় এমপি প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতাকে মোবাইল ফোনে জানায়, তারা নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীদের জনমত জরিপের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এসেছেন। কিন্তু এমপি একটি প্রোগ্রামে ব্যস্ত থাকায় তিনি বিষয়টি দেখার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও গাড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামকে দায়িত্ব দেন। একপর্যায়ে প্রতারক চক্র ইউপি চেয়ারম্যানের সাইফুলের সঙ্গে সাক্ষাত করে জরিপে তার প্রার্থীকে এগিয়ে রাখার আশ্বাস দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে নগদ ৯০ হাজার টাকা এবং বিকাশের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। একই দিন বিকেলে প্রতারক চক্র চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামসহ উপজেলার ৯ জন ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে পৌরএলাকার গ্রান্ড চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে বসেন। এসময় ওই চক্রের সদস্যরা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিশ্চিত করার শর্তে চেয়ারম্যানদের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। একপর্যায়ে তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে চেয়ারম্যান সাইফুল কৌশলে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রতারক চক্রের মূল হোতা জাহাঙ্গীরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এসময় ওই চক্রের অপর দুই সদস্য তাসলিমা খাতুন ও ফয়জুল্লাহ কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে চেয়ারম্যান সাইফুল বাদি হয়ে ওই ৩ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার দিবাগত ভোর ৪ টায় পাবনা জেলার ঈশ্বরদী লালন সেতুর টোল প্লাজা সংলগ্ন রূপপুর মোড় থকে তাসলিমা ও ফয়জুল্লাহকে আটক করে।