বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) : ১৮ পরিবারের দুর্ভোগের রাস্তা চিত্র -সংবাদ
পূর্বপুরুষের চলাচলের পথ হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়নের জোটপুকুর পাড় এলাকার ১৮ পরিবার। সেই পথ পুনরুদ্বারের জন্য ঘুরছেন স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে।
পোপাদিয়ার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দাশ পাড়ায় যাতায়াতের পথ নেই বললেই চলে। ফলে সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠান হয় না দীর্ঘ তিন দশক ধরে। বাড়ির অসুস্থ লোকজন ও স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা বন্ধুরপথ পাড়ি দিয়ে আসা যাওয়া করেন।
জানা গেছে, আবহমান কাল ধরে বাড়ির সামনের একটি পুকুরের পশ্চিম পাড় দিয়ে যাতায়াত করতেন দাশ পাড়ার লোকজন। সড়কটি সরকারি ১নং খতিয়ানে ৪৮৪২ দাগে ১২ শতক ও ৪৮৬৪ দাগে ৪ শতক জায়গা পথ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। ১৯৭৮ সালে সেই পুকুরপাড়টি এক ব্যক্তি দখলে নিয়ে পুকুরটির পূর্ব পাড় দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেন। তাও কালক্রমে ভেঙে পড়েছে সংস্কারের অভাবে। ফলে পথহারা হয়ে পড়েছে দাশ পাড়ার ১৮ পরিবার।
এ নিয়ে ২০১৫ সাল থেকে পথ পুনরুদ্ধারে পোপাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছে লিখিত আবেদন দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দাশ পাড়ার প্রদীপ কান্তি দাশগুপ্ত।
তিনি বলেন, পুকুরের পশ্চিম পাড় দিয়ে পাড়ার লোকজন যাতায়াত করতো যুগ যুগ ধরে। ওই পাড়ের বাসিন্দা উমেশ চন্দ্র দাশ তার সমুদয় সম্পত্তি বিক্রি করে দেন। তা কয়েক হাত বদল হওয়ার পর ওই জায়গা কিনে নেন মো. ইসহাক নামের এক ব্যক্তি। তিনি পশ্চিম পাড়ের পরিবর্তে পূর্ব পাড় দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করে দেন। এ বিষয়ে একটি চুক্তিও হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। তিনি এখন বেঁচে নেই। এরপরবর্তী সময়ে কালক্রমে পূর্ব পাড়টি চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। চলাচলের পশ্চিম পাড়ের এ পথটি সরকারি পথ হিসেবে উল্লেখ থাকার পরও চলাচল পথটি ঘিরে রেখেছে ওই ব্যক্তি। এছাড়া যে পুকুর ও পুকুর পাড় রয়েছে সেখানেও আমাদের অংশ রয়েছে। সরকারি পথ ও পুকুরের অংশ থাকার পরও আমরা অসহায়। প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো সুরাহা পাচ্ছি না। ফলে এখন আমরা পথহারা।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম জসিম উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দাশ পাড়ার লোকজন চলাচলের কষ্টে রয়েছেন। তাদের সমস্যাটি সমাধানে বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এরপরও বিষয়টির কোনো সুরাহা হলো না।
বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) : ১৮ পরিবারের দুর্ভোগের রাস্তা চিত্র -সংবাদ
বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩
পূর্বপুরুষের চলাচলের পথ হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়নের জোটপুকুর পাড় এলাকার ১৮ পরিবার। সেই পথ পুনরুদ্বারের জন্য ঘুরছেন স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে।
পোপাদিয়ার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দাশ পাড়ায় যাতায়াতের পথ নেই বললেই চলে। ফলে সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠান হয় না দীর্ঘ তিন দশক ধরে। বাড়ির অসুস্থ লোকজন ও স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা বন্ধুরপথ পাড়ি দিয়ে আসা যাওয়া করেন।
জানা গেছে, আবহমান কাল ধরে বাড়ির সামনের একটি পুকুরের পশ্চিম পাড় দিয়ে যাতায়াত করতেন দাশ পাড়ার লোকজন। সড়কটি সরকারি ১নং খতিয়ানে ৪৮৪২ দাগে ১২ শতক ও ৪৮৬৪ দাগে ৪ শতক জায়গা পথ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। ১৯৭৮ সালে সেই পুকুরপাড়টি এক ব্যক্তি দখলে নিয়ে পুকুরটির পূর্ব পাড় দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেন। তাও কালক্রমে ভেঙে পড়েছে সংস্কারের অভাবে। ফলে পথহারা হয়ে পড়েছে দাশ পাড়ার ১৮ পরিবার।
এ নিয়ে ২০১৫ সাল থেকে পথ পুনরুদ্ধারে পোপাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছে লিখিত আবেদন দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দাশ পাড়ার প্রদীপ কান্তি দাশগুপ্ত।
তিনি বলেন, পুকুরের পশ্চিম পাড় দিয়ে পাড়ার লোকজন যাতায়াত করতো যুগ যুগ ধরে। ওই পাড়ের বাসিন্দা উমেশ চন্দ্র দাশ তার সমুদয় সম্পত্তি বিক্রি করে দেন। তা কয়েক হাত বদল হওয়ার পর ওই জায়গা কিনে নেন মো. ইসহাক নামের এক ব্যক্তি। তিনি পশ্চিম পাড়ের পরিবর্তে পূর্ব পাড় দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করে দেন। এ বিষয়ে একটি চুক্তিও হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। তিনি এখন বেঁচে নেই। এরপরবর্তী সময়ে কালক্রমে পূর্ব পাড়টি চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। চলাচলের পশ্চিম পাড়ের এ পথটি সরকারি পথ হিসেবে উল্লেখ থাকার পরও চলাচল পথটি ঘিরে রেখেছে ওই ব্যক্তি। এছাড়া যে পুকুর ও পুকুর পাড় রয়েছে সেখানেও আমাদের অংশ রয়েছে। সরকারি পথ ও পুকুরের অংশ থাকার পরও আমরা অসহায়। প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো সুরাহা পাচ্ছি না। ফলে এখন আমরা পথহারা।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম জসিম উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দাশ পাড়ার লোকজন চলাচলের কষ্টে রয়েছেন। তাদের সমস্যাটি সমাধানে বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এরপরও বিষয়টির কোনো সুরাহা হলো না।