ভোলার লালমোহন উপজেলায় এক ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে
বোমা বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন।
নিহত ৪৭ বছর বয়সী মো. মনির বয়াতি জনতা বাজার এলাকার তালেব আলীর ছেলে। আর আহত ৩৫ বছরের মো. ফিরোজ ওই এলাকারই অজিউল্লাহ মাঝির ছেলে। ফিরোজকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের জনতা বাজারসংলগ্ন আজাহার মাঝির বাড়িতে সোমবার রাত ১২টার এ ঘটনা ঘটে বলে লালমোহন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার জানান।
৬৫ বছর বয়সী আজহারুলের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম ওরফে জয় ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে। বিস্ফোরণটি শরিফুলের ঘরে ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন আজহারুল।
নিহত মনির বয়াতি এলাকায় ‘বোমার কারিগর’ হিসেবে পরিচিত বলে ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সালাউদ্দিন জানান।
বাড়ির মালিক আজহারুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, সোমবার রাত ১২টার বোমা বিস্ফোরণের শব্দে তার ঘুম ভেঙে যায়। উঠে দেখেন, তার ছেলে শরিফুলের ঘরের চাল ও বেড়া উড়ে গেছে। ঘরের লোকজন দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করছিলেন। ছেলেরা তখন বাজারে ছিল। তিনি ধোঁয়ার কারণে ভালোভাবে কিছু দেখতে পারছিলেন না। ধোঁয়া কমে গেলে মনির বয়াতি ও ফিরোজকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ করা হলে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. মহসিন বলেন, “মঙ্গলবার ভোর ৪টার পুলিশ বোমা বিস্ফোরণে নিহত এক ব্যক্তিকে নিয়ে এসেছিল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হতে। সেটি জানার পর পুলিশ লাশ নিয়ে যায়।”
বোমা বানাতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে কি-না জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহিদুজ্জামান বলেন, “বোমা বানাতে গিয়ে, নাকি কেউ বোমা ছুঁড়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তা এখন বলা যাচ্ছে না। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করছে।”
এদিকে ঘটনাস্থল থেকে বোমার আলামত জব্দ করা হয়েছে জানিয়ে লালমোহন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে মামলা দায়ের করবেন তারা।
ঘটনার পর থেকে ছাত্রলীগ নেতা শরিফুলের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া তার বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি পুলিশও।
মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩
ভোলার লালমোহন উপজেলায় এক ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে
বোমা বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন।
নিহত ৪৭ বছর বয়সী মো. মনির বয়াতি জনতা বাজার এলাকার তালেব আলীর ছেলে। আর আহত ৩৫ বছরের মো. ফিরোজ ওই এলাকারই অজিউল্লাহ মাঝির ছেলে। ফিরোজকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের জনতা বাজারসংলগ্ন আজাহার মাঝির বাড়িতে সোমবার রাত ১২টার এ ঘটনা ঘটে বলে লালমোহন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার জানান।
৬৫ বছর বয়সী আজহারুলের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম ওরফে জয় ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে। বিস্ফোরণটি শরিফুলের ঘরে ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন আজহারুল।
নিহত মনির বয়াতি এলাকায় ‘বোমার কারিগর’ হিসেবে পরিচিত বলে ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সালাউদ্দিন জানান।
বাড়ির মালিক আজহারুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, সোমবার রাত ১২টার বোমা বিস্ফোরণের শব্দে তার ঘুম ভেঙে যায়। উঠে দেখেন, তার ছেলে শরিফুলের ঘরের চাল ও বেড়া উড়ে গেছে। ঘরের লোকজন দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করছিলেন। ছেলেরা তখন বাজারে ছিল। তিনি ধোঁয়ার কারণে ভালোভাবে কিছু দেখতে পারছিলেন না। ধোঁয়া কমে গেলে মনির বয়াতি ও ফিরোজকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ করা হলে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. মহসিন বলেন, “মঙ্গলবার ভোর ৪টার পুলিশ বোমা বিস্ফোরণে নিহত এক ব্যক্তিকে নিয়ে এসেছিল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হতে। সেটি জানার পর পুলিশ লাশ নিয়ে যায়।”
বোমা বানাতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে কি-না জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহিদুজ্জামান বলেন, “বোমা বানাতে গিয়ে, নাকি কেউ বোমা ছুঁড়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তা এখন বলা যাচ্ছে না। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করছে।”
এদিকে ঘটনাস্থল থেকে বোমার আলামত জব্দ করা হয়েছে জানিয়ে লালমোহন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে মামলা দায়ের করবেন তারা।
ঘটনার পর থেকে ছাত্রলীগ নেতা শরিফুলের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া তার বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি পুলিশও।