মধুপুর (টাঙ্গাইল) : ওয়ানগালা উৎসবে নৃত্য করছেন গারো নারী-পুরুষ -সংবাদ
মধুপুর আবিমা অঞ্চলে এক সময় গারো সম্প্রদায়ের লোকেরা জুম চাষ করতো। ব্রক্ষপুত্র নদের পশ্চিম দক্ষিণ অংশকে আবিমা আর পূর্ব উত্তর অংশকে আপাল বলে অভিহিত করতো। আবিমা হলো মাটির মা বা মা মাটি। মধুপুর অঞ্চলে জুমের ফসল ভালো হতো বলে এ এলাকাকে আবিমা বলা হতো।
সাংসারেক গারোদের বিশ্বাস মতে, নতুন ফসল ঘরে তোলার আগে তাদের শস্য দেবতাকে উৎসর্গ করে থাকে। তাদের শস্য দেবতার নাম মিসি শালজং। নতুন ফসল ঘরে তোলার আগে কৃষি ফসল তাদের দেবতারকে উৎসর্গ করলে মঙ্গল হবে। সে জন্য তারা প্রতিবছর এ সময়ে ওয়ানগালা উৎসব করে থাকে। তারই ধরাবাহিকতায় আদি সাংসারেক গারো সম্প্রদায়ের ইতিহাস ঐতিহ্য কৃষ্টি সংস্কৃতির আবিমা ওয়ানগালা উৎসব করেছে টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ের বসবাসরত গারো সম্প্রদায়ের লোকেরা। এ উৎসবটি তাদের নবান্ন উৎসব। গারোদের শস্য দেবতা মিসি শালজংকে নতুন ফসল উৎসর্গের পর নতুন ফসল ঘরে তোলে। তারপর ফসল খেয়ে থাকে। এতে তাদের মঙ্গল হয়। এ মন্ত্র থেকে বংশ পরম্পরায় তারা ওয়ানগালা উৎসব পালন করে আসছে। প্রতি বছর অক্টোবর নভেম্বর মাসে উৎসবটি করে থাকে।
গতকাল রোববার ব্যাপী ওয়ানগালার আয়োজন করে জলছত্র কর্পোস খ্রীষ্টি মিশন। ওয়ানগালায় সকালে তাদের সাংসারেক পুরোহিত রো- গালার মধ্যে দিয়ে ওয়ানগালার পর্ব শুরু করে। পরে আবিমার মধুপুর এলাকার উৎপাদিত কৃষি ফসল কুমড়া, লাউ,ধান,আলুসহ নানা ফসল তাদের শস্য দেবতাকে পূজার মাধ্যমে মন্ত্র পড়ে উৎসর্গ করে, এসময় গারো নারীরা সেরেজিং পরিবেশন করে। মিশা শেষে পরে বিভিন্ন গ্রামর নারী শিশু দল তাদের বৈচিত্র্যময় পোষাক পড়ে সাংস্কৃতিক পর্বে মান্দি নৃত্য পরিবেশন করে। ওয়ানগালায় গারোদের উৎপাদিত কৃষি ফসল নিয়ে নানা বয়সী নারী পুরুষেরা অংশ গ্রহন করে।
ওয়ানগালার শুভ উদ্ভোধন করেন মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমীন।
মধুপুর (টাঙ্গাইল) : ওয়ানগালা উৎসবে নৃত্য করছেন গারো নারী-পুরুষ -সংবাদ
রোববার, ২৬ নভেম্বর ২০২৩
মধুপুর আবিমা অঞ্চলে এক সময় গারো সম্প্রদায়ের লোকেরা জুম চাষ করতো। ব্রক্ষপুত্র নদের পশ্চিম দক্ষিণ অংশকে আবিমা আর পূর্ব উত্তর অংশকে আপাল বলে অভিহিত করতো। আবিমা হলো মাটির মা বা মা মাটি। মধুপুর অঞ্চলে জুমের ফসল ভালো হতো বলে এ এলাকাকে আবিমা বলা হতো।
সাংসারেক গারোদের বিশ্বাস মতে, নতুন ফসল ঘরে তোলার আগে তাদের শস্য দেবতাকে উৎসর্গ করে থাকে। তাদের শস্য দেবতার নাম মিসি শালজং। নতুন ফসল ঘরে তোলার আগে কৃষি ফসল তাদের দেবতারকে উৎসর্গ করলে মঙ্গল হবে। সে জন্য তারা প্রতিবছর এ সময়ে ওয়ানগালা উৎসব করে থাকে। তারই ধরাবাহিকতায় আদি সাংসারেক গারো সম্প্রদায়ের ইতিহাস ঐতিহ্য কৃষ্টি সংস্কৃতির আবিমা ওয়ানগালা উৎসব করেছে টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ের বসবাসরত গারো সম্প্রদায়ের লোকেরা। এ উৎসবটি তাদের নবান্ন উৎসব। গারোদের শস্য দেবতা মিসি শালজংকে নতুন ফসল উৎসর্গের পর নতুন ফসল ঘরে তোলে। তারপর ফসল খেয়ে থাকে। এতে তাদের মঙ্গল হয়। এ মন্ত্র থেকে বংশ পরম্পরায় তারা ওয়ানগালা উৎসব পালন করে আসছে। প্রতি বছর অক্টোবর নভেম্বর মাসে উৎসবটি করে থাকে।
গতকাল রোববার ব্যাপী ওয়ানগালার আয়োজন করে জলছত্র কর্পোস খ্রীষ্টি মিশন। ওয়ানগালায় সকালে তাদের সাংসারেক পুরোহিত রো- গালার মধ্যে দিয়ে ওয়ানগালার পর্ব শুরু করে। পরে আবিমার মধুপুর এলাকার উৎপাদিত কৃষি ফসল কুমড়া, লাউ,ধান,আলুসহ নানা ফসল তাদের শস্য দেবতাকে পূজার মাধ্যমে মন্ত্র পড়ে উৎসর্গ করে, এসময় গারো নারীরা সেরেজিং পরিবেশন করে। মিশা শেষে পরে বিভিন্ন গ্রামর নারী শিশু দল তাদের বৈচিত্র্যময় পোষাক পড়ে সাংস্কৃতিক পর্বে মান্দি নৃত্য পরিবেশন করে। ওয়ানগালায় গারোদের উৎপাদিত কৃষি ফসল নিয়ে নানা বয়সী নারী পুরুষেরা অংশ গ্রহন করে।
ওয়ানগালার শুভ উদ্ভোধন করেন মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমীন।