চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় এবছর গ্রীস্মকালীন আগাম বারী ৫ জাতের পেঁয়াজ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। পেঁয়াজ বীজের দাম একটু বেশি হলেও ফলন ভালো ও বাজার দর ভালো হওয়ায় পেঁয়াজ চাষীদেও মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে। তারা খেত থেকে পেঁয়াজ ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন
দামুড়হুদা কৃষি অফিসের তথ্য মতে এ বছর উপজেলায় ১২৩০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৪৮০বিঘা জমিতে এন ৫৩ ও ৭৫০বিঘা জমিতে বারী ৫ জাতের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার কুতুবপুর, হুদাপাড়া, শিবনগর, হরিরামপুর সবচেয়ে বেশী পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। ইতোমধ্যে আগাম বারী ৫জাতের পেঁয়াজ তোলা শুরু হয়েছে। দিন দশকের মধ্যে এন ৫৩ জাতের পেঁয়াজ তোলা শুরু হবে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার বারী ৫ জাতের ফলন বিঘা প্রতি ৮০ থেকে ৯০ মন পর্যন্ত ফলন আশা করা হচ্ছে।
উপজেলার কুনিয়া চাঁদপুর গ্রমের কৃষক পেঁয়াজ চাষী আহসান হাবিব বলেন, তিনি উপজেলার ওয়েভ ফাউন্ডেশন থেকে বারী ৫ জাতের বীজ কিনে চারা তৈরি করে কোমরপুর-কুঁনিয়াচাদপুর মাঠে ১ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন। স্বল্পদিনের (৮৫ দিনের) এই ফসলে তার খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। তার পেঁয়াজ তোলা শেষ হয়েছে ফলন খুবই ভালো হয়েছে। তিনি আশা করছেন তার এক বিঘা জমিতে ৮৫ থেকে ৯০ মণ পেঁয়াজ হবে। খুলনার ভৈরব বাজারের আড়তে ৪ হাজার টাকা মণ দাম দাম ঠিক হয়েছে। এমন দাম থাকলে তার তিন থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারবেন। এতে তার সবাই খরচ বাদ দিয়ে প্রায় তিন লাখ টাকা লাভ হবে। দামুড়হুদা বাজারের খুরচা ব্যবসায়ী সামসুল বলেন, বাজারের পেঁয়াজের ব্যাপক চাহিদা থাকে সারাবছরই । দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার অভিজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, এ সময় আমাদের দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। বারী ৫ জাতের আবাদ খুবই কম সময়ের ফসল ফলন ও ভালো। কৃষকদের এই আবাদে আগ্রহ বাড়ছে। গ্রীস্মকালীন এই জাতের পেঁয়াজের আবাদ বৃদ্ধি পেলে অনেকটা চাহিদা পুরন হবে সেই সঙ্গে আমদানি নির্ভরতা অনেকটাই কমে আসবে।
মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় এবছর গ্রীস্মকালীন আগাম বারী ৫ জাতের পেঁয়াজ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। পেঁয়াজ বীজের দাম একটু বেশি হলেও ফলন ভালো ও বাজার দর ভালো হওয়ায় পেঁয়াজ চাষীদেও মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে। তারা খেত থেকে পেঁয়াজ ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন
দামুড়হুদা কৃষি অফিসের তথ্য মতে এ বছর উপজেলায় ১২৩০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৪৮০বিঘা জমিতে এন ৫৩ ও ৭৫০বিঘা জমিতে বারী ৫ জাতের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার কুতুবপুর, হুদাপাড়া, শিবনগর, হরিরামপুর সবচেয়ে বেশী পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। ইতোমধ্যে আগাম বারী ৫জাতের পেঁয়াজ তোলা শুরু হয়েছে। দিন দশকের মধ্যে এন ৫৩ জাতের পেঁয়াজ তোলা শুরু হবে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার বারী ৫ জাতের ফলন বিঘা প্রতি ৮০ থেকে ৯০ মন পর্যন্ত ফলন আশা করা হচ্ছে।
উপজেলার কুনিয়া চাঁদপুর গ্রমের কৃষক পেঁয়াজ চাষী আহসান হাবিব বলেন, তিনি উপজেলার ওয়েভ ফাউন্ডেশন থেকে বারী ৫ জাতের বীজ কিনে চারা তৈরি করে কোমরপুর-কুঁনিয়াচাদপুর মাঠে ১ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন। স্বল্পদিনের (৮৫ দিনের) এই ফসলে তার খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। তার পেঁয়াজ তোলা শেষ হয়েছে ফলন খুবই ভালো হয়েছে। তিনি আশা করছেন তার এক বিঘা জমিতে ৮৫ থেকে ৯০ মণ পেঁয়াজ হবে। খুলনার ভৈরব বাজারের আড়তে ৪ হাজার টাকা মণ দাম দাম ঠিক হয়েছে। এমন দাম থাকলে তার তিন থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারবেন। এতে তার সবাই খরচ বাদ দিয়ে প্রায় তিন লাখ টাকা লাভ হবে। দামুড়হুদা বাজারের খুরচা ব্যবসায়ী সামসুল বলেন, বাজারের পেঁয়াজের ব্যাপক চাহিদা থাকে সারাবছরই । দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার অভিজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, এ সময় আমাদের দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। বারী ৫ জাতের আবাদ খুবই কম সময়ের ফসল ফলন ও ভালো। কৃষকদের এই আবাদে আগ্রহ বাড়ছে। গ্রীস্মকালীন এই জাতের পেঁয়াজের আবাদ বৃদ্ধি পেলে অনেকটা চাহিদা পুরন হবে সেই সঙ্গে আমদানি নির্ভরতা অনেকটাই কমে আসবে।