alt

সারাদেশ

নামমাত্র মূল্যে বিক্রি বন বিভাগের গাছ

প্রতিনিধি, গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) : বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) : উপজেলার করিমখাঁ এলাকায় কর্তন করা বননিভাগের গাছ -সংবাদ

মরা ও ঝুঁঁকিপূর্ণ বিবেচনায় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৪৬টি গাছ নামমাত্র দামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অল্প টাকায় গাছ বিক্রি করার কারণে কাঙ্খিত পারিশ্রমিক না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেক উপকারভোগী।

জানা যায়, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করা হয়। সম্প্রতি বাউশিয়া, ভবেরচর, ইমামপুর, ভাটেরচর, বালুয়াকান্দি এলাকার ৪৬টি গাছ মরা এবং ঝুঁঁকিপূর্ণ দেখিয়ে ১লাখ ৪৭ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়েছে। প্রতিটি গাছের গড় দাম পড়েছে মাত্র ৩১৯৫ টাকা। ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী এসব গাছ যে দামে বিক্রি করা হয়েছে তার বর্তমান বাজার মূল্যের চাইতে অনেক কম। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুধুমাত্র ভবেরচর কালীতলা ব্রাক অফিস থেকে করিমখাঁ গ্রাম পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তায় ১৮টি গাছ মরা দেখিয়ে বিক্রি করা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি এখানে মাত্র চারটি গাছ মরা ছিল। উপজেলা বন কর্মকর্তা শুধুমাত্র গাছগুলো বিক্রি করার জন্য মরা দেখিয়েছেন। সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির জন্য উপজেলা যে কয়েকটি সমিতি রয়েছে সেগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায় ২০১৪ সালের পর যতগুলো সমিতি গঠন করা হয়েছে তার অধিকাংশ গুলোতেই উপজেলা বন কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন। করিমখাঁ গ্রামের বাসিন্দা উপকারভোগী মোহাম্মদ আলী বলেন, আমার স্ত্রী ফাহিমা বেগম এই সমিতির সদস্য ছিল। তিনি মারা যাওয়ার পর এখন আমি সদস্য হয়েছি। গাছগুলো পরিচর্যা করে বড় করেছি। গত দুই সপ্তাহ আগে আমাদের এই এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। বিষয়টি আমরা কিছুই জানতাম না, গাছ কাটার ব্যাপারে আমাদের অবগত করা হয়নি। উপজেলা বন বিভাগ অফিসে যোগাযোগ করার পরে লভ্যাংশ পাওয়ার জন্য আমাদের আবেদন করতে বলা হয়েছে। তবে এই গাছগুলো যে দামে বিক্রি করা হয়েছে তাতে আমরা অবাক হয়েছি। এক একটি গাছের বাজার মূল্য ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা হওয়ার কথা। অন্তত তিনগুণ কম দামে কাজগুলো বিক্রি করা হয়েছে।

আরেক উপকারভোগী সুফিয়া বেগম বলেন, গাছগুলো অনেক কম দামে বিক্রি করা হয়েছে এতে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। বেশি টাকায় বিক্রি করলে আমরা বেশি টাকা পেতাম। স্থানীয় বাসিন্দা শামীম আহমেদ বাঘ বলেন, সম্প্রতি এই গাছগুলোর চেয়ে আকারে ছোট আমার বাড়ির তিনটি গাছ আমি ৩২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। সে হিসেবে এই গাছগুলোর একেকটির দাম ১৫ হাজার টাকা করা হওয়া উচিত। শুনেছি গাছগুলো অনেক কম দামে বিক্রি করা হয়েছে।

ইমামপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মো. জাকারিয়া বলেন,’ আমি গাছগুলো লাগাতে দেখেছি। গাছগুলোর বয়স প্রায় ৩০ বছর। কাজগুলো যে দামে বিক্রি করা হয়েছে তা বর্তমান বাজার মূল্যের চাইতে অনেক কম। শুনছি ফরেস্টার ভাতিজা মোস্তফা গাছগুলো কেটে নিয়ে গেছে। আমার স্ত্রীও সমিতির সদস্য ছিল। কম দামের গাছ বিক্রি করায় তিনি অসন্তুষ্ট।

বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান শফি বলেন, আমি বয়স্ক মানুষ আমার পক্ষে কাছে উঠে গাছ মেপে এস্টিমেট প্রস্তুত করা সম্ভব নয়। আমি চোখের আন্দাজ আমার অভিজ্ঞতার আলোকে প্রাক্কলন প্রস্তুত করেছি। নির্দিষ্ট সকল প্রক্রিয়া মেনে টেন্ডার করে গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে। আমি কাঠ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিতে কাঠের পরিমাণ কম দেখেছি এরকম অভিযোগ সত্য নয়। যারা বলছে আমি তার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় আমার আত্মীয়-স্বজনদের সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির উপকারভোগী সমিতির সদস্য বানিয়েছি তাদের এই অভিযোগও সঠিক নয়। রাস্তার ধারে বাড়ি এমন ব্যক্তি এবং গরিব দুস্থদের এই সমিতির সদস্য করা হয়েছে। গাছগুলো ভ্যাটসহ ১ লাখ ৬৯ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।

ভ্যাট ছাড়া ১ লাখ ৪৭হাজার টাকার মত দাম আসে যার ৫৫ শতাংশ উপকারভোগীরা পাবে।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমাকে অবগত করা হয়নি। সাম্প্রতিক বেশ কয়েকজন গাছ বিক্রিতে অনিয়ম হয়েছে এরকম অভিযোগের কথা আমাকে জানিয়েছে। গাছগুলো যে দামে বিক্রি করা হয়েছে তাতে আমিও অবাক হয়েছি।

বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো’।

মুন্সীগঞ্জ সামাজিক বনায়ন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। গাছগুলো কেটে বিক্রি করে ফেলা হয়েছে তবে ছবিতে যা দেখেছি গাছগুলোর এক একটি বাজার মূল্য ৮-১০ হাজার টাকা হওয়ার কথা। গাছ বিক্রিতে কোন অনিয়ম হয়েছে কিনা বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো।

ছবি

মাদারীপুরে নিখোঁজের ১১ দিন পর নদী থেকে যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

ছবি

যশোরে শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা, অভিযোগ স্ত্রীর সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে

বিএনপিকে দলীয় চাঁদাবাজি ও খুনাখুনির রাজনীতি বন্ধ করতে হবে: হেফাজতে ইসলাম

সোহাগ হত্যার প্রতিবাদ চার সংগঠনের

ছবি

স্ত্রীকে কুপিয়ে ১১ টুকরো হত্যা, পালিয়ে গিয়ে ধরা খেলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়

ভিডিও ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে তরুণীকে একাধিক ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল ইজিবাইক চালকের

এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে ফেল, শিক্ষার্থীর মাথায় হাত ভোলার তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল

নৌকাডুবির ঘটনায় দুই বোনের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

মধুপুরে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি চারা নিয়ে বিপাকে নার্সারি ব্যবসায়ীরা

স্মৃতিস্তম্ভ না হওয়ায় মানববন্ধন

কালীগঞ্জে জাতীয় পার্টির গোলটেবিল বৈঠক

মাদারগঞ্জে মিষ্টির দোকানে ভিড়

ছবি

লক্ষ্মীপুরে ১ বছরে পানিতে ডুবে ১২৫ শিশুর মৃত্যু

কুষ্টিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বাড়িতে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ

মাদারগঞ্জ হাসপাতালে সেবার পরিবর্তে ময়লার স্তূপ

নবাবগঞ্জে পানিতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

বোরহানউদ্দিনে রাস্তায় ধান রোপণ করে প্রতিবাদ

দোয়ারাবাজার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

শেরপুরে নাশকতার মামলায় মাদ্রাসা সুপার গ্রেপ্তার

ছবি

খাগড়াছড়ির শহরের বাইরের স্কুলেই বাজিমাত, পাসের হার ৬০.৪৯%

বামনায় নৌবাহিনীর অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২

মাদ্রাসার মসজিদ থেকে শিশুশিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

ছবি

বৃষ্টিতে উপকৃত পাট চাষিরা সবজিতে বিপর্যয়

হবিগঞ্জে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় সাংবাদিকসহ আসামি ১৩৫

চাঁদপুরে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার

হত্যাকাণ্ড এবং চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বেরোবিতে বিক্ষোভ

ছবি

শেরপুর পৌর শহরে সড়কের বেহাল দশায় জনদুর্ভোগ

ছবি

দশমিনায় ১টি স্কুলে কেউ পাস করেনি

ছবি

নির্বিচারে নিধন হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা মা মাছ

ছবি

ভাঙ্গুড়ায় ইউএনওর স্বেচ্ছাচারিতায় ও অনিয়মে প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিযোগ

ঋণের টাকা না পেয়ে ঋণগ্রহিতাকে অন্ধকারে তালাবদ্ধ করে রাখলেন বিআরডিবির মাঠকর্মী

রাউজানে ডায়াবেটিস সচেতনতায় বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা

পঞ্চগড়ে বিসিক নগর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ দেলদার রহমান কারাগারে

ঝিকরগাছায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিতকরণে সচেতনতামূলক সভা

tab

সারাদেশ

নামমাত্র মূল্যে বিক্রি বন বিভাগের গাছ

প্রতিনিধি, গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ)

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) : উপজেলার করিমখাঁ এলাকায় কর্তন করা বননিভাগের গাছ -সংবাদ

বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

মরা ও ঝুঁঁকিপূর্ণ বিবেচনায় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৪৬টি গাছ নামমাত্র দামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অল্প টাকায় গাছ বিক্রি করার কারণে কাঙ্খিত পারিশ্রমিক না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেক উপকারভোগী।

জানা যায়, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করা হয়। সম্প্রতি বাউশিয়া, ভবেরচর, ইমামপুর, ভাটেরচর, বালুয়াকান্দি এলাকার ৪৬টি গাছ মরা এবং ঝুঁঁকিপূর্ণ দেখিয়ে ১লাখ ৪৭ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়েছে। প্রতিটি গাছের গড় দাম পড়েছে মাত্র ৩১৯৫ টাকা। ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী এসব গাছ যে দামে বিক্রি করা হয়েছে তার বর্তমান বাজার মূল্যের চাইতে অনেক কম। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুধুমাত্র ভবেরচর কালীতলা ব্রাক অফিস থেকে করিমখাঁ গ্রাম পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তায় ১৮টি গাছ মরা দেখিয়ে বিক্রি করা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি এখানে মাত্র চারটি গাছ মরা ছিল। উপজেলা বন কর্মকর্তা শুধুমাত্র গাছগুলো বিক্রি করার জন্য মরা দেখিয়েছেন। সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির জন্য উপজেলা যে কয়েকটি সমিতি রয়েছে সেগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায় ২০১৪ সালের পর যতগুলো সমিতি গঠন করা হয়েছে তার অধিকাংশ গুলোতেই উপজেলা বন কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন। করিমখাঁ গ্রামের বাসিন্দা উপকারভোগী মোহাম্মদ আলী বলেন, আমার স্ত্রী ফাহিমা বেগম এই সমিতির সদস্য ছিল। তিনি মারা যাওয়ার পর এখন আমি সদস্য হয়েছি। গাছগুলো পরিচর্যা করে বড় করেছি। গত দুই সপ্তাহ আগে আমাদের এই এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। বিষয়টি আমরা কিছুই জানতাম না, গাছ কাটার ব্যাপারে আমাদের অবগত করা হয়নি। উপজেলা বন বিভাগ অফিসে যোগাযোগ করার পরে লভ্যাংশ পাওয়ার জন্য আমাদের আবেদন করতে বলা হয়েছে। তবে এই গাছগুলো যে দামে বিক্রি করা হয়েছে তাতে আমরা অবাক হয়েছি। এক একটি গাছের বাজার মূল্য ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা হওয়ার কথা। অন্তত তিনগুণ কম দামে কাজগুলো বিক্রি করা হয়েছে।

আরেক উপকারভোগী সুফিয়া বেগম বলেন, গাছগুলো অনেক কম দামে বিক্রি করা হয়েছে এতে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। বেশি টাকায় বিক্রি করলে আমরা বেশি টাকা পেতাম। স্থানীয় বাসিন্দা শামীম আহমেদ বাঘ বলেন, সম্প্রতি এই গাছগুলোর চেয়ে আকারে ছোট আমার বাড়ির তিনটি গাছ আমি ৩২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। সে হিসেবে এই গাছগুলোর একেকটির দাম ১৫ হাজার টাকা করা হওয়া উচিত। শুনেছি গাছগুলো অনেক কম দামে বিক্রি করা হয়েছে।

ইমামপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মো. জাকারিয়া বলেন,’ আমি গাছগুলো লাগাতে দেখেছি। গাছগুলোর বয়স প্রায় ৩০ বছর। কাজগুলো যে দামে বিক্রি করা হয়েছে তা বর্তমান বাজার মূল্যের চাইতে অনেক কম। শুনছি ফরেস্টার ভাতিজা মোস্তফা গাছগুলো কেটে নিয়ে গেছে। আমার স্ত্রীও সমিতির সদস্য ছিল। কম দামের গাছ বিক্রি করায় তিনি অসন্তুষ্ট।

বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান শফি বলেন, আমি বয়স্ক মানুষ আমার পক্ষে কাছে উঠে গাছ মেপে এস্টিমেট প্রস্তুত করা সম্ভব নয়। আমি চোখের আন্দাজ আমার অভিজ্ঞতার আলোকে প্রাক্কলন প্রস্তুত করেছি। নির্দিষ্ট সকল প্রক্রিয়া মেনে টেন্ডার করে গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে। আমি কাঠ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিতে কাঠের পরিমাণ কম দেখেছি এরকম অভিযোগ সত্য নয়। যারা বলছে আমি তার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় আমার আত্মীয়-স্বজনদের সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির উপকারভোগী সমিতির সদস্য বানিয়েছি তাদের এই অভিযোগও সঠিক নয়। রাস্তার ধারে বাড়ি এমন ব্যক্তি এবং গরিব দুস্থদের এই সমিতির সদস্য করা হয়েছে। গাছগুলো ভ্যাটসহ ১ লাখ ৬৯ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।

ভ্যাট ছাড়া ১ লাখ ৪৭হাজার টাকার মত দাম আসে যার ৫৫ শতাংশ উপকারভোগীরা পাবে।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমাকে অবগত করা হয়নি। সাম্প্রতিক বেশ কয়েকজন গাছ বিক্রিতে অনিয়ম হয়েছে এরকম অভিযোগের কথা আমাকে জানিয়েছে। গাছগুলো যে দামে বিক্রি করা হয়েছে তাতে আমিও অবাক হয়েছি।

বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো’।

মুন্সীগঞ্জ সামাজিক বনায়ন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। গাছগুলো কেটে বিক্রি করে ফেলা হয়েছে তবে ছবিতে যা দেখেছি গাছগুলোর এক একটি বাজার মূল্য ৮-১০ হাজার টাকা হওয়ার কথা। গাছ বিক্রিতে কোন অনিয়ম হয়েছে কিনা বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো।

back to top