alt

সারাদেশ

সৈয়দপুর সরকারি হাসপাতালে নেই জলাতঙ্ক প্রতিষেধক, ভোগান্তিতে রোগীরা

প্রতিনিধি, সৈয়দপুর (নীলফামারী) : বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ১০০ শয্যা হাসপাতাল নামের দুটি সরকারি স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা রয়েছে। তবে এর একটিতেও জলাতঙ্ক প্রতিষেধকের কোনো ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়েই উপজেলার সাধারণ মানুষের যেতে হয় জেলা সদরে। এতে বাড়তি খরচের পাশাপাশি সময়ও নষ্ট হচ্ছে। আবার কেউবা এই অতিরিক্ত খরচ বাঁচাতে কুকুর, সাপ, শিয়াল বা বিড়ালে কামড়ালে কবিরাজের শরণাপন্ন হচ্ছেন। এতে মৃত্যুঝুঁকি অনেকটাই বাড়ছে।

জানা যায়, উপজেলার মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি সৈয়দপুর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়। এ উপজেলায় একটি পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ বসবাস করে। হাসপাতাল দুটিতে প্রতি মাসে অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন কুকুর, শিয়াল ও বিড়াল কামড়ানো রোগী আসেন। চলতি মাসেও শিয়ালে কামড়ানো ১৫ জন রোগী আসেন সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এ উপজেলার সরকারি দুটি হাসপাতালেই জলাতঙ্ক প্রতিষেধক নেই। উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে হাসপাতাল দুটিতে কুকুর, শিয়াল ও বিড়াল কামড়ানো রোগীরা আসলে তাদের প্রতিষেধকের জন্য জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এতে খরচ ও সময় দুটোই নষ্ট হচ্ছে রোগীদের।

উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের জিয়াউল হক জিয়া নামের একজন বাসিন্দা বলেন, কিছুদিন আগে আমার ছেলেকে কুকুর কামাড়ায়। ছেলেকে নিয়ে প্রথমে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাই সেখানে ভ্যাকসিন না থাকায় পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানেও ভ্যাকসিন না থাকায় জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতালে যেতে হয়। পরে পাঁচ ধাপে জেলা হাসপাতাল থেকে এই প্রতিষেধক দেয়া হয়েছে। যদি সৈয়দপুরে এই প্রতিষেধক পেতাম তাহলে আমাকে এত হয়রানি হতো না।

বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের শ্বাষকান্দর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, এক সপ্তাহ আগে আমাকে বিড়াল কামড়িয়েছিল। সৈয়দপুর হাসপাতালে প্রতিষেধকের জন্য গেলে সেখান থেকে জেলা সদর হাসপাতালে যেতে বলেন। কিন্তু জেলা সদরে জেনারেল হাসপাতালে যাওয়ার টাকা ছিল না। তাই এলাকার এক কবিরাজের কাছে গিয়ে ঝাড়ফুঁক দিয়েছি। সৈয়দপুর হাসপাতালে যদি টিকা থাকত তাহলে টিকা দিতাম।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু মো. আলেমুল বাশার বলেন কুকুর, শিয়াল, বিড়াল বা সাপ কামড়ানো রোগীর প্রয়োজনীয় ওষুধ বা ইনজেকশনের এখানে বরাদ্দ নেই। প্রয়োজন হলে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে রোগীকেই সংগ্রহ করতে হয়। যদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক সরবরাহ থাকত তাহলে রোগীদের খরচ করে সদরে যেতে হতো না। এখান থেকে নির্বিঘ্নে সেবা দেয়া যেত বলে মনে করেন তিনি।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি, রানওয়ে বন্ধ ২ ঘণ্টা

বৈদেশিক মুদ্রা ডাকাতি: একজন কারাগারে, রিমান্ডে ৫

আশুরা উপলক্ষে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত দুই ভাই

ছবি

‘দুই কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে’—পুলিশ কমিশনারকে নারীর চিঠি

বাংলাদেশ লোকগবেষণা পরিষদের আত্মপ্রকাশ

সোনাইমুড়ীকে পৃথক নির্বাচনী আসন করার দাবিতে জামায়াতের মানববন্ধন

কমলগঞ্জে রোজিনা হত্যা মামলার আসামি ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার

মোহনগঞ্জ-ময়মনসিংহ লোকাল ট্রেন বন্ধ, বাড়ছে যাত্রী দুর্ভোগ

ছবি

পুর্ব-সুন্দরবনে বিষ দিয়ে ধরা মাছসহ নৌকা আটক

চাটখিল ও সোনাইমুড়ী থানার লুণ্ঠিত আগ্নেয়াস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি

ভোলায় নেত্রীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, বিএনপির নেতা বহিষ্কার

বাগেরহাটে পানিতে পড়ে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু

ভূমি খাজনা আদায়ে জেলার মধ্যে শীর্ষে সুমানগঞ্জের ছাতক

ছবি

মুন্সীগঞ্জের কাটাখালি খাল সংস্কারে চলছে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

কলমাকান্দায় অনলাইন তীর জুয়াড়িদের গ্রেপ্তার

ফরিদপুরে একে আজাদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় থানায় এজাহার

ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গোষ্ঠীগত বিরোধে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, বাজারে লুটপাট-ভাঙচুর

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

ছবি

নির্বিচারে গাছ কাটায় ভালুকায় হারিয়ে গেছে ৫০ প্রজাতির বৃক্ষলতা

ছবি

চিলমারীর তিস্তা পিসি গার্ডার সেতু চলতি মাসের শেষে খুলে দেয়া হবে

ছবি

সুন্দরবনে কমেছে চোরা শিকারি ও বিষ সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য

দৌলতপুরে অবৈধভাবে নদীর মাটি উত্তোলন করায় জরিমানা

ছবি

নদীতে ভেঙে যাওয়া চর ডাকাতিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পূর্বের গ্রামে প্রতিষ্ঠার দাবি

মীরসরাই প্রাথমিকে ১০৮ পদ শূন্য, পাঠদান ব্যাহত

ছবি

চকরিয়ায় অভয়ারণ্য বনের গাছ কেটে পাকা বাড়ি তৈরির হিড়িক!

ছবি

মাদারীপুরে পানি প্রবাহে খাল খনন শুরু

সিলেটে দুই বাসের সংঘর্ষ, নিহত ১

ফরিদপুরে বিএনপির সদস্য সচিবসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার

ছবি

২০০ বছরের সূর্যপুরী আমগাছ ডালে ডালে ঝুলছে আম

ইলেকট্রিশিয়ানকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

৯ দফা দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলন অব্যাহত

উল্টোরথের মাধ্যমে মোহনগঞ্জে শেষ হলো রথযাত্রা উৎসব

রাজশাহীতে হামলা ছিনতাই ও গুলির ঘটনায় আটক ৩

ছবি

শিবচরে আড়িয়ালখাঁ নদের ভাঙন হুমকিতে ৯৭ কোটি টাকার সেতু

পূর্বধলায় বিএনপির মতবিনিময় সভা

tab

সারাদেশ

সৈয়দপুর সরকারি হাসপাতালে নেই জলাতঙ্ক প্রতিষেধক, ভোগান্তিতে রোগীরা

প্রতিনিধি, সৈয়দপুর (নীলফামারী)

বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ১০০ শয্যা হাসপাতাল নামের দুটি সরকারি স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা রয়েছে। তবে এর একটিতেও জলাতঙ্ক প্রতিষেধকের কোনো ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়েই উপজেলার সাধারণ মানুষের যেতে হয় জেলা সদরে। এতে বাড়তি খরচের পাশাপাশি সময়ও নষ্ট হচ্ছে। আবার কেউবা এই অতিরিক্ত খরচ বাঁচাতে কুকুর, সাপ, শিয়াল বা বিড়ালে কামড়ালে কবিরাজের শরণাপন্ন হচ্ছেন। এতে মৃত্যুঝুঁকি অনেকটাই বাড়ছে।

জানা যায়, উপজেলার মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি সৈয়দপুর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়। এ উপজেলায় একটি পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ বসবাস করে। হাসপাতাল দুটিতে প্রতি মাসে অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন কুকুর, শিয়াল ও বিড়াল কামড়ানো রোগী আসেন। চলতি মাসেও শিয়ালে কামড়ানো ১৫ জন রোগী আসেন সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এ উপজেলার সরকারি দুটি হাসপাতালেই জলাতঙ্ক প্রতিষেধক নেই। উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে হাসপাতাল দুটিতে কুকুর, শিয়াল ও বিড়াল কামড়ানো রোগীরা আসলে তাদের প্রতিষেধকের জন্য জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এতে খরচ ও সময় দুটোই নষ্ট হচ্ছে রোগীদের।

উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের জিয়াউল হক জিয়া নামের একজন বাসিন্দা বলেন, কিছুদিন আগে আমার ছেলেকে কুকুর কামাড়ায়। ছেলেকে নিয়ে প্রথমে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাই সেখানে ভ্যাকসিন না থাকায় পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানেও ভ্যাকসিন না থাকায় জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতালে যেতে হয়। পরে পাঁচ ধাপে জেলা হাসপাতাল থেকে এই প্রতিষেধক দেয়া হয়েছে। যদি সৈয়দপুরে এই প্রতিষেধক পেতাম তাহলে আমাকে এত হয়রানি হতো না।

বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের শ্বাষকান্দর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, এক সপ্তাহ আগে আমাকে বিড়াল কামড়িয়েছিল। সৈয়দপুর হাসপাতালে প্রতিষেধকের জন্য গেলে সেখান থেকে জেলা সদর হাসপাতালে যেতে বলেন। কিন্তু জেলা সদরে জেনারেল হাসপাতালে যাওয়ার টাকা ছিল না। তাই এলাকার এক কবিরাজের কাছে গিয়ে ঝাড়ফুঁক দিয়েছি। সৈয়দপুর হাসপাতালে যদি টিকা থাকত তাহলে টিকা দিতাম।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু মো. আলেমুল বাশার বলেন কুকুর, শিয়াল, বিড়াল বা সাপ কামড়ানো রোগীর প্রয়োজনীয় ওষুধ বা ইনজেকশনের এখানে বরাদ্দ নেই। প্রয়োজন হলে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে রোগীকেই সংগ্রহ করতে হয়। যদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক সরবরাহ থাকত তাহলে রোগীদের খরচ করে সদরে যেতে হতো না। এখান থেকে নির্বিঘ্নে সেবা দেয়া যেত বলে মনে করেন তিনি।

back to top