যশোরের কেশবপুরে রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কার্লভার্ট, নদী-খাল খননসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হওয়ায় বদলে গেছে দৃশ্যপট। গ্রামকে শহর করার অংশ হিসেবে একাজ সম্পন্ন হওয়ায় এ উপজেলার সঙ্গে ৪ উপজেলার সংযোগ স্থাপণ হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়ে এ উপজেলায় ৩০০.৬০ কোটি টাকার ৫০১ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার হয়েছে। এছাড়ও ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে কপোতাক্ষ ও হরিহর, বড়িভদ্রা, আপার ভদ্রা নদী পুনর্খনন সম্পন্নের কারণে এ অববাহিকার দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসন হওয়ায় গ্রাম বাংলার জীবন যাত্রার মান পাল্টে গেছে। যেদিকে তাকাই সেদিকেই সরকারের দৃশ্যমান উন্নয়ন চোখে পড়ে।
সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের তথ্যমতে, গত ৫ বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের আওতায় ৪টি প্রকল্পে ৮০০৭.২৮৩০০ টাকা ব্যয়ে ১৫৪৬.৬৮ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। মেরামত ও পুণর্বাসন উন্নয়নে ৪টি প্রকল্পে ৫১৫২.৭৪০৬৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৬২.৯৭৯ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণ কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চলমান এ কাজ সম্পন্ন হলে সীমান্তবর্তী ৪টি উপজেলার সঙ্গে এ উপজেলার যোগাযোগ স্থাপণ হবে এবং মানুষের আত্মসামাজিক পরিবর্তনের পাশাপাশি ভাগ্যেরও পরিবর্তন সাধিত হবে। সরকারের উল্লেখযোগ্য সড়ক সংস্কারগুলো মধ্যে, যশোর ভায়া চুকনগর মহাসড়ক, কেশবপুর সাগরদাঁড়ি সড়ক, পুলেরহাট কুমিরা সড়ক, মঙ্গলকোট সরসকাটি সড়ক, ভান্ডারখোলা আঠারো মাইল সড়ক উল্লেখযোগ্য। এসব সড়ক উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হওয়ায় কেশবপুরের সঙ্গে মনিরামপুর, কলারোয়া, তালা ও ডুমুরিয়া উপজেলার সংযোগ স্থাপণ হয়েছে। এছাড়া, পিইডিপি-৪, জিপিএস ও এনএনজিপিএস এর ৭টি প্রকল্পের ২৬৫৭.৪৫০৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৪৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। দুটি ব্রিজ নির্মাণসহ প্রস্তাবিত তিনটি ব্রিজের উন্নয়ন কাজ অতিদ্রুত শুরু হবে। গেল বছরে এ উপজেলায় ১টি কৃষক সেবা কেন্দ্র, ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ৩টি গ্রোথ সেন্টার, হাট বাজার উন্নয়ন দুটি, ১টি সাইক্লোন শেল্টার, ২১৬ হেক্টর ক্ষুদ্রকার পানি সম্পদ ব্যবস্থাপণা উন্নয়ন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। দুই কোটি টাকা ব্যয়ে ৭১টি মসজিদ, মন্দিরের উন্নয়ন হয়েছে। যা ডিজিটাল বাংলাদেশের সহায়ক হয়েছে।
এদিকে, গত ২০১০ সালের পর কেশবপুর শহরসহ কপোতাক্ষ ও হরিহর নদী অববাহিকার লক্ষাধিক মানুষ ভয়াবহ জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে। এ সমস্যা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী কপোতাক্ষ নদ খননে ২৬২ কোটি টাকা ও হরিহর নদী খননে প্রায় ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এঅর্থে এসব নদ-নদী ও সংযোগ খাল খনন সম্পন্ন করা হয়। এতে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতার হাত থেকে এ উপজেলার মানুষ রক্ষা পাওয়াসহ এ জনপদের লাখ লাখ মানুষ আবারও কৃষিতে ঝুকে পড়েছে। স্বচ্ছলতা এসেছে হাজারও কৃষি পরিবারে।
কেশবপুর শহরের পাইকারি হাটে সবজি বিক্রি করতে আসা মনিরামপুরের শয়লা গ্রামের সাহেব আলী জানান, কেশবপুরের সঙ্গে মনিরামপুর উপজেলার সড়কের যোগাযোগ স্থাপন হওয়ায় তারা প্রতিদিন এ বাজারে সবজি, ধান, পাট বিক্রি করতে আসেন। বিশেষ করে প্রতিদিন সবজি বিক্রি করতে আসেন আমাদের এলাকার অধিকাংশ কৃষক। তার এলাকার উৎপাদিত সবজির চাহিদাও রয়েছে এ বাজারে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলার সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্রিজ উন্নয়নে প্রায় ৪শ’ কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হওয়ায় আশপাশের উপজেলার সঙ্গে এ উপজেলার সংযোগ স্থাপণ হয়েছে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাসহ মানুষের আতœসামাজিক উন্নয়ন হয়েছে।
রোববার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
যশোরের কেশবপুরে রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কার্লভার্ট, নদী-খাল খননসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হওয়ায় বদলে গেছে দৃশ্যপট। গ্রামকে শহর করার অংশ হিসেবে একাজ সম্পন্ন হওয়ায় এ উপজেলার সঙ্গে ৪ উপজেলার সংযোগ স্থাপণ হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়ে এ উপজেলায় ৩০০.৬০ কোটি টাকার ৫০১ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার হয়েছে। এছাড়ও ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে কপোতাক্ষ ও হরিহর, বড়িভদ্রা, আপার ভদ্রা নদী পুনর্খনন সম্পন্নের কারণে এ অববাহিকার দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসন হওয়ায় গ্রাম বাংলার জীবন যাত্রার মান পাল্টে গেছে। যেদিকে তাকাই সেদিকেই সরকারের দৃশ্যমান উন্নয়ন চোখে পড়ে।
সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের তথ্যমতে, গত ৫ বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের আওতায় ৪টি প্রকল্পে ৮০০৭.২৮৩০০ টাকা ব্যয়ে ১৫৪৬.৬৮ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। মেরামত ও পুণর্বাসন উন্নয়নে ৪টি প্রকল্পে ৫১৫২.৭৪০৬৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৬২.৯৭৯ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণ কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চলমান এ কাজ সম্পন্ন হলে সীমান্তবর্তী ৪টি উপজেলার সঙ্গে এ উপজেলার যোগাযোগ স্থাপণ হবে এবং মানুষের আত্মসামাজিক পরিবর্তনের পাশাপাশি ভাগ্যেরও পরিবর্তন সাধিত হবে। সরকারের উল্লেখযোগ্য সড়ক সংস্কারগুলো মধ্যে, যশোর ভায়া চুকনগর মহাসড়ক, কেশবপুর সাগরদাঁড়ি সড়ক, পুলেরহাট কুমিরা সড়ক, মঙ্গলকোট সরসকাটি সড়ক, ভান্ডারখোলা আঠারো মাইল সড়ক উল্লেখযোগ্য। এসব সড়ক উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হওয়ায় কেশবপুরের সঙ্গে মনিরামপুর, কলারোয়া, তালা ও ডুমুরিয়া উপজেলার সংযোগ স্থাপণ হয়েছে। এছাড়া, পিইডিপি-৪, জিপিএস ও এনএনজিপিএস এর ৭টি প্রকল্পের ২৬৫৭.৪৫০৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৪৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। দুটি ব্রিজ নির্মাণসহ প্রস্তাবিত তিনটি ব্রিজের উন্নয়ন কাজ অতিদ্রুত শুরু হবে। গেল বছরে এ উপজেলায় ১টি কৃষক সেবা কেন্দ্র, ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ৩টি গ্রোথ সেন্টার, হাট বাজার উন্নয়ন দুটি, ১টি সাইক্লোন শেল্টার, ২১৬ হেক্টর ক্ষুদ্রকার পানি সম্পদ ব্যবস্থাপণা উন্নয়ন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। দুই কোটি টাকা ব্যয়ে ৭১টি মসজিদ, মন্দিরের উন্নয়ন হয়েছে। যা ডিজিটাল বাংলাদেশের সহায়ক হয়েছে।
এদিকে, গত ২০১০ সালের পর কেশবপুর শহরসহ কপোতাক্ষ ও হরিহর নদী অববাহিকার লক্ষাধিক মানুষ ভয়াবহ জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে। এ সমস্যা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী কপোতাক্ষ নদ খননে ২৬২ কোটি টাকা ও হরিহর নদী খননে প্রায় ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এঅর্থে এসব নদ-নদী ও সংযোগ খাল খনন সম্পন্ন করা হয়। এতে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতার হাত থেকে এ উপজেলার মানুষ রক্ষা পাওয়াসহ এ জনপদের লাখ লাখ মানুষ আবারও কৃষিতে ঝুকে পড়েছে। স্বচ্ছলতা এসেছে হাজারও কৃষি পরিবারে।
কেশবপুর শহরের পাইকারি হাটে সবজি বিক্রি করতে আসা মনিরামপুরের শয়লা গ্রামের সাহেব আলী জানান, কেশবপুরের সঙ্গে মনিরামপুর উপজেলার সড়কের যোগাযোগ স্থাপন হওয়ায় তারা প্রতিদিন এ বাজারে সবজি, ধান, পাট বিক্রি করতে আসেন। বিশেষ করে প্রতিদিন সবজি বিক্রি করতে আসেন আমাদের এলাকার অধিকাংশ কৃষক। তার এলাকার উৎপাদিত সবজির চাহিদাও রয়েছে এ বাজারে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলার সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্রিজ উন্নয়নে প্রায় ৪শ’ কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হওয়ায় আশপাশের উপজেলার সঙ্গে এ উপজেলার সংযোগ স্থাপণ হয়েছে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাসহ মানুষের আতœসামাজিক উন্নয়ন হয়েছে।