সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মিষ্টি খেজুর রস সংগ্রহের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। আর কদিন পরই শুরু হবে সংগ্রহের কাজ।
শীত এগিয়ে আসছে। অযত্ন ও অবহেলায় বেড়ে উঠা খেজুর গাছের কদর ও বাড়ে শীত এলেই। খেজুর গাছ সুমিষ্ট রস দেয়। রস থেকে তৈরি হয় গুড় ও পাটালি। যার সাদ ও ঘ্রাণ আলাদা। পুরো শীত মৌসুমে চলে পিঠা-পুলি আর পায়েস খাওয়ার পালা।
উল্লাপাড়া উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নেই রাস্তার দুপাশে সারি সারি খেজুর গাছ রয়েছে, সড়ক পথ, রেল লাইনের ধার, পতিত জমি, জমির আইল ও বাড়ির আঙ্গিনায় রয়েছে প্রায় লক্ষাধিক খেজুর গাছ। একজন ব্যক্তি প্রতিদিন ৫০ থেকে ৫৫টি খেজুর গাছের রস আহরণ করতে পারে। মৌসুমিভিত্তিক সব গাছিদের পরিবার খেজুর গাছের উপর নির্ভরশীল।
একজন গাছি এক মৌসুমে অর্থাৎ ১২০ দিনে একটি গাছ থেকে ২০ থেকে ২৫ কেজি গুড় পেয়ে থাকেন। খেজুর গাছ ফসলের কোনো ক্ষতি করে না। এ গাছের জন্য বাড়তি কোন খরচ করতে হয় না। ঝোপ-জঙ্গলে কোনো যত্ন ছাড়াই বড় গয়ে ওঠে।
শুধুমাত্র মৌসুম এলেই নিয়মিত গাছ পরিষ্কার করে রস সংগ্রহ করা হয়। রস, গুড়, পাটালি ছাড়াও খেজুর গাছের পাতা দিয়ে মাদুর তৈরি ও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয় পরিকল্পিতভাবে খেজুর গাছ বৃদ্ধি করা হলে দেশের গুড় পাটালির চাহিদা মেটানোর পর বিদেশেও রপ্তানি করা হলে অর্থ উপার্জন করার সুযোগ রয়েছে। উপজেলার সলঙ্গা থানার মাহমুদপুর গ্রামের গাছি আব্দুল কুদ্দুস জানান, শীত মৌসুমে আমরা, রামকৃষ্ণপুর অলিদহ বাঙ্গালা,ও বড় বাঙ্গাসী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এসে তিন থেকে চার মাসের জন্য খেজুর গাছ প্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় চুক্তি নিয়ে রস সংগ্রহ করি। এগুলো গুড় তৈরি করে হাট বাজারে বিক্রি করি। এবার ১২০টি গাছ চুক্তি নিয়েছি। এ গাছগুলো আমরা দুইজনে রস সংগ্রহ করব। সংসারে ছয় সদস্যের পরিবার। এর উপর ৩-৪ মাস ভাল ভাবে চলবে। অন্য সময়ে অন্যের জমিতে কাজ করি। কাজ না থাকলে শহরে রিকশা চালিয়ে সংসার চালায়। উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমি জানান, শুধু সরকারি ভাবেই না, আমরা কৃষকদের মাঝে খেজুর গাছ লাগানো জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। যা কৃষকদের মাঝে রস ও গুড়ের চাহিদা মিটাবে।
এছাড়া আখের পাতা ও গমের কোড়া সংগ্রহ করার পরামর্শ দিয়ে থাকি যেন, গুড় তৈরিতে সহজ হয়। এছাড়া এ মৌসুমে উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নেই রাস্তার ধারে কৃষি অফিসের উদ্যোগে খেজুর গাছ রোপণ করা হয়েছে।
কৃষকরাও নিজ নিজ পতিত জমিতে গাছ লাগায় তাহলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে ব্যাপক অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।
রোববার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মিষ্টি খেজুর রস সংগ্রহের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। আর কদিন পরই শুরু হবে সংগ্রহের কাজ।
শীত এগিয়ে আসছে। অযত্ন ও অবহেলায় বেড়ে উঠা খেজুর গাছের কদর ও বাড়ে শীত এলেই। খেজুর গাছ সুমিষ্ট রস দেয়। রস থেকে তৈরি হয় গুড় ও পাটালি। যার সাদ ও ঘ্রাণ আলাদা। পুরো শীত মৌসুমে চলে পিঠা-পুলি আর পায়েস খাওয়ার পালা।
উল্লাপাড়া উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নেই রাস্তার দুপাশে সারি সারি খেজুর গাছ রয়েছে, সড়ক পথ, রেল লাইনের ধার, পতিত জমি, জমির আইল ও বাড়ির আঙ্গিনায় রয়েছে প্রায় লক্ষাধিক খেজুর গাছ। একজন ব্যক্তি প্রতিদিন ৫০ থেকে ৫৫টি খেজুর গাছের রস আহরণ করতে পারে। মৌসুমিভিত্তিক সব গাছিদের পরিবার খেজুর গাছের উপর নির্ভরশীল।
একজন গাছি এক মৌসুমে অর্থাৎ ১২০ দিনে একটি গাছ থেকে ২০ থেকে ২৫ কেজি গুড় পেয়ে থাকেন। খেজুর গাছ ফসলের কোনো ক্ষতি করে না। এ গাছের জন্য বাড়তি কোন খরচ করতে হয় না। ঝোপ-জঙ্গলে কোনো যত্ন ছাড়াই বড় গয়ে ওঠে।
শুধুমাত্র মৌসুম এলেই নিয়মিত গাছ পরিষ্কার করে রস সংগ্রহ করা হয়। রস, গুড়, পাটালি ছাড়াও খেজুর গাছের পাতা দিয়ে মাদুর তৈরি ও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয় পরিকল্পিতভাবে খেজুর গাছ বৃদ্ধি করা হলে দেশের গুড় পাটালির চাহিদা মেটানোর পর বিদেশেও রপ্তানি করা হলে অর্থ উপার্জন করার সুযোগ রয়েছে। উপজেলার সলঙ্গা থানার মাহমুদপুর গ্রামের গাছি আব্দুল কুদ্দুস জানান, শীত মৌসুমে আমরা, রামকৃষ্ণপুর অলিদহ বাঙ্গালা,ও বড় বাঙ্গাসী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এসে তিন থেকে চার মাসের জন্য খেজুর গাছ প্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় চুক্তি নিয়ে রস সংগ্রহ করি। এগুলো গুড় তৈরি করে হাট বাজারে বিক্রি করি। এবার ১২০টি গাছ চুক্তি নিয়েছি। এ গাছগুলো আমরা দুইজনে রস সংগ্রহ করব। সংসারে ছয় সদস্যের পরিবার। এর উপর ৩-৪ মাস ভাল ভাবে চলবে। অন্য সময়ে অন্যের জমিতে কাজ করি। কাজ না থাকলে শহরে রিকশা চালিয়ে সংসার চালায়। উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমি জানান, শুধু সরকারি ভাবেই না, আমরা কৃষকদের মাঝে খেজুর গাছ লাগানো জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। যা কৃষকদের মাঝে রস ও গুড়ের চাহিদা মিটাবে।
এছাড়া আখের পাতা ও গমের কোড়া সংগ্রহ করার পরামর্শ দিয়ে থাকি যেন, গুড় তৈরিতে সহজ হয়। এছাড়া এ মৌসুমে উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নেই রাস্তার ধারে কৃষি অফিসের উদ্যোগে খেজুর গাছ রোপণ করা হয়েছে।
কৃষকরাও নিজ নিজ পতিত জমিতে গাছ লাগায় তাহলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে ব্যাপক অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।