ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিএনজির রেজিস্ট্রেশন বন্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিএনজিচালিত অটো রিকশার রেজিস্ট্রেশন বন্ধ থাকায় ,সরকার বঞ্চিত হচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে । সিএনজি মালিকরাও তাদের সিএনজির রেজিস্ট্রেশন না থাকায় বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে । একটি অভিযোগের ভিত্তিতে হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয় জেলার সিএনজিচালিত অটো রিকশার রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম । এতে ভোগান্তিতে পরেছে সিএনজি মালিকরা ।
জেলায় ২০১৪ সাল থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশার রেজিস্ট্রশন বন্ধ ছিল। এ বছরের ১৫ই জুন জেলা যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটির সভায় ২০২২ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্রয়কৃত সিএনজিচালিত অটোরিকশা রেজিস্ট্রেশনের আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্তের পর রেজিস্টেশন শুরু করে বিআরটিএ অফিস। চালু করার পর একমাসে এক হাজার আটশ পঞ্চাশটি সিএনজির রেজিস্ট্রশন দেওয়া হয় । এতে চার কোটি টাকা রাজস্ব পায় সরকার।
বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী জেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার রেজিস্ট্রশনের চাহিদা বর্তমানে ১০ থেকে ১২ হাজার। এই সিএনজি গুলোর রেজিস্ট্রেশন করলে এখান থেকে এককালিন কয়েক কোটি টাকার রাজস্ব এবং এগুলো নবায়নের মাধ্যামে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পাবে সরকার ।
রেজিস্ট্রেশন চালু হওয়ার খবরে চলতি বছর শো-রুম থেকে নতুন সিএনজি ক্রয় করেছেন অনেকেই । তারও অপেক্ষায় আছে ২০২২ পর্যন্ত ক্রয়কৃত সিএনজিচালিত অটোরিকশা রেজিস্ট্রেশনের দেওয়ার পর। ২০২৩ সালে ক্রয়কৃত সিএনজিচালিত অটোরিকশা গুলো রেজিস্ট্রেশন পাবে।
সিএনজি মালিক জাহাঙ্গীর মিয়া জানান, সিএনজি রেজিস্ট্রেশন করা জন্য যাবতীয় কাগজপত্র এবং ব্যাংকে ড্রাফ্ট সহ আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন জেলা বিআরটিএতে। কিন্তু হঠাৎ রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ায় তিনি রেজিস্ট্রেশন পাচ্ছেন না। এতে সড়কে সিএনজি চালানোর সময় বিভিন্ন ভাবে হয় রানি হচ্ছে ।
সিএনজি মালিক মাহাবুব জানান, দীর্ঘদিন রেজিস্ট্রেশন বন্ধ ছিল। আমরা নানা ভাবে হয়রানির সিকার হয়েছি। মান্থলি বা চাঁদা দিয়ে সড়তে আমাদের গাড়ি চালাতে হতো । রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে আমরা এই হয়রানি থেকে মুক্তি পেয়েছিলাম । আবার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা আবারও ভোগান্তিতে পরেছি ।
সিএনজি মালিক তাসমিমা জানায়, আমার স্বামী বিদেশ থাকে, সিএনজির রেজিস্টেশন চালুর খবরে গ্রামের এক গরিব ছোট ভাইকে একটি সিএনজি কিনে দিয়েছি, এতে আয় করে সেও চলতে পারবে আমারও এখান থেকে কিছু আয় হবে। এখন রেজিস্ট্রেশন বন্ধ হওয়ায় রেজিস্ট্রেশন করতে পারছি না । আমি চাই অন্য জায়গায় টাকা না দিয়ে । সরকারকে টেক্স দিয়ে গাড়ি চলুক ,আমরাও হয়রানি মুক্ত থাকি ।
বিআরটিএ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী পরিচালক মো.আবু আশরাফ সিদ্দিকী জানান, দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর যাবত রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম বন্ধ ছিল । এতে সরকার প্রায় ১০০ কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে । এ বছরে জুনে রেজিস্ট্রেশন আবার চালু হওয়ায় একমাসে সরকার এই খাত থেকে চার কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছে । পরো কার্যক্রম শেষে করতে পারলে সরকার রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম থেকে এককালীন প্রায় ২০ কোটি টাকা পেত। একটি বেনামি অভিযোগের কারণে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম স্থগিত আছে। রেজিস্ট্রেশন প্রত্যাশীরা প্রায়ই বিএরটিতে আসছে ,ভিড় করেছে রেজিস্ট্রেশনের জন্য , অনেকে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে আবেদন পত্র জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন , কিছু আবেদন আমাদের কাছেও জমা ছিল,স্থগিত হওয়ায় রেজিস্ট্রেশন দিতে পারিনি। সিএনজি মালিকরা আমাদের কাছে রেজিস্ট্রেশন দ্রুত চালু করতে বারবার দাবি জানাচ্ছে ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিএনজির রেজিস্ট্রেশন বন্ধ
বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিএনজিচালিত অটো রিকশার রেজিস্ট্রেশন বন্ধ থাকায় ,সরকার বঞ্চিত হচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে । সিএনজি মালিকরাও তাদের সিএনজির রেজিস্ট্রেশন না থাকায় বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে । একটি অভিযোগের ভিত্তিতে হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয় জেলার সিএনজিচালিত অটো রিকশার রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম । এতে ভোগান্তিতে পরেছে সিএনজি মালিকরা ।
জেলায় ২০১৪ সাল থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশার রেজিস্ট্রশন বন্ধ ছিল। এ বছরের ১৫ই জুন জেলা যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটির সভায় ২০২২ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্রয়কৃত সিএনজিচালিত অটোরিকশা রেজিস্ট্রেশনের আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্তের পর রেজিস্টেশন শুরু করে বিআরটিএ অফিস। চালু করার পর একমাসে এক হাজার আটশ পঞ্চাশটি সিএনজির রেজিস্ট্রশন দেওয়া হয় । এতে চার কোটি টাকা রাজস্ব পায় সরকার।
বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী জেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার রেজিস্ট্রশনের চাহিদা বর্তমানে ১০ থেকে ১২ হাজার। এই সিএনজি গুলোর রেজিস্ট্রেশন করলে এখান থেকে এককালিন কয়েক কোটি টাকার রাজস্ব এবং এগুলো নবায়নের মাধ্যামে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পাবে সরকার ।
রেজিস্ট্রেশন চালু হওয়ার খবরে চলতি বছর শো-রুম থেকে নতুন সিএনজি ক্রয় করেছেন অনেকেই । তারও অপেক্ষায় আছে ২০২২ পর্যন্ত ক্রয়কৃত সিএনজিচালিত অটোরিকশা রেজিস্ট্রেশনের দেওয়ার পর। ২০২৩ সালে ক্রয়কৃত সিএনজিচালিত অটোরিকশা গুলো রেজিস্ট্রেশন পাবে।
সিএনজি মালিক জাহাঙ্গীর মিয়া জানান, সিএনজি রেজিস্ট্রেশন করা জন্য যাবতীয় কাগজপত্র এবং ব্যাংকে ড্রাফ্ট সহ আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন জেলা বিআরটিএতে। কিন্তু হঠাৎ রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ায় তিনি রেজিস্ট্রেশন পাচ্ছেন না। এতে সড়কে সিএনজি চালানোর সময় বিভিন্ন ভাবে হয় রানি হচ্ছে ।
সিএনজি মালিক মাহাবুব জানান, দীর্ঘদিন রেজিস্ট্রেশন বন্ধ ছিল। আমরা নানা ভাবে হয়রানির সিকার হয়েছি। মান্থলি বা চাঁদা দিয়ে সড়তে আমাদের গাড়ি চালাতে হতো । রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে আমরা এই হয়রানি থেকে মুক্তি পেয়েছিলাম । আবার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা আবারও ভোগান্তিতে পরেছি ।
সিএনজি মালিক তাসমিমা জানায়, আমার স্বামী বিদেশ থাকে, সিএনজির রেজিস্টেশন চালুর খবরে গ্রামের এক গরিব ছোট ভাইকে একটি সিএনজি কিনে দিয়েছি, এতে আয় করে সেও চলতে পারবে আমারও এখান থেকে কিছু আয় হবে। এখন রেজিস্ট্রেশন বন্ধ হওয়ায় রেজিস্ট্রেশন করতে পারছি না । আমি চাই অন্য জায়গায় টাকা না দিয়ে । সরকারকে টেক্স দিয়ে গাড়ি চলুক ,আমরাও হয়রানি মুক্ত থাকি ।
বিআরটিএ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী পরিচালক মো.আবু আশরাফ সিদ্দিকী জানান, দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর যাবত রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম বন্ধ ছিল । এতে সরকার প্রায় ১০০ কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে । এ বছরে জুনে রেজিস্ট্রেশন আবার চালু হওয়ায় একমাসে সরকার এই খাত থেকে চার কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছে । পরো কার্যক্রম শেষে করতে পারলে সরকার রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম থেকে এককালীন প্রায় ২০ কোটি টাকা পেত। একটি বেনামি অভিযোগের কারণে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম স্থগিত আছে। রেজিস্ট্রেশন প্রত্যাশীরা প্রায়ই বিএরটিতে আসছে ,ভিড় করেছে রেজিস্ট্রেশনের জন্য , অনেকে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে আবেদন পত্র জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন , কিছু আবেদন আমাদের কাছেও জমা ছিল,স্থগিত হওয়ায় রেজিস্ট্রেশন দিতে পারিনি। সিএনজি মালিকরা আমাদের কাছে রেজিস্ট্রেশন দ্রুত চালু করতে বারবার দাবি জানাচ্ছে ।