alt

সারাদেশ

বাহুবলে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

প্রতিনিধি, বাহুবল (হবিগঞ্জ) : বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩

বাহুবল : লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা -সংবাদ

হবিগঞ্জের বাহুবলে অগ্রহায়ণ মাসে মাঝামাঝিতে বইছে শীতল হাওয়া, ভোরের আকাশে ঘনকুয়াশায় যেন শীতের দেখা মিলছে। দিনের গরমের সঙ্গে সঙ্গে সন্ধ্যার শুরুতে পড়ছে কুয়াশার ফুলঝুরি। হেমন্তের দিনগুলো শেষ হতে না হতেই শীতের বুড়ি এসে যেন জবরদখল করে নিচ্ছে আশপাশের প্রকৃতি। দিনে গরম, রাতে হিমালয়ের কুয়াশার শীতল হাওয়া আর ভোর রাতে ঘন কুয়াশার হাতছানিই বলে দিচ্ছে শীত বেশ দূরে নয়। দিনের বেলা সূর্যের আলোর দেখা মিললেও দিন-দিন তাপমাত্রা কমছে।

শীতকে সামনে রেখে উপজেলার প্রতিটি বাড়ি-বাড়ি ছুটে বেড়াচ্ছেন লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা। অনেকেই আগাম শীতের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আবার অনেকেই লেপ-তোষক তৈরি করতে শুরু করেছেন। শীতের আগমনী বার্তা আসার সঙ্গে সঙ্গে ধুনারীদের তুলা ছাঁটাই ও লেপ তৈরির কাজে কর্মচাঞ্চল্য বেড়েছে।

তাই গ্রামাঞ্চলের মানুষ আগে ভাগেই লেপ-তোষক বানাতে শুরু করেছেন। লেপ-তোষকের কারিগরদের এখন দম ফেলার সময় নেই। বিরামহীনভাবে কাজ করছেন তারা। কেউ কেউ পুরনো লেপ ভেঙে নতুন করে বানিয়ে নিচ্ছেন। আবার কেউ নতুন তুলা দিয়ে তৈরি করে নিচ্ছে লেপ-তোষক ও বালিশ।

উপজেলার পূর্বরায় গ্রাম থেকে লেপ তৈরি করতে আসা উস্তার মিয়া বলেন, এখনো শীতের দেখা না মিললেও আগেভাগেই শীতের জন্য একটি লেপ বানিয়ে নিচ্ছি।

আরেক ক্রেতা সংকরপুর গ্রাম থেকে আসা তোয়েল মিয়া বলেন, আমি শীত শুরুর আগেই একটি লেপ ও তোষক অর্ডার দিয়েছি। তবে দাম গত বছরের তুলনায় এবার বেশি।

বাহুবলে ভিতর বাজারের সাজিউড়া মেঘনা বেডিং স্টোরের মালিক আব্দুল মতিন বলেন, শীত এখনো জেঁকে না বসলেও অনেকে আগেভাগেই লেপ-তোষক বানাতে আসছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর ক্রেতার সংখ্যা অনেকটাই বেশি। সারা বছরের চেয়ে শীতের এ তিন মাস বেচাকেনা একটু বেশিই হয়। তাই ক্রেতাদের কথা ভেবে কাজের গুণগতমান বজায় রেখে অর্ডারি কাজের পাশাপাশি রেডিমেট জিনিসও তৈরি করে বিক্রি করছেন এই লেপ-তোষকের দোকান মালিক।

তিনি আরও বলেন, শীত উপলক্ষে লোকজন নতুন লেপ, তোষক ও গদি তৈরি করার জন্য অর্ডার দিচ্ছেন। প্রতি পিস ছোট লেপ ৭০০-৮০০ টাকা, বড় লেপ ১০০০-১২৫০ টাকা এবং প্রতি পিস তোষক ছোট ৮০০-৯০০ টাকা ও বড় তোষক ১৫০০-২৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে ব্যবসায়ীরা জানান, সবাই জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় লেপ-তোষকের দাম আরও বাড়বে এবং পুরোপুরি শীত নামার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ব্যস্ততাও বেড়ে যাবে।

ছবি

পাবনায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ৮

ছবি

সিলেটে পাথর কোয়ারী দখলে সবার স্বপ্ন এক

ছবি

মুরাদনগরে নারী ধর্ষণ-ভিডিও কাণ্ডে গ্রেপ্তার আরও একজন 

সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে ছিনতাইকারী সাজিয়ে ন্যাড়া করল কর্মীরা

সৌদি আরবে দালালের হাতে জিম্মি সিলেটি যুবকের মৃত্যু

ছবি

ডেটা ক্লাসিফিকেশন থাকছে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইনে : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ছবি

সাইবার সিকিউরিটি সল্যুশনস নিয়ে মাস্টারকার্ডের কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি

ব্যক্তি স্বার্থের দ্বন্দ্বের সময় বোয়ালমারীর একান্নবর্তী পাল পরিবার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

ছবি

বোয়ালখালীতে বস্তায় আদা চাষ বাড়ছে

ছবি

কিশোরীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করছে লাইট হাউস

সংস্কৃতি ক্ষরায় শৈলজারঞ্জন সংস্কৃতি কেন্দ্র

ছবি

শালিকের কিচিরমিচিরে মুখরিত বেতাগী বাসস্ট্যান্ড

খোলা ট্রাক, পিকআপ ও ডাম্পারে ধুলাবালু বহন, জনদুর্ভোগ

তানোরে রাসেল ভাইপারের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু

ছবি

সরিষাবাড়ীতে যমুনা নদীর ভাঙন রোধে মানববন্ধন

নরসিংদীতে সেলাই মেশিন বিতরণ

‘দেশবাসী এখনও খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব আশা করে’

কেশবপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র গ্রেপ্তার

শরণখোলায় ৭ ফুট লম্বা দাড়াস সাপ উদ্ধার

ছবি

মধ্যপাড়া খনি শ্রমিকদের ধর্মঘট, উৎপাদন বন্ধ

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে জুস রপ্তানি

চাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত বাবা-ছেলে

ছবি

হবিগঞ্জ-সুজাতপুর সড়ক ভেঙে বেহাল, জনদুর্ভোগ

রাজশাহীতে যুবলীগ নেতাকে ধরতে ভবনে তল্লাশি, ফোনে বললেন ‘খুঁজে লাভ নেই’

ধনবাড়ীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরি

ছবি

মাতামুহুরীর ভাঙন ঠেকাতে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে জিওব্যাগ ডাম্পিং

ছবি

মোরেলগঞ্জে পারিবারিক পুষ্টি বাগানের কৃষকরা পেলেন কৃষি উপকরণ

বরিশালে বোরো মৌসুমেও চালের দাম বাড়ছে

দুমকিতে কৃষি উপকরণ বিতরণ

বাগেরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু

সিংড়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা প্রদান

পাকুন্দিয়ায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ

পোরশা সীমান্তে বাংলাদেশি রাখালকে হত্যা করেছে বিএসএফ

চালককে অচেতন করে ইজিবাইক ছিনতাই

ছবি

মৌলভীবাজারের দুই উপজেলা দিয়ে ৭১ জনকে পুশইন

ধনবাড়ীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

tab

সারাদেশ

বাহুবলে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

প্রতিনিধি, বাহুবল (হবিগঞ্জ)

বাহুবল : লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা -সংবাদ

বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩

হবিগঞ্জের বাহুবলে অগ্রহায়ণ মাসে মাঝামাঝিতে বইছে শীতল হাওয়া, ভোরের আকাশে ঘনকুয়াশায় যেন শীতের দেখা মিলছে। দিনের গরমের সঙ্গে সঙ্গে সন্ধ্যার শুরুতে পড়ছে কুয়াশার ফুলঝুরি। হেমন্তের দিনগুলো শেষ হতে না হতেই শীতের বুড়ি এসে যেন জবরদখল করে নিচ্ছে আশপাশের প্রকৃতি। দিনে গরম, রাতে হিমালয়ের কুয়াশার শীতল হাওয়া আর ভোর রাতে ঘন কুয়াশার হাতছানিই বলে দিচ্ছে শীত বেশ দূরে নয়। দিনের বেলা সূর্যের আলোর দেখা মিললেও দিন-দিন তাপমাত্রা কমছে।

শীতকে সামনে রেখে উপজেলার প্রতিটি বাড়ি-বাড়ি ছুটে বেড়াচ্ছেন লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা। অনেকেই আগাম শীতের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আবার অনেকেই লেপ-তোষক তৈরি করতে শুরু করেছেন। শীতের আগমনী বার্তা আসার সঙ্গে সঙ্গে ধুনারীদের তুলা ছাঁটাই ও লেপ তৈরির কাজে কর্মচাঞ্চল্য বেড়েছে।

তাই গ্রামাঞ্চলের মানুষ আগে ভাগেই লেপ-তোষক বানাতে শুরু করেছেন। লেপ-তোষকের কারিগরদের এখন দম ফেলার সময় নেই। বিরামহীনভাবে কাজ করছেন তারা। কেউ কেউ পুরনো লেপ ভেঙে নতুন করে বানিয়ে নিচ্ছেন। আবার কেউ নতুন তুলা দিয়ে তৈরি করে নিচ্ছে লেপ-তোষক ও বালিশ।

উপজেলার পূর্বরায় গ্রাম থেকে লেপ তৈরি করতে আসা উস্তার মিয়া বলেন, এখনো শীতের দেখা না মিললেও আগেভাগেই শীতের জন্য একটি লেপ বানিয়ে নিচ্ছি।

আরেক ক্রেতা সংকরপুর গ্রাম থেকে আসা তোয়েল মিয়া বলেন, আমি শীত শুরুর আগেই একটি লেপ ও তোষক অর্ডার দিয়েছি। তবে দাম গত বছরের তুলনায় এবার বেশি।

বাহুবলে ভিতর বাজারের সাজিউড়া মেঘনা বেডিং স্টোরের মালিক আব্দুল মতিন বলেন, শীত এখনো জেঁকে না বসলেও অনেকে আগেভাগেই লেপ-তোষক বানাতে আসছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর ক্রেতার সংখ্যা অনেকটাই বেশি। সারা বছরের চেয়ে শীতের এ তিন মাস বেচাকেনা একটু বেশিই হয়। তাই ক্রেতাদের কথা ভেবে কাজের গুণগতমান বজায় রেখে অর্ডারি কাজের পাশাপাশি রেডিমেট জিনিসও তৈরি করে বিক্রি করছেন এই লেপ-তোষকের দোকান মালিক।

তিনি আরও বলেন, শীত উপলক্ষে লোকজন নতুন লেপ, তোষক ও গদি তৈরি করার জন্য অর্ডার দিচ্ছেন। প্রতি পিস ছোট লেপ ৭০০-৮০০ টাকা, বড় লেপ ১০০০-১২৫০ টাকা এবং প্রতি পিস তোষক ছোট ৮০০-৯০০ টাকা ও বড় তোষক ১৫০০-২৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে ব্যবসায়ীরা জানান, সবাই জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় লেপ-তোষকের দাম আরও বাড়বে এবং পুরোপুরি শীত নামার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ব্যস্ততাও বেড়ে যাবে।

back to top