alt

সারাদেশ

সাদিক আবদুল্লাহর শেষ কর্মদিবসে নিয়োগ দেওয়া ১৩৪ কর্মচারী চাকরিচ্যুত

প্রতিনিধি, বরিশাল : শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩

বরিশাল সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ তার শেষ কর্মদিবসে সিটি করপোরেশনে ১৩৪ জন দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছিলেন। সেই ১৩৪ কর্মচারীর নিয়োগ বৃহস্পতিবার বাতিল করা হয়েছে। নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ দায়িত্ব গ্রহণের ২৮ দিনের মাথায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। চাকরিচ্যুত এই ১৩৪ জন ছাড়া আরও ৫১ জন মজুরিভিত্তিক কর্মচারীকে কর্মস্থলে না আসার জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আগামীকাল রোববার অফিস খোলার তারিখে বাকিদেরও চাকরিচ্যুত করার নোটিশ প্রদান করা হবে।

এই ১৮৫ কর্মচারীকেই সাদিক আবদুল্লাহ দায়িত্ব হস্তান্তরের আগে শেষ সময়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। একইভাবে নিয়মবহির্ভূতভাবে সাদিক তার অনুগত বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি ও চাকরি স্থায়ী করেন। এ নিয়ে ওই সময় ব্যাপক বিতর্ক ও আলোচনার জন্ম নিয়েছিল।

নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে প্রশাসন, হাটবাজার, পরিচ্ছন্নতা, ভান্ডার, বিদ্যুৎ সম্পত্তি, জন্মনিবন্ধন, প্রকৌশল, সিটি নিরাপত্তা, কর আদায়, সম্পত্তি, বাণিজ্য ও জনসংযোগসহ কয়েকটি শাখায় কর্মরত ১৩৪ কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করে বোর্ডে নোটিশ টাঙিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। আরও ৫১ কর্মচারীকে ফোনের মাধ্যমে কর্মস্থলে আসতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে।

তবে চাকরিচ্যুত অনেকেই দাবি করেছেন, চাকরিচ্যুত করা হলেও অনেক কর্মচারীর এক মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়নি। তারা গত দুই মাস আগে নিয়োগ পেয়ে যোগদান করেছিলেন।

প্রশাসনিক শাখা থেকে চাকরিচ্যুত অফিস সহকারী তাজাম্মুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১ নভেম্বর চাকরিতে যোগদান করি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অফিস করেছি। এরপরই জানিয়ে দেওয়া হয়, আমাদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।’ নিরাপত্তাকর্মী শহিদুল ইসলাম জানান, ‘দুই মাস চাকরি করেছি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাজ শেষে নগর ভবনে গেলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়ে দেন, আর আসতে হবে না। আমাকে এক মাসের বেতন দেওয়া হয়নি।’

সিটি করপোরেশনের একটি সূত্র জানায়, বরিশাল সিটি করপোরেশনে এমনিতেই আয় কম। তার ওপর গত পাচ বছরে সরকারি ও বেসরকারি কোনো অনুদান ও বরাদ্দ না পাওয়ায় করপোরেশন দেনার দায়ে জর্জরিত। বর্তমান মেয়র ৩০০ কোটি টাকার বেশি দেনা মাথায় নিয়ে দায়িত্ব নিয়েছেন। এ রকম পরিস্থিতিতে সাদিক আবদুল্লাহর পাচ বছরের ক্ষমতার আমলে তাঁর অনুগত দলীয় কয়েক শ কর্মীকে মজুরিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল সিটি করপোরেশনে। এরপর ক্ষমতা হস্তান্তরের শেষ কর্মদিবসে এক ঘোষণায় আরও ১৮৫ জন মজুরিভিত্তিক কর্মচারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

গত ১৪ নভেম্বর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেন নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। ওই দিন সিটি করপোরেশনের সামনে ফজলুল হক অ্যাভিনিউতে এক নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্যে খায়ের আবদুল্লাহ বলেছিলেন, ‘৩০০ কোটি টাকার দায়দেনার বোঝা নিয়ে আজ দায়িত্ব নিচ্ছি। এটা নগরবাসীর দায়দেনা। তহবিলে আছে মাত্র ১২ কোটি টাকা। এরপরও আমি হতাশ নই, এতে হতাশার কিছু নেই। আমাদের কাজ করতে হবে। নতুন বরিশাল গড়ার যে অঙ্গীকার আমি নির্বাচনের প্রাক্কালে করেছিলাম, আমি আজ আবারও তা পুনর্ব্যক্ত করছি। মানুষ আমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছেন, বিশ্বাস করে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব, সেই অঙ্গীকার আবারও পুনর্ব্যক্ত করছি।’

এর আগে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ গত ১৩ নভেম্বর বলেছিলেন, ‘এত দিন নগর ভবন যাদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে, তাদের কোয়ালিটি সাবস্ট্যান্ডার্ড। সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হলো, আমরা যে নতুন যাত্রা শুরু করব, তাতে প্রধান নির্বাহী পদে কোনো কর্মকর্তা এখানে যোগদান করতে চাইছেন না। কেন চান না, আমি সেটা চার মাস ধরে জানার চেষ্টা করেছি। যাদেরই বলি, তারাই অভিযোগ করেন, এখানে গেলে ইজ্জত থাকে না, সম্মানহানি হয়। একজন সচিব কয়েক দিন আগে যোগদান করে আবার বদলি হয়ে যেতে চেয়েছেন। আমি অনেক অনুরোধ করে তাকে রেখেছি।’

সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার বলেন, ‘আমাদের যতটা কর্মচারী প্রয়োজন, তার চেয়ে দ্বিগুণ রয়েছে। যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তারা দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া। নিয়োগের শর্ত অনুযায়ী, যখন ইচ্ছা কর্তৃপক্ষ তাদের চাকরি বাতিল করতে পারে। তাই প্রয়োজন না হওয়ায় ১৩৪ জনের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।’

ছবি

ভাঙছে সীমান্ত নদী ইছামতীর বেড়িবাঁধ : এলাকায় আতঙ্ক

শিথিল কারফিউতে খুলেছে দোকানপাট, চলছে গাড়ি, আতঙ্ক কাটছে না জনমনে

ঢাকাসহ ৪ জেলায় ৯ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল

ছবি

ক্রেতা উপস্থিতি কম, বেচা-বিক্রি ‘ঠাণ্ডা’

বেরোবির উপাচার্যের বাসভবনে আক্রমণ-আগুন, যেভাবে উদ্ধার হলেন অবরুদ্ধ ২০ জন

ছবি

গুলিবিদ্ধ অনেকেই হারিয়েছেন পা

ঘটনার দশদিনেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ, উদ্ধার হয়নি লুট হওয়া ৭০ ভরি স্বর্ণের এক আনাও

সিলেটে সীমান্তকেন্দ্রিক চোরাচালান, ঘুরেফিরে তিনিই বিভিন্ন থানার ওসি

ছবি

অনেক পত্রিকায় খবর এলো, কিন্তু রুদ্র তো আর আসবে না

সহিংসতা-নাশকতার অভিযোগে ২০১ মামলা, গ্রেপ্তার ২২০৯

ছবি

কারফিউ শিথিলের সময় আরও ভিড়, যানজট

ছবি

রায়গঞ্জে অব্যবস্থাপনায় বন্ধের মুখে প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্রগুলো

এবার সারাদেশে পরীক্ষামূলক ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু

ছবি

নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো ৩৩১ বন্দীর আত্মসমর্পণ

ছবি

ফুটেজ দেখে সেতু ভবনে আগুন-লুটপাটে জড়িতদের ধরা হচ্ছে : ডিবি

সোনারগাঁয়ে জ্বালাও পোড়াও ভাংচুর না হলেও নাশকতার মামলায় আসামি ৮ শতাধিক, গ্রেফতার অর্ধশত

সেন্টমার্টিনে ট্রলার ডুবিতে ছাত্রলীগ নেতা নিখোঁজ, কোস্টগার্ডের চৌকিতে হামলা

কক্সবাজারে ছাত্রলীগ নেতা মারধরের ঘটনায় আরও ১১ জন গ্রেফতার

ঢাকাসহ চার জেলায় আজ ও কাল ৭ ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল

ছবি

টাঙ্গাইলে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

ছবি

কোটা সংস্কার আন্দোলনে কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, আহত ২০

ছবি

আবারও বেপরোয়া সার্ভেয়ার বাকের ও হাসান সিন্ডিকেট ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়ে না কক্সবাজার এলএ শাখায়

ছবি

রামু থেকে অস্ত্র ও গুলি নিয়ে সন্ত্রাসী আটক

ছবি

কক্সবাজারে ক্ষমতাসীনদের হামলায় ৫ সংবাদকর্মী আহত

ছবি

নিখোঁজের দুই দিন পর পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

টেকনাফ সমুদ্র উপকূলে পালিয়ে এলো ৫ রোহিঙ্গা

ছবি

টেকনাফগামী ট্রলারে মায়ানমারের গুলি

ছবি

কোটা আন্দোলন: রংপুরে সংঘর্ষ ও মৃত্যুর তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন

ছবি

শেখ হাসিনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্বে কুরুচিপূর্ন বক্তব্য দেওয়ায় গজারিয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিবাদ সভা

ছবি

নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের না’গঞ্জে মানববন্ধন

ছবি

কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের দাফন সম্পন্ন

ছবি

রামুতে মাদকসেবী ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

সারাদেশে স্কুল, কলেজ অনিদিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা

ছবি

কোটা সংস্কার আন্দোলন : কক্সবাজারে সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

ছবি

চীন বা ভারত নয়, নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবী

ছবি

মায়ানমারে চলছে বোমা হামলা সীমান্তে এতো কড়াকড়িতেও রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ

tab

সারাদেশ

সাদিক আবদুল্লাহর শেষ কর্মদিবসে নিয়োগ দেওয়া ১৩৪ কর্মচারী চাকরিচ্যুত

প্রতিনিধি, বরিশাল

শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩

বরিশাল সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ তার শেষ কর্মদিবসে সিটি করপোরেশনে ১৩৪ জন দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছিলেন। সেই ১৩৪ কর্মচারীর নিয়োগ বৃহস্পতিবার বাতিল করা হয়েছে। নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ দায়িত্ব গ্রহণের ২৮ দিনের মাথায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। চাকরিচ্যুত এই ১৩৪ জন ছাড়া আরও ৫১ জন মজুরিভিত্তিক কর্মচারীকে কর্মস্থলে না আসার জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আগামীকাল রোববার অফিস খোলার তারিখে বাকিদেরও চাকরিচ্যুত করার নোটিশ প্রদান করা হবে।

এই ১৮৫ কর্মচারীকেই সাদিক আবদুল্লাহ দায়িত্ব হস্তান্তরের আগে শেষ সময়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। একইভাবে নিয়মবহির্ভূতভাবে সাদিক তার অনুগত বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি ও চাকরি স্থায়ী করেন। এ নিয়ে ওই সময় ব্যাপক বিতর্ক ও আলোচনার জন্ম নিয়েছিল।

নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে প্রশাসন, হাটবাজার, পরিচ্ছন্নতা, ভান্ডার, বিদ্যুৎ সম্পত্তি, জন্মনিবন্ধন, প্রকৌশল, সিটি নিরাপত্তা, কর আদায়, সম্পত্তি, বাণিজ্য ও জনসংযোগসহ কয়েকটি শাখায় কর্মরত ১৩৪ কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করে বোর্ডে নোটিশ টাঙিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। আরও ৫১ কর্মচারীকে ফোনের মাধ্যমে কর্মস্থলে আসতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে।

তবে চাকরিচ্যুত অনেকেই দাবি করেছেন, চাকরিচ্যুত করা হলেও অনেক কর্মচারীর এক মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়নি। তারা গত দুই মাস আগে নিয়োগ পেয়ে যোগদান করেছিলেন।

প্রশাসনিক শাখা থেকে চাকরিচ্যুত অফিস সহকারী তাজাম্মুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১ নভেম্বর চাকরিতে যোগদান করি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অফিস করেছি। এরপরই জানিয়ে দেওয়া হয়, আমাদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।’ নিরাপত্তাকর্মী শহিদুল ইসলাম জানান, ‘দুই মাস চাকরি করেছি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাজ শেষে নগর ভবনে গেলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়ে দেন, আর আসতে হবে না। আমাকে এক মাসের বেতন দেওয়া হয়নি।’

সিটি করপোরেশনের একটি সূত্র জানায়, বরিশাল সিটি করপোরেশনে এমনিতেই আয় কম। তার ওপর গত পাচ বছরে সরকারি ও বেসরকারি কোনো অনুদান ও বরাদ্দ না পাওয়ায় করপোরেশন দেনার দায়ে জর্জরিত। বর্তমান মেয়র ৩০০ কোটি টাকার বেশি দেনা মাথায় নিয়ে দায়িত্ব নিয়েছেন। এ রকম পরিস্থিতিতে সাদিক আবদুল্লাহর পাচ বছরের ক্ষমতার আমলে তাঁর অনুগত দলীয় কয়েক শ কর্মীকে মজুরিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল সিটি করপোরেশনে। এরপর ক্ষমতা হস্তান্তরের শেষ কর্মদিবসে এক ঘোষণায় আরও ১৮৫ জন মজুরিভিত্তিক কর্মচারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

গত ১৪ নভেম্বর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেন নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। ওই দিন সিটি করপোরেশনের সামনে ফজলুল হক অ্যাভিনিউতে এক নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্যে খায়ের আবদুল্লাহ বলেছিলেন, ‘৩০০ কোটি টাকার দায়দেনার বোঝা নিয়ে আজ দায়িত্ব নিচ্ছি। এটা নগরবাসীর দায়দেনা। তহবিলে আছে মাত্র ১২ কোটি টাকা। এরপরও আমি হতাশ নই, এতে হতাশার কিছু নেই। আমাদের কাজ করতে হবে। নতুন বরিশাল গড়ার যে অঙ্গীকার আমি নির্বাচনের প্রাক্কালে করেছিলাম, আমি আজ আবারও তা পুনর্ব্যক্ত করছি। মানুষ আমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছেন, বিশ্বাস করে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব, সেই অঙ্গীকার আবারও পুনর্ব্যক্ত করছি।’

এর আগে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ গত ১৩ নভেম্বর বলেছিলেন, ‘এত দিন নগর ভবন যাদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে, তাদের কোয়ালিটি সাবস্ট্যান্ডার্ড। সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হলো, আমরা যে নতুন যাত্রা শুরু করব, তাতে প্রধান নির্বাহী পদে কোনো কর্মকর্তা এখানে যোগদান করতে চাইছেন না। কেন চান না, আমি সেটা চার মাস ধরে জানার চেষ্টা করেছি। যাদেরই বলি, তারাই অভিযোগ করেন, এখানে গেলে ইজ্জত থাকে না, সম্মানহানি হয়। একজন সচিব কয়েক দিন আগে যোগদান করে আবার বদলি হয়ে যেতে চেয়েছেন। আমি অনেক অনুরোধ করে তাকে রেখেছি।’

সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার বলেন, ‘আমাদের যতটা কর্মচারী প্রয়োজন, তার চেয়ে দ্বিগুণ রয়েছে। যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তারা দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া। নিয়োগের শর্ত অনুযায়ী, যখন ইচ্ছা কর্তৃপক্ষ তাদের চাকরি বাতিল করতে পারে। তাই প্রয়োজন না হওয়ায় ১৩৪ জনের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।’

back to top