‘রাজনীতি যার যার, অর্থনীতি সবার’ এ মূলমন্ত্র ধারণ করে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত এফবিসিসিআই-এর বার্ষিক সাধারণ সভায় এ বক্তৃতাকালে ব্যবসায়ীদের এ আহ্বান জানান তিনি।
মাহবুবুল আলম বলেন, ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতির প্রাণ। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে, দেশকে সমৃদ্ধ করতে সকল ভেদাভেদ ভুলে ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ শিল্পোদ্যোক্তা থেকে শুরু করে দেশের সকল পর্যায়ের ব্যবসায়ীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। রাজনৈতিক সহিংসতা, ভেদাভেদ ভুলে দেশের অর্থনীতিকে সামনের পথে এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে সামনের পথে এগিয়ে নেয়ার কোনো বিকল্প নেই।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, দেশের ব্যবসায়ীরা সুষ্ঠুভাবে নিজ নিজ ব্যবসা পরিচালনা করতে চান। দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্প্রসারণের জন্য ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ খুবই জরুরি। দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অসহিষ্ণু কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।
বর্তমান বিশ্ব ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের ফলে বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে পড়তে শুরু করেছে উল্লেখ করে মাহবুবুল আলম বলেন, এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে আমাদের ব্যবসায়ীরা। এছাড়া ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাণিজ্য সংক্রান্ত পরিস্থিতি ও নীতিমালা ক্রমশঃ আধুনিকায়ন করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ইস্যু যেমন- ক্রস বর্ডার ট্রেড ও কানেক্টিভটি, বিনিয়োগ, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বেসরকারি খাতের সুপারিশ প্রণয়ন, শুল্ক ও কর ব্যবস্থা, অবকাঠামো, সাপ্লাই চেইন ও লজিস্টিক সাপোর্ট, এনার্জি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, চতুর্থ শিল্প-বিপ্লব, টেকনিক্যাল এবং ভোকেশনাল ও কারিগরি শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে বেসরকারি খাতের অবস্থান মতামত এবং সুপারিশমালা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তুলে ধরা জরুরি।
মাহবুবুল আলম আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে একাত্ম হয়ে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণমূলক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণে একটি স্মার্ট এফবিসিসিআই গড়ার ম্যানিফেস্টো নিয়ে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় এফবিসিসিআই নিয়মিত কার্যক্রম সম্পর্কে সাধারণ পরিষদের সদস্যদের অবহিত করার জন্য প্রতি মাসে ই-বুলেটিন প্রকাশ করা হচ্ছে। একটি গতিশীল, ব্যবহারবান্ধব এবং ইন্টারেক্টিভ এফবিসিসিআই গঠনে ডিজিটাল ওয়েবসাইট প্রবর্তন করা হয়েছে। এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এফবিসিসিআই এর কার্যক্রমকে আধুনিক ও গতিশীল করার জন্য স্মার্ট অফিস তৈরির লক্ষ্যে গুলশানে এফবিসিসিআইয়ের অফিস সম্প্রসারিত করা হয়েছে।
দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ব্যবসায়ীদের কল্যাণে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন এফবিসিসিআই সভাপতি। এ সময় পুরান ঢাকায় নতুন শাখা অফিস খোলা ও উত্তরায় একটি ভোকেশনাল সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা, গুলশানে এফবিসিসিআই এর এক্সটেন্ডেড অফিস চালু, এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের উদ্বোধন, পুরুষ জামানতকারী ছাড়াই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা কিস্তি প্রাপ্তি, আয়কর জমা দেয়ার সময়সীমা ২ মাস বাড়ানোসহ পলিসি অ্যাডভোকেসির মাধ্যমে দেশের বেসরকারি খাতের সুরক্ষায় বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকার কথা সাধারণ পরিষদ সদস্যদের সামনে তুলে ধরেন মাহবুবুল আলম।
গত বার্ষিক সাধারণ সভার কার্য বিবরণী, এফবিসিসিআইয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২-২৩, এফবিসিসিআইয়ের আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষা প্রতিবেদন এবং নতুন একটি প্রতিষ্ঠানকে নিরীক্ষক দেয়ার বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন দেয়া হয়।
সভায় অন্যদের মধ্যে এফবিসিসিআই এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহ-সভাপতি খায়রুল হুদা চপল, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, শমী কায়সার, রাশেদুল হোসেন চৌধুরী (রনি), মো. মুনির হোসেন, পরিচালক এবং এফবিসিসিআই এর সাধারণ পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
‘রাজনীতি যার যার, অর্থনীতি সবার’ এ মূলমন্ত্র ধারণ করে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত এফবিসিসিআই-এর বার্ষিক সাধারণ সভায় এ বক্তৃতাকালে ব্যবসায়ীদের এ আহ্বান জানান তিনি।
মাহবুবুল আলম বলেন, ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতির প্রাণ। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে, দেশকে সমৃদ্ধ করতে সকল ভেদাভেদ ভুলে ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ শিল্পোদ্যোক্তা থেকে শুরু করে দেশের সকল পর্যায়ের ব্যবসায়ীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। রাজনৈতিক সহিংসতা, ভেদাভেদ ভুলে দেশের অর্থনীতিকে সামনের পথে এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে সামনের পথে এগিয়ে নেয়ার কোনো বিকল্প নেই।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, দেশের ব্যবসায়ীরা সুষ্ঠুভাবে নিজ নিজ ব্যবসা পরিচালনা করতে চান। দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্প্রসারণের জন্য ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ খুবই জরুরি। দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অসহিষ্ণু কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।
বর্তমান বিশ্ব ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের ফলে বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে পড়তে শুরু করেছে উল্লেখ করে মাহবুবুল আলম বলেন, এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে আমাদের ব্যবসায়ীরা। এছাড়া ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাণিজ্য সংক্রান্ত পরিস্থিতি ও নীতিমালা ক্রমশঃ আধুনিকায়ন করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ইস্যু যেমন- ক্রস বর্ডার ট্রেড ও কানেক্টিভটি, বিনিয়োগ, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বেসরকারি খাতের সুপারিশ প্রণয়ন, শুল্ক ও কর ব্যবস্থা, অবকাঠামো, সাপ্লাই চেইন ও লজিস্টিক সাপোর্ট, এনার্জি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, চতুর্থ শিল্প-বিপ্লব, টেকনিক্যাল এবং ভোকেশনাল ও কারিগরি শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে বেসরকারি খাতের অবস্থান মতামত এবং সুপারিশমালা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তুলে ধরা জরুরি।
মাহবুবুল আলম আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে একাত্ম হয়ে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণমূলক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণে একটি স্মার্ট এফবিসিসিআই গড়ার ম্যানিফেস্টো নিয়ে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় এফবিসিসিআই নিয়মিত কার্যক্রম সম্পর্কে সাধারণ পরিষদের সদস্যদের অবহিত করার জন্য প্রতি মাসে ই-বুলেটিন প্রকাশ করা হচ্ছে। একটি গতিশীল, ব্যবহারবান্ধব এবং ইন্টারেক্টিভ এফবিসিসিআই গঠনে ডিজিটাল ওয়েবসাইট প্রবর্তন করা হয়েছে। এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এফবিসিসিআই এর কার্যক্রমকে আধুনিক ও গতিশীল করার জন্য স্মার্ট অফিস তৈরির লক্ষ্যে গুলশানে এফবিসিসিআইয়ের অফিস সম্প্রসারিত করা হয়েছে।
দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ব্যবসায়ীদের কল্যাণে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন এফবিসিসিআই সভাপতি। এ সময় পুরান ঢাকায় নতুন শাখা অফিস খোলা ও উত্তরায় একটি ভোকেশনাল সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা, গুলশানে এফবিসিসিআই এর এক্সটেন্ডেড অফিস চালু, এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের উদ্বোধন, পুরুষ জামানতকারী ছাড়াই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা কিস্তি প্রাপ্তি, আয়কর জমা দেয়ার সময়সীমা ২ মাস বাড়ানোসহ পলিসি অ্যাডভোকেসির মাধ্যমে দেশের বেসরকারি খাতের সুরক্ষায় বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকার কথা সাধারণ পরিষদ সদস্যদের সামনে তুলে ধরেন মাহবুবুল আলম।
গত বার্ষিক সাধারণ সভার কার্য বিবরণী, এফবিসিসিআইয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২-২৩, এফবিসিসিআইয়ের আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষা প্রতিবেদন এবং নতুন একটি প্রতিষ্ঠানকে নিরীক্ষক দেয়ার বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন দেয়া হয়।
সভায় অন্যদের মধ্যে এফবিসিসিআই এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহ-সভাপতি খায়রুল হুদা চপল, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, শমী কায়সার, রাশেদুল হোসেন চৌধুরী (রনি), মো. মুনির হোসেন, পরিচালক এবং এফবিসিসিআই এর সাধারণ পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।