নওগাঁ জেলার সীমান্তবর্তী বরেন্দ্র উপজেলা সাপাহার। এই উপজেলার জনসাধারণের স্বস্থ্যের মান নিশ্চিত করতে সরকারী অর্থায়নে ১৯৮২ সালে স্থাপিত হয় সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন। প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯৮৮ সালে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট ভবন নির্মিত হলেও পরবর্তীতে এটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট শিশুবান্ধব হাসপাতাল হিসেবে উন্নীত করা হয়। পরবর্তীতে দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি উন্নয়নের স্বীকৃতি স্বরূপ রাজশাহী বিভাগীয় শ্রেষ্ঠত্বের সম্মাননা লাভ করে।
এরই অংশ হিসেবে, সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুহুল আমিন এর উদ্যোগে “নরমাল ডেলিভারিকে হ্যাঁ, সিজারিয়ানকে না বলুন” এই স্লোগানকে উপজেলার সর্বত্রই পৌঁছে দিতে জনসচেতনতামূলক নানা কর্মসূচির গ্রহণ করেন।
নরমাল ডেলিভারিতে উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রমে অংশ নিয়ে মাঠ পর্যায়ে শিক্ষক, চেয়ারম্যান, মেম্বার, স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন এনজিওর স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে বার্তা পৌঁছানোর নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। নানাভাবে প্রসূতি মহিলাদের বিনামূল্যে প্রসূতি দাওয়াত কার্ডও দেওয়া হয় এবং স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স থেকে ডেলিভারির আগ মুহূর্ত পর্যন্ত চলতে থাকে কাউন্সিলিং আর চেকআপ।
জনসচেতনতামূলক এসব কার্মসূচির ফলস্বরূপ বর্তমানে এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিরাপদে এ ডেলিভারি করানো হলে মা ও শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিও কম। নরমাল ডেলিভারিতে তুলনামূলক ভাবে খরচ একেবারে কম এমনি চিন্তা ধারায় উৎসাহিত হয়ে সিজারিয়ান চিন্তা বিমুখ হয়ে উপজেলার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে শুধুমাত্র চলতি বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত ৫৫১টি নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন হয়েছে এবং গত নভেম্বরে এর সংখ্যা ছিল ৮০ টি । সংখ্যার দিক থেকে এটি জেলায় শীর্ষস্থান দখল করেছে। যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইতিহাসে এক অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
যেখানে প্রতি মাসে গড়ে ১০ থেকে ১৫ টি নরমাল ডেলিভারি হতো এখন বছর কয়েক এর ব্যবধানে মাসে ৮০ তে উন্নীত হয়েছে। গত জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা ৫৫১টি , যা ২০২০ সালে ছিল ২৬৩টি, ২০২১ সালে ছিল ৪৫৫টি এবং ২০২২ সালে ৫১৭টি নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন হয়েছে। এবিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুহুল আমিন জানান , নওগাঁ জেলায় প্রথম উপজেলা পর্যায়ে আলাদা ডেলিভারি ইউনিট চালু করা হয়েছে এবং ছয়জন মিডওয়াইফের সমন্বয়ে গঠিত টিম সার্বক্ষণিক ডেলিভারি ও গর্ভকালীন ও প্রসব পরবর্তী চেকআপ কাজে নিয়োজিত থাকেন। এখানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নরমাল ডেলিভারির ব্যবস্থা রয়েছে । ডেলিভারি পরবর্তী এক মাসের ওষুধ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়ে থাকে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং সব ধরনের যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে প্রস্তুত থাকে ডেলিভারি রুম। মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের প্রচারণা ও সহযোগিতায় আমরা এতদূর আসতে সক্ষম হয়েছি।
রোববার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
নওগাঁ জেলার সীমান্তবর্তী বরেন্দ্র উপজেলা সাপাহার। এই উপজেলার জনসাধারণের স্বস্থ্যের মান নিশ্চিত করতে সরকারী অর্থায়নে ১৯৮২ সালে স্থাপিত হয় সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন। প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯৮৮ সালে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট ভবন নির্মিত হলেও পরবর্তীতে এটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট শিশুবান্ধব হাসপাতাল হিসেবে উন্নীত করা হয়। পরবর্তীতে দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি উন্নয়নের স্বীকৃতি স্বরূপ রাজশাহী বিভাগীয় শ্রেষ্ঠত্বের সম্মাননা লাভ করে।
এরই অংশ হিসেবে, সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুহুল আমিন এর উদ্যোগে “নরমাল ডেলিভারিকে হ্যাঁ, সিজারিয়ানকে না বলুন” এই স্লোগানকে উপজেলার সর্বত্রই পৌঁছে দিতে জনসচেতনতামূলক নানা কর্মসূচির গ্রহণ করেন।
নরমাল ডেলিভারিতে উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রমে অংশ নিয়ে মাঠ পর্যায়ে শিক্ষক, চেয়ারম্যান, মেম্বার, স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন এনজিওর স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে বার্তা পৌঁছানোর নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। নানাভাবে প্রসূতি মহিলাদের বিনামূল্যে প্রসূতি দাওয়াত কার্ডও দেওয়া হয় এবং স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স থেকে ডেলিভারির আগ মুহূর্ত পর্যন্ত চলতে থাকে কাউন্সিলিং আর চেকআপ।
জনসচেতনতামূলক এসব কার্মসূচির ফলস্বরূপ বর্তমানে এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিরাপদে এ ডেলিভারি করানো হলে মা ও শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিও কম। নরমাল ডেলিভারিতে তুলনামূলক ভাবে খরচ একেবারে কম এমনি চিন্তা ধারায় উৎসাহিত হয়ে সিজারিয়ান চিন্তা বিমুখ হয়ে উপজেলার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে শুধুমাত্র চলতি বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত ৫৫১টি নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন হয়েছে এবং গত নভেম্বরে এর সংখ্যা ছিল ৮০ টি । সংখ্যার দিক থেকে এটি জেলায় শীর্ষস্থান দখল করেছে। যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইতিহাসে এক অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
যেখানে প্রতি মাসে গড়ে ১০ থেকে ১৫ টি নরমাল ডেলিভারি হতো এখন বছর কয়েক এর ব্যবধানে মাসে ৮০ তে উন্নীত হয়েছে। গত জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা ৫৫১টি , যা ২০২০ সালে ছিল ২৬৩টি, ২০২১ সালে ছিল ৪৫৫টি এবং ২০২২ সালে ৫১৭টি নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন হয়েছে। এবিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুহুল আমিন জানান , নওগাঁ জেলায় প্রথম উপজেলা পর্যায়ে আলাদা ডেলিভারি ইউনিট চালু করা হয়েছে এবং ছয়জন মিডওয়াইফের সমন্বয়ে গঠিত টিম সার্বক্ষণিক ডেলিভারি ও গর্ভকালীন ও প্রসব পরবর্তী চেকআপ কাজে নিয়োজিত থাকেন। এখানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নরমাল ডেলিভারির ব্যবস্থা রয়েছে । ডেলিভারি পরবর্তী এক মাসের ওষুধ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়ে থাকে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং সব ধরনের যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে প্রস্তুত থাকে ডেলিভারি রুম। মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের প্রচারণা ও সহযোগিতায় আমরা এতদূর আসতে সক্ষম হয়েছি।