ফের ‘তথ্য ফাঁসের’ খবর
পূর্ব ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ করেই জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা বন্ধ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সারাদিন জনগুরুত্বপূর্ণ এই সেবা বন্ধ ছিল। আজ বেলা ২টার পর থেকে পুনরায় সেবাটি চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
এনআইডি সেবা বন্ধের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য দেয়নি ইসি। মঙ্গলবার সকাল ১০টা ১১ মিনিটে নিজেদের ইন্টারনাল সার্ভারে একটি মেসেজ (বার্তা) দিয়ে দায় সেরেছে কমিশন। ইসির ইনফরমেশন সিস্টেম ব্যবস্থাপনা অধিশাখার সহকারী প্রোগ্রামার আমিনুল ইসলামের ওই বার্তায় বলা হয়, ‘সার্ভারের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলমান রয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলমান থাকায় এনআইডি সংক্রান্ত সব সেবা আজ দুপুর ২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
এদিকে, দেশের একটি জাতীয় দৈনিকের সংবাদে বলা হয়েছে, একটি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে অসংখ্য নাগরিক ব্যক্তিগত তথ্য ও নথি ইন্টারনেটে উন্মুক্ত (ফাঁস) হয়ে পড়েছে। তবে শিক্ষা বোর্ডের নাম প্রকাশ করেনি ওই দৈনিক। মঙ্গলবার তাদের প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, একজন শিক্ষার্থী তার সনদে নামের বানান সংশোধন করার জন্য অনলাইনে ওই বোর্ডের ওয়েবসাইটে আবেদন করেন এবং প্রয়োজনীয় নথি জমা (আপলোড) দেন। কিছুদিন পর, তার পরিচিত কয়েকজন জানান, তার (আবেদনকারীর) এনআইডি, পাসপোর্ট ইন্টারনেটে পাওয়া যাচ্ছে। ভুক্তভোগি শিক্ষার্থী বিষয়টি দৈনিকটিকে জানায়। যাচাই করতে গত সোমবার ও মঙ্গলবার ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করে এর প্রমাণ পেয়েছে ওই দৈনিক। সংবাদে বলা হচ্ছে, ওই বোর্ডে আবেদনকারীদের জমা দেয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মসনদ, ওয়ারিশন সনদ, পারিবারিক সনদ, নোটারি সনদ, বোর্ড পরীক্ষার সনদ ইত্যাদির স্ক্যান কপি বা পিডিএফ ফাইল- এ ধরণের হাজার নথি গুগলে উন্মুক্ত হয়ে আছে।
বিষয়টি মঙ্গলবার ওই শিক্ষা বোর্ড এবং সরকারের একজন মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে জানিয়েছে ওই দৈনিক।
সাইবার হামলার আশঙ্কায় গত ১৪ আগস্ট রাত ১২টা থেকে প্রায় ৩৮ ঘণ্টা এনআইডির সার্ভার বন্ধ রাখার পর গত ১৬ আগস্ট বেলা ২টার দিকে চালু করে ইসি।
জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে মার্কিন ওয়েব পোর্টাল টেকক্রাঞ্চের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, সরকারি ওয়েবসাইট থেকে বাংলাদেশের কোটি কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ওয়েবে ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। পরে সরকার সংশ্লিষ্টরা জানান, রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের ওয়েবসাইট থেকে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে।
এরপর দেশে ডিজিটাল তথ্য ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টি আলোচনায় আসে। নিরাপত্তা বাড়াতে শুরু হয় সার্ভার মেইনটেনেন্স।
এবার একটি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে একই ঘটনা ঘটেছে বলে জানালো একটি গণমাধ্যম।
তবে মঙ্গলবার থেকে এনআইডি সেবা বন্ধ রাখার বিষয়ে ‘প্রত্রিকার খবর মোতাবেক শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁসের ঘটনার’ কোন সংশ্লিষ্টা আছে কিনা, তা স্পষ্ট করেনি ইসি।
তবে, পূর্ব ঘোষণা ছাড়া এনআইডি সেবা বন্ধ রাখলে নানা জটিলতা তৈরি হওয়ার বিষয়ে ইসির কর্মকর্তারাও একমত। তারা বলছেন, ইসি থেকে ১৭১টি প্রতিষ্ঠান এনআইডি যাচাইসংক্রান্ত সেবা নিয়ে নিজ নিজ কর্ম সম্পাদন করে। এছাড়া, সাধারণ মানুষ নানা প্রয়োজনে অনলাইনে এনআইডি সেবাগ্রহণ করে থাকে।
তাই, জনগুরুত্বপূর্ণ এই সেবা বন্ধের আগে জনসাধারণের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।
উল্লেখ্য, ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা করা হবে সম্প্রতি এমন হুমকি দিয়েছিল ‘ইন্ডিয়ান সাইবার ফোর্স’ নামে হ্যাকার গ্রুপ ।
ফের ‘তথ্য ফাঁসের’ খবর
মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
পূর্ব ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ করেই জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা বন্ধ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সারাদিন জনগুরুত্বপূর্ণ এই সেবা বন্ধ ছিল। আজ বেলা ২টার পর থেকে পুনরায় সেবাটি চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
এনআইডি সেবা বন্ধের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য দেয়নি ইসি। মঙ্গলবার সকাল ১০টা ১১ মিনিটে নিজেদের ইন্টারনাল সার্ভারে একটি মেসেজ (বার্তা) দিয়ে দায় সেরেছে কমিশন। ইসির ইনফরমেশন সিস্টেম ব্যবস্থাপনা অধিশাখার সহকারী প্রোগ্রামার আমিনুল ইসলামের ওই বার্তায় বলা হয়, ‘সার্ভারের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলমান রয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলমান থাকায় এনআইডি সংক্রান্ত সব সেবা আজ দুপুর ২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
এদিকে, দেশের একটি জাতীয় দৈনিকের সংবাদে বলা হয়েছে, একটি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে অসংখ্য নাগরিক ব্যক্তিগত তথ্য ও নথি ইন্টারনেটে উন্মুক্ত (ফাঁস) হয়ে পড়েছে। তবে শিক্ষা বোর্ডের নাম প্রকাশ করেনি ওই দৈনিক। মঙ্গলবার তাদের প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, একজন শিক্ষার্থী তার সনদে নামের বানান সংশোধন করার জন্য অনলাইনে ওই বোর্ডের ওয়েবসাইটে আবেদন করেন এবং প্রয়োজনীয় নথি জমা (আপলোড) দেন। কিছুদিন পর, তার পরিচিত কয়েকজন জানান, তার (আবেদনকারীর) এনআইডি, পাসপোর্ট ইন্টারনেটে পাওয়া যাচ্ছে। ভুক্তভোগি শিক্ষার্থী বিষয়টি দৈনিকটিকে জানায়। যাচাই করতে গত সোমবার ও মঙ্গলবার ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করে এর প্রমাণ পেয়েছে ওই দৈনিক। সংবাদে বলা হচ্ছে, ওই বোর্ডে আবেদনকারীদের জমা দেয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মসনদ, ওয়ারিশন সনদ, পারিবারিক সনদ, নোটারি সনদ, বোর্ড পরীক্ষার সনদ ইত্যাদির স্ক্যান কপি বা পিডিএফ ফাইল- এ ধরণের হাজার নথি গুগলে উন্মুক্ত হয়ে আছে।
বিষয়টি মঙ্গলবার ওই শিক্ষা বোর্ড এবং সরকারের একজন মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে জানিয়েছে ওই দৈনিক।
সাইবার হামলার আশঙ্কায় গত ১৪ আগস্ট রাত ১২টা থেকে প্রায় ৩৮ ঘণ্টা এনআইডির সার্ভার বন্ধ রাখার পর গত ১৬ আগস্ট বেলা ২টার দিকে চালু করে ইসি।
জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে মার্কিন ওয়েব পোর্টাল টেকক্রাঞ্চের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, সরকারি ওয়েবসাইট থেকে বাংলাদেশের কোটি কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ওয়েবে ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। পরে সরকার সংশ্লিষ্টরা জানান, রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের ওয়েবসাইট থেকে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে।
এরপর দেশে ডিজিটাল তথ্য ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টি আলোচনায় আসে। নিরাপত্তা বাড়াতে শুরু হয় সার্ভার মেইনটেনেন্স।
এবার একটি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে একই ঘটনা ঘটেছে বলে জানালো একটি গণমাধ্যম।
তবে মঙ্গলবার থেকে এনআইডি সেবা বন্ধ রাখার বিষয়ে ‘প্রত্রিকার খবর মোতাবেক শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁসের ঘটনার’ কোন সংশ্লিষ্টা আছে কিনা, তা স্পষ্ট করেনি ইসি।
তবে, পূর্ব ঘোষণা ছাড়া এনআইডি সেবা বন্ধ রাখলে নানা জটিলতা তৈরি হওয়ার বিষয়ে ইসির কর্মকর্তারাও একমত। তারা বলছেন, ইসি থেকে ১৭১টি প্রতিষ্ঠান এনআইডি যাচাইসংক্রান্ত সেবা নিয়ে নিজ নিজ কর্ম সম্পাদন করে। এছাড়া, সাধারণ মানুষ নানা প্রয়োজনে অনলাইনে এনআইডি সেবাগ্রহণ করে থাকে।
তাই, জনগুরুত্বপূর্ণ এই সেবা বন্ধের আগে জনসাধারণের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।
উল্লেখ্য, ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা করা হবে সম্প্রতি এমন হুমকি দিয়েছিল ‘ইন্ডিয়ান সাইবার ফোর্স’ নামে হ্যাকার গ্রুপ ।