নারায়ণগঞ্জে দিনদিন বাড়ছে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা। ধর্ষণ, অপহরণ, যৌতুকের জন্য নির্যাতনসহ বিভিন্নভাবে সহিংসতার শিকার হচ্ছেন নারীরা। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত জেলায় এ সংক্রান্ত ৩৮৪ ঘটনা ঘটেছে। যা গতবছর ছিল ৩০৭টি। নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
গতকাল দুপুরে শহরের মিশনপাড়া এলাকায় অবস্থিত সংগঠনটির জেলা কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তারা। তারা বলেন, প্রশাসনিক অক্ষমতা, অবহেলা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসহযোগি, সামাজিক অবক্ষয়, ক্ষমতার অপব্যবহার, ভুক্তভোগীর আইনের দ্বারস্থ না হওয়া, মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণে সুষ্ঠু বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নারীরা। তাই দিন দিন এ ধরণের সহিংসতা বেড়েই চলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে চলতি বছরে নারী ও শিশুদের উপর হওয়া অপরাধের চিত্র তুলে ধরে সংগঠনটি। তাদের দেয়ার তথ্যমতে, চলতি বছরে নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৩৮৪ টি নারী ও শিশু নির্যাতন ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে ৯৭টি ঘটনা নারী ও শিশু ধর্ষণ, ১১টি শিশু বলাৎকার, ৩৯ নারী হত্যার ঘটনা রয়েছে। এছাড়া ২৭টি যৌতুকের জন্য নির্যাতন, ৩২টি যৌন হয়রানী, ১৭টি শ্লীলহানী, ৩৭টি আত্মহত্যা ও আত্মহত্যার জন্য প্ররোচনা, ২১টি অপহরণ, ৪০টি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, ১২টি সাইবার ক্রইম এবং ৫১টি উত্ত্যত্তকরণের ঘটনা ঘটেছে।
সংগঠনটির ২০২২ সালে নারায়ণগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনার পরিসংখ্যান মতে, ওই বছর জেলায় ৩০৭টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। যার মধ্যে ৭৯ টি নারী ও শিশু ধর্ষণ, ১২টি গণধর্ষণ, ১১টি ধর্ষণের পর হত্যা, ১১টি হত্যা, ৫টি শিশু হত্যা, ৯টি যৌতুকের জন্য স্বামী কর্তৃক হত্যা, ৫টি অপহরণ, ৮৭টি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, ১০টি বাল্যবিবাহ, ১৭টি আত্মহত্যা, ৬টি বলাৎকার এবং ১৭টি সাইবারক্রইমের ঘটনা ছিল।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জেলা সভাপতি লক্ষ্মী চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও লিগ্যাল এইড সম্পাদক শাহানারা বেগমের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সভাপতি আঞ্জুমান আরা আকসির, সহ-সভাপতি রীনা আহমেদ, সহ সভাপতি ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রীতি কনা দাস, সাধারণ সম্পাদক এড. হাসিনা পারভীন, আন্দোলন সম্পাদক শুভা সাহা, প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ সুজাতা আফরোজ, সদস্য রাশিদা বেগম, সুমি সরকার প্রমুখ।
মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩
নারায়ণগঞ্জে দিনদিন বাড়ছে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা। ধর্ষণ, অপহরণ, যৌতুকের জন্য নির্যাতনসহ বিভিন্নভাবে সহিংসতার শিকার হচ্ছেন নারীরা। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত জেলায় এ সংক্রান্ত ৩৮৪ ঘটনা ঘটেছে। যা গতবছর ছিল ৩০৭টি। নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
গতকাল দুপুরে শহরের মিশনপাড়া এলাকায় অবস্থিত সংগঠনটির জেলা কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তারা। তারা বলেন, প্রশাসনিক অক্ষমতা, অবহেলা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসহযোগি, সামাজিক অবক্ষয়, ক্ষমতার অপব্যবহার, ভুক্তভোগীর আইনের দ্বারস্থ না হওয়া, মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণে সুষ্ঠু বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নারীরা। তাই দিন দিন এ ধরণের সহিংসতা বেড়েই চলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে চলতি বছরে নারী ও শিশুদের উপর হওয়া অপরাধের চিত্র তুলে ধরে সংগঠনটি। তাদের দেয়ার তথ্যমতে, চলতি বছরে নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৩৮৪ টি নারী ও শিশু নির্যাতন ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে ৯৭টি ঘটনা নারী ও শিশু ধর্ষণ, ১১টি শিশু বলাৎকার, ৩৯ নারী হত্যার ঘটনা রয়েছে। এছাড়া ২৭টি যৌতুকের জন্য নির্যাতন, ৩২টি যৌন হয়রানী, ১৭টি শ্লীলহানী, ৩৭টি আত্মহত্যা ও আত্মহত্যার জন্য প্ররোচনা, ২১টি অপহরণ, ৪০টি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, ১২টি সাইবার ক্রইম এবং ৫১টি উত্ত্যত্তকরণের ঘটনা ঘটেছে।
সংগঠনটির ২০২২ সালে নারায়ণগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনার পরিসংখ্যান মতে, ওই বছর জেলায় ৩০৭টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। যার মধ্যে ৭৯ টি নারী ও শিশু ধর্ষণ, ১২টি গণধর্ষণ, ১১টি ধর্ষণের পর হত্যা, ১১টি হত্যা, ৫টি শিশু হত্যা, ৯টি যৌতুকের জন্য স্বামী কর্তৃক হত্যা, ৫টি অপহরণ, ৮৭টি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, ১০টি বাল্যবিবাহ, ১৭টি আত্মহত্যা, ৬টি বলাৎকার এবং ১৭টি সাইবারক্রইমের ঘটনা ছিল।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জেলা সভাপতি লক্ষ্মী চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও লিগ্যাল এইড সম্পাদক শাহানারা বেগমের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সভাপতি আঞ্জুমান আরা আকসির, সহ-সভাপতি রীনা আহমেদ, সহ সভাপতি ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রীতি কনা দাস, সাধারণ সম্পাদক এড. হাসিনা পারভীন, আন্দোলন সম্পাদক শুভা সাহা, প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ সুজাতা আফরোজ, সদস্য রাশিদা বেগম, সুমি সরকার প্রমুখ।