বরগুনার বামনা উপজেলার বিষখালী ও হলতা নদীর তীরবর্তী বেড়িবাঁধ বিভিন্ন ইউনিয়নে ও তিন ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি অসাধু ব্যবসায়ীরা ইটভাটা মালিকের কাছে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কৃষি জমি নষ্ট করে মাছের চাষ করার নামে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছে মাটি খেকোরা।
এতে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য, পুকুর ও ঘের খননের নামে সংকুচিত হচ্ছে ফসলি জমি।
গত শনিবার আমতলী গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, আলম হাওলাদারের মালিকানাধীন ফসলি জমির মাটি গত ১০-১৫ দিন ধরে গভীর গর্ত করে ট্রাকে তোলা হচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, জুয়েল হাওলাদারের ফসলি জমিতে মাছের ঘের করার নামে ১০-১২ ফুট গভীর করে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটায়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রাকে করে এসব মাটি নেয়া হচ্ছে ভাটায়। এর ফলে পার্শ্ববর্তী ফসলি জমি বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিতে কথিত ঘেরের পাড় ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন পার্শ্ববর্তী জমির মালিকরা।
শুধু আমতলী গ্রামেই নয় একই ইউনিয়নের চেঁচান গ্রামের তিন ফসলের জমির টপ সয়েল নগদ লাভের আশায় বিক্রি করে দিচ্ছে দরিদ্র কৃষকরা। বেপরোয়াভাবে চলাচলকারী মাটি টানার টলি ও ট্রাকের চাপে রাস্তা ঘাট ও ওয়াপদা বেড়িবাঁধের অবস্থা বেহাল।
ডৌয়াতলা ইউনিয়নের দক্ষিণ কাকচিড়া গ্রামের ফসলি জমিতে পুকুর কেটে মাটি বিক্রি করতে দেখা গেছে। অপর দিকে উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরা বেড়িবাঁধের কোল ঘেঁষে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে আর এনবি নামে একটি নতুন ইটভাটায় মাটির স্তুপ গড়ে তুলেছেন ভাটার মালিক। রামনা আলোকিত যুবসমাজ সংগঠনের সভাপতি ফোরকান মাহমুদ বলেন, বামনা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফসলি জমিসহ, বিষখালি নদীর পাড়ের চরের মাটি প্রতিনিয়ত কেটে নিচ্ছে প্রভাবশালী ভাটা মালিকরা। ফলে হুমকির মুখে পরছে বিষখালী নদীর বেরিবাঁধ। এ ব্যাপারে বামনা উপজেলা সচেতন নাগরিক পরিষদের সভাপতি মো. ওবায়দুল কবির বলেন, বেআইনি কাজ বন্ধের দায়িত্ব প্রশাসনের। অবৈধ কাজ বন্ধের পরিবর্তে প্রশাসন যদি দেখেও না দেখার ভান করে তবে আমরা কি করবো?
এ ব্যাপারে বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অন্তরা হালদার বলেন, একটি ভাটায় অভিযান পরিচালনা করেছি। ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধে জনপ্রতিনিধিদেরও একটা ভূমিকা পালন করা উচিত।
রোববার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
বরগুনার বামনা উপজেলার বিষখালী ও হলতা নদীর তীরবর্তী বেড়িবাঁধ বিভিন্ন ইউনিয়নে ও তিন ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি অসাধু ব্যবসায়ীরা ইটভাটা মালিকের কাছে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কৃষি জমি নষ্ট করে মাছের চাষ করার নামে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছে মাটি খেকোরা।
এতে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য, পুকুর ও ঘের খননের নামে সংকুচিত হচ্ছে ফসলি জমি।
গত শনিবার আমতলী গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, আলম হাওলাদারের মালিকানাধীন ফসলি জমির মাটি গত ১০-১৫ দিন ধরে গভীর গর্ত করে ট্রাকে তোলা হচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, জুয়েল হাওলাদারের ফসলি জমিতে মাছের ঘের করার নামে ১০-১২ ফুট গভীর করে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটায়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রাকে করে এসব মাটি নেয়া হচ্ছে ভাটায়। এর ফলে পার্শ্ববর্তী ফসলি জমি বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিতে কথিত ঘেরের পাড় ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন পার্শ্ববর্তী জমির মালিকরা।
শুধু আমতলী গ্রামেই নয় একই ইউনিয়নের চেঁচান গ্রামের তিন ফসলের জমির টপ সয়েল নগদ লাভের আশায় বিক্রি করে দিচ্ছে দরিদ্র কৃষকরা। বেপরোয়াভাবে চলাচলকারী মাটি টানার টলি ও ট্রাকের চাপে রাস্তা ঘাট ও ওয়াপদা বেড়িবাঁধের অবস্থা বেহাল।
ডৌয়াতলা ইউনিয়নের দক্ষিণ কাকচিড়া গ্রামের ফসলি জমিতে পুকুর কেটে মাটি বিক্রি করতে দেখা গেছে। অপর দিকে উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরা বেড়িবাঁধের কোল ঘেঁষে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে আর এনবি নামে একটি নতুন ইটভাটায় মাটির স্তুপ গড়ে তুলেছেন ভাটার মালিক। রামনা আলোকিত যুবসমাজ সংগঠনের সভাপতি ফোরকান মাহমুদ বলেন, বামনা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফসলি জমিসহ, বিষখালি নদীর পাড়ের চরের মাটি প্রতিনিয়ত কেটে নিচ্ছে প্রভাবশালী ভাটা মালিকরা। ফলে হুমকির মুখে পরছে বিষখালী নদীর বেরিবাঁধ। এ ব্যাপারে বামনা উপজেলা সচেতন নাগরিক পরিষদের সভাপতি মো. ওবায়দুল কবির বলেন, বেআইনি কাজ বন্ধের দায়িত্ব প্রশাসনের। অবৈধ কাজ বন্ধের পরিবর্তে প্রশাসন যদি দেখেও না দেখার ভান করে তবে আমরা কি করবো?
এ ব্যাপারে বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অন্তরা হালদার বলেন, একটি ভাটায় অভিযান পরিচালনা করেছি। ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধে জনপ্রতিনিধিদেরও একটা ভূমিকা পালন করা উচিত।