সিরাজগঞ্জ থেকে কালের আবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে নকশি কাঁথা । সুই সুতা আর কাপড় দিয়ে হাতে বানানো গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী গ্রামীন নকশি কাঁথা। এক সময় জেলার বিভিন্ন উপজেলার খেটে খাওয়া পরিবারের দলবদ্ধ গৃহবধু ও কিশোরীদের হাতের ছোয়ায় নতুন এবং পুরাতন কাপড় দিয়ে তৈরি হতো নিত্য নতুন নকশি কাঁথা । এই কাঁথায় সুই আর সুতা দিয়ে তাদের হাতের ছোয়ায় ফুটিয়ে তোলা হতো নানা রঙ্গের নকশা । অতীতে বিভিন্ন বিবাহ অনুষ্ঠানে বরযাত্রীদের বসতে দেয়া হতো খড়ের উপর পাটের চট বিছিয়ে। আর বর আর তার সঙ্গী কোলদারদের বসতে দেয়া হতো কাঁথার উপর চাদর বিছিয়ে। এখন সেই বসার আসন দখল করেছে ছোপাসেট, চেয়ার , টেবিল সহ আধুনিককালের আসবাপত্র । তাছাড়া কন্যার দাদী নানীরা তাদের নতুন নাতীন জামাইকে উপহার হিসেবে দিতো কাঁথা আর বালিশ । প্রতিটি বাড়ীর বিছানায় বিছানো থাকতো কাঁথা,ধর্নাঢ্যদের কাঁথার উপর থাকতো চাদর । শীত মৌসুমে লেপের নিচে ব্যবহারও করা হতো এই কাঁথা।
এছাড়াও জন্মলগ্ন থেকে ছোট ছোট শিশুদের প্রতিপালনের জন্য ধনী ও দরিদ্র পরিবারের সকলেই কাঁথা ব্যবহার করতো । তবে এই প্রাচীন ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে সিরাজগঞ্জে বিভিন্ন সংগঠন কাজ করছে এর মধ্যে বেসরকারি সংস্থা প্রোগ্রাম ফর উইমেন ডেভলপমেন্ট এর অঙ্গ সংগঠন মোহনা হস্ত ও কুটির শিল্প অন্যতম । সংগঠনটি স্থানীয় অসহায় নারীদের প্রশিক্ষন দিয়ে তাদের দিয়ে তৈরী করছেন নকশি কাঁথা, বেডসীড, থ্রি পিচ। তবে নকশি কাঁথার চাহিদা দেশের গন্ডি পেরিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা, বৃটেন নেদারল্যান্ডসসহ বিভিন্ন দেশে।
এ বিষয়ে শহরের আমলা পাড়া মহল্লার রাবেয়া, সুলতানা, সুমি আমরা এখানে নকশি কাঁথা সেলাই করে আমাদের বাড়তি আয় হচ্ছে অন্যান্য কাজের ফাকে ফাকে আমাদের এই কাজ করে সংসারে সচ্ছলতা এসেছে। তারা জানান, এক একটি নকশি কাঁথা তৈরী করতে ২০/৩০ দিন সময় লাগে । আমরা মুজুরী নেই ১৫শ হতে ২ ‘হাজার টাকা ।
এব্যপারে প্রোগ্রাম ফর উইমেন ডেভলপমেন্ট (চডউ ) এর নির্বাহী পরিচালক জানান, প্রাচীন ঐতিহ্য এই নকশি কাঁথা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই তিনি এলাকার অসহায় নারীদের একত্রিত করে নকশি কাঁথা সেলাই শুরু করেন । প্রথম দিকে তেমন সারা না পেলেও এখন বেশ সারা পাচ্ছেন । তার তৈরী নকশি কাঁথা ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও আমেরিকা , বৃটেন নেদারল্যান্ডসসহ বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে । সরকারি সহযোগীতা পেলে এই শিল্পকে আরো অনেক দুর এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে ।
জানা গেছে এক সময় এই গ্রামীন কাঁথা সেলাই করে সংসারও চালাতেন অনেকেই । তবে এখনও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড হিসেবে উৎপাদন, আয় বৃদ্ধি ও নতুন কর্মসংস্থান তৈরির ক্ষেত্র হিসেবে ‘রঙ্গিন নকশি কাঁথার’ ক্ষাতে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি বেসরকারি সংস্থা এগিয়ে আসলে গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী এ কাঁথাকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন সচেতন মহল ।
রোববার, ০৪ জুন ২০২৩
সিরাজগঞ্জ থেকে কালের আবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে নকশি কাঁথা । সুই সুতা আর কাপড় দিয়ে হাতে বানানো গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী গ্রামীন নকশি কাঁথা। এক সময় জেলার বিভিন্ন উপজেলার খেটে খাওয়া পরিবারের দলবদ্ধ গৃহবধু ও কিশোরীদের হাতের ছোয়ায় নতুন এবং পুরাতন কাপড় দিয়ে তৈরি হতো নিত্য নতুন নকশি কাঁথা । এই কাঁথায় সুই আর সুতা দিয়ে তাদের হাতের ছোয়ায় ফুটিয়ে তোলা হতো নানা রঙ্গের নকশা । অতীতে বিভিন্ন বিবাহ অনুষ্ঠানে বরযাত্রীদের বসতে দেয়া হতো খড়ের উপর পাটের চট বিছিয়ে। আর বর আর তার সঙ্গী কোলদারদের বসতে দেয়া হতো কাঁথার উপর চাদর বিছিয়ে। এখন সেই বসার আসন দখল করেছে ছোপাসেট, চেয়ার , টেবিল সহ আধুনিককালের আসবাপত্র । তাছাড়া কন্যার দাদী নানীরা তাদের নতুন নাতীন জামাইকে উপহার হিসেবে দিতো কাঁথা আর বালিশ । প্রতিটি বাড়ীর বিছানায় বিছানো থাকতো কাঁথা,ধর্নাঢ্যদের কাঁথার উপর থাকতো চাদর । শীত মৌসুমে লেপের নিচে ব্যবহারও করা হতো এই কাঁথা।
এছাড়াও জন্মলগ্ন থেকে ছোট ছোট শিশুদের প্রতিপালনের জন্য ধনী ও দরিদ্র পরিবারের সকলেই কাঁথা ব্যবহার করতো । তবে এই প্রাচীন ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে সিরাজগঞ্জে বিভিন্ন সংগঠন কাজ করছে এর মধ্যে বেসরকারি সংস্থা প্রোগ্রাম ফর উইমেন ডেভলপমেন্ট এর অঙ্গ সংগঠন মোহনা হস্ত ও কুটির শিল্প অন্যতম । সংগঠনটি স্থানীয় অসহায় নারীদের প্রশিক্ষন দিয়ে তাদের দিয়ে তৈরী করছেন নকশি কাঁথা, বেডসীড, থ্রি পিচ। তবে নকশি কাঁথার চাহিদা দেশের গন্ডি পেরিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা, বৃটেন নেদারল্যান্ডসসহ বিভিন্ন দেশে।
এ বিষয়ে শহরের আমলা পাড়া মহল্লার রাবেয়া, সুলতানা, সুমি আমরা এখানে নকশি কাঁথা সেলাই করে আমাদের বাড়তি আয় হচ্ছে অন্যান্য কাজের ফাকে ফাকে আমাদের এই কাজ করে সংসারে সচ্ছলতা এসেছে। তারা জানান, এক একটি নকশি কাঁথা তৈরী করতে ২০/৩০ দিন সময় লাগে । আমরা মুজুরী নেই ১৫শ হতে ২ ‘হাজার টাকা ।
এব্যপারে প্রোগ্রাম ফর উইমেন ডেভলপমেন্ট (চডউ ) এর নির্বাহী পরিচালক জানান, প্রাচীন ঐতিহ্য এই নকশি কাঁথা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই তিনি এলাকার অসহায় নারীদের একত্রিত করে নকশি কাঁথা সেলাই শুরু করেন । প্রথম দিকে তেমন সারা না পেলেও এখন বেশ সারা পাচ্ছেন । তার তৈরী নকশি কাঁথা ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও আমেরিকা , বৃটেন নেদারল্যান্ডসসহ বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে । সরকারি সহযোগীতা পেলে এই শিল্পকে আরো অনেক দুর এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে ।
জানা গেছে এক সময় এই গ্রামীন কাঁথা সেলাই করে সংসারও চালাতেন অনেকেই । তবে এখনও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড হিসেবে উৎপাদন, আয় বৃদ্ধি ও নতুন কর্মসংস্থান তৈরির ক্ষেত্র হিসেবে ‘রঙ্গিন নকশি কাঁথার’ ক্ষাতে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি বেসরকারি সংস্থা এগিয়ে আসলে গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী এ কাঁথাকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন সচেতন মহল ।