সিরাজগঞ্জে বাড়ির আঙ্গিনায় পতিত জমিতে পুষ্টি বাগান করে সাবলম্বী হচ্ছেন ১ হাজার ১৫৮ জন নারী-পুরুষ। বাড়ির আঙ্গিনায় সরকারি প্রকল্পের আওতায় এসব পতিত জমিতে বিভিন্ন রকমের সবজি চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন তারা। এসব বাগান স্বামী-স্ত্রীর পাশাপাশি শখের বসে নিয়মিত দেখাশোনা করেন সন্তানরাও। এতে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদেরও সবজি জোগান দিয়ে থাকেন। প্রায় ২০ প্রকারের সবজি চাষ করছেন এসব উদ্যোগী কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারের পক্ষ থেকে পুরো জেলায় এ বছর ১ হাজার ১৫৮ জনের বাড়ির আঙিনায় সবজি বাগান করে দেওয়া হবে। যা গত বছর ছিল মাত্র ৩৩৬ জনের বাড়ির আঙ্গিনায়। এতে বাঁশ, খুঁটি সবই বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে বিভিন্ন সবজির বীজ, সার দেওয়া হয়। নিয়মিত কৃষি অফিসার এবং উপ-সহকারী কৃষি অফিসাররা তদারকি করে থাকেন। উল্লাপাড়া উপজেলার পংরৌহা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা জয়নব খাতুন বলেন, তারা সকাল ও বিকেল মিলে বাগানে সবজি আবাদে দু থেকে আড়াই ঘন্টা কাজ করেন। পরিবারের অন্যরা মাঝে মধ্যে কাজে সহযোগিতা করে থাকেন। তাদের আবাদ করা সবজিতে তাদের পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি কেউ কেউ আশেপাশের গ্রামের আত্মীয়দের দিচ্ছেন।
কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট মুগবেলাই গ্রামের সোনাউল্লাহ সেখের ছেলে আসাদুল্লাহ বাড়ির আঙিনায় বিষমুক্ত সবজি বাগান গড়ে তুলেছেন। সবজির পাশাপাশি আছে বিভিন্ন ফল ও মসলা জাতীয় ফসল। সবজির মধ্যে আছে পেঁপে, লালশাক, পুইশাক, বেগুন, পালংশাক, বরবটি, ঢেঁড়শ।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্না ইয়াসমিন সুমী বলেন সরকার পতিত জমি ও বসতবাড়ির প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের আওতায় এনে খাদ্য নিরাপত্তার উপর বিশেষ গুরত্ব দিয়েছেন । এই পুষ্টি বাগান প্রকল্পের আওতায় কৃষকরা বাড়ির আশপাশের পতিত জমি, পুকুর পার, খালের পারসহ পতিত জমিতে শাক সব্জি ও ফলের চাষ করবে এতে নিজেদের পুষ্টি চাহিদা মিটানোর পর আত্মীয় স্বজনদের দিতে পারবে । তিনি বলেন এব্যপারে কৃষকদের প্রশিক্ষন প্রদান করা হচ্ছে । এবছর উল্লাপাড়াতে ১৯৫ টি পুষ্টি বাগান করা হয়েছে । পুষ্টি বাগান থেকে কৃষকদের বাড়তি আয়ের ব্যাবস্থা হবে বলেও তিনি জানান ।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ বাবলু কুমার সুত্রধর বলেন, ‘জেলায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্পের আওতায় বাড়ির আঙিনায় সবজি বাগান বাড়ছে। এবছর জেলায় ১১৫৮ জনের বাড়িতে পুষ্টি বাগান করা হয়েছে । পর্যায়ক্রমে এ প্রকল্পের আওতায় অন্য বাড়ির আঙ্গিনায়ও বাগান হবে।
শনিবার, ১০ জুন ২০২৩
সিরাজগঞ্জে বাড়ির আঙ্গিনায় পতিত জমিতে পুষ্টি বাগান করে সাবলম্বী হচ্ছেন ১ হাজার ১৫৮ জন নারী-পুরুষ। বাড়ির আঙ্গিনায় সরকারি প্রকল্পের আওতায় এসব পতিত জমিতে বিভিন্ন রকমের সবজি চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন তারা। এসব বাগান স্বামী-স্ত্রীর পাশাপাশি শখের বসে নিয়মিত দেখাশোনা করেন সন্তানরাও। এতে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদেরও সবজি জোগান দিয়ে থাকেন। প্রায় ২০ প্রকারের সবজি চাষ করছেন এসব উদ্যোগী কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারের পক্ষ থেকে পুরো জেলায় এ বছর ১ হাজার ১৫৮ জনের বাড়ির আঙিনায় সবজি বাগান করে দেওয়া হবে। যা গত বছর ছিল মাত্র ৩৩৬ জনের বাড়ির আঙ্গিনায়। এতে বাঁশ, খুঁটি সবই বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে বিভিন্ন সবজির বীজ, সার দেওয়া হয়। নিয়মিত কৃষি অফিসার এবং উপ-সহকারী কৃষি অফিসাররা তদারকি করে থাকেন। উল্লাপাড়া উপজেলার পংরৌহা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা জয়নব খাতুন বলেন, তারা সকাল ও বিকেল মিলে বাগানে সবজি আবাদে দু থেকে আড়াই ঘন্টা কাজ করেন। পরিবারের অন্যরা মাঝে মধ্যে কাজে সহযোগিতা করে থাকেন। তাদের আবাদ করা সবজিতে তাদের পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি কেউ কেউ আশেপাশের গ্রামের আত্মীয়দের দিচ্ছেন।
কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট মুগবেলাই গ্রামের সোনাউল্লাহ সেখের ছেলে আসাদুল্লাহ বাড়ির আঙিনায় বিষমুক্ত সবজি বাগান গড়ে তুলেছেন। সবজির পাশাপাশি আছে বিভিন্ন ফল ও মসলা জাতীয় ফসল। সবজির মধ্যে আছে পেঁপে, লালশাক, পুইশাক, বেগুন, পালংশাক, বরবটি, ঢেঁড়শ।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্না ইয়াসমিন সুমী বলেন সরকার পতিত জমি ও বসতবাড়ির প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের আওতায় এনে খাদ্য নিরাপত্তার উপর বিশেষ গুরত্ব দিয়েছেন । এই পুষ্টি বাগান প্রকল্পের আওতায় কৃষকরা বাড়ির আশপাশের পতিত জমি, পুকুর পার, খালের পারসহ পতিত জমিতে শাক সব্জি ও ফলের চাষ করবে এতে নিজেদের পুষ্টি চাহিদা মিটানোর পর আত্মীয় স্বজনদের দিতে পারবে । তিনি বলেন এব্যপারে কৃষকদের প্রশিক্ষন প্রদান করা হচ্ছে । এবছর উল্লাপাড়াতে ১৯৫ টি পুষ্টি বাগান করা হয়েছে । পুষ্টি বাগান থেকে কৃষকদের বাড়তি আয়ের ব্যাবস্থা হবে বলেও তিনি জানান ।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ বাবলু কুমার সুত্রধর বলেন, ‘জেলায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্পের আওতায় বাড়ির আঙিনায় সবজি বাগান বাড়ছে। এবছর জেলায় ১১৫৮ জনের বাড়িতে পুষ্টি বাগান করা হয়েছে । পর্যায়ক্রমে এ প্রকল্পের আওতায় অন্য বাড়ির আঙ্গিনায়ও বাগান হবে।