শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানা এলাকায় ধুতুরাপাতা খেয়ে একই পরিবারের ৬ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রোববার(১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার চর কুমারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অ্যালার্জি জনিত সমস্যার জন্য স্থানীয় এক ব্যক্তির পরামর্শে তারা ধুতুরাপাতা শাকের মত রান্না করে ভাতের সঙ্গে খেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
অসুস্থ হয়ে পড়া ছয়জন হলেন ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চর কুমারিয়া গ্রামের মৃত নুরু খানের স্ত্রী বেলাতুন নেছা (৬০), তাঁর ছেলে লিটন খান (৪০), লিটনের স্ত্রী লাকি আক্তার (৩৫), তাদের শিশুসন্তান সামিয়া (৫), সায়মন(৭) ও লামিয়া (৯)।
অসুস্থ অবস্থায় তাঁদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ধুতুরাপাতায় একধরনের বিষ থাকে। যা খেলে মানবদেহে বিষক্রিয়া তৈরি হয়। এতে মানুষ মারা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন শরীয়তপুর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এমরান সরদার।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, অসুস্থ হয়ে পড়া বেলাতুন নেছাসহ তার পরিবারের সদস্যদের দেহে সম্প্রতি অ্যালার্জি জনিত সমস্যা দেখা দেয়। স্থানীয় এক ব্যক্তির পরামর্শে ওই নারী ধুতুরাপাতা সংগ্রহ করে শাক তরকারির মত রান্না করেন। পরে দুপুরে পরিবারের সকল সদস্যদের ভাতের সঙ্গে ধুতুরাপাতা খেতে দেওয়া হয়। তিন শিশুসহ অসুস্থ বাকী তিনজন ধুতুরাপাতা খান। খাওয়ার পরপরই তিন শিশু বমি করে ফেলে দেয়। কিছুক্ষণ পর বাকী তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্বজনেরা প্রথমে তাদের ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাঁদের হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়।
বেলাতুন নেছার ছেলে আবদুর রশিদ খান সংবাদকে বলেন, "আমার ভাইয়ের পরিবারের সদস্যদের অ্যালার্জির সমস্যা হয়েছিল। এলাকার এক ব্যক্তির পরামর্শে আমার মা ধুতুরাপাতা শাকের মতো রান্না করে ভাতের সঙ্গে খেয়েছেন। এরপরই আমার মা, ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী ও তাদের শিশু সন্তানেরা অসুস্থ হয়ে পড়ে।"
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এমরান সরদার গণমাধ্যমকে বলেন, ধুতুরাগাছের ফুল, কাণ্ড, পাতা সবই বিষাক্ত। ধুতুরার বিষ মানবদেহে ঢুকলে নানা ধরনের সমস্যা হয়। বিষক্রিয়ায় মানুষ মারাও যেতে পারে। বিষের পরিমাণ কম হলে তিন-চার দিন পর্যন্ত অচেতন থাকতে পারে। কখনো কখনো মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক শারমিন আক্তার বলেন, সন্ধ্যার সময় অসুস্থ অবস্থায় ছয়জনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের স্বজনেরা জানিয়েছেন, ওই ছয়জন ধুতুরাপাতা খেয়েছেন। তারা সে অনুযায়ী চিকিৎসা দিচ্ছেন। তবে তাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। সে জন্য তাদের ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানা এলাকায় ধুতুরাপাতা খেয়ে একই পরিবারের ৬ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রোববার(১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার চর কুমারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অ্যালার্জি জনিত সমস্যার জন্য স্থানীয় এক ব্যক্তির পরামর্শে তারা ধুতুরাপাতা শাকের মত রান্না করে ভাতের সঙ্গে খেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
অসুস্থ হয়ে পড়া ছয়জন হলেন ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চর কুমারিয়া গ্রামের মৃত নুরু খানের স্ত্রী বেলাতুন নেছা (৬০), তাঁর ছেলে লিটন খান (৪০), লিটনের স্ত্রী লাকি আক্তার (৩৫), তাদের শিশুসন্তান সামিয়া (৫), সায়মন(৭) ও লামিয়া (৯)।
অসুস্থ অবস্থায় তাঁদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ধুতুরাপাতায় একধরনের বিষ থাকে। যা খেলে মানবদেহে বিষক্রিয়া তৈরি হয়। এতে মানুষ মারা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন শরীয়তপুর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এমরান সরদার।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, অসুস্থ হয়ে পড়া বেলাতুন নেছাসহ তার পরিবারের সদস্যদের দেহে সম্প্রতি অ্যালার্জি জনিত সমস্যা দেখা দেয়। স্থানীয় এক ব্যক্তির পরামর্শে ওই নারী ধুতুরাপাতা সংগ্রহ করে শাক তরকারির মত রান্না করেন। পরে দুপুরে পরিবারের সকল সদস্যদের ভাতের সঙ্গে ধুতুরাপাতা খেতে দেওয়া হয়। তিন শিশুসহ অসুস্থ বাকী তিনজন ধুতুরাপাতা খান। খাওয়ার পরপরই তিন শিশু বমি করে ফেলে দেয়। কিছুক্ষণ পর বাকী তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্বজনেরা প্রথমে তাদের ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাঁদের হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়।
বেলাতুন নেছার ছেলে আবদুর রশিদ খান সংবাদকে বলেন, "আমার ভাইয়ের পরিবারের সদস্যদের অ্যালার্জির সমস্যা হয়েছিল। এলাকার এক ব্যক্তির পরামর্শে আমার মা ধুতুরাপাতা শাকের মতো রান্না করে ভাতের সঙ্গে খেয়েছেন। এরপরই আমার মা, ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী ও তাদের শিশু সন্তানেরা অসুস্থ হয়ে পড়ে।"
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এমরান সরদার গণমাধ্যমকে বলেন, ধুতুরাগাছের ফুল, কাণ্ড, পাতা সবই বিষাক্ত। ধুতুরার বিষ মানবদেহে ঢুকলে নানা ধরনের সমস্যা হয়। বিষক্রিয়ায় মানুষ মারাও যেতে পারে। বিষের পরিমাণ কম হলে তিন-চার দিন পর্যন্ত অচেতন থাকতে পারে। কখনো কখনো মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক শারমিন আক্তার বলেন, সন্ধ্যার সময় অসুস্থ অবস্থায় ছয়জনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের স্বজনেরা জানিয়েছেন, ওই ছয়জন ধুতুরাপাতা খেয়েছেন। তারা সে অনুযায়ী চিকিৎসা দিচ্ছেন। তবে তাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। সে জন্য তাদের ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।