ময়মনসিংহ নগরীর গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে পরিচিত কবি শামীম আশরাফকে (৩২) কোতোয়ালি থানা পুলিশ আটক করেছে।
সোমবার দুপুরে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শামীমকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, পোস্টার ডিজাইনের মাধ্যমে তিনি ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র একরামুল হক টিটুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছেন।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, শহরের আঠারো বাড়ি বিল্ডিং এলাকায় শামীম আশরাফের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘গ্রাফিটি’ থেকে রোববার রাত ১০টার তাকে আটক করে পুলিশ।
ওসি বলেন, তার বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটুর দায়িত্বে থাকাকালীন বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে অপপ্রচারমূলক পোস্টার ডিজাইন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে বিস্তারিত জানানো হবে।
শামীমকে আটকের খবর ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শহরবাসীর মধ্যে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
‘গ্রাফিটির’ কর্মীদের ভাষ্য, রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আল আমিনসহ ছাত্রলীগের বেশকিছু নেতা গ্রাফিটিতে এসে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী ইকরামুল হক টিটুর বিরুদ্ধে অপপ্রচারমূলক পোস্টার তৈরি করতে নিষেধ করেন।
ওই সময় তারা এ ঘটনা ফেইসবুকে লাইভও করছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও টিটুর বড় ভাই মো. আমিনুল হক শামীম তাদের অফিসে আসেন। তার কিছুক্ষণ পরই পুলিশ শামীমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, “কারও বিরুদ্ধে কোনো সমালোচনা থাকলে, সেটি যৌক্তিকভাবেও প্রকাশ করা যায়। কিন্তু শামীম আশরাফ সিটি করপোরেশন ও সদ্য সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচারের জন্য বেনামি পোস্টার দিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছেন। তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে হাতেনাতে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।”
এদিকে এক তরুণ কবি ও গ্রাফিক ডিজাইনারের ওপর ‘অন্যায়ভাবে চড়াও’ হওয়ার অভিযোগ তুলে এবং গ্রাফিটিতে বসে ফেইসবুক লাইভে ‘মানহানিকর’ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী মো. এহতেশামুল আলম।
সংবাদ সম্মেলনে এহতেশামুল বলেন, “সিটি নির্বাচনে আমি একজন মেয়র প্রার্থী। এই অবস্থায় অপর একজন মেয়র প্রার্থীর বড় ভাই (আমিনুল হক শামীম) প্রকাশ্যে জনসম্মুখে এবং ফেইসবুক লাইভে আমার নাম জড়িয়ে মানহানিকর অপপ্রচার করেছেন। মূলত বিগত সংসদ নির্বাচনে তার বিপক্ষে এবং নৌকার পক্ষে নির্বাচন করায় ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে তিনি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন।”
ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, “শান্ত ময়মনসিংহকে যারা অশান্ত করতে চাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। অন্যথায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক নেতাকর্মীরা তীব্র গণজোয়ার সৃষ্টি করলে, এর দায়ভার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে আমি মেনে নিতে পারব না।”
সংবাদ সম্মেলনে সিটি করপোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট ফারামার্জ আল নূর রাজীব, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম, আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম সারোয়ার ও মহানগর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল পাঠান উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে মেয়র পদপ্রার্থী ইকরামুল হক টিটু এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুল হক শামীমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার সূচি রয়েছে।
মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
ময়মনসিংহ নগরীর গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে পরিচিত কবি শামীম আশরাফকে (৩২) কোতোয়ালি থানা পুলিশ আটক করেছে।
সোমবার দুপুরে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শামীমকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, পোস্টার ডিজাইনের মাধ্যমে তিনি ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র একরামুল হক টিটুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছেন।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, শহরের আঠারো বাড়ি বিল্ডিং এলাকায় শামীম আশরাফের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘গ্রাফিটি’ থেকে রোববার রাত ১০টার তাকে আটক করে পুলিশ।
ওসি বলেন, তার বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটুর দায়িত্বে থাকাকালীন বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে অপপ্রচারমূলক পোস্টার ডিজাইন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে বিস্তারিত জানানো হবে।
শামীমকে আটকের খবর ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শহরবাসীর মধ্যে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
‘গ্রাফিটির’ কর্মীদের ভাষ্য, রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আল আমিনসহ ছাত্রলীগের বেশকিছু নেতা গ্রাফিটিতে এসে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী ইকরামুল হক টিটুর বিরুদ্ধে অপপ্রচারমূলক পোস্টার তৈরি করতে নিষেধ করেন।
ওই সময় তারা এ ঘটনা ফেইসবুকে লাইভও করছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও টিটুর বড় ভাই মো. আমিনুল হক শামীম তাদের অফিসে আসেন। তার কিছুক্ষণ পরই পুলিশ শামীমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, “কারও বিরুদ্ধে কোনো সমালোচনা থাকলে, সেটি যৌক্তিকভাবেও প্রকাশ করা যায়। কিন্তু শামীম আশরাফ সিটি করপোরেশন ও সদ্য সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচারের জন্য বেনামি পোস্টার দিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছেন। তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে হাতেনাতে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।”
এদিকে এক তরুণ কবি ও গ্রাফিক ডিজাইনারের ওপর ‘অন্যায়ভাবে চড়াও’ হওয়ার অভিযোগ তুলে এবং গ্রাফিটিতে বসে ফেইসবুক লাইভে ‘মানহানিকর’ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী মো. এহতেশামুল আলম।
সংবাদ সম্মেলনে এহতেশামুল বলেন, “সিটি নির্বাচনে আমি একজন মেয়র প্রার্থী। এই অবস্থায় অপর একজন মেয়র প্রার্থীর বড় ভাই (আমিনুল হক শামীম) প্রকাশ্যে জনসম্মুখে এবং ফেইসবুক লাইভে আমার নাম জড়িয়ে মানহানিকর অপপ্রচার করেছেন। মূলত বিগত সংসদ নির্বাচনে তার বিপক্ষে এবং নৌকার পক্ষে নির্বাচন করায় ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে তিনি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন।”
ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, “শান্ত ময়মনসিংহকে যারা অশান্ত করতে চাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। অন্যথায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক নেতাকর্মীরা তীব্র গণজোয়ার সৃষ্টি করলে, এর দায়ভার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে আমি মেনে নিতে পারব না।”
সংবাদ সম্মেলনে সিটি করপোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট ফারামার্জ আল নূর রাজীব, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম, আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম সারোয়ার ও মহানগর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল পাঠান উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে মেয়র পদপ্রার্থী ইকরামুল হক টিটু এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুল হক শামীমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার সূচি রয়েছে।