নওগাঁর সাপাহারে সরফতুল্লাহ মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৫৯ জন দাখিল পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে প্রক্সি দেয়ার ভয়ংকর অভিযোগ উঠেছে। আজ ছিল তৃতীয় দিন আরবি সাহিত্য বিষয়ের পরীক্ষা। অন্যের হয়ে দুই বিষয়ের পরীক্ষা দেওয়ার পর তৃতীয় দিন আরবি সাহিত্য বিষয়ের পরীক্ষায় তারা ধরা পড়েছে।
মঙ্গলবার সকালে পরীক্ষা চলাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করেন সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন) মাসুদ হোসেন। নওগাঁর জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাপাহার উপজেলা সদরের সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে অভিযান চালানো হয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করে প্রশাসন।
কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রটিতে ৪০টি মাদ্রাসার ৭৭৭জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে আজ ৭৭৫জন দাখিল পরীক্ষার্থী আরবি সাহিত্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষা কেন্দ্রে দ্বায়িত্বরত শিক্ষক প্রবেশপত্র যাচাইয়ের সময় ছবির সঙ্গে পরীক্ষার্থীর চেহারার মিল পাননি। পরে ওই শিক্ষক পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব মোসাদ্দেক হোসেনকে অবহিত করেন।
কেন্দ্র সচিব মাওলানা মোসাদ্দেক হোসেন জানান,পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে তিনি কয়েকজন পরীক্ষার্থীর প্রবেশ পত্রের সাথে ছবির গরমিল দেখতে পান এবং এর সংখ্যা বেশি দেখে সন্দেহ হলে তিনি বিষয়টি তৎক্ষনাৎ সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাসুদ হোসেনকে অবহিত করেন । পরবর্তীতে নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে পুরো কেন্দ্র তল্লাসী করে ৪৪ জন ছাত্রী এবং ১৫ জন ছাত্রকে প্রক্সি পরীক্ষার দায়ে অভিযুক্ত করে বহিষ্কার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, ৮টি প্রতিষ্ঠান থেকে এসব ভুয়া পরিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, পলাশ ডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার ৮ জন, শিমুল ডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার ১১, দেওপাড়া শিংপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ৩,আলাদীপুর দাখিল মাদ্রাসার ১,তুলসীপাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ১৪, বলদিয়া ঘাট মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ২,আন্ধার দিঘী মহিলা দাখিল মাদ্রাসা ১৭ এবং মানিকরা দাখিল মাদ্রাসা ৩জন।
জানতে চাইলে সাপাহারের ইউএনও মাসুদ হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল ১০টায় দাখিল পরীক্ষার আরবি প্রথম পত্রের পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শুরুর পর গোপন সূত্রে আমাদের কাছে খবর আসে, সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভুয়া পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও কেন্দ্র সচিবকে সঙ্গে নিয়ে ওই কেন্দ্রে গিয়ে যাচাই-বাছাই করে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী পাওয়া গেছে।’
ইউএনও মাসুদ হোসেন বলেন, বহিষ্কার হওয়া পরীক্ষার্থীরা দাখিল পরীক্ষার্থী হিসেবে নিবন্ধিত প্রকৃত পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিল। এদের কেউ দশম শ্রেণি, আবার কেউ দাখিল পাশ করে একাদশ কিংবা দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রে দেওয়া স্বাক্ষর ও ছবি যাচাই করে ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্ত করা হয়েছে।
সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব জানিয়েছেন,বদলী পরিক্ষার অভিযোগে ৫৯ জন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। তবে তাদের প্রত্যেকের বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় তাদের নিজ নিজ অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এঘটনায় কেন্দ্র সচিবের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তবে সংশ্লিষ্ট ৮ প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিরুদ্ধে বদলি পরীক্ষার্থী সরবরাহ করার অপরাধে কেন্দ্র সচিব মোসাদ্দেক হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
নওগাঁর সাপাহারে সরফতুল্লাহ মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৫৯ জন দাখিল পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে প্রক্সি দেয়ার ভয়ংকর অভিযোগ উঠেছে। আজ ছিল তৃতীয় দিন আরবি সাহিত্য বিষয়ের পরীক্ষা। অন্যের হয়ে দুই বিষয়ের পরীক্ষা দেওয়ার পর তৃতীয় দিন আরবি সাহিত্য বিষয়ের পরীক্ষায় তারা ধরা পড়েছে।
মঙ্গলবার সকালে পরীক্ষা চলাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করেন সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন) মাসুদ হোসেন। নওগাঁর জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাপাহার উপজেলা সদরের সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে অভিযান চালানো হয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করে প্রশাসন।
কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রটিতে ৪০টি মাদ্রাসার ৭৭৭জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে আজ ৭৭৫জন দাখিল পরীক্ষার্থী আরবি সাহিত্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষা কেন্দ্রে দ্বায়িত্বরত শিক্ষক প্রবেশপত্র যাচাইয়ের সময় ছবির সঙ্গে পরীক্ষার্থীর চেহারার মিল পাননি। পরে ওই শিক্ষক পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব মোসাদ্দেক হোসেনকে অবহিত করেন।
কেন্দ্র সচিব মাওলানা মোসাদ্দেক হোসেন জানান,পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে তিনি কয়েকজন পরীক্ষার্থীর প্রবেশ পত্রের সাথে ছবির গরমিল দেখতে পান এবং এর সংখ্যা বেশি দেখে সন্দেহ হলে তিনি বিষয়টি তৎক্ষনাৎ সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাসুদ হোসেনকে অবহিত করেন । পরবর্তীতে নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে পুরো কেন্দ্র তল্লাসী করে ৪৪ জন ছাত্রী এবং ১৫ জন ছাত্রকে প্রক্সি পরীক্ষার দায়ে অভিযুক্ত করে বহিষ্কার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, ৮টি প্রতিষ্ঠান থেকে এসব ভুয়া পরিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, পলাশ ডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার ৮ জন, শিমুল ডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার ১১, দেওপাড়া শিংপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ৩,আলাদীপুর দাখিল মাদ্রাসার ১,তুলসীপাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ১৪, বলদিয়া ঘাট মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ২,আন্ধার দিঘী মহিলা দাখিল মাদ্রাসা ১৭ এবং মানিকরা দাখিল মাদ্রাসা ৩জন।
জানতে চাইলে সাপাহারের ইউএনও মাসুদ হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল ১০টায় দাখিল পরীক্ষার আরবি প্রথম পত্রের পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শুরুর পর গোপন সূত্রে আমাদের কাছে খবর আসে, সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভুয়া পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও কেন্দ্র সচিবকে সঙ্গে নিয়ে ওই কেন্দ্রে গিয়ে যাচাই-বাছাই করে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী পাওয়া গেছে।’
ইউএনও মাসুদ হোসেন বলেন, বহিষ্কার হওয়া পরীক্ষার্থীরা দাখিল পরীক্ষার্থী হিসেবে নিবন্ধিত প্রকৃত পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিল। এদের কেউ দশম শ্রেণি, আবার কেউ দাখিল পাশ করে একাদশ কিংবা দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রে দেওয়া স্বাক্ষর ও ছবি যাচাই করে ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্ত করা হয়েছে।
সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব জানিয়েছেন,বদলী পরিক্ষার অভিযোগে ৫৯ জন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। তবে তাদের প্রত্যেকের বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় তাদের নিজ নিজ অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এঘটনায় কেন্দ্র সচিবের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তবে সংশ্লিষ্ট ৮ প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিরুদ্ধে বদলি পরীক্ষার্থী সরবরাহ করার অপরাধে কেন্দ্র সচিব মোসাদ্দেক হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।