রাজবাড়ীর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর ফুল নিয়ে যাওয়ার ভিডিও ধারণ করায় এক সাংবাদিকের ওপর হামলা ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার শহীদ খুশি রেলওয়ে মাঠে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে।
আহত আব্দুল হালিম বাবু (৩০) দেশরূপান্তর পত্রিকার রাজবাড়ীর জেলা প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।
আব্দুল হালিম বাবু বলেন, “শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর ফুল কয়েকজন শিশু আনসার সদস্যদের সামনেই নিয়ে যাচ্ছিল; সেই ভিডিও ধারণ করছিলাম। এ সময় তিন চারজন যুবক এসে আমাকে বলে, আপনি কে ভিডিও করছেন?
“আমি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলে উত্তরে বলে, আপনার ভিডিও করার অধিকার আছে কি? পরে আমাকে টেনে নিয়ে মারধর করে। প্রথমে একজন চোখে একটা ঘুষি দেয়। এরপর আমি চোখে ঝাপসা দেখতে শুরু করি; বাকিরাও আমাকে মারধর করে। পরে পুলিশ এলে হামলাকারিরা পালিয়ে যায়।”
এ ঘটনায় রাজবাড়ি সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেও জানান তিনি।
ঊর্মি আক্তার নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “হামলাকারী যুবকরা আব্দুল হালিম বাবুকে বলেন, কিসের সাংবাদিক? আজ তোর সাংবাদিকতা ছুটাচ্ছি- এই বলে তিন থেকে চারজন তাকে ধরে শহীদ মিনারের পাশে নিয়ে গিয়ে এলোপাথাড়ি কিলঘুষি মারে। এ সময় বেশ কয়েকজন শিশুও ছিল।”
তিনি বলেন, “এ ঘটনায় ফুল ব্যবসায়ীরা জড়িত বলে আমার মনে হয়। কারণ ফুলের ডালা নেওয়ার জন্য শিশুদের দিয়ে এই কাজ করাচ্ছিল।”
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা কোনভাবেই কাম্য না। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
“আমরা একটি ভিডিও ফুটেজ হাতে পেয়েছি। কয়েকজনকে আমরা ইতোমধ্যে সনাক্তও করেছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
রাজবাড়ীর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর ফুল নিয়ে যাওয়ার ভিডিও ধারণ করায় এক সাংবাদিকের ওপর হামলা ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার শহীদ খুশি রেলওয়ে মাঠে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে।
আহত আব্দুল হালিম বাবু (৩০) দেশরূপান্তর পত্রিকার রাজবাড়ীর জেলা প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।
আব্দুল হালিম বাবু বলেন, “শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর ফুল কয়েকজন শিশু আনসার সদস্যদের সামনেই নিয়ে যাচ্ছিল; সেই ভিডিও ধারণ করছিলাম। এ সময় তিন চারজন যুবক এসে আমাকে বলে, আপনি কে ভিডিও করছেন?
“আমি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলে উত্তরে বলে, আপনার ভিডিও করার অধিকার আছে কি? পরে আমাকে টেনে নিয়ে মারধর করে। প্রথমে একজন চোখে একটা ঘুষি দেয়। এরপর আমি চোখে ঝাপসা দেখতে শুরু করি; বাকিরাও আমাকে মারধর করে। পরে পুলিশ এলে হামলাকারিরা পালিয়ে যায়।”
এ ঘটনায় রাজবাড়ি সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেও জানান তিনি।
ঊর্মি আক্তার নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “হামলাকারী যুবকরা আব্দুল হালিম বাবুকে বলেন, কিসের সাংবাদিক? আজ তোর সাংবাদিকতা ছুটাচ্ছি- এই বলে তিন থেকে চারজন তাকে ধরে শহীদ মিনারের পাশে নিয়ে গিয়ে এলোপাথাড়ি কিলঘুষি মারে। এ সময় বেশ কয়েকজন শিশুও ছিল।”
তিনি বলেন, “এ ঘটনায় ফুল ব্যবসায়ীরা জড়িত বলে আমার মনে হয়। কারণ ফুলের ডালা নেওয়ার জন্য শিশুদের দিয়ে এই কাজ করাচ্ছিল।”
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা কোনভাবেই কাম্য না। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
“আমরা একটি ভিডিও ফুটেজ হাতে পেয়েছি। কয়েকজনকে আমরা ইতোমধ্যে সনাক্তও করেছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”