শরীয়তপুরের জাজিরায় জেলের জালে ভেসে উঠেছে জামাল শিকারী (২৬) নামের এক যুবকের লাশ। গতকাল রবিবার দুপুর দুইটার দিকে উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের কীর্তিনাশা নদীতে একদল ভাসমান জেলের জালে লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে অবহিত করেন স্থানীয়রা
জামাল শিকারী নড়িয়ার ডগ্রী এলাকার মৃত রতন শিকারীর ছেলে। তিনি পেশায় দিনমজুর ছিলেন।
এ ঘটনায় একজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে এলাকায়বাসী।
আটককৃত ব্যক্তির নাম বাবুল বেপারী (২৫) তিনি পূর্বনাওডোবা ইউনিয়নের মঙ্গলখার কান্দি গ্রামের জলিল বেপারীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জামাল শিকারী পেশায় একজন দিনমজুর ছিলেন। বাবা মা মারা যাওয়ার পরে তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় থাকতেন। তবে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তিনি কাজিরহাটের ডুবিসায়বর এলাকায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। অধিকাংশ সময় বাড়ির বাইরে থাকতো বলে তার স্বজনরা জানান।
রবিবার দুপুর দুইটার সময় একদল ভাসমান জেলেরা ডুবিসায়বর বন্দর কাজিরহাট কীর্তিনাশা নদীতে মাছ ধরার জন্য জাল ফেললে হঠাৎ তাদের জালে আটকা পরে জামাল শিকারীর লাশ ভেসে উঠে। লাশ ভেসে উঠেছে এমন খবরে আশেপাশের লোকজন নদীর পাড়ে এসে ভিড় জমায়। বিষয়টি নৌ পুলিশকে অবহিত করলে তারা ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
জামাল শিকারীর ভাই কামাল শিকারী সংবাদকে বলেন, আমার ভাই জামাল শিকারিকে কেও হত্যা করে পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
নিহত জামাল শিকারীর চাচাত ভাবী করিমন বেগম সংবাদকে বলেন, শনিবার রাতেও আমার দেবর বাড়িতে এসে ভাত খেয়ে গেছে। আমি রাত নয়টার দিকে শুনেছি তার সাথে কারো মারামারি হয়েছে। আমি ঐখানে গিয়ে তাকে খোঁজাখুজি করেও পাই নি। তখন থেকেই জামাল নিখোঁজ ছিল। আমার দেবরকে কেউ মেরে নদীতে ফেলে গেছে। পুলিশের কাছে আমার একটাই দাবী খুনিদের দ্রুত শাস্তি দেয়া হোক।
মাঝিরঘাট নৌ পুলিশের পরিদর্শক মোঃ জসিম উদ্দিন সংবাদকে বলেন, কাজীরহাট এলাকার নদীতে একজনের মরদেহ ভেসে উঠেছে। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হাফিজুর রহমান সংবাদকে বলেন, নদীতে এক যুবকের লাশ ভেসে উঠেছে শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। যেহেতু লাশটি নদীতে পাওয়া গিয়েছে তাই এর সকল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নৌপুলিশের। তবে প্রয়োজনে এবিষয়ে নৌপুলিশকে আমরা সর্বাত্মক সহযোগীতা করবো।
সোমবার, ০৪ মার্চ ২০২৪
শরীয়তপুরের জাজিরায় জেলের জালে ভেসে উঠেছে জামাল শিকারী (২৬) নামের এক যুবকের লাশ। গতকাল রবিবার দুপুর দুইটার দিকে উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের কীর্তিনাশা নদীতে একদল ভাসমান জেলের জালে লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে অবহিত করেন স্থানীয়রা
জামাল শিকারী নড়িয়ার ডগ্রী এলাকার মৃত রতন শিকারীর ছেলে। তিনি পেশায় দিনমজুর ছিলেন।
এ ঘটনায় একজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে এলাকায়বাসী।
আটককৃত ব্যক্তির নাম বাবুল বেপারী (২৫) তিনি পূর্বনাওডোবা ইউনিয়নের মঙ্গলখার কান্দি গ্রামের জলিল বেপারীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জামাল শিকারী পেশায় একজন দিনমজুর ছিলেন। বাবা মা মারা যাওয়ার পরে তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় থাকতেন। তবে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তিনি কাজিরহাটের ডুবিসায়বর এলাকায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। অধিকাংশ সময় বাড়ির বাইরে থাকতো বলে তার স্বজনরা জানান।
রবিবার দুপুর দুইটার সময় একদল ভাসমান জেলেরা ডুবিসায়বর বন্দর কাজিরহাট কীর্তিনাশা নদীতে মাছ ধরার জন্য জাল ফেললে হঠাৎ তাদের জালে আটকা পরে জামাল শিকারীর লাশ ভেসে উঠে। লাশ ভেসে উঠেছে এমন খবরে আশেপাশের লোকজন নদীর পাড়ে এসে ভিড় জমায়। বিষয়টি নৌ পুলিশকে অবহিত করলে তারা ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
জামাল শিকারীর ভাই কামাল শিকারী সংবাদকে বলেন, আমার ভাই জামাল শিকারিকে কেও হত্যা করে পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
নিহত জামাল শিকারীর চাচাত ভাবী করিমন বেগম সংবাদকে বলেন, শনিবার রাতেও আমার দেবর বাড়িতে এসে ভাত খেয়ে গেছে। আমি রাত নয়টার দিকে শুনেছি তার সাথে কারো মারামারি হয়েছে। আমি ঐখানে গিয়ে তাকে খোঁজাখুজি করেও পাই নি। তখন থেকেই জামাল নিখোঁজ ছিল। আমার দেবরকে কেউ মেরে নদীতে ফেলে গেছে। পুলিশের কাছে আমার একটাই দাবী খুনিদের দ্রুত শাস্তি দেয়া হোক।
মাঝিরঘাট নৌ পুলিশের পরিদর্শক মোঃ জসিম উদ্দিন সংবাদকে বলেন, কাজীরহাট এলাকার নদীতে একজনের মরদেহ ভেসে উঠেছে। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হাফিজুর রহমান সংবাদকে বলেন, নদীতে এক যুবকের লাশ ভেসে উঠেছে শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। যেহেতু লাশটি নদীতে পাওয়া গিয়েছে তাই এর সকল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নৌপুলিশের। তবে প্রয়োজনে এবিষয়ে নৌপুলিশকে আমরা সর্বাত্মক সহযোগীতা করবো।