বান্দরবানের রুমায় সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযানকে কেন্দ্র করে বম অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এরপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রুমা বাজারের পাশের ইডেন পাড়া, লাইরুংপি পাড়া এবং পাশের আরও কয়েকটি বম পাড়ার বেশ কিছু বাসিন্দা উপজেলা সদরের মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ভবনে এসে আশ্রয় নেন। কিছু সময় সেখানে থাকার পর তারা ফিরেও যান নিজেদের পাড়ায়।
মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়শনের সাধারণ সম্পাদক ও রুমা সাঙ্গু কলেজের অধ্যক্ষ সুইপ্রুচিং মারমা বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সাধারণ বমদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করেন। মাইকিংয়ের সাড়া দিয়ে অনেকে রুমা বাজারে মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়শনের ভবনে আশ্রয় নিয়েছে।
“কয়েকটি পাড়া মিলে দেড়শ থেকে দুইশ বম নারী-পুরুষ ও শিশু আশ্রয় নিয়েছে। বিকালের দিকে আবার শুনেছি তারা নিজ নিজ পাড়ায় ফিরে গেছেন।”
এদিকে রুমা বাজার এলাকার কয়েকজন বলেছেন, সকালে তারা ড্রোন উড়তে দেখেছেন। হয়ত এসব এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে। সাধারণ মানুষ যাতে ক্ষতির শিকার না হয় সেজন্য নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে রুমা থানার ওসি মো. শাহজাহানকে মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি কল ধরেননি।
পরে রুমার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিদারুল আলম বলেন, “বিষয়টি এখনও জানি না। আরও কিছু সাংবাদিক এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ফোন করেছেন। এসব ব্যাপারে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। যেহেতু যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। তারা ভালো বলতে পারবেন।”
২ এপ্রিল রাতে এবং ৩ এপ্রিল দুপুরে বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলার কৃষি ও সোনালী ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র কিছু ব্যক্তি। তারা টাকা লুট করে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করে, একজন ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। লুট করে বেশ কিছু অস্ত্র ও গুলি।
রুমায় সোনালী ব্যাংকে হামলা-ডাকাতি এবং ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে অপহরণের ঘটনাটি ২ এপ্রিল রাতের প্রথম ভাগে ঘটলেও; থানচিতে কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে হামলা হয়েছে ভরদুপুরে।
দুটি ঘটনাতেই পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ এর নাম এসেছে; যারা পাহাড়ে ‘বম পার্টি’ নামে পরিচিত।
এ নিয়ে দুই উপজেলার মানুষের ভয় আর আতঙ্কের মধ্যে ৪ এপ্রিল রাতে ব্যাপস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করে র্যাব।
পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে তিনটি ব্যাংকে ডাকাতি, অর্থ লুটের ঘটনায় সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ জড়িত বলে জানানো হয়। এরপর থেকে রুমা ও থানচি এলাকায় কেএনএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সবশেষ তিনজনসহ ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০২৪
বান্দরবানের রুমায় সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযানকে কেন্দ্র করে বম অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এরপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রুমা বাজারের পাশের ইডেন পাড়া, লাইরুংপি পাড়া এবং পাশের আরও কয়েকটি বম পাড়ার বেশ কিছু বাসিন্দা উপজেলা সদরের মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ভবনে এসে আশ্রয় নেন। কিছু সময় সেখানে থাকার পর তারা ফিরেও যান নিজেদের পাড়ায়।
মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়শনের সাধারণ সম্পাদক ও রুমা সাঙ্গু কলেজের অধ্যক্ষ সুইপ্রুচিং মারমা বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সাধারণ বমদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করেন। মাইকিংয়ের সাড়া দিয়ে অনেকে রুমা বাজারে মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়শনের ভবনে আশ্রয় নিয়েছে।
“কয়েকটি পাড়া মিলে দেড়শ থেকে দুইশ বম নারী-পুরুষ ও শিশু আশ্রয় নিয়েছে। বিকালের দিকে আবার শুনেছি তারা নিজ নিজ পাড়ায় ফিরে গেছেন।”
এদিকে রুমা বাজার এলাকার কয়েকজন বলেছেন, সকালে তারা ড্রোন উড়তে দেখেছেন। হয়ত এসব এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে। সাধারণ মানুষ যাতে ক্ষতির শিকার না হয় সেজন্য নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে রুমা থানার ওসি মো. শাহজাহানকে মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি কল ধরেননি।
পরে রুমার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিদারুল আলম বলেন, “বিষয়টি এখনও জানি না। আরও কিছু সাংবাদিক এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ফোন করেছেন। এসব ব্যাপারে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। যেহেতু যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। তারা ভালো বলতে পারবেন।”
২ এপ্রিল রাতে এবং ৩ এপ্রিল দুপুরে বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলার কৃষি ও সোনালী ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র কিছু ব্যক্তি। তারা টাকা লুট করে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করে, একজন ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। লুট করে বেশ কিছু অস্ত্র ও গুলি।
রুমায় সোনালী ব্যাংকে হামলা-ডাকাতি এবং ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে অপহরণের ঘটনাটি ২ এপ্রিল রাতের প্রথম ভাগে ঘটলেও; থানচিতে কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে হামলা হয়েছে ভরদুপুরে।
দুটি ঘটনাতেই পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ এর নাম এসেছে; যারা পাহাড়ে ‘বম পার্টি’ নামে পরিচিত।
এ নিয়ে দুই উপজেলার মানুষের ভয় আর আতঙ্কের মধ্যে ৪ এপ্রিল রাতে ব্যাপস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করে র্যাব।
পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে তিনটি ব্যাংকে ডাকাতি, অর্থ লুটের ঘটনায় সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ জড়িত বলে জানানো হয়। এরপর থেকে রুমা ও থানচি এলাকায় কেএনএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সবশেষ তিনজনসহ ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।