শরীয়তপুরের জাজিরায় একটি আম বাগান থেকে লতিফ মোড়ল(৩৪) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, হত্যার পর তার মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
আজ শনিবার মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান। এর আগে গতকাল শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত ১১ টার দিকে উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের দড়ি কান্দি এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
লতিফ মোড়ল(৩৪) জাজিরা উপজেলার ইয়াসিন আকন কান্দি এলাকার সামসুল মোড়লের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লতিফ মোড়ল নামের ওই যুবকের সাথে একই এলাকার একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। কিন্ত প্রায় আট বছর আগে মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায়। তবে মেয়েটির সাথে তার যোগাযোগ ছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় মেয়েটির সাথে দেখা করতে মাঝিরঘাট এলাকায় গেলে স্থানীয়রা লতিফ মোড়লকে মারধর করে ও আটকে রাখে। বিষয়টি লতিফ মোড়লের পরিবারকে জানালে তারা যাওয়ার আগেই লতিফ মোড়লকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। এরপর থেকেই লতিফ মোড়লের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে রাত ১০ টার দিকে পালেরচর ইউনিয়নের দড়ি কান্দি এলাকার একটি আম বাগানে লতিফ মোড়লের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেলে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ছুটে যায় পরিবারের সদস্যরাও।
লতিফ মোড়লের ভাই সজিব মোড়ল অভিযোগ করে বলেন, ওই মেয়ে বিয়ের পরেও আমার ভাইকে ফোন দিতো। তাছাড়া মেয়ের স্বামী সালামও ভাইয়ার সাথে কথা বলতো। কাল সালাম ফোন দিয়ে আমার ভাইকে ডেকে নিয়েছে। ওরা মিলেই আমার ভাইকে মেরে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমরা এর বিচার চাই।
নিহতের স্বজন রাসেল সংবাদকে বলেন, আমরা লতিফকে ছাড়িয়ে আনতে যাচ্ছিলাম। এরপর আমাদের কাছে খবর আসে লতিফ নাকি গলায় দড়ি দিয়েছে। আমরা গেলে দেখতে পাই লতিফের পা মাটির সাথে লেগে আছে। এছাড়া ওর শরীরের অনেক জায়গায় রক্তের দাগ ছিলো। ওর উরুর দুপাশে দেখলে মনে হয় কারেন্টের শক দিয়েছে, চামড়া উঠে গেছে। এটা দেখে আমাদের সন্দেহ হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে নিহত লতিফ মোড়লের কথিত প্রেমিকা সালমা বেগমের স্বামী সালাম ফরাজীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সংবাদকে বলেন, "আমার স্ত্রীর সাথে দেখা করতে আসলে আমরা তাকে আটক করে কিছুটা মারধর করি। পরে তার পরিবারকে জানিয়ে ছেড়ে দিয়েছি। এরপর কি হয়েছে তা আমার জানা নেই।"
শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪
শরীয়তপুরের জাজিরায় একটি আম বাগান থেকে লতিফ মোড়ল(৩৪) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, হত্যার পর তার মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
আজ শনিবার মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান। এর আগে গতকাল শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত ১১ টার দিকে উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের দড়ি কান্দি এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
লতিফ মোড়ল(৩৪) জাজিরা উপজেলার ইয়াসিন আকন কান্দি এলাকার সামসুল মোড়লের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লতিফ মোড়ল নামের ওই যুবকের সাথে একই এলাকার একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। কিন্ত প্রায় আট বছর আগে মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায়। তবে মেয়েটির সাথে তার যোগাযোগ ছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় মেয়েটির সাথে দেখা করতে মাঝিরঘাট এলাকায় গেলে স্থানীয়রা লতিফ মোড়লকে মারধর করে ও আটকে রাখে। বিষয়টি লতিফ মোড়লের পরিবারকে জানালে তারা যাওয়ার আগেই লতিফ মোড়লকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। এরপর থেকেই লতিফ মোড়লের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে রাত ১০ টার দিকে পালেরচর ইউনিয়নের দড়ি কান্দি এলাকার একটি আম বাগানে লতিফ মোড়লের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেলে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ছুটে যায় পরিবারের সদস্যরাও।
লতিফ মোড়লের ভাই সজিব মোড়ল অভিযোগ করে বলেন, ওই মেয়ে বিয়ের পরেও আমার ভাইকে ফোন দিতো। তাছাড়া মেয়ের স্বামী সালামও ভাইয়ার সাথে কথা বলতো। কাল সালাম ফোন দিয়ে আমার ভাইকে ডেকে নিয়েছে। ওরা মিলেই আমার ভাইকে মেরে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমরা এর বিচার চাই।
নিহতের স্বজন রাসেল সংবাদকে বলেন, আমরা লতিফকে ছাড়িয়ে আনতে যাচ্ছিলাম। এরপর আমাদের কাছে খবর আসে লতিফ নাকি গলায় দড়ি দিয়েছে। আমরা গেলে দেখতে পাই লতিফের পা মাটির সাথে লেগে আছে। এছাড়া ওর শরীরের অনেক জায়গায় রক্তের দাগ ছিলো। ওর উরুর দুপাশে দেখলে মনে হয় কারেন্টের শক দিয়েছে, চামড়া উঠে গেছে। এটা দেখে আমাদের সন্দেহ হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে নিহত লতিফ মোড়লের কথিত প্রেমিকা সালমা বেগমের স্বামী সালাম ফরাজীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সংবাদকে বলেন, "আমার স্ত্রীর সাথে দেখা করতে আসলে আমরা তাকে আটক করে কিছুটা মারধর করি। পরে তার পরিবারকে জানিয়ে ছেড়ে দিয়েছি। এরপর কি হয়েছে তা আমার জানা নেই।"