বৃহত্তর চলনবিল অধ্যুশিত পাবনা-নাটোর-সিরাজগঞ্জ জেলায় ভূ-উপরিস্থ পানির মাধ্যমে সেচ প্রকল্পের অর্থায়নে রায়গঞ্জ উপজেলার ধুবিল ইউনিয়নের গাড়াদহ খাল পুনঃখননের কাজ শুরু হয়েছে।
সেখানে বিভিন্ন ঠিকাদার খাল পুনঃখননের কাজ করছেন। সবচেয়ে বেশি ও বড় কাজ করছেন পাবনার ঠিকাদার শাহিন আলম।
বিএডিসির প্যাকেজ ভিত্তিক এগারো লট খাল পুনঃখনন কাজে ১ কোটি চৌদ্দ লাখ আঠারো হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন ঠিকাদার শাহিন আলম।
যত্রতত্রভাবে ওই খালের কাজ শুরু করা হলেও সেই খাল খননে নজরদারি ও তদারকি নেই সংশ্লিষ্ট অফিস কর্মকর্তাদের।
রায়গঞ্জ উপজেলার ধুবিলের গাড়াদহ খাল পুনঃখনন কাজে সরকারি লাখ লাখ টাকা ঠিকাদার কর্তৃক হরিলুটের আশঙ্কা রয়েছে। কাজটি বাস্তবায়ন করছে বিএডিসি (পানাসি)। বাস্তবায়নকাল- ২০২৩-২৪ ইং অর্থ বছর।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদার কর্তৃক খাল পুনঃখননে সিডিউল অবাধে লঙ্ঘন করা হচ্ছে। আরও জানা গেছে, ঠিকাদার শাহিন আলমের সঙ্গে বিএডিসি পাবনা জোন (পিডি) অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় উক্ত কাজের ঠিকাদার যত্রতত্রভাবে করতে সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। যার তদন্ত করলে সত্যতা মিলতে পারে।
এলাকাবাসি বলেন, ধুবিলের গাড়াদহ খালটি যেভাবে পুনঃখনন করার কথা ছিল সেভাবে খনন কাজ করছে না ঠিকাদারের লোকজন। ফলে এলাকার শতশত কৃষক ৩ ফসলি আবাদি জমির আবাদ ঠিকঠাকভাবে করতে পারবে না জলাবদ্ধতার কারণে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উক্ত খালটি দিয়ে জলাবদ্ধতা নিষ্কাশন না হলে খালটির আওতাধীন ওই এলাকার হাজার হাজার বিঘা আবাদি জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাবে। এতে সরকারি কোটি টাকা কৃষকদের তেমন কোনো কাজেই আসবে না মর্মে নানা পেশাজীবী মানুষের ধারণা।
এ ব্যপারে সচেতন মহল থেকে শুরু করে অনেকেই মনে করছেন, রায়গঞ্জের ধুবিলের গাড়াদহ খালটি ঠিকাদারের লোকজন যেভাবে পুনঃখননের কাজ করছে, তাতে সরকারি লাখ লাখ টাকা হরিলুট হওয়ার সম্ভাবনা। খালটি পুনঃখননে ব্যপক অনিয়ম করতেও দেখা গেছে ঠিকাদার কর্তৃক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানান, উক্ত খাল খননে ঠিকাদারসহ তার লোকজন এত নিম্নমানের কাজ করার সাহস পাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের কারণে।
এ ব্যপারে এলাকার ভুক্তভোগী কৃষকরা প্রধানমন্ত্রীসহ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসির) চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক সমাজসহ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকের) হস্তক্ষেপ কামনা করছেন দ্রুত।
এ ঘটনায় বিএডিসি পাবনা জোন অফিসের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মাহমুদ হাসান বলেন, এ সব বিষয়ে কোনো তথ্য জানতে হলে আমার অফিসে আসেন। আমি মোবাইলে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না।
এ বিষয়ে (বিএডিসি) সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্রসেচ) চিত্তরঞ্জন রায়ের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে রায়গঞ্জের ধুবিলের গাড়াদহ খাল পুনঃখননের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ওই খালগুলো দেখেছি, সেখানে অত্যন্ত ভালো কাজ হচ্ছে।
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪
বৃহত্তর চলনবিল অধ্যুশিত পাবনা-নাটোর-সিরাজগঞ্জ জেলায় ভূ-উপরিস্থ পানির মাধ্যমে সেচ প্রকল্পের অর্থায়নে রায়গঞ্জ উপজেলার ধুবিল ইউনিয়নের গাড়াদহ খাল পুনঃখননের কাজ শুরু হয়েছে।
সেখানে বিভিন্ন ঠিকাদার খাল পুনঃখননের কাজ করছেন। সবচেয়ে বেশি ও বড় কাজ করছেন পাবনার ঠিকাদার শাহিন আলম।
বিএডিসির প্যাকেজ ভিত্তিক এগারো লট খাল পুনঃখনন কাজে ১ কোটি চৌদ্দ লাখ আঠারো হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন ঠিকাদার শাহিন আলম।
যত্রতত্রভাবে ওই খালের কাজ শুরু করা হলেও সেই খাল খননে নজরদারি ও তদারকি নেই সংশ্লিষ্ট অফিস কর্মকর্তাদের।
রায়গঞ্জ উপজেলার ধুবিলের গাড়াদহ খাল পুনঃখনন কাজে সরকারি লাখ লাখ টাকা ঠিকাদার কর্তৃক হরিলুটের আশঙ্কা রয়েছে। কাজটি বাস্তবায়ন করছে বিএডিসি (পানাসি)। বাস্তবায়নকাল- ২০২৩-২৪ ইং অর্থ বছর।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদার কর্তৃক খাল পুনঃখননে সিডিউল অবাধে লঙ্ঘন করা হচ্ছে। আরও জানা গেছে, ঠিকাদার শাহিন আলমের সঙ্গে বিএডিসি পাবনা জোন (পিডি) অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় উক্ত কাজের ঠিকাদার যত্রতত্রভাবে করতে সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। যার তদন্ত করলে সত্যতা মিলতে পারে।
এলাকাবাসি বলেন, ধুবিলের গাড়াদহ খালটি যেভাবে পুনঃখনন করার কথা ছিল সেভাবে খনন কাজ করছে না ঠিকাদারের লোকজন। ফলে এলাকার শতশত কৃষক ৩ ফসলি আবাদি জমির আবাদ ঠিকঠাকভাবে করতে পারবে না জলাবদ্ধতার কারণে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উক্ত খালটি দিয়ে জলাবদ্ধতা নিষ্কাশন না হলে খালটির আওতাধীন ওই এলাকার হাজার হাজার বিঘা আবাদি জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাবে। এতে সরকারি কোটি টাকা কৃষকদের তেমন কোনো কাজেই আসবে না মর্মে নানা পেশাজীবী মানুষের ধারণা।
এ ব্যপারে সচেতন মহল থেকে শুরু করে অনেকেই মনে করছেন, রায়গঞ্জের ধুবিলের গাড়াদহ খালটি ঠিকাদারের লোকজন যেভাবে পুনঃখননের কাজ করছে, তাতে সরকারি লাখ লাখ টাকা হরিলুট হওয়ার সম্ভাবনা। খালটি পুনঃখননে ব্যপক অনিয়ম করতেও দেখা গেছে ঠিকাদার কর্তৃক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানান, উক্ত খাল খননে ঠিকাদারসহ তার লোকজন এত নিম্নমানের কাজ করার সাহস পাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের কারণে।
এ ব্যপারে এলাকার ভুক্তভোগী কৃষকরা প্রধানমন্ত্রীসহ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসির) চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক সমাজসহ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকের) হস্তক্ষেপ কামনা করছেন দ্রুত।
এ ঘটনায় বিএডিসি পাবনা জোন অফিসের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মাহমুদ হাসান বলেন, এ সব বিষয়ে কোনো তথ্য জানতে হলে আমার অফিসে আসেন। আমি মোবাইলে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না।
এ বিষয়ে (বিএডিসি) সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্রসেচ) চিত্তরঞ্জন রায়ের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে রায়গঞ্জের ধুবিলের গাড়াদহ খাল পুনঃখননের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ওই খালগুলো দেখেছি, সেখানে অত্যন্ত ভালো কাজ হচ্ছে।