প্রকাশ্যেই ২/৩ গুণ দামে কালোবাজারে টিকেট বিক্রি, প্রতিকার নেই
বিভাগীয় নগরী রংপুরে ঈদ উদযাপন করতে এসে এখন ঢাকা চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে কর্মস্থলে ফিরে যাওয়া নিয়ে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। বাস কাউন্টারগুলোতে টিকেটের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও টিকেট মিলছে না। কাউন্টারগুলোতে টিকেট বিক্রির নামে চলছে চরম নৈরাজ্য।
ঈদের দুদিন পর ১৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত কোন বাসের টিকেট নেই বলে ঘোষণা দিয়েছে কাউন্টারগুলো। টিকেট কিনতে গিয়ে সোজা বলা হচ্ছে টিকেট নেই, কিভাবে বা কবে থেকে টিকেট বিক্রি শুরু আর শেষ হলো তার কোন জবাব নেই তাদের নেই। গত সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত যাত্রীরা টিকেটের জন্য অপেক্ষা করে ফিরে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ছিল একই দৃশ্য।
তবে বাস কাউন্টারগুলোতে টিকেট নেই বলা হলেও ৮শ টাকার নন-এসি বাসের টিকেট দেড় হাজার আর এসি বাসের দেড় হাজার টাকার টিকেট ৩ হাজার কাউন্টারের বাইরে কালোবাজারীরা প্রকাশ্যই বিক্রি করছে বলে অভিযোগ বাস যাত্রীদের।
বিভাগীয় নগরী কামারপাড়া এলাকায় ঢাকা কোচ স্ট্যান্ড অবস্থিত। এখান থেকে রাজধানী ঢাকা বন্দর নগরী চট্টগ্রাম এবং সিলেটসহ দেশের বড় বড় শহরগুলোতে প্রতিদিন ২ শতাধিক এসি ননএসি বাস চলাচল করে। এবার ছুটি বেশি থাকায় রংপুরে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে এসেছে লাখ লাখ মানুষ।
ঈদ উদযাপন করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা নারী-পুরুষদের পহেলা বৈশাখের ছুটির পর গত মঙ্গলবার ঢাকায় ফিরে যাবার জন্য, অফিস করার জন্য ঢাকা কোচস্ট্যান্ডে এসে টিকেটের জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে আসা হাজার হাজার মানুষ আবারো কর্মস্থলে ফিরে যাবার জন্য টিকেট নিতে এসে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
এসআর ট্রাভেলস, আগমনী এক্সপ্রেস, হানিফ পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন, নাবিল এবং এনাসহ বিভিন্ন বাস কাউন্টারে সকাল থেকে অনেকে ৩/৪ দিন আগে থেকে ঘোরাাঘুরি করেও কাক্সিক্ষত টিকেট সংগ্রহ করতে পারেননি। যাত্রীদের অভিযোগ, ঈদের আগে এবার কোন বাসের কাউন্টারেই অগ্রিম টিকেট বিক্রি করার কোন আগাম ঘোষণা দেয়নি।
বিশেষ করে এসআর ট্রাভেলস রংপুর কাউন্টার ম্যানেজারসহ কোন বাস কাউন্টার ঈদের পরের দিন থেকে আগাম টিকেট বিক্রির বিষয়টি মানেননি। বেশির ভাগ কাউন্টারে কয়েকশ টিকেট নিজের কাছে রেখে শত শত যাত্রীদের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছে।
শুধু তাই নয় কাউন্টার থেকে বলা হয় ঈদের আগের দিন থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রি করা হবে। কিন্তু আগের দিন কাউন্টার পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়।
ঢাকাগামী যাত্রী পারভেজ, আলমগীর এবং নাফিসা অভিযোগ করেন, তারা এসআর ট্রাভেলসের ঢাকায় অবস্থিত জেনারেল ম্যানেজারকে ফোন করে অভিযোগ করেও কোন সুরাহা হয়নি তাদের।
এছাড়া হানিফ, শ্যামলী, এনা এবং নাবিল পরিবহন কাউন্টারে গিয়ে বেশির ভাগ যাত্রী টিকেট পাননি। যাত্রীদের অভিযোগ টিকেট দেওয়ার কথা বলে অনেক যাত্রীকে সকাল থেকে অপেক্ষা করার কথা বলে টিকেট দেওয়া হয়নি। বেশির ভাগ কাউন্টার টিকেট কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়েছে তারা।
এদিকে টিকেট না পেয়ে কর্মস্থলে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে হাজার হাজার যাত্রীদের। গত সোমবার রাতে ও গত মঙ্গলবার বিকেলে সরজমিন কামার পাড়ার ঢাকা কোচস্ট্যান্ডে দিয়ে দেখা গেছে হাজার হাজার যাত্রী টিকেটের জন্য এক বাস কাউন্টার থেকে আর এক বাস কাউন্টারে ছোটাছুটি করছে কিন্তু টিকেট পাচ্ছেন না।
চট্টগ্রাম গামি বাসের যাত্রী আবু সাদ্দাম জানান, গত রোববার তিনি হানিফ , শ্যামলী ও নাবিল কাউন্টারে এসে ঘুরে গেছেন। তাকে বলা হয়েছে ঈদের পরের দিন শুক্রবার টিকেট মিলবে। কিন্তু সকাল থেকে বিভিন্ন কাউন্টারে ঘুরছেন তারা বলছে কোন টিকেট নেই।
একই কথা জানান চট্টগ্রামের যাত্রী আফসানা মাহবুব এবং মোস্তাকিনসহ অনেক যাত্রী। তারা বলেন গত মঙ্গলবার চাকরিতে যোগদান না করলে চাকরি থাকবে বলে মনে হয়না তার পরেও একদিন বাড়িয়ে বুধবার করেছি কিন্তু কাউন্টারে রাত থেকে অপেক্ষা করেও টিকেট মিলছে না।
ঢাকাগামী যাত্রী মনোয়ারার বেগম এবং গার্মেন্টস কর্মী আখতারী বেগম জানান, তারা দুদিন ধরে ঘুরছেন গাজীপুরের টিকেট নেয়ার জন্য। এনা পরিবহনন তাদেরকে আশ্বাস দিয়েও টিকেট দেয়নি। ফলে তারা গত সোমবার রাতে এবং মঙ্গলবার দিনের বেলায় কর্মস্থলে যোগদান করার জন্য বাস কাউন্টারগুলোতে এসে টিকেট না পেয়ে ফিলে গেছেন বলে জানান।
চাকরিজীবী মারুফ আজিজ এবং মনিরসহ অনেক যাত্রী অভিযোগ করেন, ২০০ বাস সিকাল থেকে রাক পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের টিকেট উধাও এখানে এমন নৈরাজ্য চলছে অথচ দেখার কেউ নেই। এসআর ট্রাভেলস, আগমনী এক্সপ্রেস, শ্যামলী পরিবহন, এনা পরিবহন এবং হানিফ এন্ট্রারপ্রাইজ সকলেই সিন্ডিকেট করে টিকেট কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়েছে।
তবে কাউন্টার ম্যানেজাররা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তাদের কাছে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সব টিকেট নাকি বিক্রি হয়ে গেছে। কাদের কাছে টিকেট বিক্রি করা হলো কবে বিক্রি শুরু হয়েছিল এবং কবে শেষ হলো এমন কোন প্রশ্নের উত্তর নেই তাদের কাছে। তবে বাস কাউন্টারগুলোর কাছে ও আশপাশে ২/৩ গুণ দামে কালোবাজারে টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে প্রকাশ্যই বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে হানিফ এবং শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টারে গেলে কাউন্টার ম্যানেজাররা জানান, ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সব টিকেট নাকি বিক্রি হয়ে গেছে। কবে কখন আগ্রিম টিকেট বিক্রি করা হলো এর কোন সঠিক উত্তর তারা দিতে পারেননি। এ ব্যাপারে রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, পুরো বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন।
প্রকাশ্যেই ২/৩ গুণ দামে কালোবাজারে টিকেট বিক্রি, প্রতিকার নেই
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪
বিভাগীয় নগরী রংপুরে ঈদ উদযাপন করতে এসে এখন ঢাকা চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে কর্মস্থলে ফিরে যাওয়া নিয়ে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। বাস কাউন্টারগুলোতে টিকেটের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও টিকেট মিলছে না। কাউন্টারগুলোতে টিকেট বিক্রির নামে চলছে চরম নৈরাজ্য।
ঈদের দুদিন পর ১৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত কোন বাসের টিকেট নেই বলে ঘোষণা দিয়েছে কাউন্টারগুলো। টিকেট কিনতে গিয়ে সোজা বলা হচ্ছে টিকেট নেই, কিভাবে বা কবে থেকে টিকেট বিক্রি শুরু আর শেষ হলো তার কোন জবাব নেই তাদের নেই। গত সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত যাত্রীরা টিকেটের জন্য অপেক্ষা করে ফিরে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ছিল একই দৃশ্য।
তবে বাস কাউন্টারগুলোতে টিকেট নেই বলা হলেও ৮শ টাকার নন-এসি বাসের টিকেট দেড় হাজার আর এসি বাসের দেড় হাজার টাকার টিকেট ৩ হাজার কাউন্টারের বাইরে কালোবাজারীরা প্রকাশ্যই বিক্রি করছে বলে অভিযোগ বাস যাত্রীদের।
বিভাগীয় নগরী কামারপাড়া এলাকায় ঢাকা কোচ স্ট্যান্ড অবস্থিত। এখান থেকে রাজধানী ঢাকা বন্দর নগরী চট্টগ্রাম এবং সিলেটসহ দেশের বড় বড় শহরগুলোতে প্রতিদিন ২ শতাধিক এসি ননএসি বাস চলাচল করে। এবার ছুটি বেশি থাকায় রংপুরে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে এসেছে লাখ লাখ মানুষ।
ঈদ উদযাপন করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা নারী-পুরুষদের পহেলা বৈশাখের ছুটির পর গত মঙ্গলবার ঢাকায় ফিরে যাবার জন্য, অফিস করার জন্য ঢাকা কোচস্ট্যান্ডে এসে টিকেটের জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে আসা হাজার হাজার মানুষ আবারো কর্মস্থলে ফিরে যাবার জন্য টিকেট নিতে এসে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
এসআর ট্রাভেলস, আগমনী এক্সপ্রেস, হানিফ পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন, নাবিল এবং এনাসহ বিভিন্ন বাস কাউন্টারে সকাল থেকে অনেকে ৩/৪ দিন আগে থেকে ঘোরাাঘুরি করেও কাক্সিক্ষত টিকেট সংগ্রহ করতে পারেননি। যাত্রীদের অভিযোগ, ঈদের আগে এবার কোন বাসের কাউন্টারেই অগ্রিম টিকেট বিক্রি করার কোন আগাম ঘোষণা দেয়নি।
বিশেষ করে এসআর ট্রাভেলস রংপুর কাউন্টার ম্যানেজারসহ কোন বাস কাউন্টার ঈদের পরের দিন থেকে আগাম টিকেট বিক্রির বিষয়টি মানেননি। বেশির ভাগ কাউন্টারে কয়েকশ টিকেট নিজের কাছে রেখে শত শত যাত্রীদের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছে।
শুধু তাই নয় কাউন্টার থেকে বলা হয় ঈদের আগের দিন থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রি করা হবে। কিন্তু আগের দিন কাউন্টার পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়।
ঢাকাগামী যাত্রী পারভেজ, আলমগীর এবং নাফিসা অভিযোগ করেন, তারা এসআর ট্রাভেলসের ঢাকায় অবস্থিত জেনারেল ম্যানেজারকে ফোন করে অভিযোগ করেও কোন সুরাহা হয়নি তাদের।
এছাড়া হানিফ, শ্যামলী, এনা এবং নাবিল পরিবহন কাউন্টারে গিয়ে বেশির ভাগ যাত্রী টিকেট পাননি। যাত্রীদের অভিযোগ টিকেট দেওয়ার কথা বলে অনেক যাত্রীকে সকাল থেকে অপেক্ষা করার কথা বলে টিকেট দেওয়া হয়নি। বেশির ভাগ কাউন্টার টিকেট কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়েছে তারা।
এদিকে টিকেট না পেয়ে কর্মস্থলে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে হাজার হাজার যাত্রীদের। গত সোমবার রাতে ও গত মঙ্গলবার বিকেলে সরজমিন কামার পাড়ার ঢাকা কোচস্ট্যান্ডে দিয়ে দেখা গেছে হাজার হাজার যাত্রী টিকেটের জন্য এক বাস কাউন্টার থেকে আর এক বাস কাউন্টারে ছোটাছুটি করছে কিন্তু টিকেট পাচ্ছেন না।
চট্টগ্রাম গামি বাসের যাত্রী আবু সাদ্দাম জানান, গত রোববার তিনি হানিফ , শ্যামলী ও নাবিল কাউন্টারে এসে ঘুরে গেছেন। তাকে বলা হয়েছে ঈদের পরের দিন শুক্রবার টিকেট মিলবে। কিন্তু সকাল থেকে বিভিন্ন কাউন্টারে ঘুরছেন তারা বলছে কোন টিকেট নেই।
একই কথা জানান চট্টগ্রামের যাত্রী আফসানা মাহবুব এবং মোস্তাকিনসহ অনেক যাত্রী। তারা বলেন গত মঙ্গলবার চাকরিতে যোগদান না করলে চাকরি থাকবে বলে মনে হয়না তার পরেও একদিন বাড়িয়ে বুধবার করেছি কিন্তু কাউন্টারে রাত থেকে অপেক্ষা করেও টিকেট মিলছে না।
ঢাকাগামী যাত্রী মনোয়ারার বেগম এবং গার্মেন্টস কর্মী আখতারী বেগম জানান, তারা দুদিন ধরে ঘুরছেন গাজীপুরের টিকেট নেয়ার জন্য। এনা পরিবহনন তাদেরকে আশ্বাস দিয়েও টিকেট দেয়নি। ফলে তারা গত সোমবার রাতে এবং মঙ্গলবার দিনের বেলায় কর্মস্থলে যোগদান করার জন্য বাস কাউন্টারগুলোতে এসে টিকেট না পেয়ে ফিলে গেছেন বলে জানান।
চাকরিজীবী মারুফ আজিজ এবং মনিরসহ অনেক যাত্রী অভিযোগ করেন, ২০০ বাস সিকাল থেকে রাক পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের টিকেট উধাও এখানে এমন নৈরাজ্য চলছে অথচ দেখার কেউ নেই। এসআর ট্রাভেলস, আগমনী এক্সপ্রেস, শ্যামলী পরিবহন, এনা পরিবহন এবং হানিফ এন্ট্রারপ্রাইজ সকলেই সিন্ডিকেট করে টিকেট কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়েছে।
তবে কাউন্টার ম্যানেজাররা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তাদের কাছে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সব টিকেট নাকি বিক্রি হয়ে গেছে। কাদের কাছে টিকেট বিক্রি করা হলো কবে বিক্রি শুরু হয়েছিল এবং কবে শেষ হলো এমন কোন প্রশ্নের উত্তর নেই তাদের কাছে। তবে বাস কাউন্টারগুলোর কাছে ও আশপাশে ২/৩ গুণ দামে কালোবাজারে টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে প্রকাশ্যই বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে হানিফ এবং শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টারে গেলে কাউন্টার ম্যানেজাররা জানান, ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সব টিকেট নাকি বিক্রি হয়ে গেছে। কবে কখন আগ্রিম টিকেট বিক্রি করা হলো এর কোন সঠিক উত্তর তারা দিতে পারেননি। এ ব্যাপারে রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, পুরো বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন।