alt

সারাদেশ

গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, বেশিরভাগ অঞ্চলে বইছে তাপপ্রবাহ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

গরমের পারদ চড়ছেই, এতে কষ্ট বাড়ছে শ্রমজীবীদের। বুধবার রাজধানীর ঢাকায় এক ভ্যানচালক মাথায়, মুখে পানি ঢেলে স্বস্তি খোঁজার চেষ্টা করছেন-সোহরাব আলম

বৈশাখ শুরুর কদিন আগে থেকেই বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। তাপপ্রবাহ বইছে ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের ওপর দিয়েই। প্রখর রোদে তীব্র দাবদাহ আর ভ্যাপসা গরমে সারাদেশের জনজীবন অতিষ্ঠ। চিকিৎসকেরা বলছেন, তীব্র গরমে পানির চাহিদা বেড়েছে। এ সময় তাপ এড়িয়ে ঠাণ্ডা স্থানে থাকতে হবে। তরল এবং ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার খেতে হবে। সেই সঙ্গে বেড়েই চলেছে জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

কালবৈশাখীর মৌসুমে ঝড়-বৃষ্টি হলেও তাপপ্রবাহ কমে আসার সম্ভাবনা কম। বরং কোনো কোনো এলাকায় তাপমাত্রা আরও কিছুটা বেড়ে ৪১ ডিগ্রিতে গিয়ে উঠতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল থেকে সূর্য যেন আগুন ছড়াচ্ছে চারদিকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকের সূর্যের তাপও। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি হলেও গরমের অনুভূতি ছিল ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, অনেক দিন ধরে তাপমাত্রা টানা বেশি থাকায় মাটির নিচের পানির স্তর আরও নিচে নেমে যেতে থাকে। এ অবস্থায় পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলে গরমের তাপমাত্রা যা আছে, তার চেয়ে বেশি অনুভূত হয়। ঢাকাসহ বুধবার দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের অবস্থাই এমন।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। বুধবারও একই তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়। ঢাকা ছাড়া রাজশাহীতে ৩৯ দশমিক ৩, রংপুরে ৩৪ দশমিক ৩, ময়মনসিংহে ৩৬ দশমিক ৫, সিলেটে ৩৫ দশমিক ৩, চট্টগ্রামে ৩৫, খুলনায় ৩৯ দশমিক ৫ এবং বরিশালে ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, ‘এই মৌসুম ঝড়-বৃষ্টির মৌসুম। ঝড়-বৃষ্টি হতেই থাকবে। তবে ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ যদি পর্যাপ্ত না হয়, তাহলে গরম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। এই মৌসুমে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রির ওপরে উঠতে পারে বলেও শঙ্কা রয়েছে।’

সারাদেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ ও গরম অনুভূত হওয়ার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি বায়ুদূষণও অন্যতম দায়ী বলে মনে করেন বায়ুম-ল দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার।

তিনি সংবাদকে বলেন, ‘এত তীব্র তাপমাত্রা বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও স্থানীয় বিভিন্ন নিয়মকের কারণে জন স্বাস্থ্যর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি সমাধানের জন্য বৈশ্বিক আঞ্চলিক ও স্থানীয় পর্যায়ে বিজ্ঞানভিত্তিক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে, সবার আগে সবুজায়ন অর্থাৎ বনভূমি ও জলাভূমি সংরক্ষণ জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

তীব্র গরমে বা হিট ওয়েভের স্থায়িত্বের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা থাকবে, গতবছর টানা ১৮ দিন ছিল। এবার তো আমরা মাত্র হিট ওয়েভ শুরু করলাম। গতবছর এপ্রিল মাসে ৪০ ডিগ্রির উপরে আমাদের ঢাকাতে টেম্পারেচার ছিল। এবছর এখন পর্যন্ত ঢাকার বাইরে ৪০ ডিগ্রির উপর টেম্পারেচার হয়েছে।’

‘বুধবার ঢাকার ১২টি স্থানের তাপমাত্রা পরিমাপ করে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা উঠেছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের এলাকায়। যেখানে তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’ বলেও জানান এ গবেষক।

তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে দেশ কী ধরনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান বলেন, আমরা কিন্তু এখনই ভবিষ্যতের একটা ডেমো দেখতে পাচ্ছি। আমাদের ঋতুর পরিবর্তন হচ্ছে। গরম দীর্ঘ হয়ে গেছে। বর্ষা সংক্ষিপ্ত হয়ে যাচ্ছে, অল্প সময়ে বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আবার যখন গরম পড়ছে তখন পরিমাণ এবং স্থায়িত্বও বেড়ে যাচ্ছে। মরূকরণের প্রাথমিক একটি লক্ষণ। মানে একটি এলাকায় যখন মরূকরণ শুরু হয় তার আগে এ ধরনের লক্ষণ দেখা যায়। সেগুলো এখন আমাদের প্রকৃতিতে দেখতে পাচ্ছি। ফলে তাপপ্রবাহর পরিমাণ বাড়বে, জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য নষ্ট হবে। মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হবে। এছাড়া আমাদের বড় উৎপাদনশীল খাত কৃষিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।

বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল জলবায়ু নিয়ে গবেষণা করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ওই গবেষণায় ১৯৮০ থেকে ২০২০ সালের প্রতিদিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পর্যালোচনা করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, বিভিন্ন ঋতুতে তাপমাত্রার পরিবর্তন হচ্ছে। গবেষণায় দেখা যায় ক্রমেই জলবায়ু পরিস্থিতি উষ্ণ হচ্ছে। সব ঋতুতেই তাপমাত্রা আগের চেয়ে বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকাসহ আট বিভাগেই বর্ষাকালে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে। এর মধ্যে খরাপ্রবণ রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে, শূন্য দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি বৃষ্টিপ্রবণ সিলেটেও এ সময় তাপমাত্রা বেড়েছে একইরকম মাত্রায়। ঢাকা, রংপুর ও চট্টগ্রামে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির এ হার ছিল শূন্য দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ছবি

গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ছবি

গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ছবি

নোয়াখালীতে অটোরিকশা থামিয়ে যুবদল কর্মীকে গুলি

বগুড়ায় ১৩২ বছরের ঐতিহ্যবাহী ‘টাউন ক্লাব’ ভেঙে ফেলেছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা

ছবি

গাজীপুরে ছাত্রজনতার ওপর হামলাকারীদের শাস্তির আশ্বাস

ছবি

ঘুমধুমে স্থল বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা আছে : এম সাখাওয়াত হোসেন

ছবি

ইয়াবাসহ আটক সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান

ছবি

যবিপ্রবিতে বৈষম্যবিরোধী নেত্রীর সঙ্গে ধাক্কা,২ বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৮

ছবি

লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ-শ্রমিক লীগের ৩ নেতার বাড়িতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

ছবি

পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রশ্নে ইরানের ফতোয়া

ছবি

পাবনায় আওয়ামী লীগ কার্যালয় গুঁড়িয়ে টাঙানো হলো মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের সাইনবোর্ড

ছবি

গাজীপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে জাতীয় নাগরিক কমিটি

ছবি

গাজীপুরে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ভাঙচুর, স্থানীয়দের মারধরে আহত ১৫

চার জেলায় সড়কে ঝরল স্কুলছাত্রীসহ ৪ প্রাণ

নবীনগরে মালবাহী নৌকা ডুবে শিশুর মৃত্যু

সিংগাইর থানার ফেইসবুক পেজে শেখ হাসিনার বক্তব্য শেয়ার

মোংলা বন্দরে পাকিস্তান থেকে এলো চিটাগুড়

ছবি

হাইটেক পার্কের আওতায় চাকরি হারালেন ২০ যুবক

ঘোড়াঘাটে চেতনানাশক স্প্রে করে বাড়িতে চুরি

ধনবাড়ীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

অবৈধ ইটভাটায় অভিযান, জরিমানা

বিষ দেয়া বাঁধাকপি খেয়ে ৭ গরুর মৃত্যু

বকেয়া টাকা চাওয়ায় চায়ের দোকানিকে কুপিয়ে জখম

সুন্দরগঞ্জে কিশোরের মরদেহ উদ্ধার

বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চুরি করতে গিয়ে মৃত্যু ১

ছবি

বাঘাবাড়ি ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ, স্থবির নৌবন্দর

নওগাঁয় হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন

ছবি

মোরেলগঞ্জে অফিস না করেই বেতন তুলছেন পরিবার কল্যাণ সহকারী

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস পালিত

শাহজাদপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে সেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

সিলেটে জানুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৬

রায়পুরায় নাগরিক সুবিধা পাচ্ছে বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষ

বাউফলে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০

দশমিনায় গলাকাটা যুবকের পরিচয় শনাক্ত

মান্দায় প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১

ছবি

প্রায় ১ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে গড়ে উঠবে ৩০৬ শিল্প প্লট

tab

সারাদেশ

গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, বেশিরভাগ অঞ্চলে বইছে তাপপ্রবাহ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

গরমের পারদ চড়ছেই, এতে কষ্ট বাড়ছে শ্রমজীবীদের। বুধবার রাজধানীর ঢাকায় এক ভ্যানচালক মাথায়, মুখে পানি ঢেলে স্বস্তি খোঁজার চেষ্টা করছেন-সোহরাব আলম

বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

বৈশাখ শুরুর কদিন আগে থেকেই বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। তাপপ্রবাহ বইছে ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের ওপর দিয়েই। প্রখর রোদে তীব্র দাবদাহ আর ভ্যাপসা গরমে সারাদেশের জনজীবন অতিষ্ঠ। চিকিৎসকেরা বলছেন, তীব্র গরমে পানির চাহিদা বেড়েছে। এ সময় তাপ এড়িয়ে ঠাণ্ডা স্থানে থাকতে হবে। তরল এবং ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার খেতে হবে। সেই সঙ্গে বেড়েই চলেছে জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

কালবৈশাখীর মৌসুমে ঝড়-বৃষ্টি হলেও তাপপ্রবাহ কমে আসার সম্ভাবনা কম। বরং কোনো কোনো এলাকায় তাপমাত্রা আরও কিছুটা বেড়ে ৪১ ডিগ্রিতে গিয়ে উঠতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল থেকে সূর্য যেন আগুন ছড়াচ্ছে চারদিকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকের সূর্যের তাপও। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি হলেও গরমের অনুভূতি ছিল ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, অনেক দিন ধরে তাপমাত্রা টানা বেশি থাকায় মাটির নিচের পানির স্তর আরও নিচে নেমে যেতে থাকে। এ অবস্থায় পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলে গরমের তাপমাত্রা যা আছে, তার চেয়ে বেশি অনুভূত হয়। ঢাকাসহ বুধবার দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের অবস্থাই এমন।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। বুধবারও একই তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়। ঢাকা ছাড়া রাজশাহীতে ৩৯ দশমিক ৩, রংপুরে ৩৪ দশমিক ৩, ময়মনসিংহে ৩৬ দশমিক ৫, সিলেটে ৩৫ দশমিক ৩, চট্টগ্রামে ৩৫, খুলনায় ৩৯ দশমিক ৫ এবং বরিশালে ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, ‘এই মৌসুম ঝড়-বৃষ্টির মৌসুম। ঝড়-বৃষ্টি হতেই থাকবে। তবে ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ যদি পর্যাপ্ত না হয়, তাহলে গরম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। এই মৌসুমে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রির ওপরে উঠতে পারে বলেও শঙ্কা রয়েছে।’

সারাদেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ ও গরম অনুভূত হওয়ার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি বায়ুদূষণও অন্যতম দায়ী বলে মনে করেন বায়ুম-ল দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার।

তিনি সংবাদকে বলেন, ‘এত তীব্র তাপমাত্রা বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও স্থানীয় বিভিন্ন নিয়মকের কারণে জন স্বাস্থ্যর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি সমাধানের জন্য বৈশ্বিক আঞ্চলিক ও স্থানীয় পর্যায়ে বিজ্ঞানভিত্তিক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে, সবার আগে সবুজায়ন অর্থাৎ বনভূমি ও জলাভূমি সংরক্ষণ জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

তীব্র গরমে বা হিট ওয়েভের স্থায়িত্বের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা থাকবে, গতবছর টানা ১৮ দিন ছিল। এবার তো আমরা মাত্র হিট ওয়েভ শুরু করলাম। গতবছর এপ্রিল মাসে ৪০ ডিগ্রির উপরে আমাদের ঢাকাতে টেম্পারেচার ছিল। এবছর এখন পর্যন্ত ঢাকার বাইরে ৪০ ডিগ্রির উপর টেম্পারেচার হয়েছে।’

‘বুধবার ঢাকার ১২টি স্থানের তাপমাত্রা পরিমাপ করে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা উঠেছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের এলাকায়। যেখানে তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’ বলেও জানান এ গবেষক।

তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে দেশ কী ধরনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান বলেন, আমরা কিন্তু এখনই ভবিষ্যতের একটা ডেমো দেখতে পাচ্ছি। আমাদের ঋতুর পরিবর্তন হচ্ছে। গরম দীর্ঘ হয়ে গেছে। বর্ষা সংক্ষিপ্ত হয়ে যাচ্ছে, অল্প সময়ে বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আবার যখন গরম পড়ছে তখন পরিমাণ এবং স্থায়িত্বও বেড়ে যাচ্ছে। মরূকরণের প্রাথমিক একটি লক্ষণ। মানে একটি এলাকায় যখন মরূকরণ শুরু হয় তার আগে এ ধরনের লক্ষণ দেখা যায়। সেগুলো এখন আমাদের প্রকৃতিতে দেখতে পাচ্ছি। ফলে তাপপ্রবাহর পরিমাণ বাড়বে, জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য নষ্ট হবে। মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হবে। এছাড়া আমাদের বড় উৎপাদনশীল খাত কৃষিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।

বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল জলবায়ু নিয়ে গবেষণা করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ওই গবেষণায় ১৯৮০ থেকে ২০২০ সালের প্রতিদিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পর্যালোচনা করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, বিভিন্ন ঋতুতে তাপমাত্রার পরিবর্তন হচ্ছে। গবেষণায় দেখা যায় ক্রমেই জলবায়ু পরিস্থিতি উষ্ণ হচ্ছে। সব ঋতুতেই তাপমাত্রা আগের চেয়ে বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকাসহ আট বিভাগেই বর্ষাকালে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে। এর মধ্যে খরাপ্রবণ রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে, শূন্য দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি বৃষ্টিপ্রবণ সিলেটেও এ সময় তাপমাত্রা বেড়েছে একইরকম মাত্রায়। ঢাকা, রংপুর ও চট্টগ্রামে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির এ হার ছিল শূন্য দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

back to top