কেশবপুর পৌর শহরের সকাল-সন্ধ্যা বাজারের জায়গার দখল ও পাল্টা দখলকে কেন্দ্র করে উচ্ছেদ আতঙ্কে রয়েছে ওই বাজারের ওপর নির্ভরশীল ৫৫ থেকে ৬০ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরইমধ্যে পশুহাটের নালিশী জমির মালিকানা দাবি করে মুক্তিযোদ্ধা শহীদ দৌলত বিশ্বাসের ওয়ারেশ স্বপন বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কেশবপুর মৌজার হাল ৬৪৫, ৬৪৬ দাগে ৩৫ শতকের মধ্যে ১৮ শতক জমির ক্রয়সূত্রে মালিক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ দৌলত বিশ্বাসের পিতা মৃত ইব্রাহিম বিশ্বাস। যার দলিল নং- ১৮৬১। আমরা ওয়ারেশ সূত্রে স্বত্ত্ববান ও দখলকার হয়ে দোকানঘর করে ব্যবসা পরিচালনাসহ ভাড়া প্রদান করে আসতে থাকি।
দীর্ঘদিন পর তফসিল জমি আর.এস চূড়ান্ত রেকর্ড প্রকাশিত হলে ওই জমি সরকারের ১নং খতিয়ানে রেকর্ড হয়। এরপর ২০০২ সালে কেশবপুর পৌরসভার তৎকালীন মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাস কোনো প্রকার নোটিস ছাড়ায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমাদের ওই জমি থেকে উচ্ছেদ করে।
এ ঘটনায় আমরা যশোর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী- ১২৭/২৩ নং মামলা করি। দীর্ঘদিন পর গত ২০২৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ যশোর সহকারী জজ আদালতের রায় ও ডিগ্রি মোতাবেক মৃত ইব্রাহিম বিশ্বাসের ওয়ারিশগণই হাল- ৬৪৫, ৬৪৬নং দাগের ৩৫ শতকের মধ্যে ১৮ শতক জমির প্রকৃত মালিক বলে বায় প্রদান করে। রায় পাবার পরই আমরা ওই নালিশী জমির নামপত্তন করার জন্যে সহকারী কমিশনার ভূমির কাছে আবেদন করেছি।
ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯৪ সাল থেকে পশুহাটের জায়গা পৌরসভার সকাল-সন্ধ্যা বাজার নামে পরিচালিত হয়ে আসছে। বাজারে মাছ, মাংস, শাক-সবজি, পান, সুপারি দুধ ও মশলাসহ নানাবিধ নিত্যপণ্য সামগ্রী বেচাকেনা হয়। সর্বসাধারণের ব্যবহার্য সম্পত্তি হওয়ায় বিভিন্ন এলাকার ৫৫ থেকে ৬০ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ওই বাজারে টিন ও পলিথিনের ছোট ছোট চালার ঘর করে ব্যবসা বাণিজ্য করছে। বর্তমান তারা ঘর তুলতে না পেরে তারা উচ্ছেদ আতঙ্কে রয়েছে।
সদর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানায়, কেশবপুর শহরের পুরাতন পশুহাটের হাল- ৬৪৫, ৬৪৬ দাগের এস,এ ও আর,এস রেকর্ডীয় জমির মালিক বাংলাদেশ সরকার। হাটটি পৌরসভার সকাল-সন্ধ্যা বাজার নামে পরিচালিত হচ্ছে। সম্প্রতি দেওয়ানী ১২৭/২৩নং মামলার রায় স্বপনগংরা নিজেদের অনুকূলে নেয়। রায় পেয়েই তারা মেইন সড়কের পাশে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির একটি সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দেয়।
সরকার পক্ষও যশোর বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে রায়ের বিপক্ষে আপিল করেছে। যার নং- ২১/২৪। আগামী ১৫ মে এ মামলার শুনানির দিন ধার্য আছে।
এদিকে, গত ১৫ এপ্রিল মধ্যকুল গ্রামের মৃত ইব্রাহিম বিশ্বাসের ওয়ারেশগণ জমির মালিকানা দাবি করে বাজারের ছোট ছোট অস্থায়ী দোকান ঘরের টিন, বাঁশখুটি, খাট ও চৌকি ভাঙচুরসহ ক্ষতিসাধন করে। ১৭ এপ্রিল সকালে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা টিন ও বাঁশখুটি দিয়ে ঘর তুলতে গেলে মৃত ইব্রাহিম বিশ্বাসের ওয়ারেশগণ বাধা দিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে স্বপন বিশ্বাসগংরা মামলায় জয়ী হয়েছে। কিন্তু রেকর্ড ও নামজারি সরকারের নামে থেকে গেছে। রেকর্ড ও নামজারি তাদের পক্ষে না যাওয়া পর্যন্ত দখল ও উচ্ছেদে যাওয়া সম্পূর্ণ অবৈধ।
তাছাড়া, পুরনো পশুহাটের মোট জমি ৩৫ শতক। তারা ১৮ শতকের রায় পেয়েছে। অবশিষ্ট যে সরকারি খালি জায়গা আছে তার ৮ শতকের ওপর পৌর সুপার মার্কেট করার অনুমতি দিয়েছে সরকার। সেই সুপার মার্কেটের জায়গায় তারা অবৈধভাবে হানা দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুহিন হোসেন বলেন, যারা যে অবস্থায় ছিল তাদের সে অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে। আগামী ১৫/২০ দিন পর সাধারণ ব্যবসায়ী ও স্বপণগংদের ডেকে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান করার কথা বলা হয়েছে। শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গ হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
কেশবপুর পৌর শহরের সকাল-সন্ধ্যা বাজারের জায়গার দখল ও পাল্টা দখলকে কেন্দ্র করে উচ্ছেদ আতঙ্কে রয়েছে ওই বাজারের ওপর নির্ভরশীল ৫৫ থেকে ৬০ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরইমধ্যে পশুহাটের নালিশী জমির মালিকানা দাবি করে মুক্তিযোদ্ধা শহীদ দৌলত বিশ্বাসের ওয়ারেশ স্বপন বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কেশবপুর মৌজার হাল ৬৪৫, ৬৪৬ দাগে ৩৫ শতকের মধ্যে ১৮ শতক জমির ক্রয়সূত্রে মালিক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ দৌলত বিশ্বাসের পিতা মৃত ইব্রাহিম বিশ্বাস। যার দলিল নং- ১৮৬১। আমরা ওয়ারেশ সূত্রে স্বত্ত্ববান ও দখলকার হয়ে দোকানঘর করে ব্যবসা পরিচালনাসহ ভাড়া প্রদান করে আসতে থাকি।
দীর্ঘদিন পর তফসিল জমি আর.এস চূড়ান্ত রেকর্ড প্রকাশিত হলে ওই জমি সরকারের ১নং খতিয়ানে রেকর্ড হয়। এরপর ২০০২ সালে কেশবপুর পৌরসভার তৎকালীন মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাস কোনো প্রকার নোটিস ছাড়ায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমাদের ওই জমি থেকে উচ্ছেদ করে।
এ ঘটনায় আমরা যশোর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী- ১২৭/২৩ নং মামলা করি। দীর্ঘদিন পর গত ২০২৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ যশোর সহকারী জজ আদালতের রায় ও ডিগ্রি মোতাবেক মৃত ইব্রাহিম বিশ্বাসের ওয়ারিশগণই হাল- ৬৪৫, ৬৪৬নং দাগের ৩৫ শতকের মধ্যে ১৮ শতক জমির প্রকৃত মালিক বলে বায় প্রদান করে। রায় পাবার পরই আমরা ওই নালিশী জমির নামপত্তন করার জন্যে সহকারী কমিশনার ভূমির কাছে আবেদন করেছি।
ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯৪ সাল থেকে পশুহাটের জায়গা পৌরসভার সকাল-সন্ধ্যা বাজার নামে পরিচালিত হয়ে আসছে। বাজারে মাছ, মাংস, শাক-সবজি, পান, সুপারি দুধ ও মশলাসহ নানাবিধ নিত্যপণ্য সামগ্রী বেচাকেনা হয়। সর্বসাধারণের ব্যবহার্য সম্পত্তি হওয়ায় বিভিন্ন এলাকার ৫৫ থেকে ৬০ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ওই বাজারে টিন ও পলিথিনের ছোট ছোট চালার ঘর করে ব্যবসা বাণিজ্য করছে। বর্তমান তারা ঘর তুলতে না পেরে তারা উচ্ছেদ আতঙ্কে রয়েছে।
সদর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানায়, কেশবপুর শহরের পুরাতন পশুহাটের হাল- ৬৪৫, ৬৪৬ দাগের এস,এ ও আর,এস রেকর্ডীয় জমির মালিক বাংলাদেশ সরকার। হাটটি পৌরসভার সকাল-সন্ধ্যা বাজার নামে পরিচালিত হচ্ছে। সম্প্রতি দেওয়ানী ১২৭/২৩নং মামলার রায় স্বপনগংরা নিজেদের অনুকূলে নেয়। রায় পেয়েই তারা মেইন সড়কের পাশে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির একটি সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দেয়।
সরকার পক্ষও যশোর বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে রায়ের বিপক্ষে আপিল করেছে। যার নং- ২১/২৪। আগামী ১৫ মে এ মামলার শুনানির দিন ধার্য আছে।
এদিকে, গত ১৫ এপ্রিল মধ্যকুল গ্রামের মৃত ইব্রাহিম বিশ্বাসের ওয়ারেশগণ জমির মালিকানা দাবি করে বাজারের ছোট ছোট অস্থায়ী দোকান ঘরের টিন, বাঁশখুটি, খাট ও চৌকি ভাঙচুরসহ ক্ষতিসাধন করে। ১৭ এপ্রিল সকালে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা টিন ও বাঁশখুটি দিয়ে ঘর তুলতে গেলে মৃত ইব্রাহিম বিশ্বাসের ওয়ারেশগণ বাধা দিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে স্বপন বিশ্বাসগংরা মামলায় জয়ী হয়েছে। কিন্তু রেকর্ড ও নামজারি সরকারের নামে থেকে গেছে। রেকর্ড ও নামজারি তাদের পক্ষে না যাওয়া পর্যন্ত দখল ও উচ্ছেদে যাওয়া সম্পূর্ণ অবৈধ।
তাছাড়া, পুরনো পশুহাটের মোট জমি ৩৫ শতক। তারা ১৮ শতকের রায় পেয়েছে। অবশিষ্ট যে সরকারি খালি জায়গা আছে তার ৮ শতকের ওপর পৌর সুপার মার্কেট করার অনুমতি দিয়েছে সরকার। সেই সুপার মার্কেটের জায়গায় তারা অবৈধভাবে হানা দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুহিন হোসেন বলেন, যারা যে অবস্থায় ছিল তাদের সে অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে। আগামী ১৫/২০ দিন পর সাধারণ ব্যবসায়ী ও স্বপণগংদের ডেকে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান করার কথা বলা হয়েছে। শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গ হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।