হবিগঞ্জের মাধবপুরে একটি বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার বিকালে উপজেলার সীমান্তবর্তী কমলপুর গ্রাম থেকে এটি আটক করে গ্রামবাসী।
পাখিপ্রেমী সোসাইটির হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি মোজাহিদ মসি জানান, ভারতীয় সীমান্তবর্তী মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামের লোকজন প্রাণীটিকে ধরে খাঁচায় আটকে রাখেন। গ্রামবাসীর ধারণা খাদ্য সংগ্রহে সীমান্তের ওপারের পাহাড়ি এলাকা থেকে প্রাণীটি লোকালয়ে চলে আসে। পরে গ্রামের একটি জমিতে প্রাণীটি দেখতে পায় কয়েকজন যুবক। গ্রামের কিছু উৎসুক জনতা ধাওয়া দিয়ে কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বিকালে প্রাণীটিকে আটক করে।
সাংবাদিক শেখ শাহিন উদ্দিন জানান, বানরটি কে গ্রামের লোকেরা একটি খাঁচায় আটকে রাখা রেখেছে। বন বিভাগের লোকজনকে আমরা জানিয়েছি, ওনারা এসে এটিকে নিয়ে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে উন্মুক্ত করবে বলে জানতে পেরেছি।
মাধবপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. আব্দুস সাত্তার বেগ জানান, প্রাণীটি লজ্জাবতী বানর। এর ইংরেজি নাম হচ্ছে স্লো লরিস। এ প্রাণীটি এখন বিরল।
বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী বলেন, এরা লরিসিডি পরিবারের একটি বানর প্রজাতি। এরা গাছের উঁচু শাখায় থাকতে পছন্দ করে। বাংলাদেশে পাহাড়ি চিরসবুজ বনে এদের কালেভাদ্রে দেখা পাওয়া যায়। তবে আর্দ্র পাতাঝরা বনেও লজ্জাবতী বানরের উপস্থিতি দেখা যায়।
লজ্জাবতী বানর বা স্লো লরিস আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) লাল তালিকায় সংকটাপন্ন প্রাণী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশের ১৯৭৪ ও ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনেও এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
হবিগঞ্জের মাধবপুরে একটি বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার বিকালে উপজেলার সীমান্তবর্তী কমলপুর গ্রাম থেকে এটি আটক করে গ্রামবাসী।
পাখিপ্রেমী সোসাইটির হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি মোজাহিদ মসি জানান, ভারতীয় সীমান্তবর্তী মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামের লোকজন প্রাণীটিকে ধরে খাঁচায় আটকে রাখেন। গ্রামবাসীর ধারণা খাদ্য সংগ্রহে সীমান্তের ওপারের পাহাড়ি এলাকা থেকে প্রাণীটি লোকালয়ে চলে আসে। পরে গ্রামের একটি জমিতে প্রাণীটি দেখতে পায় কয়েকজন যুবক। গ্রামের কিছু উৎসুক জনতা ধাওয়া দিয়ে কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বিকালে প্রাণীটিকে আটক করে।
সাংবাদিক শেখ শাহিন উদ্দিন জানান, বানরটি কে গ্রামের লোকেরা একটি খাঁচায় আটকে রাখা রেখেছে। বন বিভাগের লোকজনকে আমরা জানিয়েছি, ওনারা এসে এটিকে নিয়ে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে উন্মুক্ত করবে বলে জানতে পেরেছি।
মাধবপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. আব্দুস সাত্তার বেগ জানান, প্রাণীটি লজ্জাবতী বানর। এর ইংরেজি নাম হচ্ছে স্লো লরিস। এ প্রাণীটি এখন বিরল।
বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী বলেন, এরা লরিসিডি পরিবারের একটি বানর প্রজাতি। এরা গাছের উঁচু শাখায় থাকতে পছন্দ করে। বাংলাদেশে পাহাড়ি চিরসবুজ বনে এদের কালেভাদ্রে দেখা পাওয়া যায়। তবে আর্দ্র পাতাঝরা বনেও লজ্জাবতী বানরের উপস্থিতি দেখা যায়।
লজ্জাবতী বানর বা স্লো লরিস আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) লাল তালিকায় সংকটাপন্ন প্রাণী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশের ১৯৭৪ ও ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনেও এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।