গাবখান ট্র্যাজেডি
চালক ও হেলপারকে আসামি করে মামলা
ঘাতক ট্রাকের সিমেন্ট ট্রলিতে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে-সংবাদ
বরিশাল খুলনা মহাসড়কে ঝালকাঠির গাবখানে ব্রিজের টোল ঘরের সামনে ১৪ জন নিহতের ঘটনায় ট্রাক চালক ও হেল্পারকে দায়ী করে ঝালকাঠি সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। দুর্ঘটনায় প্রাইভেট কারে নিহতের ভাই মো. হাদিউর রহমান (২৩) বাদী হয়ে অতিরিক্ত সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের লাইসেন্স বিহীন চালক মো. আল আমিন হাওলাদার (৩২) ও হেলপার মো. নাজমুল শেখ (২২) এর নাম উল্লেখ করে এই মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় ইতোপূর্বেই পুলিশ চালক ও হেলপারকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
বরিশাল খুলনা মহাসড়কে ঝালকাঠির গাবখানে ব্রিজ থেকে টোল ঘর কাছে হওয়ায় ১৭ এপ্রিল সড়ক দুর্ঘটনায় বেশি প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়দের দাবি। তবে ঝালকাঠি সড়ক বিভাগ কর্তৃপক্ষ এই দাবিকে অযৌক্তিক জানিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানায়। এদিকে অতিরিক্ত সিমেন্ট বোঝাই করে ভারী যানের লাইসেন্স ছাড়াই দ্রুত গতিতে চালিয়ে আসা দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকের সিমেন্ট সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। কারণ অতিরিক্ত সিমেন্ট বোঝাইয়ের বিষয়টি চাঁপা দিতে এই কৌশল নেয়া হতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
গাবখান এলাকার বাসিন্দা আবুল বাশার ও কালাম হাওলাদারসহ আরও অনেকে জানান, গাবখান ব্রিজের উচ্চতা বেশি হওয়ায় ব্রিজ থেকে টোল ঘর পর্যন্ত এপ্রোচ সড়কের ঢালু বেশি। তাই ভারী যানবাহন নামার সময় গতি বেড়ে যাওয়ায় ব্রিজের কাছে টোল ঘর পর্যন্ত আসতে গতি নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর। এ অবস্থায় অতিরিক্ত মালামাল নিয়ে ভারীযান নামার সময় গতি আরও বেড়ে গিয়ে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এছাড়াও স্থানীয়দের অভিযোগ খুলনা বরিশাল মহাসড়কের এই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ডিজিটাল টোলঘর চালু করা হলে দ্রুত সময়ে যানবাহনের টোল আদায় করা সম্ভব হবে। স্থানীয়দের এই ধারণা সঠিক নয় জানিয়ে ঝালকাঠি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার শরীফ খান বলেন, ২০০১ সালে নির্মীত এই গাবখান ব্রিজ উদ্বোধনের পর থেকে গত ২৩ বছরে এ ধরনের দুর্ঘটনা এই প্রথম। তাই স্থানীয়দেরও ধারণা যদি সঠিক হতো তা হলে এ ধরনের দুর্ঘটনা এখানে আরও ঘটতো। ৯১৮ মিটারের এই গাবখান ব্রিজের দু’পাশে মোট এপ্রোচ রাস্তা রয়েছে ৪৫৯ মিটার। এর মধ্যে গাবখান ব্রিজ থেকে ঝালকাঠির প্রান্তে এপ্রোচ সড়ক ২৩০ মিটার। এরপর আরও ৩০ দূরে টোল ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। তাই দ্রুত গতি সম্পন্ন ভারী যানবাহন টোলঘর পর্যন্ত আসতে গতি নিয়ন্ত্রণ করা মোটেই কঠিন কিছু নয়। তাই টোলঘর এপ্রোচ সড়ক থেকে নিরাপদ দূরত্বে রয়েছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী আরও জানান, তারপরেও টোল ঘরটি কিছুটা দূরত্বে সড়িয়ে নেয়ার প্রয়োজন আছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি ৭.৩ মিটারের এই মহাসড়কে বরিশালে রূপাতলি থেকে খুলনা পর্যন্ত ৪ লেনের রাস্তা নির্মাণের প্রস্তাব বিবেচনাধীন আছে। যা চালু হলে ২৪ মিটারের প্রশস্থ সড়কে ডিজিটাল টোল ঘরসহ অত্যাধুনিক প্রক্রিয়ায় টোল আদায় সম্ভব হবে।
অন্য দিকে ট্রাকে অতিরিক্ত সিমেন্ট বোঝাই করে খুলনা থেকে বরিশাল যাবার পথে দুর্ঘটনার বিষয়টি চাঁপা দিতে মালিক পক্ষ দুর্ঘটনা কবলিত স্থান থেকে ইতি মধ্যেই ১৫০ বস্তা সিমেন্ট সরিয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৮ এপ্রিল দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় কে বা কারা ট্রলিতে সিমেন্টের বস্তা উঠিয়ে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে।
এ সময় সাংবাদিকরা যানতে চাইলে সেখানে সেভেন রিং কোম্পানির সিমেন্ট ভর্তি ট্রলি চালক মো. আসিফ জানায়, কিছুক্ষণ আগে আরও ২টি ট্রলিতে মোট ১৫০ বস্তা সিমেন্ট এখান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কে বা কারা এই সিমেন্ট নিয়েছে জানতে চাইলে ট্রলি চালক জানায় সিমেন্ট কোম্পানির কর্মকর্তা পরিচয়ে সিমেন্ট নিয়ে গেছে। এ সময় আসে পাশে আরও কয়েক জন কোম্পানির লোক পরিচয়ে সেখানে অবস্থান করলেও সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখান থেকে শটকে পরে। তখন টোল ঘরের কর্মীরা জানায়, আমরা এই সিমেন্ট ট্রলি ভরাব সময় বাঁধা দিলে তারা জানায় পুলিশের অনুমুিত নিয়ে তারা এই সিমেন্ট নিচ্ছে। বিষয়টি
তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ সুপারকে অবহিত করলে থানা থেকে পুলিশ এসে সিমেন্ট ভর্তি ট্রলিটিসহ অবশিষ্ট সিমেন্ট উদ্ধার করে থানায় নেয়া প্রক্রিয়া শুরু করে। সেখানে উপস্থিত সদর থানার এসআই জুয়েল জানান, ওসি স্যারের নির্দেশে এখানকার সিমেন্ট থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছি। এছাড়াও সরিয়ে ফেলাসিমেন্ট উদ্ধারের চেষ্টা করছি। দুর্ঘটনা কবলিত স্থান থেকে এই সিমেন্ট সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে স্থানিয়রা জানায়, ট্রাকে অতিরিক্ত সিমেন্ট বোঝাইয়ের অভিযোগ মিথ্যা প্রমান করতে মালিক পক্ষ তাদের লোক দিয়ে এই সিমেন্ট সরিয়েছে। এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার স্থান থেকে ঘটনার আলামত হিসেবে সিমেন্ট ভর্তি ব্যাগগুলো জব্দ করে নিয়ে এসেছি। এছাড়াও সেখান সেখান থেকে আরও কিছু সরিয়ে ফেলা সিমেন্ট উদ্ধার করা হলে জব্দ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এখন পর্যন্ত মোট কত ব্যাগ সিমেন্ট জব্দ করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন গণনা চলছে।
উল্লেখ্য ৭ এপ্রিল দুর্ঘটনার পরে ট্রাকটিতে ৪শ’ বস্তা সিমেন্ট রয়েছে বলে ট্রাক চালকের রাত দিয়ে পুলিশ সূত্র জানায়। একটি পরিবহন সূূূূত্রের দাবি অনুযায়ী দুর্ঘটনা কবলিত ১০ টনের ট্রাকটিতে ২শ’ বস্তা সিমেন্ট বহনের ক্ষমতা ছিল। কিন্তু অতিরিক্ত সমেন্ট বহনের কারনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি এই দুর্ঘটনা ঘটায়। মামলা সূত্রে জানায়, বাদী এই মামলায় অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই করে লাইসেন্স বিহীন ট্রাকের চালক এই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে বলে উল্লেখ করাহয়।
মামলায় ঝালকাঠি ও রাজাপুর এলাকার মোট ৯ জনকে স্বাক্ষী করা হয়েছে। ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গাবখান ট্র্যাজেডি
চালক ও হেলপারকে আসামি করে মামলা
ঘাতক ট্রাকের সিমেন্ট ট্রলিতে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে-সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
বরিশাল খুলনা মহাসড়কে ঝালকাঠির গাবখানে ব্রিজের টোল ঘরের সামনে ১৪ জন নিহতের ঘটনায় ট্রাক চালক ও হেল্পারকে দায়ী করে ঝালকাঠি সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। দুর্ঘটনায় প্রাইভেট কারে নিহতের ভাই মো. হাদিউর রহমান (২৩) বাদী হয়ে অতিরিক্ত সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের লাইসেন্স বিহীন চালক মো. আল আমিন হাওলাদার (৩২) ও হেলপার মো. নাজমুল শেখ (২২) এর নাম উল্লেখ করে এই মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় ইতোপূর্বেই পুলিশ চালক ও হেলপারকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
বরিশাল খুলনা মহাসড়কে ঝালকাঠির গাবখানে ব্রিজ থেকে টোল ঘর কাছে হওয়ায় ১৭ এপ্রিল সড়ক দুর্ঘটনায় বেশি প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়দের দাবি। তবে ঝালকাঠি সড়ক বিভাগ কর্তৃপক্ষ এই দাবিকে অযৌক্তিক জানিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানায়। এদিকে অতিরিক্ত সিমেন্ট বোঝাই করে ভারী যানের লাইসেন্স ছাড়াই দ্রুত গতিতে চালিয়ে আসা দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকের সিমেন্ট সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। কারণ অতিরিক্ত সিমেন্ট বোঝাইয়ের বিষয়টি চাঁপা দিতে এই কৌশল নেয়া হতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
গাবখান এলাকার বাসিন্দা আবুল বাশার ও কালাম হাওলাদারসহ আরও অনেকে জানান, গাবখান ব্রিজের উচ্চতা বেশি হওয়ায় ব্রিজ থেকে টোল ঘর পর্যন্ত এপ্রোচ সড়কের ঢালু বেশি। তাই ভারী যানবাহন নামার সময় গতি বেড়ে যাওয়ায় ব্রিজের কাছে টোল ঘর পর্যন্ত আসতে গতি নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর। এ অবস্থায় অতিরিক্ত মালামাল নিয়ে ভারীযান নামার সময় গতি আরও বেড়ে গিয়ে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এছাড়াও স্থানীয়দের অভিযোগ খুলনা বরিশাল মহাসড়কের এই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ডিজিটাল টোলঘর চালু করা হলে দ্রুত সময়ে যানবাহনের টোল আদায় করা সম্ভব হবে। স্থানীয়দের এই ধারণা সঠিক নয় জানিয়ে ঝালকাঠি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার শরীফ খান বলেন, ২০০১ সালে নির্মীত এই গাবখান ব্রিজ উদ্বোধনের পর থেকে গত ২৩ বছরে এ ধরনের দুর্ঘটনা এই প্রথম। তাই স্থানীয়দেরও ধারণা যদি সঠিক হতো তা হলে এ ধরনের দুর্ঘটনা এখানে আরও ঘটতো। ৯১৮ মিটারের এই গাবখান ব্রিজের দু’পাশে মোট এপ্রোচ রাস্তা রয়েছে ৪৫৯ মিটার। এর মধ্যে গাবখান ব্রিজ থেকে ঝালকাঠির প্রান্তে এপ্রোচ সড়ক ২৩০ মিটার। এরপর আরও ৩০ দূরে টোল ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। তাই দ্রুত গতি সম্পন্ন ভারী যানবাহন টোলঘর পর্যন্ত আসতে গতি নিয়ন্ত্রণ করা মোটেই কঠিন কিছু নয়। তাই টোলঘর এপ্রোচ সড়ক থেকে নিরাপদ দূরত্বে রয়েছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী আরও জানান, তারপরেও টোল ঘরটি কিছুটা দূরত্বে সড়িয়ে নেয়ার প্রয়োজন আছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি ৭.৩ মিটারের এই মহাসড়কে বরিশালে রূপাতলি থেকে খুলনা পর্যন্ত ৪ লেনের রাস্তা নির্মাণের প্রস্তাব বিবেচনাধীন আছে। যা চালু হলে ২৪ মিটারের প্রশস্থ সড়কে ডিজিটাল টোল ঘরসহ অত্যাধুনিক প্রক্রিয়ায় টোল আদায় সম্ভব হবে।
অন্য দিকে ট্রাকে অতিরিক্ত সিমেন্ট বোঝাই করে খুলনা থেকে বরিশাল যাবার পথে দুর্ঘটনার বিষয়টি চাঁপা দিতে মালিক পক্ষ দুর্ঘটনা কবলিত স্থান থেকে ইতি মধ্যেই ১৫০ বস্তা সিমেন্ট সরিয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৮ এপ্রিল দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় কে বা কারা ট্রলিতে সিমেন্টের বস্তা উঠিয়ে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে।
এ সময় সাংবাদিকরা যানতে চাইলে সেখানে সেভেন রিং কোম্পানির সিমেন্ট ভর্তি ট্রলি চালক মো. আসিফ জানায়, কিছুক্ষণ আগে আরও ২টি ট্রলিতে মোট ১৫০ বস্তা সিমেন্ট এখান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কে বা কারা এই সিমেন্ট নিয়েছে জানতে চাইলে ট্রলি চালক জানায় সিমেন্ট কোম্পানির কর্মকর্তা পরিচয়ে সিমেন্ট নিয়ে গেছে। এ সময় আসে পাশে আরও কয়েক জন কোম্পানির লোক পরিচয়ে সেখানে অবস্থান করলেও সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখান থেকে শটকে পরে। তখন টোল ঘরের কর্মীরা জানায়, আমরা এই সিমেন্ট ট্রলি ভরাব সময় বাঁধা দিলে তারা জানায় পুলিশের অনুমুিত নিয়ে তারা এই সিমেন্ট নিচ্ছে। বিষয়টি
তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ সুপারকে অবহিত করলে থানা থেকে পুলিশ এসে সিমেন্ট ভর্তি ট্রলিটিসহ অবশিষ্ট সিমেন্ট উদ্ধার করে থানায় নেয়া প্রক্রিয়া শুরু করে। সেখানে উপস্থিত সদর থানার এসআই জুয়েল জানান, ওসি স্যারের নির্দেশে এখানকার সিমেন্ট থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছি। এছাড়াও সরিয়ে ফেলাসিমেন্ট উদ্ধারের চেষ্টা করছি। দুর্ঘটনা কবলিত স্থান থেকে এই সিমেন্ট সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে স্থানিয়রা জানায়, ট্রাকে অতিরিক্ত সিমেন্ট বোঝাইয়ের অভিযোগ মিথ্যা প্রমান করতে মালিক পক্ষ তাদের লোক দিয়ে এই সিমেন্ট সরিয়েছে। এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার স্থান থেকে ঘটনার আলামত হিসেবে সিমেন্ট ভর্তি ব্যাগগুলো জব্দ করে নিয়ে এসেছি। এছাড়াও সেখান সেখান থেকে আরও কিছু সরিয়ে ফেলা সিমেন্ট উদ্ধার করা হলে জব্দ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এখন পর্যন্ত মোট কত ব্যাগ সিমেন্ট জব্দ করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন গণনা চলছে।
উল্লেখ্য ৭ এপ্রিল দুর্ঘটনার পরে ট্রাকটিতে ৪শ’ বস্তা সিমেন্ট রয়েছে বলে ট্রাক চালকের রাত দিয়ে পুলিশ সূত্র জানায়। একটি পরিবহন সূূূূত্রের দাবি অনুযায়ী দুর্ঘটনা কবলিত ১০ টনের ট্রাকটিতে ২শ’ বস্তা সিমেন্ট বহনের ক্ষমতা ছিল। কিন্তু অতিরিক্ত সমেন্ট বহনের কারনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি এই দুর্ঘটনা ঘটায়। মামলা সূত্রে জানায়, বাদী এই মামলায় অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই করে লাইসেন্স বিহীন ট্রাকের চালক এই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে বলে উল্লেখ করাহয়।
মামলায় ঝালকাঠি ও রাজাপুর এলাকার মোট ৯ জনকে স্বাক্ষী করা হয়েছে। ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।