মুন্সীগঞ্জের গজারিয় উপজেলার বাউশিয়া এলাকার মোহাম্মদ আব্দুল আজহার উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে সরকার নির্ধারিত ফির চাইতে ১০ গুণ বেশি টাকায় মনোনয়নপত্র বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এতে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে অভিভাবক ও প্রার্থীদের মধ্যে।
জানা যায়, গত ১০ মে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন অভিভাবক শ্রেণীর সদস্য পদে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আর সংরক্ষিত অভিভাবক শ্রেণীর সদস্য সদস্য পদে কেবলমাত্র একজন মনোনয়নপত্র কিনেন। খবর নিয়ে জানা যায় ১০ হাজার টাকা করে বিক্রি করা হয়েছে মনোনয়নপত্র। টাকার পরিমাণ অনেক বেশি হওয়ায় ইচ্ছা থাকলেও মনোনয়নপত্র কিনতে পারেনি অনেকে। আর যারা অতিরিক্ত টাকা দিয়ে মনোনয়নপত্র কিনেছেন বিষয়টি নিয়ে তারা তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে সর্বশেষ প্রকাশিত গেজেটের ২৩(২) ধারা অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটির সদস্য পদে সিটি করপোরেশন এলাকায় মনোনয়নপত্রে মূল্য ৩ হাজার টাকা, জেলা সদরের পৌরসভাভুক্ত এলাকায় ২ হাজার টাকা এবং অন্যান্য এলাকার জন্য মনোনয়নপত্রের মূল্য ১ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে বাউশিয়া মোহাম্মদ আব্দুল আজহার উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে দশ হাজার টাকায় একটি মনোনয়নপত্র বিক্রি করা হয়, যা সরকার নির্ধারিত ফির চাইতে দশগুণ বেশি।
ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী জাহাঙ্গীর আলম, আবুল কালাম এবং মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দশ হাজার টাকায় মনোনয়নপত্র কেনার বিষয়টি স্বীকার করেন তারা। তারা জানান, এর চাইতে কম টাকায় মনোনয়নপত্র বিক্রি না করায় বাধ্য হয়ে বেশি টাকা দিয়ে তারা মনোনয়নপত্র কিনেছেন।
বিষয়টি সম্পর্কে তার বক্তব্য জানতে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সরদার আব্দুল কাইয়ুমের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার ও গজারিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, নতুন প্রকাশিত গেজেটে মনোনয়নপত্রের দাম এক হাজার টাকা হলেও আগের গেজেটে মনোনয়নপত্রের দাম ৫ হাজার টাকা ছিল। নির্বাচন আগের গেজেট অনুযায়ী হয়েছে। বেশি টাকায় মনোনয়নপত্র বিক্রির বিষয়টি আমার জানা নেই।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। একজন প্রার্থী বিষয়টি আমাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন আমি তাকে বিষয়টি লিখিত আকারে জানাতে বলেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ১০ মে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বহিরাগত লোক দিয়ে প্রভাব বিস্তার, জালভোট দিয়ে একাধিক ব্যক্তি আটক এবং নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
সোমবার, ২০ মে ২০২৪
মুন্সীগঞ্জের গজারিয় উপজেলার বাউশিয়া এলাকার মোহাম্মদ আব্দুল আজহার উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে সরকার নির্ধারিত ফির চাইতে ১০ গুণ বেশি টাকায় মনোনয়নপত্র বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এতে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে অভিভাবক ও প্রার্থীদের মধ্যে।
জানা যায়, গত ১০ মে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন অভিভাবক শ্রেণীর সদস্য পদে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আর সংরক্ষিত অভিভাবক শ্রেণীর সদস্য সদস্য পদে কেবলমাত্র একজন মনোনয়নপত্র কিনেন। খবর নিয়ে জানা যায় ১০ হাজার টাকা করে বিক্রি করা হয়েছে মনোনয়নপত্র। টাকার পরিমাণ অনেক বেশি হওয়ায় ইচ্ছা থাকলেও মনোনয়নপত্র কিনতে পারেনি অনেকে। আর যারা অতিরিক্ত টাকা দিয়ে মনোনয়নপত্র কিনেছেন বিষয়টি নিয়ে তারা তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে সর্বশেষ প্রকাশিত গেজেটের ২৩(২) ধারা অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটির সদস্য পদে সিটি করপোরেশন এলাকায় মনোনয়নপত্রে মূল্য ৩ হাজার টাকা, জেলা সদরের পৌরসভাভুক্ত এলাকায় ২ হাজার টাকা এবং অন্যান্য এলাকার জন্য মনোনয়নপত্রের মূল্য ১ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে বাউশিয়া মোহাম্মদ আব্দুল আজহার উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে দশ হাজার টাকায় একটি মনোনয়নপত্র বিক্রি করা হয়, যা সরকার নির্ধারিত ফির চাইতে দশগুণ বেশি।
ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী জাহাঙ্গীর আলম, আবুল কালাম এবং মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দশ হাজার টাকায় মনোনয়নপত্র কেনার বিষয়টি স্বীকার করেন তারা। তারা জানান, এর চাইতে কম টাকায় মনোনয়নপত্র বিক্রি না করায় বাধ্য হয়ে বেশি টাকা দিয়ে তারা মনোনয়নপত্র কিনেছেন।
বিষয়টি সম্পর্কে তার বক্তব্য জানতে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সরদার আব্দুল কাইয়ুমের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার ও গজারিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, নতুন প্রকাশিত গেজেটে মনোনয়নপত্রের দাম এক হাজার টাকা হলেও আগের গেজেটে মনোনয়নপত্রের দাম ৫ হাজার টাকা ছিল। নির্বাচন আগের গেজেট অনুযায়ী হয়েছে। বেশি টাকায় মনোনয়নপত্র বিক্রির বিষয়টি আমার জানা নেই।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। একজন প্রার্থী বিষয়টি আমাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন আমি তাকে বিষয়টি লিখিত আকারে জানাতে বলেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ১০ মে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বহিরাগত লোক দিয়ে প্রভাব বিস্তার, জালভোট দিয়ে একাধিক ব্যক্তি আটক এবং নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়।