alt

সারাদেশ

করলা চাষে দ্বিগুণ লাভে খুশি কৃষক

প্রতিনিধি, লালমনিরহাট : সোমবার, ২০ মে ২০২৪

লালমনিরহাটে কালীগঞ্জে কম খরচে অধিক লাভবান সবজি হিসেবে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে করলা চাষাবাদ। করলা চাষ করে বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকেও চাষিদের নিরাপদ বিষমুক্ত সবজি চাষে দেওয়া হচ্ছে নানাবিধ পরামর্শ।

উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের সবজি চাষি নুর মোস্তফা (৫৫) দীর্ঘদিন ধরে তিনি কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। অনান্য ফসলের পাশাপাশি চলতি মৌসুমে তিনি নিজের ২০শতাংশ জমিতে করেছেন করলার চাষ। গত একমাসেই তিনি ৩০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করেছেন। আগামী কয়েক মাসে আরও ৪০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন। তার মতো এমন আরও অনেক চাষি উপজেলায় এ বছর করলার চাষ করেছেন।

করলা চাষি আবুল বাশার বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে ধান, গম, শাক সবজির চাষাবাদ করি। কৃষিকাজ করেই আমার জীবন জীবিকা চলে। এ বছর গত এপ্রিল মাসে আমি নিজের ২০ শতাংশ জমিতে উন্নতজাতের করলা চাষ করি। ৩৫দিন পরে ফলন আসে। প্রথম দিকে স্থানীয় বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি।

বর্তমানে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। প্রতি সপ্তাহে ২দিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০কেজি করলা বিক্রি করছি। এই পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করেছি। এই মৌসুমে আরও ৪০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করবো বলে আশা করছি।

কাকিনা ইউনিয়নের আরেক চাষি সুমন মিয়া বলেন, আমি আমার ১৫ শতাংশ জমিতে চলতি মৌসুমে করলার চাষ করেছি। আল্লাহর রহমতে ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে ভালো দামও পেয়েছি। আমার পরিবারের মুখে এখন খুশির হাসি।

উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, আমার চলবলা ইউনিয়নে প্রায় ৫০ জন কৃষক করলা চাষে সফলতা পেয়েছেন। কম খরচে অল্প পরিশ্রমে অধিক লাভবান হয়েছেন চাষিরা। ফলনের শুরুর দিকে স্থানীয় বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে করলা। এখন ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দিন দিন করলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ তুষার কান্তি বলেন, করলা একটি অধিক পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, নিরাপদ ও বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যে করলা চাষিদের নিয়মিত সুপরামর্শ দিয়ে আসছি।

ক্ষতিকর পোকা দমনে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার শিখিয়েছি। অনান্য সবজির পাশাপাশি করলা চাষে ভালো দাম পেয়ে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন করলা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। করলা চাষে লাভবান হয়ে চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। তাদের পরিবারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব সময় চাষিদের সঙ্গে আছি। তাদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে আসছি।

কক্সবাজারে বাস খাদে পড়ে দুই যাত্রী নিহত, আহত ৫

ছবি

বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কেমিকেল নিক্ষেপ, নারী-শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু

ছবি

পাবনায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ৮

ছবি

সিলেটে পাথর কোয়ারী দখলে সবার স্বপ্ন এক

ছবি

মুরাদনগরে নারী ধর্ষণ-ভিডিও কাণ্ডে গ্রেপ্তার আরও একজন 

সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে ছিনতাইকারী সাজিয়ে ন্যাড়া করল কর্মীরা

সৌদি আরবে দালালের হাতে জিম্মি সিলেটি যুবকের মৃত্যু

ছবি

ডেটা ক্লাসিফিকেশন থাকছে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইনে : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ছবি

সাইবার সিকিউরিটি সল্যুশনস নিয়ে মাস্টারকার্ডের কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি

ব্যক্তি স্বার্থের দ্বন্দ্বের সময় বোয়ালমারীর একান্নবর্তী পাল পরিবার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

ছবি

বোয়ালখালীতে বস্তায় আদা চাষ বাড়ছে

ছবি

কিশোরীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করছে লাইট হাউস

সংস্কৃতি ক্ষরায় শৈলজারঞ্জন সংস্কৃতি কেন্দ্র

ছবি

শালিকের কিচিরমিচিরে মুখরিত বেতাগী বাসস্ট্যান্ড

খোলা ট্রাক, পিকআপ ও ডাম্পারে ধুলাবালু বহন, জনদুর্ভোগ

তানোরে রাসেল ভাইপারের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু

ছবি

সরিষাবাড়ীতে যমুনা নদীর ভাঙন রোধে মানববন্ধন

নরসিংদীতে সেলাই মেশিন বিতরণ

‘দেশবাসী এখনও খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব আশা করে’

কেশবপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র গ্রেপ্তার

শরণখোলায় ৭ ফুট লম্বা দাড়াস সাপ উদ্ধার

ছবি

মধ্যপাড়া খনি শ্রমিকদের ধর্মঘট, উৎপাদন বন্ধ

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে জুস রপ্তানি

চাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত বাবা-ছেলে

ছবি

হবিগঞ্জ-সুজাতপুর সড়ক ভেঙে বেহাল, জনদুর্ভোগ

রাজশাহীতে যুবলীগ নেতাকে ধরতে ভবনে তল্লাশি, ফোনে বললেন ‘খুঁজে লাভ নেই’

ধনবাড়ীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরি

ছবি

মাতামুহুরীর ভাঙন ঠেকাতে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে জিওব্যাগ ডাম্পিং

ছবি

মোরেলগঞ্জে পারিবারিক পুষ্টি বাগানের কৃষকরা পেলেন কৃষি উপকরণ

বরিশালে বোরো মৌসুমেও চালের দাম বাড়ছে

দুমকিতে কৃষি উপকরণ বিতরণ

বাগেরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু

সিংড়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা প্রদান

পাকুন্দিয়ায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ

পোরশা সীমান্তে বাংলাদেশি রাখালকে হত্যা করেছে বিএসএফ

tab

সারাদেশ

করলা চাষে দ্বিগুণ লাভে খুশি কৃষক

প্রতিনিধি, লালমনিরহাট

সোমবার, ২০ মে ২০২৪

লালমনিরহাটে কালীগঞ্জে কম খরচে অধিক লাভবান সবজি হিসেবে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে করলা চাষাবাদ। করলা চাষ করে বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকেও চাষিদের নিরাপদ বিষমুক্ত সবজি চাষে দেওয়া হচ্ছে নানাবিধ পরামর্শ।

উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের সবজি চাষি নুর মোস্তফা (৫৫) দীর্ঘদিন ধরে তিনি কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। অনান্য ফসলের পাশাপাশি চলতি মৌসুমে তিনি নিজের ২০শতাংশ জমিতে করেছেন করলার চাষ। গত একমাসেই তিনি ৩০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করেছেন। আগামী কয়েক মাসে আরও ৪০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন। তার মতো এমন আরও অনেক চাষি উপজেলায় এ বছর করলার চাষ করেছেন।

করলা চাষি আবুল বাশার বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে ধান, গম, শাক সবজির চাষাবাদ করি। কৃষিকাজ করেই আমার জীবন জীবিকা চলে। এ বছর গত এপ্রিল মাসে আমি নিজের ২০ শতাংশ জমিতে উন্নতজাতের করলা চাষ করি। ৩৫দিন পরে ফলন আসে। প্রথম দিকে স্থানীয় বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি।

বর্তমানে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। প্রতি সপ্তাহে ২দিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০কেজি করলা বিক্রি করছি। এই পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করেছি। এই মৌসুমে আরও ৪০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করবো বলে আশা করছি।

কাকিনা ইউনিয়নের আরেক চাষি সুমন মিয়া বলেন, আমি আমার ১৫ শতাংশ জমিতে চলতি মৌসুমে করলার চাষ করেছি। আল্লাহর রহমতে ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে ভালো দামও পেয়েছি। আমার পরিবারের মুখে এখন খুশির হাসি।

উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, আমার চলবলা ইউনিয়নে প্রায় ৫০ জন কৃষক করলা চাষে সফলতা পেয়েছেন। কম খরচে অল্প পরিশ্রমে অধিক লাভবান হয়েছেন চাষিরা। ফলনের শুরুর দিকে স্থানীয় বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে করলা। এখন ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দিন দিন করলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ তুষার কান্তি বলেন, করলা একটি অধিক পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, নিরাপদ ও বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যে করলা চাষিদের নিয়মিত সুপরামর্শ দিয়ে আসছি।

ক্ষতিকর পোকা দমনে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার শিখিয়েছি। অনান্য সবজির পাশাপাশি করলা চাষে ভালো দাম পেয়ে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন করলা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। করলা চাষে লাভবান হয়ে চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। তাদের পরিবারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব সময় চাষিদের সঙ্গে আছি। তাদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে আসছি।

back to top